শিকারি বিহঙ্গ
মেশকাতুন নাহার
প্রখর দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন শিকারি পাখি চিল,
শিকারের খুঁজে চক্রাকারে ঘুরে বেড়ায় অলিগলি বিল-ঝিল।
কখনো আকাশে উড়ে বেড়ায় আপন মনে
প্রয়োজনে মাটিতে নামে ব্যাধ করার মনোবাসনা পূরণে।
একই গোত্রের আরও আছে শকুন, পেঁচা ঈগল,
শক্তিমত্তা বল প্রয়োগে শিকার করে চলে অনর্গল।
ক্ষিপ্ত গতিতে অভীষ্ট নিশানায় বিদ্ধ করে দেয় চোট
অস্ত্র তাদের ধারালো নখ সূঁচালো বাঁকা ঠোঁট।
বিস্তীর্ণ আকাশে দূরে বহুদূরে শুধুই বিচরণ করা,
লোকালয়ে প্রবেশ করে পিঞ্জরে দেয় না কভু ধরা।
বাতাসের প্রতিকূলে উড়ে চলায় ওরা বিশেষ ভাবে দক্ষ,
ছোঁ মেরে মনঃপূত দব্য লুণ্ঠনে অতিশয় পক্ক।
শিকারি বিহঙ্গ কখনোই মানে না যে পোষ,
চিত্রাকর্ষক রসনা বিলাসেই পরম খোশ।
সুযোগ সন্ধানে ধ্যানমগ্ন শিকারি লুকায় গুপ্ত আড়ালে,
মনোবাসনা পূরণে চুপটি করে বসে থাকে মগডালে।
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করে ভক্ষণে সে আনন্দ লুটে
বিধ্বস্ত প্রাণটা আর্তনাদে ছটফট করে অস্ফুটে।
আহত যোদ্ধা মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ডানা ঝাপটাতে থাকে
নৃশংস শিকারি বুঝে না সেই স্পর্শেন্দ্রিয় বেদনাকে।
==============
মেশকাতুন নাহার, প্রভাষক সমাজকর্ম
কচুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন