নারী তুমি কে
আমি শক্তি আমি সৃস্টি আমি কামনার উৎস মুখে থাকি!
আগ্রাসী ক্ষুধা জঠরে আগুন জ্বালি সমগ্র বিশ্ব ধরে রাখি।
কাল ব্যাপী দিকজয়ী লোলুপ রসনা আমার ,
মোহমায়া বিছায়ে রাখে পথে,
ধরা পড়ে সেথায় পাতকী।
আমি দয়া আমি মায়া আমি মমতাময়ী নারী,
আমার ছায়ায় এসে ভিক্ষা মাগে শান্তির বারি
সমগ্র পুরুষ জাতি সন্তান আমার;
তবু আমি কন্যা ভগিনী জায়া,
নানা রূপে পাই যে প্রকাশ
বিশ্বমাতা আমি যে প্রকৃতি।।
২)
নারী যখন আদিম মানবী
আমি বন্য আদীম মানবী
আমি যদি হতাম লাবণ্য,
তোমায় দেখে সাউথ সিটি মলে
শেলি কিটি বা মিলির সাথে,
কাফে কফি ডে র চেয়ারে আড্ডারত;
টেবিল চেয়ার উল্টে,
কলার ধরে তোমায় টেনে আনার
ইচ্ছেটাকে বুকের ভিতর চেপে!
অনায়াসে এগিয়ে যেতাম ঠোঁটের কোনায়
শ্লেশের হাসি ঝুলিয়ে।
যদি আমি লাবণ্য হতাম;
তোমার ঘৃণিত সহবাস
শেলি কিটি বা মিলির সাথে!
আমাক বিদ্রুপের বন্যায় ভাসিয়ে,
আমাদের অমর প্রেম ফ্রেমে বন্দী
মনের মনি কোঠায় রাখতাম সাজিয়ে!
কিন্তু আমি নই লাবণ্য?
আমি হিংস্র আদিম মানবী।
তোমার সকল মিথ্যাচার
তছনছ করে,
তোমার অসহনীয় উন্নাসিক চরিত্রকে
ছিন্ন ভিন্ন করে ছড়াব আকাশে ।
কারন আমি নই শেষের কবিতা!
আমি নই বণ্যা মিতার;
আমি বন্য আদীম মানবী ।।