প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

মু ক্ত গ দ্য
এইমাত্র আমার জীবনের নদী বেয়ে নতুন পাড়ে উঠলাম। এক তরণী আমার হাতটা ধরে বলল, তোমার হাতের রেখাগুলোতে ত্রিকোণমিতির অংক ভরে আছে। নগর উন্নয়নের অনেক স্থাপত্য গড়ে উঠবে এই হাতে। আমার ঠোঁটের সমস্ত গান নীরবতার গান হয়ে উঠল। বেহালার ছড়ে হঠাত আটকে যাওয়া বিস্ময়ের সুরের মতো আটকে গেলাম নতুন একটা নারীদেশে। সংশয়ের কুয়াশার মধ্যে ডুবে যাচ্ছে ভ্রমণ জাগরণ! যাকে আমি অশেষ ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিয়েছিলাম।
বৃষ্টি বৃষ্টি আর তুমুল বৃষ্টিতে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল তোমার আঙুলগুলো তারযন্ত্রে সুরের ঝড় তুলবে। তোমার ঠোঁট চুম্বনের নয়, গানের ঢেউ উঠবে উথাল-পাতাল। আর পা দুটো তো বিশ্ব বাউলের। সেই আমাকে ভ্রমণে পাঠিয়েছিল, যে আমাকে স্তন সামলে রাখার মতো আগলে রাখত রাত্রিদিন। চুম্বন ছাড়া গভীর আলিঙ্গনে সে বলেছিল, অঙ্কের জটীলতার বাইরের জীবন বাউলদের। ভ্রমণে যাও, হাঁটো, সুর খোঁজ। সুর পাবে পথে পথে, নানাবিধ মানুষ যাপনে। চুম্বনের স্বাদ চেয়েছিলাম। স্মিত হেসে বলেছিল, জাগতিক চুম্বন সবসময় পেতে পার। পূর্ণ দাস, পার্বতী দাস, পিট সিগার, গোষ্টগোপাল, বব ডিলান, বব মার্লের মতো বিশ্ব চুম্বনের কারিগর হও। তোমার গান পৃথিবীর ঠোঁটে ঠোঁটে ঘুরে বেড়াক। তোমার চুম্বনগান অন্তরীক্ষ ছাড়িয়ে যাক অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে।
সংশয় মাকড়সার জাল কেটে গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম। দেখি,আমার বাহু জুড়ে পুরনো সেই লাস্যের কলধ্বনি! আমি প্রণত হলাম। আবার যাত্রা শুরু সূর্যের কাঁধ ধরে। সামনে অনন্ত পথ। অনন্তের দিকে ক্রমশ পা! ঈশ্বর তো আধো ঘুমে আধো জাগরণে আমার সাথে!
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন