জাগৃতি
সেই থেকে সাঁকোর এপারে
পেরিয়ে গেল ওরা সব
তুলোর
পাঁচ আঙুল আমার তালুতে
খেলছে
হাওয়ায়
হাত চালিয়ে ধরা আমার
এই পাঁচ আঙুল
ভাবনা
ছিল শিস দিয়ে উড়ে
যাবে এখন গাইছে
ভরদুপুরে
এই তিরপিনির মাঠে সামনে দুই
পেছনে দুই
চেনা ছায়া
একটু আগে সিঁদুরে-ঘোড়ার
মাথায় আরোহীর মাথায়
মেরেছি
গাঁট্টা
একারণে
আঙুল ফেটেছে কলাগাছ হয়নি
বরং অর্ধ-ক্রোশ ঠা-ঠা রোদে গা
ঘামাতে হয়েছে
ছায়ামূর্তিদের
চোখ মুছিয়ে মাঠ ছেড়ে
বাঁধা সড়কে উঠি
যত যাওয়া যায় দুপাশে
অফুরন্ত কাশ সাদা ও
সবুজ
ফুটে উঠল সড়ক লাগোয়া
সাঁকো ডানদিকে
বামদিকে
গ্রাম কালো কালো এঁটো
পাতা
অকস্মাৎ
শিস দিয়ে তুলোর পাঁচ
আঙুল সাঁকোর ওপারে
ওপারে
দাড়িবৃক্ষ তলায় ঢিল-ঝোলানো
বাপ
একে একে ছায়ারাও সব
সাঁকোর
এপারে মাদল শুনতে শুনতে
সেই যে আমার অনিবার্য
জাগৃতি শুরু হল
=============================
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন