সদ্য বিবাহিতা
মেয়েদের ইচ্ছের কোনো দাম থাকেনা, তাই তো বাড়ির ইচ্ছাতে আর
নিজের অনিচ্ছাতে বিয়ে টা করে নিতে হল আমায়। কোনো আড়ম্বর ছিলনা
সেরম,লোকজন জানাজানি ও ছিলনা। শুধু ছিল একটা ছাতনাতলা, সাত পাক,ফুলের
গন্ধ,অগ্নিসাক্ষী আর সিঁদুর।
নিজের ইচ্ছে গুলোকে দুমড়ে মুছড়ে শেষ করে ফেলেছি একপ্রকার। নিজের
পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন,টাকা রোজগার করে অনাথ বাচ্চা দের খাওয়ানোর স্বপ্ন
সব।
শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠে পা রাখতেই বুঝেছিলাম এ সংসারের যোগ্য পুত্রবধু হওয়ার
ক্ষমতা আমার নেই। তা এই দু চারদিনে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে
হ্যাঁ আমিই ঠিক।
পূজো করতে দেরী হলে শাশুড়ি মার চোখ রাঙানি থেকে বাদ পড়িনা আমি, চায়ে চিনি
বেশি হলে শ্বশুর মশাই চা টাই আর খান না,স্বামীর জামার ইস্ত্রি ঠিক মত না
হলে আবার আমায় সেই জামাটা কেচে ইস্ত্রি করতে হয়।
যে হাতে রোজ সিঁথি রাঙাবো ভেবেছিলাম সেই সিঁথিতেই আজ চিরুনির পিছনে
সিঁদুর লাগিয়ে পরে নিতে হয় আমায়।
আসলে ও চায়নি এত তাড়াতাড়ি সব হোক। এসটাবলিস্ট হতে চায় আগে। তাই আজ আমি
অন্য কারোর অর্ধাঙ্গিনী। জানাইনি ওকে।
তবুও ভালোবাসি এখনও। ওর দেওয়া শুকনো গোলাপ বুকে টেনে বাঁচতে শিখছি।
স্বামীর ভালোবাসা কি, জানতে পারব না হয়তো কোনোদিনও। শাশুড়ী মা আর শ্বশুর
মশাই কেও মা বাবা মনে করে উঠতে পারিনি। দোষ হয়ত আমার হয়ত বা তাদের।
আমি সেই ভালোবাসার অভাবী থেকে গেলাম।
এখন, সুবর্ণলতা টাই আমার সঙ্গী।
অদিতি বসু।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন