পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৪, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

ছবি
সম্পাদকীয় সবাইকে উৎসবমুখর প্রীতি, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। মুদ্রিত নবপ্রভাতের গৌরবময় পঁচিশ বছর উদযাপন  অনুষ্ঠান, স্মারক যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ এবং দুর্গোৎসব এর কারণে এই সংখ্যাটি প্রকাশে কয়েকদিন বিলম্ব হল। আগামী মাস থেকে যথারীতি বাংলা ১লা তারিখে প্রকাশ পাবে এই ব্লগ। আপনারা নবপ্রভাতের সঙ্গে থাকুন। আমরা আছি।       আবারও সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে শেষ করছি। উৎসবের আলোয় সবাই বর্ণময় থাকুন, খুশীতে থাকুন, ভালো থাকুন।                       নিরাশাহরণ নস্কর                        ৫ই কার্তিক ১৪২৫ সূচিপত্র প্রবন্ধ/মুক্তগদ্যঃ রণেশ রায়    প্রণব কুমার চক্রবর্তী     সবর্না  চট্টোপাধ্যায়   আশিস চৌধুরী  অমৃতা বিশ্বাস সরকার      রানা চ্যাটার্জি    দেব শঙ্কর দাস গল্পগুচ্ছঃ  পারিজাত  ব্যানার্জী      শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়   স্বরূপা রায় ...

রণেশ রায়ের প্রবন্ধ

আজের এ ভারত আজ একই সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করা এক বন্ধুর স্মরণ সভা l  এসেছে ধীমান l এসেছে সূত্রধর l সঙ্গে সুকন্যা। ইন্দ্র পতন ঘটে চলেছে। রোজই এক একটা নক্ষত্র খসে পড়ছে আকাশ থেকে আর তার স্মৃতিচারণে সভা। বেঁচে থাকা নেতাদের সবারই বয়স সত্তরের বেশি। তাই এক এক করে ডাক আসে। নেতা  নেত্রীদের প্রয়াণে এক একটা বর্ণাঢ্য স্মৃতি সভা। বক্তৃতার ফোয়ারা। ধীমানদের ডাক আসে সভায় অংশ গ্রহণ করার জন্য। শুধু স্মরণসভা নয় সংবর্ধনা সভারও শেষ নেই। কেউ কবি কেউ অধ্যাপক কেউ পন্ডিত। তবে সবাই নক্ষত্র জগতের লোক। নক্ষত্রের মেলা। এই সভাগুলোতে অংশগ্রহণ করা আজ যেন অভ্যেস হয়ে গেছে । এরই মধ্যে থেকে ইচ্ছের পাহাড়ের শিখরটা মাথা তুলে দাঁড়ায় । বার বার উঁকি মারে। হয়তো একদিন ধীমান সূত্রধরের স্মরণ সভা হবে । তাদের অতীত গৌরবান্বিত হয়ে উঠবে বক্তৃতার জৌলুসে। ধীমান ভাবে। তার অস্বস্তিটা বেড়ে ওঠে । বুকের ভেতরটা ধড়পড় করতে থাকে। মঞ্চে মাইক অনুরোধ জানায় ধীমান যেন মঞ্চে যায় । ধীমান ওঠার চেষ্টা করে । পারে না । পা জরিয়ে যায়। সে খবর পাঠায় তার শরীর খারাপ সে যেতে পারবে না । পাশে সূত্রধরের কাঁধে ভর করে বসে সে এলিয়ে পরে। মঞ্চে বক্তৃতা...

প্রণব কুমার চক্রবর্তীর নিবন্ধ

ছবি
 কাজী নজরুল ইসলাম : এক অদ্ভুত অর্ধবিকশিত চরিত্র                                   অাজ যে মানুষটাকে নিয়ে এই অালোচনাটা করবো বলে মনস্থ করেছি তিনি যদিও অামাদের কছে বিদ্রোহী কবি বলে পরিচত  তথাপি বলতে দ্বিধা নেই  যে তিনি প্রকৃত পক্ষে বাস্কব এবং অবাস্তবের দ্বন্দে চাদরে মোড়া একটি অদ্ভুত অর্ধবিকশিত চরিত্র ! তাঁকে অাপাত দৃষ্টিতে বোঝা এবং উপলব্ধি করা যতটা সহজ বলে মনে হয় , অাসলে তা নয় ৷ তাঁকে তাঁর মানসিক এবং চারিত্রিক পরিকাঠামো সঙ্গে কর্ম এবং জীবন দর্শনের মিল খোঁজা , উপলব্ধি করা নি:সন্দেহে কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ ৷কারন শুরুতেই বলেছি - কাজী নজরুল ইসলাম হলেন একটি অর্ধবিকশিত এবং অর্ধপ্রস্ফূটিত চরিত্র ও ওর ব্যক্তিত্ব ৷     তাঁর জীবদ্দশা সাতাত্তর  বছরের কিছু বেশি ৷ ১৮৯৯ সালের ২৪শে মে বর্তমান পূর্ব বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলাম জন্ম গ্রহন করেন ৷ পিতা - কাজী ফকির অাহমেদ এবং মাতা জাহিদা খাতুন ৷ নজরুল ছিলেন চুরলিয়ার কাজী পরিবারের চার ভাই - বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ৷ ...

সবর্না চট্টোপাধ্যায়ের মুক্তগদ্য

ছবি
ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রতিবার এমন কেন হয় ? সন্ধে কড়া নাড়ল পশ্চিম দোরে । তখন বাড়ি ফিরছি । শ্রান্ত বিকেল । ঘুম চোখ ছেড়ে যাচ্ছে শান্ত হাওয়ার অবিচল বহমানতায় । ফেলে যাচ্ছি আমার ছোটবেলার ঘর । টিকিট কাউন্টারে ষাটোর্দ্ধ বাবা লাইনে দাঁড়িয়ে ঘড়ি দেখছেন । আর আমি ক্রমশ আটকে পড়ছি গঙ্গায় । এই সেই ঘাট যেখানে কত বিকেল হেঁটে গেছে , হাত ধরে । কত অভিমান দেখেছে সূর্যাস্ত । কতকত দিন আড্ডার ঝড়ে গাছগুলো উথালপাতাল । সন্ধে হলে পাখিরাও ঘরে ফেরে আমাদের মতো । আমি দেখেছিলাম , দূর থেকে কালোকালো ঝাঁক কিচকিচ করতে করতে মিশে গেল ঘন পাতাদের মাঝে । কত বাসা লুকানো আছে ঐ সবুজের অন্তরালে । আমরা চেষ্টা করিনা দেখার । শুধু কেড়ে নিতে পারি ওদের গোছানো সংসার । জেটিতে তখন বেশ ভিড় । নৌকাগুলো জ্বলে উঠল প্রদীপের মতো । মনে পড়ে গেল , হরিদ্বারের সন্ধ্যা আরতির কথা । তখন কি বা বয়স ! তবু মনে আছে অসংখ্য প্রদীপ ভেসে যাচ্ছে নিজের মতো করে । মায়ের হাতে আমার হাত । দূর থেকে ভেসে আসছে দুটো নৌকো । হয়ত আজ সারারাত আরও আরও দূরে গঙ্গার বুকে কাটবে । ডুব দেবে কত শুশুক । মাঝিদের রেডিওতে গাইবেন ভূপেন হাজারিকা । হাও...