কোটি কোটি শুক্রাণুর ভিড়ে টিকে থাকা 'তুমি' কালের প্রবাহে নতুন প্রাণের জাগরণে
ভূমিষ্ট হলে পৃথিবীর বুকে।
গর্ভধারিনীর কোল জুড়ে হেসে কেঁদে বড়ও হলে!
একটি নামকরণের মাধ্যমে পরিচয় পত্র হাতে নিয়ে দিক-বিদিকে ছুটে বেড়ানো 'তুমি'
আজ অনেক বড়।
তবে 'মা' ডাকে যে অনুপ্রেরণা আছে,
মায়ের মমতা মেশানো শুভকামনা -- পথপ্রদর্শক!
সেই মা তোমার জীবনের পুরোটাই অধিকার করে আছে।
অসুস্থতায় মাথার পাশে তাঁর রাত জেগে থাকা
নিদ্রাহীন চোখের নীচে কালি পরে থাকাতেও যাঁর কোন কুন্ঠাবোধ হতো না।
কোন ক্লান্তি হতো না।
সেই তো আসল মা!
তাঁর ফুটে ওঠা নারীত্ব।
এই মায়ের চোখে দেখা জন্মভূমি যেন
সমগ্র বিশ্বজগতে ডুব দেওয়া।
মায়ের গর্ভজাত তোমার সহোদরা
সেও তো এক নারী।
তার আত্মত্যাগে জীবন সাজানো দাদা--
খাবারের ভাগ একটু বেশি পাওয়া ভাইটা,
আজ যেন একটু বেশিই সুখী!
এটা ভেবে যে তার বোন কষ্ট ভুলে পরের বাড়ির কষ্টটাকে আপন করে নিয়েছে।
'মা'কে দেখাশোনা ও যত্ন করার গুরু দায়িত্ব তুলে দিয়েছে দাদার হাতে।
বিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয়ে তোমার সঙ্গিনী বালিকা কিংবা কিশোরী!
সেও তো নারী।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সহপাঠিনীটাও নারী।
তোমাকে ঘিরে থাকা বান্ধবীরা পাশবালিশটার মতো যত্ন নিতে আসে
কিন্তু মনে মনে হয়তো ভালোবেসেছে,
বলতে পারে নি মুখ ফুটে
শুধু বুকে গেঁথে রেখেছিল 'অন্তরমম' করে।
তারাও তোমার জীবনের অনেকটা সময় পুরুষের মর্যাদা দিয়েছে।
জীবনে চলতে গিয়ে হোঁচট খাওয়া লোকটা যখন প্রেমের স্পর্শ পায়।
সেই তুমি অন্য এক নারীর সংস্পর্শে বেঁচে ওঠো!
সেই প্রেম--সেই নারী আসলে 'স্ত্রী'
সহধর্মিণী যাকে বলে আর কি!
সুখে দুঃখে,
মায়ের পরে অংশীদারীত্ব তারই।
আর একজন আছে, যে সর্বক্ষণের মধ্যমা,
যাকে ছাড়া সারাবাড়ি অন্ধকার!
সে আসলে নিজ ঔরস জাত কন্যা সন্তান।
সেও এক নারী।
তার সাহচর্যে সমস্ত স্বপ্নকে একসূত্রে বাঁধাই তোমার একমাত্র লক্ষ।
আসলে এদের প্রত্যেকের সাথেই তোমার আসল নাড়ির টান।
--------$--------
সুনন্দ মন্ডল
কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম
৭৩১২১৯
যোগাযোগ-৮৬৩৭০৬৪০২৯
"এবং আমি" ও "প্রতিবন্ধকতা" নামে দুটি একক সংকলন গ্রন্থের প্রণেতা। "কবিতা কোলাজ" ও "কবিতা কোরাস" এবং "সোহাগ প্রজাপতির ফুলশয্যা" যৌথ সংকলন প্রকাশিত। এছাড়াও নানা পত্র পত্রিকাতে নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হয়েছে।