পোস্টগুলি

৪৯তম সংখ্যা ।। চৈত্র ১৪২৮ মার্চ ২০২২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

ছড়া ।। সেই গ্ৰামটাই ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
সেই গ্ৰামটাই বদ্রীনাথ পাল যে গ্ৰামটাতে মাটির বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি কাঁচা মেঠো পথ গিয়েছে সাপের মতো বেঁকে, ছবি যেন কেউ রেখেছে এঁকে। পুকুর ভরা কালো জলে ভরা শালুক শতদলে ঢেউ তুলেছে ঠিক যেখানে রাজহাঁসেরা এসে, পানকৌড়ি যাচ্ছে ভেসে ভেসে। চাঁদ যেখানে নদীর বুকে করছে খেলা মনের সুখে মন মাতিয়ে ভোরের বেলা বৈষ্ণবী গান করে, আমলকী ফুল পথের পাশে ঝরে। রাতের শেষে সকাল হলে উড়ছে পাখি দলে দলে যে দিকে চাও দেখবে কেবল শ্যামল সবুজ তুমি, সেই গ্ৰামটাই আমার জন্মভূমি।   ----------------------------------------      বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া।   ----------------------------------------------

গল্প ।। কুয়াশা ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
কুয়াশা প্রতীক মিত্র কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না।ট্রেন সব লেট।নইলে এতক্ষণে নন্দনের হাওড়া পৌঁছনো হয়ে যেত।পরের ট্রেনের যাত্রীরা হাজির। তাদের মধ্যে অন্তরাও ছিল।ও সাধারণত এইসময়ের ট্রেনটাই ধরে। বরের অফিসে খুব চাপ।বেরোনোর সময় ব্যস্ততা বরের যতটা তার চেয়ে কিছু কম নয় ওর। চুল ঠিকঠাক বাঁধতে পারেনি।কানে যে মাফলার জড়িয়েছে সেটাও খুলে খুলে যাচ্ছে। ভাবছিল ব্যাগ খুলে কোল্ড ক্রিমটা মাখবে কিনা, তখনই নন্দনের সাথে চোখাচুখি হয়।অন্তরাতো আর জানে না নন্দন এর আগে একবার অন্তরাকে দেখেছে।দেখার পর থেকেই বেশ দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে।বুঝতে পারেনি কি করবে।তুমুল শীতেও ঘেমে-নেয়ে হয়েছে একাকার। এখনও চোখাচুখি হতে চোখ ঘুরিয়েই নিয়েছিল সে।অন্তরাই তড়িঘড়ি করে ওকে 'সোনাই' বলে ডাকাতে নন্দন বেচারা উত্তর দিতে কতকটা বাধ্যই হল। যদিও নন্দনের অস্বস্তি ছিল দেখার মতন। এলাকা ওর।লোকে চেনে।অন্তরা এখানকার নয়।তারওপরে দেখতে শুনতে ভালো। সে এইভাবে ওর ডাকনাম ধরে ডাকলে লোকজনের কৌতুহল হতে পারে বইকি।ছোট্ট মফস্বঃল।সবাই যে সবাইকে চেনে।যারাই ট্রেনে ওঠে বা উঠছে টুকটাক তাদের অনেকেই ওকে চেনে। নন্দন সত্যিই আকাশ থেকে পড়েছে।ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর নন্দন

গল্প ।। বুনো কালীর মাঠ ।। অঞ্জন রায় চৌধুরী

ছবি
বুনো কালীর মাঠ ✍️ অঞ্জন    দিনটা ছিল বছরের শেষ দিন। শীতের রাতে বর্ষ বরণের পার্টি সেরে একা মোটরসাইকেল চালিয়ে ফিরছিল বাবাই। বাবাই পেশায় রাজ্য পুলিশের হোম গার্ড। আগের দিন রাতে নাইট ডিউটি করে একেবারে মর্নিং ডিউটি সেরে নিয়েছিল সেদিন। রাতে বন্ধু বান্ধবদের সাথে বছরের শেষ রাতটা কাটানোর জন্য বাকি দিনটা ছুটি নিয়েছিল সে। যেখানে পার্টি হচ্ছিল, সেই ক্লাব টা বাবাই এর বাড়ি থেকে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে বেরিয়ে যখন বাবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো, তখন রাত প্রায় একটা। শহর পেরিয়ে যখন সে গ্রামের রাস্তায় ঢুকলো, তখন দুটো বেজে গেছে। বুনো কালীর মাঠের কাছে বাইক টা স্ট্যান্ড করলো সে। কোমর ধরে গেছে, টয়লেট ও পেয়েছে জোরে। বাইক থেকে নেমে হালকা হয়ে, কোমর টা একটু ছাড়িয়ে নিয়ে,একটা সিগারেট ধরিয়ে বাবাই সবে গাড়িতে উঠতে যাবে, এমন সময় সে দেখলো চারটে ছায়া মূর্তি তার দিকে এগিয়ে আসছে। বাবাই ছিলো অকুতোভয়, ফলে ভূতের ভয় সে পেতো না। তবে ওই বুনো কালীর মাঠ জায়গাটা খুব একটা ভালো নয়, কারণ ওই মাঠে রাত বিরাতে মাঝে মাঝে সমাজ বিরোধীরা মদের আসর বসায়। বার দুয়েক পুলিশ রেড করে ঘাঁটি ভেঙ্গে দিয়েছিল, অ

কবিতা ।। ভালবাসার মোহে ।। মহা রফিক শেখ

ছবি
ভালবাসার মোহে মহা রফিক শেখ ওই নীল চোখে মৃত্যু বিষ দেখি। চোখে চোখ রেখে বিষবাষ্প শুষে নিতে চাই হৃদপিণ্ড । সারা শরীর নীল হয়ে যাক। তমসাচ্ছন্ন ঘোরে মৃত্যুর কোলে ঢলতে চাই।  আমার বহুদিনের শখ........ভালোবেসে নীলকন্ঠ হওয়ার। চোখের তারায় কি যে নেশা! ঘোর কাটে না ভালোবাসার। মাতাল মন টলতে থাকে ভালবাসার আবেশ নিয়ে । মৃত্যু খাদের গহন তলে। তবুও ভালোবাসতে চাই শতাব্দীর পর শতাব্দী। মৃত্যু হোক না পিরামিডে!!    =================== মহা রফিক শেখ, মহিসার, খড়গ্রাম,মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ -742147

 ৩৬ বছর পরে বিশ্বকাপ ফুটবলের জাদুসম্রাট দিয়েগো মারাদোনার দেশে ।। পাভেল আমান

ছবি
 ৩৬ বছর পরে বিশ্বকাপ ফুটবলের জাদুসম্রাট দিয়েগো মারাদোনার দেশে পাভেল আমান আমার দেখা বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালের মধ্য সবথেকে রুদ্ধশ্বাস টানটান উত্তেজনায় ভরা  এ বছরের ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিটা মুহূর্ত যেন সব খেলার সেরা ফুটবলের জাদুতে মনন ছিল টগবগে উচ্ছ্বসিত। সেখানে সমকক্ষ আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স একেবারে লড়াই করে বিশ্ববাসীদের উপহার দিয়েছে এক মন মাতানো চির স্মরণীয় ফুটবল ম্যাচ যেখানে নেই কোন বিশৃঙ্খলা অঘটনের ঘনঘটা অস্থিরতা শুধুই বিরাজিত মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলা। প্রথম থেকেই আর্জেন্টিনার সমর্থক হওয়াতে প্রিয় দলের বিজয়ে আর পাঁচজন বাঙালির মত আমিও পুলকিত রোমাঞ্চিত উদ্বেলিত। অবশেষে স্বপ্নের আরব্য রজনী, বেদুইনের দেশে সোনার কাপ আর্জেন্তিনার। ৩৬ বছর পরে সোনার কাপ ফিরল ফুটবলের জাদু সম্রাট দিয়েগো মারাদোনার দেশে । এক নতুন মহাকাব্যিক ইতিহাস রচিত হয়েছে রবিবারের রাতে। ফাইনাল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ফাইনাল ছিল গতকাল।  প্রথম থেকেই বারবার খেলার রঙ বদল হয়েছে।  বিশ্বকাপ জেতার আকাঙ্ক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে এতোটুকু কার্পণ্য করেনি আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা। দী

মুক্তগদ্য ।। অন্য ভালোবাসা ।। মহুয়া রায়

ছবি
অন্য ভালোবাসা   মহুয়া রায় রাতের অন্ধকার ভেঙ্গে আকাশ ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলো খানিক নিভিয়ে এসেছে, পূর্ণিমার চাঁদ আজ, আকাশের অন্ধকারের সহিত খানিক আলাপ জুড়েছে, সে জানান দিচ্ছে পূর্ণিমার পক্ষ সমাপ্তির পথে ক্ষণিক অমাবস্যা শুরু। তুমি আমি দুজনেই দাঁড়িয়ে সেই সুউচ্চ পাহাড়সম এক অট্টালিকার বারান্দায়। দুজনেই আজ চাঁদের দিকে তাকিয়ে। কি অদ্ভুতভাবেই যেন আর চাঁদকে ভীষণ আপন মনে হচ্ছে ঠিক সে রকমই মনে হচ্ছে আপন বস্তুটি আর কয়েকটা দিন পর আমার চোখের সামনে হতে দূরে চলে যাবে। কোথাও যদি মনে হচ্ছিল এই চাঁদ আর তুমি দুই যে আমার আপন আর তুই যে আমায় ছেড়ে দূরে সরে গিয়ে আমার কাছে অমাবস্যার রাত নামিয়ে দেবে। সেদিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখতে দেখতে হঠাৎ তোমায় জড়িয়ে ধরলাম। তোমার হৃদয়ে আমার আমার মস্তক শায়িত হতেই আমার নয়ন হইতে অশ্রুধারা নির্গত হলো। প্রথমটা ভাবলাম তোমার হৃদয়ের মস্তক রেখে শান্তি অনুভব হয় তাই হয়তো এই অশ্রুধারা নেমে আসলে তোমায় ফাঁকি দিয়ে দেবে। কিন্তু কই ? হে সখা আমার অশ্রুধারা তোমায় ফাঁকি দিতে পারল কই? বেশ কিছুক্ষণ তোমার বুকে আমার মাথায় শায়িত করে দাঁড়িয়ে ছিলাম চাঁদের আলো নিচে। ব

কবিতা ।। মন্ত্র ।। সুশান্ত সেন

ছবি
মন্ত্র সুশান্ত সেন   পেয়ে গেছি গন্ডা খানেক গুহ্য মন্ত্র বানিয়ে দেব রান্না করার নতুন যন্ত্র , কয়লা  উনুন রান্না ঘরে লাগবে নারে গ্যাসের ওভেন তুলে রাখিস একটা ধারে। মন্ত্র পড়া কাঠের উনুন মুখের কথায় নিজে নিজেই জ্বলে ওঠে আগুন ছড়ায় , সেই আগুনে রান্না করা অনেক সহজ  খাটাই কেন বেকার বেকার নিজের মগজ। অং বং চং মন্ত্রটিকে একটু বলে মাছ মাংস রান্না করা বেজায় চলে। মন্ত্র পড়া আরো একটু হলে সঠিক নুন মসলা ঝাল মিষ্টি সব হবে ঠিক। এই মন্ত্র কিনতে হবে আমার কাছে ডজন খানেক হাতের কাছে তৈরি আছে।   ============= সুশান্ত সেন ৩২বি , শরৎ বসু রোড কলিকাতা ৭০০০২০

কবিতা ।। পাঁচটা মিনিট ধার ।। মৌসম সামন্ত

ছবি
পাঁচটা মিনিট ধার মৌসম সামন্ত আমার তৃতীয় চোখ, পেরিয়ে আসা সারেগামা, সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসা তার চোখের দিকেই গেলো তারপর প্রশ্ন করলো : কীরকম আছো মানুষেরা? বইয়ের পাতার আগুন অথবা বিদেশি কুকুরের বমির মধ্যে যেখানে চলে চমৎকার মেয়েটির জেরা। ভাষা নেই তাদের, রক্তে ওরা জড়িয়ে নিয়েছে সময় যেখানে একা ফুটপাথে হেঁটে যাচ্ছো তুমি কীভাবে কবিতা হবে? কীভাবে ভাবনা? বোমা ভেবে যা ছুঁড়ে ফেলি, সব কবিতা হয় কেনো এই দিনরাত আসে? কেনো প্রেম? যে বুঝেছে তুমি তার সঙ্গে গিয়ে থাকতে শেখো কেউ বাইরে যাবে, কেউ বসবে তোমার কোলে আমার ছায়ারা দিব্যি তোমার চুমু খাওয়া দেখবে আমার লাভার কাছে পড়ে আছে কার ছবি? পথ কেটে যাচ্ছি, দু ইঞ্চি বালির উপর সবই আপনমুগ্ধ মানুষ নিজেই আনন্দ হয়ে আছে আমার বিকৃত বিক্রিত আত্মা চেয়েছিলে ঘরে 'কী স্মার্ট হিংস্রতা তোমার' তবু নেই কণ্ঠস্বরে। যখনই মৃত্যুকে ভাবি, ধরে ফেলি আরও পাখি তোমার জীবন থেকে পাঁচটা মিনিট ধার দেবে কি?   ----------------------  মৌসম সামন্ত (অসুর) 16, Sankhari tola Street, Kolkata-700014, India

কবিতা ।। বাকি ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

ছবি
বাকি প্রবোধ কুমার মৃধা ভাসতে ভাসতে আপন ভুলে                মন -পবনের নায়ে । নির্জনে আজ তোমায় নিয়ে               বসন্তের এই বায়ে । গিয়েছিলেম সেথায়, যেথা                আমরা দু'জন মিলে । সময় পেলে চলে যেতাম                    সকল কর্ম ফেলে। সেই যেখানে পদ্ম ফোটে                    পদ্ম দিঘির জলে। বনের প্রাণী বিরাম মাগে                       প্রাচীন বটের তলে। মোদের দেখে থমকে যেত                       যুগল চক্রবাক । ডানা মেলে ঝাঁকে ঝাঁকে                   ধেয়ে আসত বক। পদ্ম পাতার ভেলায় ভেসে                     ডাহুক দিত উঁকি।  আজ মনে হয় তাদের মতো                  ছিলাম মোরা সুখী। জীবন শেষের এই অবেলায়                  পিছন ফিরে দেখি । আমার সকল পাওয়ার মাঝে                    তোমায় পাওয়া বাকি।                     ___________

কবিতা ।। ঘর সংসার ।। সোমনাথ মুখার্জী

ছবি
ঘর সংসার সোমনাথ মুখার্জী সময়ে সময়রেখা মুছে নেয় অদৃশ্য চাঁদের রাত্রির অহংকার। কেন এমন হয়  সেকথা আদান প্রদান অঙ্কের জটিলতা ভেদ করে করে সূদুর কোনও গ্ৰীক পুরাণের  চিত্রকল্প ক‍্যানভাস ছুয়ে হেসে যাচ্ছে স্বমহিমায়। অলস বিকেলের ক্লান্তিকর পরিশ্রম অন্ত হলে পর সময় নিজস্ব অবগাহন  আকাশের সমুদ্রে সাঁতরে নেয়। কত সংবেদনশীল গাছপালা নৈতিক সৌন্দর্যের রং মেখে নিয়ে অতিদূর কোনো রহস্যময় কালক্ষেপে জীবনের তটভূমি টপকে যায়। এভাবেই বয়ে যেতে থাকে জীবনের অসংখ্য কথামালা, যেভাবে নত হয় প্রেম, যেভাবে গড়ে ওঠে  তোমার ও আমার নৈতিক এবং অনৈতিক সম্পর্ক হাত। কত বিনিদ্র রজনী শব্দের কামারশালায় হাতুড়ি দিয়ে ভেঙেছি শব্দের অন্তরদহন। তুমি ভেবেছিলে এই শব্দশিশু সত‍্যের দারপ্রান্তে নিতান্তই তুচ্ছ‌। আত্মগরিমার বক্তব্য নয়। সত‍্যের দায়বদ্ধতায় কবির জন্ম হয়। এই যে মৃত্যুময় যাপন, মানুষের সমুদ্রে কারো গুপ্ত লোভ,তার পথের ধারে আমাদের আশ্চর্য বসবাস। ভয় হয় কোনও দিন সভ‍্যতা তার চেতনার সম্পদ না হারায়‌। তোমাকে গোপনে বলি,                                          প্রেম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ঘর সংসার। তোমার শেষ হাসিতে শ্রদ্ধার অসাধারণ বাহার। ==== সমাপ্ত ==

ছড়া ।। এক মুঠো রোদ্দুর ।। গোপা সোম

ছবি
  এক মুঠো রোদ্দুর গোপা সোম এক মুঠো রোদ্দুরের ঢের আছে দাম,  ক'দিন ধরে যখন, বৃষ্টি অবিরাম।    নিম্নচাপএ যখন, সবাই জেরবার,  এক মুঠো রোদ্দুরের অপেক্ষা সবার। এক মুঠো রোদ যদি, মেখে নেয়া যায়, দেহ-মনে সতেজতা আসে যেন তায়। এক মুঠো রোদ্দুরের আলতো সে পরশ,  বিষাদ কাটিয়ে মনে জাগায় হরষ।  কার্ণিশেই বসে থাকা ভিজে কাক-পাখি,  এক মুঠো রোদ্দুরেই মেলে দুটি আঁখি।  ডানা ভিজে গেলে তারা বড় অসহায়, এক মুঠো রোদ সব যাতনা ভোলায়। এক মুঠো রোদ্দুরেতে হরিৎ মাঠ-ঘাট, আলো-আঁধারির খেলা, হয় জমজমাট।  বন্দী দশাতেই কাটে যাদের জীবন,  এক মুঠো রোদ যেন নিছক স্বপন। শয্যাশায়ী রোগীগৃহ বা আঁতুড় ঘর এক মুঠো রোদ্দুরের ঢের যে কদর।  বরিষণ শেষ হলে খানিক রোদ্দুর, পাবার তরে কারোর সয় না সবুর।

কবিতা ।। কবিতার কথা ।।  বিশ্বজিৎ কর

ছবি
কবিতার কথা!  বিশ্বজিৎ কর   কবিতা এখন ভাবায়, মননে!  তোলপাড় করা শব্দগুলো  আলোর গতিতে ধাবমান!  অভাবী মানসিকতায় ক্ষুধার্ত, বদহজম হয় ! শব্দগুলো শব্দ শোনায়,  আম আঁটির ভেঁপুর মতো!  ধানক্ষেতের বুক চিরে - অপু-দুর্গার মতো দৌড়! সুপারিশের আতঙ্কে কবিতা  থরথর করে কাঁপে....!  এক নতুন সকালের অপেক্ষায় কবিতা এখন আশায় বসে,  ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বনলতা সেনের সাথে!      বিশ্বজিৎ কর, মেদিনীপুর।

কবিতা ।। স্বামীজি ।। শীলা সোম

ছবি
স্বামীজি শীলা সোম   স্বামীজি কোথায় তুমি? চেতনার অন্বেষণে, দিব্যকান্ত সে মূরতি সবার মনের কোণে। সর্বভূতেই ঈশ্বর, তুমি করেছো দর্শন, জীবে প্রেম তব বাণী, যেন অমুল্যরতন। পরখ করে বারবার, নিয়েছো গুরুরে চিনে, আলোর দিশারী তুমি, এসো এ ঘোর দুর্দিনে। শ্রীরামকৃষ্ণ গুরু তব, লয়েছো ত্যাগের দীক্ষা, মানবতার মূর্ত প্রতীক, ধন্য তোমারই শিক্ষা। সাম্যের বাণী প্রচারিতে, ছুটেছো জগৎময়, চিকাগো ধর্মমহাসভায়, হয়েছে তোমার জয়। সর্বধর্মসমন্বয়ের ঘটিয়েছো মেলবন্ধন, রামকৃষ্ণ মঠ, মিশন, তারই যে নিদর্শন। ভাই, বোন সম্বোধনে, সবারে করেছো জয়, দিকে দিকে তব বাণী, জ্ঞানেরই অভ্যুদয়। যুগপুরুষ, মহান তুমি, কর্মেতে উদ্যমী, হে ভারতপথিক সন্ন্যাসী, তোমারে মোরা নমি।

কবিতা ।। চরণে রেখো মোর ।। শংকর হালদার

ছবি
চরণে রেখো মোর  শংকর হালদার  যত'ই করো'না হিসাব নিকাশ অথ'ই জীবনে'র দাঁড় টানি , অকূলে'র কূলে দিতে হবে পাড়ি কূলে'র কাণ্ডারি হয়ে তা মানি । গরমিল দেয়ানো'র কোনো পথ নেই তবু দেখা'ই মোরা কত বাহানা , অশ্রু ধারায় ছাড় নেই কভু  বড়'ই নিঠুর সত্যের ঠিকানা । তবু কেনো মিছে দাঁড় টানি বঞ্চনা,লাঞ্ছনা ,অনাদর নিয়ে! মিথ্যের ধামাটা জ্বলবে অনলে  চোকাতে হবে মূল্য... জীবন দিয়ে । জাত-পাত নেই তব কাছে হে ... ইচ্ছের আসনখানি তব কাছে পাতি , মলিনতা ভুলে তব পায়ের তলে মোর জীবন-আসনখানি রাখি ।                  ____________   শংকর হালদার দাড়া, জয়নগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা,পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ, ৭৪৩৩৩৭ 

কবিতা ।। মানুষের ঠাকুর ।। অশোক দাশ

ছবি
মানুষের ঠাকুর অশোক দাশ ক্লান্তিহীন রাত্রিদিন সোনার ফসল ফলায় যারা মাঠে, বন্ধু সুজন  থাকবে  কেন  উপোস এই স্বাধীন দেশে? শ্রম  আর  ঘামে   যারা  বানায়   সভ্যতার   ইমারত, তাদের ঘরে নিত্য অভাব অকাল মৃত্যু কেন আঁধার রাত? আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন যাদের দেশ গড়ার ভবিষ্যৎ কারিগর, বঞ্চনা লাঞ্ছনা বুকে সহে কেন রাজপথ হবে তাদের ঘর? খোলা আকাশের নিচে কাটে লাখ জীবন শীত- গ্রীষ্ম- বর্ষা, বসত হারা ছিন্নমূলের কোথায় শান্তির আশ্রয়  কেন গৃহহারা? মানবতার পথ চেনালো মহান মনীষী যারা তারাই তো অবিনশ্বর, সুখে- দুখে আপদে-বিপদে মানুষের পাশে বিনিদ্র রজনী তারাই মানুষের ঠাকুর ঈশ্বর ।   =================== অশোক দাশ ভোজান , রসপুর , হাওড়া , পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

ছড়া ।। একটি শিশু ।। সমর আচার্য্য

ছবি
একটি শিশু  সমর আচার্য্য একটি শিশু কান্না করে কেক বিরিয়ানি খাবে বাড়ির খাবারে নেইকো রুচি হোটেল বারে যাবে। একটি শিশু কান্না করে দুমুঠো অন্নের তরে দুবেলা তার আধপেটা খেয়ে  পেটটি নাহি ভরে। একটি শিশু কান্না করে করবে বলে খেলা আর একটি কান্না করে রাস্তায় চালিয়ে ঠ্যালা। একটি শিশু নতুন পোশাকে যায় মামা বাড়ি আর একটি আদুল গায়ে দেয় ধুলায় গড়াগড়ি। একটি ছেলে স্কুলে যায় বই পত্তর নিয়ে আর একটি তাকিয়ে থাকে অবাক দৃষ্টি দিয়ে। একটি ছেলে শীতে ঘুমায় গায়ে দামী কম্বল আর একটির মাঘের শীতে মায়ের আঁচলই সম্বল। একটি শিশু ফেলছে ছুড়ে আর খাবো না বলে আর একটি সেই খাবারটি নেয় আদরে তুলে। দুই শিশুই ভাবছে বসে কেন এমন হয় দুজনেই তো দেখতে এক দুজনেই কথা কয়।          -------- সমর আচার্য্য বিধাননগর  রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর                              

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪