পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫৬তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪২৯ অক্টোবর ২০২২

ছবি
 সূচিপত্র  প্রবন্ধ ।। মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত ।। শংকর ব্রহ্ম গুচ্ছকবিতা ।। সুব্রত পন্ডিত কবিতা ।। জীবনের নামতা ।। সুমিত মোদক গল্প ।। ট্রেকিং ।। সিদ্ধার্থ সিংহ কবিতা ।। সমাধিস্থ শিশুর কান্না ।। তরুণ মান্না কবিতা ।। প্রলম্বিত উৎসুক ।। রবীন বসু স্মৃতিকথা ।। কবিতার প্রথমযুগের দিনগুলি ।। সুবীর ঘোষ কবিতা ।। অজানা উদ্দেশ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ঘ্রাণ ।। হামিদুল ইসলাম কবিতা ।। অভিমানী মেঘ ।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা ।। আলোর উৎসব ।। উৎপলকুমার ধারা অণুগল্প ।। তালগাছটা ।। তপন মাইতি গল্প ।। হাত-পা বাঁধা ।। চন্দন মিত্র দুটি কবিতা ।। সুজিত কুমার পাল কবিতা ।। জীবন ।। মনসিজ বিশ্বাস কবিতা ।। শারদ পুজোর কায়া ।। নিরঞ্জন মণ্ডল ছড়া ।। আশ্বিন এলেই ।। দীনেশ সরকার ছোটগল্প ।। সাব্বিরের হাসি ও রুপনার মনোদহন ।। সৌমেন দেবনাথ কবিতা ।। বেসামাল ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। নীলাঞ্জনা তোমায়… ।। তপন মাইতি কবিতাগুচ্ছ ।। মনোজ চৌধুরী কবিতা ।। পাড়ার মেয়েটা ।। শ্যামাপদ মালাকার ছড়া ।। শরৎ যখন আসে ।। বদ্রীনাথ পাল নিবন্ধ ।। বাঙালি জাতিসত্তার পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর।। পাভেল আমান গল

প্রবন্ধ ।। মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত শংকর ব্রহ্ম                   বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর গানের সংখ্যা চার হাজারের অধিক। তিনি ছিলেন একাধারে কবি ঔপন্যাসিক গীতিকার সুরকার নাট্যকার চলচিত্রকার। তাঁর মাত্র তেইশ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি ও গীতিকার।      তিনি ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। চুরুলিয়া গ্রামটি আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকে অবস্থিত। পিতামহ কাজী আমিন উল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। তার বাবা ফকির আহমদ ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাজারের খাদেম। নজরুলের তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ কাজী আলী হোসেন এবং দুই বোনের মধ্যে সবার বড় কাজী সাহেবজান ও কনিষ্ঠ উম্মে কুলসুম। কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল "দুখু মিয়া"। নজরুল গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন। মক্তবে (মসজিদ পরিচালিত মুসলিম

গুচ্ছকবিতা ।। সুব্রত পন্ডিত

ছবি
সুব্রত  পন্ডিতের একগুচ্ছ  কবিতা আর্ট  গ্যালারি ১ ট্রাপিজিয়াম  ঘুড়িটি উড়তে উড়তে হেভেন  গার্ডেনে  হাত বাড়ায়। অন্য  একটি  ফিশ্ ঘুড়ি  তার স্বপ্ন  খেয়ে ফ্যালে । ডারউইন  সাহেব  থিসিস  বের করতেই যুবতী  লাটাই স্বপ্ন  ছাড়তে  থাকে ... মাছেদের এখন  প্রজনন কাল চলছে । ২ মেঘ সরিয়ে  সরিয়ে  দেখছি মিথ্যের দীর্ঘ  ছায়ারা চুম্বক ক্ষেত্রের পাশে  ঘুরছে । চিরস্থায়ী  সংশোধনের বার্তা  জানায়নি হাওয়া অফিস। সিগনাল  টাওয়ার  জুড়ে  আমার বিষণ ডানা খসে খসে পড়ছে ... অন্তত ঝাপটানোর শক্তিটুকুও কেড়ে  নিলে রাবণের  হাতে  আমার  জটায়ুর দশা! ৩ দু- চোখ  দিয়ে  গিলে খেলে হলুদ পাতার  মতো ঝরে  যাই... কখন কী ঘটে  যায়,  কখন কী  ঘটে  যাবে এই আশঙ্কায়  শেষ  যুদ্ধের সামনে দাঁড়াই। এখনো যারা গিলে খাচ্ছে,  তাদের  হাড়- কঙ্কাল দুমড়ে  মুচড়ে আমি  রোজ পুলিশ  ব্যারাকের  সামনে  দাঁড়িয়ে পাপ ও যন্ত্রণায় বোবা মূর্তি  হয়ে যাই... ৪ সন্দেহের  চোখ  তীক্ষ্ণ  হয়েছে  আসমুদ্র । সি. সি.  টিভির ক্যামেরায় ঘুরে ফেরে মৌলিক  বিষাদ। গা- বাঁচানো আড়াল  খুঁজি না। কেননা শয়তানের  মুখোশ  লাগানো বেলুনে হাওয়া দেওয়ার অভ্যাস  আমার  নেই। ৫ প্রযুক্তির  ট্যুইটারে বাঁকা কথার প্ল

কবিতা ।। জীবনের নামতা ।। সুমিত মোদক

ছবি
জীবনের নামতা সুমিত মোদক  কে জ্বেলে দিলো শব্দের বুক চিরে আরেক নতুন আলো ! কে বসিয়ে দিলো মঙ্গলঘঠ বোধনের আগে ! রাতের বুকের উপর বসে যে প্রান্তিক মানুষ জীবনের নামতা খুঁজছিল , তাকে তুমি কি দিয়ে এসেছো সাদা সাদা কাশ ফুল ! তাকে কি তুমি দিয়ে এসেছো আঁচলা ভরে শিউলি ! আমাদের উঠানে এখনও নেচে বেড়ায়  আগমনী সুর , আলতা রাঙা পায়ের চিহ্ন থেকে যায় ; ফিরে ফিরে আসে আত্মিক সম্পর্ক গুলো ; দুগ্ধবতী গাভীর মতো … নিজের মধ্যে ডুবে থাকে  প্রান্তিক মানুষ ; ঘামে ভেজা পাথর খাদান থেকে  উঠে আসা বেঁচে থাকার সংলাপ ; যে স্বপ্নগুলো তোমার, আমারও … শাল জঙ্গলের পথে হেঁটে গেলে  চিনে নেওয়া যায় নিজেকে, ভুমিজ-সন্তান; রাঙামাটির বাতাসে বাতাসে ভাসে  একতারার সুর, বন মোরগের ডাক ... জীবনের নামতা জুড়ে বোধনের স্বপ্ন । ========================     সুমিত মোদক, ফলতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

গল্প ।। ট্রেকিং ।। সিদ্ধার্থ সিংহ

ছবি
ট্রেকিং সিদ্ধার্থ সিংহ নামলে নামুক। কী আর করা যাবে! ও আর পারছে না। এ বার একটু বসতেই হবে। কিন্তু কোথায় বসবে? বসার জন্য যেই এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, ঠিক তখনই ও দেখল, একটা ষোলো-সতেরো বছরের তন্বী মেয়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে তরতর করে নেমে আসছে। সমতল থেকে ছ'হাজার ফুট উঁচুতে এসে, চোপতা থেকে পাহাড়ের এই খাড়া পথ বেয়ে সেই যে হাঁটা শুরু হয়েছে, রোহিতাশ্ব শুধু হেঁটেই যাচ্ছে। এত হেঁটেছে যে, পা আর চলছে না। পাঁচ কিলোমিটার হাঁটতেই যেন জীবন বেরিয়ে যাচ্ছে। গায়েও আর এতটুকু জোর নেই। এই দিনের বেলাতেও চোখের সামনে হঠাৎ হঠাৎ নেমে আসছে অন্ধকার। মাথাটাও টিপ টিপ করছে। মনে হচ্ছে, ও আর এক পা-ও হাঁটতে পারবে না। যে কোনও সময় মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে। না, এ বার একটু না বসলেই নয়। তার গাইড এবং সঙ্গীরা কে কোথায় আছে ও জানে না। জানতেও চায় না। পরবর্তী ক্যাম্পে পৌঁছতে আরও কতক্ষণ লাগবে, তার কোনও ধারণাও নেই ওর। ও নিশ্চয়ই অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে, তার পরেও ও যদি এখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য থামে, তা হলে পরবর্তী ক্যাম্পে পৌঁছনোর অনেক আগেই হয়তো অন্ধকার নেমে আসবে। পথের মাঝে ভিনরাজ্যের অচেনা-অজানা একটা লোককে ও রকম ক্লান্

কবিতা ।। সমাধিস্থ শিশুর কান্না ।। তরুণ মান্না

ছবি
  সমাধিস্থ শিশুর কান্না     তরুণ মান্না    কুয়োতলা গেলেই     কান্নার শব্দ শুনতে পাই     কুয়োর ভেতর থেকে ভেসে আসে    এক শিশুর কান্না     বালতির ধাতব 'টুং টাং'    জলের 'ঝপাৎ ছলছল' সব পেরিয়ে।    মা কুয়ো থেকে জল তুললেই    বালতিতে উঁকি মারি--    মাথার চুল অথবা নখ     কিংবা ফুসফুস উঠে এসেছে কি না।    দাফনের পর পিতার যেমন    কবরের মাটি সরিয়ে     সন্তানের মুখ দেখতে ইচ্ছে করে     আমারও তেমনি     কুয়োর অতলে ডুব দিয়ে     দেখতে ইচ্ছে করে কেমন আছে    বাবার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া    আমার কবিতার খাতা।   ..................................................     Tarun  Manna.  Vill : Khandalia.  P.O. : Kalatalahat.  Via : Falta.  Dist : South 24Parganas.  PIN : 743504.

কবিতা ।। প্রলম্বিত উৎসুক ।। রবীন বসু

ছবি
প্রলম্বিত উৎসুক রবীন বসু  বাগানে খড়ের গাদার পাশে পুঁইলতা উঠেছে বেড়ে চারপাশে আরও গাছ অনন্ত আগ্রহ নিয়ে চেয়ে আছে  সূর্যের দিকে। আমার বাগানবাড়ি এলোমেলো শুয়ে দু'একটা চড়ুই উড়ে এসে বসে,  বুলবুলি ধান খায় আমিও চা-বিস্কুট হাতে বসে আছি; স্থবির; ইন্দ্রজাল  ফুটে ওঠে সময়গ্রন্থির চলাচল ঘিরে মোহিত বিস্ময়… গ্রামদেশে আলো ঝরে, মাছের পাখনা নড়ে জলে বিস্তৃত গভীরতা নিয়ে সাঁতারের প্রকৌশল লেখা। আমার দৃষ্টিতে শুধু ভেসে ওঠে জায়মান দৃশ্যের সারি  আহা ! জীবন টলছে খুব অরক্ষিত সীমারেখা ধরে ভৌগলিক বিস্তার আছে, ইতিহাস ক্ষীণস্বরে কথা বলে রূপকথা মাঠ ভেঙে ঐ উঠে আসে প্রলম্বিত উৎসুক!   ====================      রবীন বসু  Rabindra nath Basu 189/9, Kasba Road, Kolkata - 700 042

স্মৃতিকথা ।। কবিতার প্রথমযুগের দিনগুলি ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
কবিতার প্রথমযুগের দিনগুলি   সুবীর ঘোষ                               বাঙালি শিশুরা কবিতার মধ্য দিয়েই বেড়ে ওঠে । মা মাসি বড় দিদিদের কোলে কোলেই তারা শুনে ফেলে অনেক কবিতা অনেক ছড়া । আমিও হয়তো শুনেছিলাম ---" চাঁদের বুড়ি চরকা চালায় / লঙ্কা দিয়ে ভাত মেখে খায়" বা   "চাঁদের কপালে চাঁদ টি দিয়ে যায়" -----জাতীয় কোনো ছড়া । তবে তা আমার স্মৃতিতে থাকার কথা নয় । আমি সজ্ঞানে প্রথম কোন্ কবিতাটি পড়েছিলাম তা আজ আর নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই । হাতেখড়ির আগেই আমি পড়তে লিখতে শিখে গেছিলাম । স্কুলে না গেলেও আমার নিজস্ব বইয়ের বাক্স ছিল । আমার বড়দাদা আমাকে খেপিয়ে আমার সেই টিনের বাক্সকে বলত --প্যাঁটরা । তখন সোভিয়েত দেশ থেকে অনেক সুচিত্রিত বই আসত । আমারও কয়েকটা পাতলা চওড়া বই ছিল । একটা ছিল এক পোষা কুকুরের গল্প । কুকুরটার নাম ছিল –বিসকা । এরকম ভাবেই এটা সেটা পড়তে পড়তে আমি পড়ে ফেলি কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কবিতা ---"মৌমাছি , মৌমাছি , / কোথা যাও নাচি নাচি / দাঁড়াও না একবার ভাই" । প্রথম রবীন্দ্র-কবিতা পড়ি –" অঞ্জনা নদীতীরে চন্দনী গাঁয়ে" । সেটা অবশ্য প্র

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪