লড়াই
অসহায় আদল আয়নার সামনে দাঁড়ালে
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকো আড়ালে
ঠিকরে পড়া আলো যখন দর্পনের বুক চিরে
ঠিক তোমার মতো কাউকে দেখায় পারদ পর্দা ঘিরে
তখন রংমশাল জ্বালে তোমার চাপা অভিমানেরা
তীব্র প্রতিবাদ জানায় অপূর্ন আহ্লাদ- আবদারেরা
কপালের গাড় রক্তরাঙা বিস্ময় চিহ্নর মিথ্যা সন্তুষ্টিতে
কিংবা কালো জালকাপড়ের ওপারের ঝাপসা দৃষ্টিতে
মৃত, অর্ধমৃত উপন্যাসেরা তখন কথা বলে ওঠে
অগ্ন্যুৎপাতের মতন ঠান্ডা রক্ত চোখে টগবগ করে ফোটে
তোমার দুই সত্বার দ্বন্দ্বে কিংকর্তব্যবিমূড় তুমি
তবুও তোমার সিদ্ধান্তই বদলাতে পারবে তোমার আগামী
পুত্র মানদের প্রসাদী কন্যা তুমি , তুমি তো সাধারন নও
যৌতুকহীনা গরীবের আহ্লাদী নির্ভয়ে পা বাড়াও
সহ্যের পাল্লায় শ্রেষ্ঠত্ব হামেশা নারীই পেয়েছে জানো
তেমনি শ্যামলা হরিনী অবলা হয় না কখনো৷
পাথরের সংসারে রমনী যেভাবে আদরে ফুল ফোটায়
যেভাবে সদ্যজাত একদিন শক্তপোক্ত হয় মায়ের মমতায়
পৌঢ় জীবন যেভাবে সন্তানসুখ পায় দেবীর সেবায়
যেমন করে অর্ধাঙ্গিনী পূর্ণতা আনে পতির স্বর্গ শয্যায়
ঠিক সেভাবেই মহামায়া রূপিনী অসূর বিনাশ করে
বৃদ্ধাশ্রমের দেওয়াল বেঁচে থাকে অপেক্ষার আশ্বাস আঁকড়ে ধরে
মরার আগে মৃত্যু ভিক্ষুকও জীবন ভিক্ষা করে
স্বর্নলতা তো অসহায়তা ভূলে দিব্যি বাঁচে ভাড়ার ঘরে
বুকের ভেতরে আগুন জ্বেলে ঠান্ডা লড়াই করছে যারা
অন্ধকারের মৃত্যু হবে মশাল যদি ধরে তারা
বাঁচার আশায় ইন্ধন দিয়েছে ক্ষতবিক্ষত নির্ভয়া
তবুও কেন মিথ্যে প্রেমের ফাঁসে ঝোলো তুমি তনয়া
কলম হাতে লড়াই কখনো হারেনা কারো কাছে
প্রতিবাদী হলেই একলা নারী সসম্মান বাঁচে
লড়াইটা হোক অন্যরকম সন্ত্রাসকে দূরে রেখে
নিজের কাছে জিতলে তবেই লড়াই জিততে শেখে৷