স্বপ্নের পালাবদল
নামকরণেই কৌতুকরসের উদ্রেক -আবেশ ,
নাকি বাস্তব প্রতিচ্ছবির অভিঘাত ।
দ্বিতীয়টিই কাম্য ,প্রথমের স্বীকৃতি নৈব নৈব চ ।
বয়স থেমে থাকে না ,
কিছুটা জানান দিয়ে ,কিছুটা চুপিসারে
সে এগিয়েই চলে ।
তার প্রতিটি বাঁকে বদলে যায়
আকাঙ্খার আদলে দেখা
দু -চোখের স্বপ্নগুলোও ।
শিশুর চোখে থাকে রাতারাতি
বড়ো হয়ে যাওয়ার আকাশ -কুসুম স্বপ্ন ।
তাহলেই হয়তো পড়াশোনার থেকে নিষ্কৃতি ,
আর স্বস্বাধীনতার রসাস্বাদনের মুক্তি ।
কৈশোর চায় আত্মপ্রতিষ্ঠার সহজলভ্য পদ্ধতি ।
যৌবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চায় এক লহমায়
নস্যাৎ করে দিতে
সমস্ত যুক্তি তর্কের বেড়াজাল ।
মায়াবিষ্ট এক মোহময় দুনিয়ায়
বিভোর তার আত্মতুষ্টি ।
ক্রমে জীবনের চড়াই -উতরাই আনে
শত অভিজ্ঞতার সমাবেশ ।
ঠিক -ভুলের মানদন্ডে নিজেকে শুধরে নেওয়ার
স্বপ্ন বাস করে তার পলকে ।
প্রৌঢ়ত্বের চৌকাঠে এসে ঠেকে জীবন ।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার
উৎকণ্ঠায় স্বপ্নের জাল বোনে ।
চিন্তার আতিশয্যে রোমন্থন করে
শৈশবের সেই সারল্য পরিপূর্ণ
স্মৃতির ভান্ডার ।
মানুষ স্বপ্ন দেখে -সেই পুরোনো দিনগুলো আবার ফিরে পাওয়ার ॥
অমৃতা বিশ্বাস সরকার
ভাদুল ,বাঁকুড়া
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন