Featured Post
প্রবন্ধ ।। শতবর্ষের আঙিনায় গড়ে ওঠার পথে বিশ্বভারতী ।। সেখ মেহেবুব রহমান
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
শতবর্ষের আঙিনায় গড়ে ওঠার পথে বিশ্বভারতী
"we man become powerful by knowledge but we attain fullness by sympathy. The highest education is that which does not merely give us information but makes our life in harmony with all existence..." অর্থাৎ, "আমরা জ্ঞান দ্বারা শক্তিশালী হতে পারি, কিন্তু সহনাভূতি দ্বারা পূর্ণতা অর্জন করি। সর্বোচ্চ শিক্ষা যা কেবল আমাদের তথ্য দেয় না, সমস্ত অস্তিত্বের দ্বারা আমাদের জীবনকে ঐকতান করে তোলে"
শিক্ষার প্রতি এই সুচিন্তিত মতবাদ সেই মহামানবের, যাঁর হাত ধরে ব্রিটিশ পরিচালিত ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার বদ্ধ নিয়ম চূর্ণ করে স্বদেশী ভাবনায় প্রকৃতির কোলে নিজদের সঁপে দিয়ে পাঠদান শুরু হয়, গড়ে ওঠে আজকের বিশ্ববন্দিত দেশের গুরুত্বপর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'বিশ্বভারতী বিশ্ববদ্যালয়', কবির শিক্ষা চেতনার বাস্তব রূপ।
পুঁথিগত শিক্ষা আমাদের পণ্ডিত করে তোলে ঠিকই কিন্তু কখনোই সুশিক্ষিত করে না। স্কুলজীবনে অধিক নম্বরের পিছনে দৌড়তে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চরিত্র গঠনের শিক্ষা অধরাই থেকে যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় শুধুমাত্র সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় আমরা মনোযোগী অধ্যাবসায় অংশ নিলেও, সেটা সাময়িক। চাকরি লাভের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মূল্যবোধ ভুলে গিয়ে, অদ্ভুতভাবে বিলাসিতায় আচ্ছন হয়ে পড়ি। ফলস্বরূপ গঠনমূলক কোনো ভাবনায় আমাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে না। বাস্তবিক অর্থে আমরা পিছিয়ে পরি। ব্রিটিশ শাসনধীন ভারতীয় সমাজের এই ভাবনা আজও আমরা বাহন করে নিয়ে চলেছি। সত্যি বলতে, ভাবনাগুলো আজ যেন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। আমারা ক্রমেই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি। নিজেদের ভাবনাকে বাইরে প্রকাশ করার মানসিকতা যেমন লোপ পেয়েছে, তেমনই কেউ বহিঃপ্রকাশ করতে উদ্দ্যত হলে তাকে পশ্চাতে টেনে ধড়ার এক অদ্ভুত প্রবণতা আমাদের পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, সময়ের সাথে সাথে আমাদের যান্ত্রিক সামাজ এগিয়ে গেলেও আমদের শিক্ষা চেত্না পিছিয়ে পড়ছে। পিছিয়ে যাওয়া এই সমাজ স্রোতের প্রতিকূলে এক পালতোলা নৌকায় বিশ্বভারতী। কবিগুরু মস্তিষ্ক প্রসূত সেই নৌকায় চড়ে এসে নিজেদের প্রতিভার গুণে ভারতের নাম বিশ্ব চিনিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন থেকে অস্কাজয়ী বাঙালি চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ।
এক লহমায় আমরা যেমন শিক্ষিত হতে পারি না, তেমনই সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করাও যায় না। শিক্ষিত সমাজ ধাপে ধাপে ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে; সেখানে নানা মত আসে, কিছু গৃহীত হয়, কিছু প্রত্যাখ্যাত হয়। সেরকমই আজকের বিশ্বভারতী সুচিন্তিত ভাবনার মধ্য দিয়েই ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছে, পৌঁছছে শিক্ষার শিখরে।
আজ থেকে শত বছর পূর্বে, নিজস্ব সংবিধানসহ ১৯২১ সালে ২৩ সে ডিসেম্বর বিশ্বভারতী একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে কবিগুরুর হাত ধরে। যদিও প্রথম পথ চলার সূত্রপাত ১৮৬৩ সালে কবি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহের ছোঁয়ায়। তবে তা বিশ্বভারতী নামে নই, এমনকি কনো শিক্ষালয় হিসাবেও নয়। সম্পূর্ণ অন্যরূপে।
ঠাকুর পরিবারে জমিদারির কাজে বেরিয়ে প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা এই শান্ত পরিবেশ তাঁর প্রথম নজরে আসে ১৮৬০ সালে। মনন স্পর্শী এই স্থান শান্তি উপসনার জন্যে আদর্শ মনে হওয়ায় ১৮৬৩ সালে কিছু জায়গা ক্রয় করে শান্তির আরধনাগার নির্মাণ করেন, নাম দেন শান্তিনিকেতন, যায় সরলার্থ শান্তির আলয়। পরবর্তীকালে ১৮৮৮ সালে পাঠাগার সমন্বিত 'ব্রহ্মবিদ্যালয়' নামক আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন, যা মূলত জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশষে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য উপসনার কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, ১৮৪৩ সালের ২১ ডিসেম্বর (বাংলার ৭ ই পৌষ ১২৫০ বঙ্গাব্দ) কুড়ি জন অনুরাগী নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রহ্মচর্য গ্রহন করেন। এই স্মৃতিতেই পরবর্তীতে উনি ১৮৯১ সালের ২১ শে ডিসেম্বর (বাংলার ৭ ই পৌষ ১২৯৮ বঙ্গাব্দ) শান্তিনিকেতনে 'ব্রহ্মমন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৪ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে আরম্ভ করেন আজকের ৭ ই পৌষের 'পৌষমেলা'। বিশ্বভারতী কেন্দ্রিক যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্যে আদিতম এই পৌষমেলা, আজ যা বাংলা ছড়িয়ে দেশ বিদেশের মানুষের কাছে আকর্ষণের মূল কেন্দ্র। সঙ্গীত, নৃত্যর মধ্য দিয়ে পালিত হয় শান্তিনিকেতনের এই মহোৎসব এর চিত্র খুব সহজেই আমাদের ক্ল্পনায় চিত্রিত হয়।
কিশোর রবীন্দ্রনাথের প্রথম শান্তিনিকেতন আগমন ১৮৭৬ সালে, মাত্র পনেরো বছর বয়সে। বাবার সাথে করা দীর্ঘ ভারত ভ্রমণের আগে কিছু দিন সময় এখানে কাটিয়ে ছিলেন কবি। প্রথম শান্তিনিকেতন আগমন কবি হৃদয়কে আবেগতাড়িত করে তোলে, আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়ায় কিশোর কবি মন আন্দোলিত হয়। বছর পনেরোর কিশোরের চোখ বন্দী হওয়া শান্তিনিকেতনের পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে লাভ পরবর্তীকালে সাহিত্যের রূপে রবি কলম হতে বেড়িয়ে আসে,
"...in the hollows of the sandy soil, the rainwater had ploughed deep furrows carving out miniature ranges full of red gravel and pebbles of various shapes through which ran tiny streams... the geography of the lilliput... everything there, the dwarfed date palms, the scrubby wild plums and the stunted jambolans was in keeping with the miniature mountain ranges..."
কিশোর বয়সের স্মৃতি কবিগুরু কখনো ভুলতে পারেন নি। বরং গাছপালায় মোড়া শান্তিনিকেতনের পরিবেশ কবিকে আরও বেশ করে কাছে ডেকেছে। কবিও প্রকৃতির আহ্বান উপেক্ষা করেননি। অতীতের স্মৃতি নিয়ে ১৯০১ সালে ২২ শে ডিসেম্বর ( বাংলার ৭ ই পৌষ) মাত্র পাঁচ জন শিক্ষার্থী সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নিজ ভাবনায় মোড়া এক অভিনব বিদ্যাপীঠ। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাজ সংস্কার ও শিক্ষার মানো্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাবার ইচ্ছাকে পূর্ণতা দিতেই ব্রিটিশ ঘরনার ঊর্ধ্বে উঠে উন্মুক্ত পরিবেশে শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছিলেন কবি। শিক্ষার ব্যাপারে নিজেস্ব চিন্তা, যুক্তি, বুদ্ধি সব কিছুই বিদ্যালয় পরিচালনায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করতে থাকেন। তাঁর এই নব্য শিক্ষা ভাবনায় গ্রাম শহর, জাতি বিশ্ব একে অপরের জীবন যাত্রার অংশীদার হয়ে ওঠে। আসলে তিনি সম্পূর্ণ ভারতীয় সংস্কৃতিতে আধুনিক শিক্ষা প্রদান করতে চেয়েছিলেন। তিনি চাইতেন ইংরেজি জানা ভারতীয়দের সংকুচিত মানসিকতার পরিবর্তন হোক। শিক্ষা সর্বত্র বিস্তৃত হোক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফসল সমাজের এগিয়ে থাকা মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ছড়িয়ে পড়ুক সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। তৎকালীন শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেছিলেন, "What weighed on my mind was the unnatural pressure of the system of education which prevailed everywhere."
তবে এক ঐতিহাসিক কারণও সমান্তরাল ভাবে প্রকাশিত হয় । আনুষ্ঠানিকভাবে তখনও স্বদেশী আন্দোলন শুরু না হলেও, কবি তাঁর দার্শনিক চেতনায় উপলব্ধ করেন আগামীতে এই দেশ, স্বদেশী কেন্দ্রিক আন্দোলনের পথ অনুসরণ করতে চলেছে। ইংরেজ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাব্যবস্থা অগ্রাহ্য করে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় স্থাপন, কবির স্বদেশী ভাবনার এক উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ।
খোলা আকাশের নিচে, গাছের ছায়ায় প্রাচীন ভারতীয় মতে শিক্ষা দানের এই পদ্ধতি তৎকালীন সময়ে দেশের অন্যত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে এক তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা প্রেরণ করে। সরল জীবনই ছিল এই নব শিক্ষা ব্যাবস্থার মূল নীতি, সেখানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে একে অন্যের সাথে মিলিত হয়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক উৎসব অনষ্ঠান পালন করতে থাকে। চিত্রকলা, নৃত্য, সঙ্গীতচর্চা মধ্য দিয়ে তাঁরা সাংস্কৃতিক মনষ্ক হয়ে উঠতে শুরু করেন। তাঁর এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কবি লেখেন, "the growth of Santiniketan school was the grwoth of my life."
দেশীয় শিক্ষার প্রতি সচেতন থাকলেও তাঁর শিক্ষা ভাবনার সাথে বহিঃবিশ্বের মিলিত হওয়ার সুযোগ আসে নোবেল পুরস্কার অর্জনের পর। ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জনের পর, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে কবি বিশ্বের নানা প্রান্তে ভ্রমণ করতে থাকেন এবং সেই সকল দেশের শিক্ষা চেতনা সমন্ধে অবহিত হতে শুরু করেন। নিজের দার্শনিক ভাবনা, তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী ক্ষমতা দ্বারা বিচার করে উপলব্ধ হন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতা, ভাবনার আদান প্রদানের মধ্য দিয়েই শিক্ষার মান ও ব্যাপ্তির পরিসর বৃদ্ধি করা সম্ভব। গঠিত হবে শিক্ষার পূর্ণাঙ্গ রূপ। অতঃপর, তিনি তাঁর শিক্ষা ভাবনাকে দেশের আঙিনায় সীমাবদ্ধ না রেখে বহিঃবিশ্বের জন্য উন্মোচিত করে দিয়ে ২৩ শে ডিসেম্বর ১৯২১ সালে (বাংলার ৭ ই পৌষ) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় 'বিশ্বভারতী' প্রতিষ্ঠা করেন। লোগোর স্বরূপ হিসাবে ব্যবহৃত হয় বৈদিক উদ্বৃতি 'yatra viswam eka nidan', যার সরল বাংলা, 'যেখানে সমগ্র বিশ্ব এক বাসায় মিলিত হয়'। সত্যিই তো বিশ্বভারতী আজ মহা বিশ্বের এক মিলন স্থান। আজ তা আকার আয়তনে আরও বৃহৎ হয়ে উঠেছে। এই বিশাল বটবৃক্ষ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে কৃতি সন্তানদের জন্ম দিয়ে যাবে সুদূর ভবিষ্যতেও।
বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে আরও এক তাৎপর্যপূর্ণ দিক উদ্ভসিত হয়। মহাত্মা গান্ধী ও কবিগুরুর পারস্পরিক বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। কবিগুরুর আহ্বানে গান্ধীজি বিশ্বভারতীতে এসেছেন, এই ইতিহাস সমন্ধেও আমরা ওয়াকিবহাল। কিন্তু বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে তাদের মত পার্থক্যর কথা সেভাবে কখনোই আলোচিত হয় না। সালটা ১৯২০-১৯২১ মহাত্মার নেতৃত্বে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত হলে কবিগুরুর বিশ্বভারতী এই আন্দোলন থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এর একমাত্র কারণ, এই মহাপ্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য পারস্পরিক সহযোগিতা। শিক্ষার প্রয়োজনে, জাতিকে শিক্ষিত করতে এই মিলন হওয়া অবশ্যম্ভাবী। সেখানে মহাত্মার পদক্ষেপ গ্রহনযোগ্য নয়। গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, "আমার দেশ অসহযোগের আহ্বান জানিয়েছে, যখন আমার দেশকে সহযোগিতার আহ্বান করা উচিত"। যদিও এই পারস্পরিক মত বিরোধ তাদের বন্ধুত্বে কখনো চির ধরায় নি। গান্ধীজি পরবর্তীতে কবিগুরু ভাবনাকে বুঝেছিলেন এবং তাঁরা আজীবন বন্ধু হয়েই রয়ে যান। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কবি বলেন, "যেখানে সত্যের কথা আলোচিত হচ্ছে সেখানে কোনো পূর্ব পশ্চিম হতে পারে না।"
ব্যতিক্রমী এই শিক্ষা চিন্তার অন্তিম সংযোজন শ্রীনিকেতন। গ্রামীণ উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ১৯২২ সালে কবিগুরু অপর এই শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বভারতী যেখানে শিক্ষার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে শ্রীনিকেতন গ্রাম পুনর্গঠনের জন্য গ্রহণকারী ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক কেন্দ্র হিসাবে উন্মোচিত হয়।
কবি ভাবনা অভিনব হলেও দেশের অন্যত্র সেভাবে এর প্রয়োগ হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে কবি পরবর্তীতে বলেছেন, "It is difficult to come completely out of the net in which the system of education has enmeshed our country."
হয়তো তাঁর এই ভাবনাকে গ্রহন না করায় শের শিক্ষার এই করুণ হাল! বর্তমান দিনে প্রয়োগমূলক শিক্ষা দান কোথাও সঠিক ভাবে গ্রহীত হয় না। মুষ্টিমেয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হলেও, সংখ্যায় খুবই সীমিত। বর্তমান দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব স্পষ্ট। আবার শিক্ষক শিক্ষালয় উভয়ের উপস্থিতি থাকলেও মোটা অঙ্কের অর্থ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকেই পিছিয়ে আসে। শিক্ষার সাথে অর্থের এইরূপ মিশ্রন সত্যিই হতাশ করে। তবে এইসব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে বর্তমান দিনে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি, যা পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে। ছাত্র ছাত্রীদের মনে পারস্পরিক অসহিষ্ণুতার উদ্ভব ঘটায়। আজকাল তো শিক্ষা প্রদানকারীদের মধ্যেও আভ্যন্তরীণ রাজনীতির খবর শোনা যায়। তবে অনেক বেশি আশাহত হয় যখন বিশ্বভারতীর কালিমালিপ্ত হওয়ার খবর শুনি। অবাক লাগে যখন দেখি নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে, কবিগুরুর শিক্ষানীতি অচিরেই চাপা পরে যায়। কিন্তু আমাদের আশা ছাড়লে চলবে না। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবেই। সেই মহামানবও যে আশা ছাড়েননি...
অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বভারতী রাজনীতি মুক্ত হয়ে স্বমহিমায় এগিয়ে চলবে বিশ্বের মিলনস্থল হয়েই, এই প্রত্যাশাই রাখি।
--------------------
ঋণস্বীকারঃ
১) উমা দাসগুপ্ত- Using Poet's archive to write the history of a university: Rabindranath Tagore and Visva- Bharati. Asian and African Studies XIV.
২) সন্তোষ মণ্ডল- Historical Festivals of Santiniketan: Cultural Importance, Research Review International Journal of Multidisciplinary.
৩) সর্প্তষি সান্যাল- The poet's home: architectural innovations in Rabindrnath Tagore's dwellings in Santiniketan. International Journal of Arts & Sciences.
নাম- সেখ মেহেবুব রহমান
গ্রাম- বড়মশাগড়িয়া
ডাকঘর- রসুলপুর
থানা- মেমারী
জেলা- পূর্ব বর্ধমান
রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ
ডাকঘর সংখ্যা- ৭১৩১৫১
চল্ভাষ নমর- ৮০১৬২৮৮৮৭৩
Better Some Tabs. For You
1.
Samsung Galaxy Tab A 10.1 (10.1 inch, RAM 2GB, ROM 32GB, Wi-Fi-Only), Black
Deal Price: Rs. 12,499.00
Extra 10% direct off on SBI Card (20-23 Jan, 2021)
For Details CLICK HERE
Lenovo Tab M10 HD Tablet (10.1 inch, 2GB, 32GB, Wi-Fi Only) Slate Black
Samsung Galaxy Tab A7 (10.4 inch, RAM 3 GB, ROM 32 GB, Wi-Fi-only), Grey
Deal Price: Rs. 16,999.00
Extra 10% direct off on SBI Card (20-23 Jan, 2021)
For Details CLICK HERE
=======================
========================
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন