বিন্দু থেকে সিন্ধু
সারা বিশ্ব জুড়ে আজ তোমার জয়গান সিন্ধু,
পূর্ণ তুমি পুসরলা ভেঙ্কটা সিন্ধুতে।
সতেরোতে পা রেখেই শীর্ষ বিশে স্হান দখল করেছিলে!
দু হাজার তেরো থেকে শুরু,পনেরো বাদে
প্রতি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তোমার একটি করে পদক জয়!
সত্যিই ভাবা যায় না!
তোমার ঝুলিতে আছে রাজীব খেলরত্ন,পদ্মশ্রী, কত পুরস্কার !
আরও কত পাবে, মোটে তো এখন চব্বিশ তুমি।
দুর্দান্ত প্রতিরক্ষার সাথে মিশে,দু হাজার ঊনিশে,
ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব-চ্যাম্পিয়নশিপে ছিনিয়ে নিলে সোনার পদক।
ঊনিশশো পঁচানব্বইয়ের পাঁচ জুলাই যে কন্যা ভ্রূণটি পূর্ণ হয়ে
পি.ভি.রমনা ও পি.বিজয়ার কোলে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল
সেই কুুঁড়ির পরিপূর্ণ প্রস্ফুটনে পিতা-মাতার ছিল কি অদম্য উৎসাহ !
তাই মাত্র আটেই শুরু হল সিন্ধুর ব্যাড মিন্টনের ব্রত।
কন্যা-ভ্রূণ-নষ্ট-কারী পিতারা শেখ,
তোমাদের ঔরসজাত সেই বিন্দুর মাঝেও তো সিন্ধু থাকতে পারত?
না,আর কোন কন্যা-ভ্রূণ হত্যা নয়,
পিতা পি ভি রমনার মত তোমার কন্যাকেও উপযুক্ত করে গড়ে
তোল না কেন?
আজ তো সারা নারীজাতির গর্ব তুমি সিন্ধু!
দেখিয়ে দিলে তুমি,"নারীরাও পারে"-
অদম্য শক্তিতে পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চির
পেটা শরীর থেকে বেরুনো অফুরান তেজ
অনায়াসেই ছিনিয়ে নিল বিশ্বজয়ের খেতাব।
তুমি আজ ইতিহাস সিন্ধু,
তুমি আজ শুধু হায়দ্রাবাদী নও,
শুধু তেলেঙ্গনার নও,
তুমি আজ সারা ভারতের,সারা বিশ্বের !
তোমার অধ্যাবসায় স্বপ্ন,আবেগ,
আজ জুড়িয়েছে সবার হৃদয়।
আকাশের সাথে সবার অন্তরকেও তুমি ছুঁয়েছো ভূবনজয়ী!
তোমার এ জয় সকল ভারতবাসীর জয়!
বিশ্বের দরবারে ভারতকে প্রতিষ্ঠিত করার জয়!
এসো সিন্ধু,তোমাকে পথ প্রদর্শক করি,শিক্ষিকা করি,
ঘরে ঘরে কন্যারা তোমার থেকে শক্তি সঞ্চয় করুক,
সূর্যের মত দেদীপ্যমান হয়ে তুমি
ভারতীয় নারীদের চিরদিন শক্তি দিয়ে যাও।
যারা নারীকে পথে বিবর্জিতা,নারীরা কিছু পারে না বলে পিছন দিকে টেনে ধরেছিল,
তাদের কথা যে ভুল তা তুমি প্রমাণ করে দিয়েছো সিন্ধু।
ওঠো, নারী জাগো, সূর্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চলো....
সিন্ধুকে সামনে এগিয়ে চলো......
বিন্দু থেকেই তো সিন্ধু হয়।
সিন্ধু,তোমায় শত সেলাম,
সিন্ধু, তুঝে সেলাম।
🏵🌼🏵🌼🏵🌼🏵🌼🏵🌼
ডঃ রমলা মুখার্জী,বৈঁচী,বিবেকানন্দপল্লী,হুগলী,পিন 712134
ফোন নং 7003550595