প্রথম সিনেমা দেখা
মানস কুমার সেনগুপ্ত
ষাটের দশকের একেবারে শুরুর দিকে, তখন আমার বয়স ৭-৮ বছর হবে। বাড়ির সকলে মিলে দমদমের মৃনালিনী সিনেমা হলে দেখতে গিয়েছিল একটি বিখ্যাত হিন্দি ছবি বিশ সাল বাদ।
তখন বাড়ির সকলে মিলে সিনেমা দেখতে যাওয়া ছিল এক উৎসবের মতো। আমি বাড়িতে সর্বকনিষ্ঠ। তাই আমাকে বাড়িতে ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছে রেখে যাওয়া হবে এমনটাই ঠিক করা ছিল । বাবা-মা, কাকা-পিসিরা এবং আমার থেকে বয়সে বেশ বড় দিদি এরা সবাই যাবে ঠিক ছিল। আমার প্রিয় বাবু কাকার কাছে কান্নাকাটি করে বায়না ধরেছিলাম আমিও যাব সিনেমা দেখতে। কাকা বুঝিয়েছিলেন বিশ সাল বাদ বেশ ভয়ের ছবি। তুই ভয় পেয়ে যেতে পারিস। নাছোড় আমি কাকার কোলে বসেই প্রথম সিনেমা দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। ভয়ের দৃশ্য এলে কাকা হলের দরজার উপর এক্সিট লেখাগুলোর দিকে আমার মুথটা ঘুরিয়ে দিচ্ছিল। এসব অনেক ঘটনাই কাকার কাছে পরে শুনেছি।
তবে এইটুকু বলতেই পারি যে সিনেমাটি আমার বোধগম্যতার বাইরে হলে গিয়ে দেখা, সেটি কিন্তু তৎকালীন বোম্বাই এর হিন্দি ছবির ইতিহাসে নানা কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং হিট ছবি। ছবিটির প্রযোজক, সঙ্গীত পরিচালক এবং নেপথ্য পুরুষ কন্ঠের গায়ক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। গীতাঞ্জলি পিকচার্স এর ব্যানারে বম্বেতে তার প্রথম প্রযোজিত ছবি এটি। আর আমাদের বাংলার নায়ক বিশ্বজিতের প্রথম হিন্দি ছবিও বিশ সাল বাদ। নায়িকা ছিলেন ওয়াহিদা রহমান। আর লতাজির কন্ঠে কহি দীপ জ্বলে, কহি দিল গানটি ছবিতে একটি ভয়ের দৃশ্যের চিত্রায়ণেই ব্যবহার করা হয়েছিল। যে গানটি আজও শিহরণ জাগায় মনে।
মানস কুমার সেনগুপ্ত, ১৭/৮ , আনন্দ মোহন বসু রোড, দমদম কলকাতা ৭০০০৭৪.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন