পোস্টগুলি

অণুগল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

অণুগল্প ।। যমুনা বাড়ি ফেরেনি... ।। চন্দন দাশগুপ্ত

ছবি
যমুনা বাড়ি ফেরেনি... চন্দন দাশগুপ্ত         প্রায় রোজই সব কাজ শেষ করে বেরুতে দেরি হয়ে যায়। আর তারপর দুটো কুড়ির ক্যানিং লোকাল ধরবার জন্য যমুনাকে রীতিমতো ছুটতে হয় প্রায় মাইলখানেক। পরের ট্রেন আসবে পাক্কা আড়াই ঘণ্টা পর, তাহলে ঘরে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে।        রোজ ভোর পাঁচটায় যমুনা ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ছটা বাড়ির কাজ সেরে ওকে ফিরতে হয়। ওকে ফেলে রেখে বরটা সেই কবে চলে গেছে। তারপর একে একে কেটে গেছে বাইশটা বছর। পেট চালানোর জন্য যমুনাকে বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয়েছে এই কঠিন  'কাজের লোকে'র জীবন।         আজ বোধহয় বিশ্বকর্মা পুজো। ভর দুপুরেও আকাশে উড়ছে কতো রঙবেরঙের ঘুড়ি। কোথায় যেন মাইকে গান হচ্ছে... "এই পথ যদি না শেষ হয়...।" মনটা হুহু করে ওঠে যমুনার। বছর তিনেক আগের ঘটনা। ওর একমাত্র ছেলে  চিন্টুর তখন উনিশ বছর বয়েস। ঘুড়ি ওড়াতে বড্ড ভালবাসতো ছেলেটা। ওর ঘুড়িটা আটকে গিয়েছিল ল্যাম্পপোস্টে। আর সেটা খুলতে গিয়েই শক খেয়ে মারা যায় সে।        ভাবতে ভাবতেই স্টেশনের ওভারব্রিজে উঠছিল যমুনা। কিছুক্ষণ আগেই বোধহয় এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে, তাই ওভারব্রিজের সিঁড়িগুলো এখনও ভেজা। হঠাৎ যমুনার চোখে পড়ল দু

অণুগল্প ।। বিষাদদূরীকরণ ।। লিপিকর

ছবি
বিষাদদূরীকরণ লিপিকর  ছেলেটি পরীক্ষায় জানিয়াছিল চকোলেট্‌ মনোবেদনা অপনোদক। জ্ঞানলাভের অনতিপরেই তাহার দুঃখবিলাস দ্রুতবর্ধিত হয় ও নিকটবর্তী মনিহারী দোকানে চকোলেট বার বিক্রয় বহুগুণ বাড়ে। তবে ছেলেটি স্বাস্থ্যসচেতন, জিম্ন্যাশিআম যাইবার নিয়মিত দাবী করে, তাই দেশে চকো-দুর্ভিক্ষ হয় নাই। মেয়েটি তাহার চকো-প্রীতি-র এই ছলনা-টুকু অবহিত ছিল এবং মাঝেমধ্যেই পরিহাস করিত।  অধুনা ছেলেটির চকোলেটগুলি দ্রুত নি:শেষিত হইতেছে। সাপ্তাহিক বাজারে সে গণিয়া ক্রয় করে, কিন্তু ২-৩ দিবসেই তাহা নিঃশেষ হয়, অথচ সে পূর্বে দৈনিক যে'কটি খাইত, এখনো সেইকটিই খাইয়া থাকে। ১-২ সপ্তাহ সে গুরুত্ব দেয় নাই, অতঃপর সে দস্তুরমত নিজের চকোলেট্‌ খাইবার সময় সেলফোনে নোট্ করিল, তথাপি মঙ্গলবারের মধ্যে ভান্ডার নি:শেষিত হইয়া গেল। পরের সপ্তাহে পাড়ার দোকানির সহিত তাহার সামান্য বাক্যবিনিময় ঘটিল, কারণ সে চকোলেট ২-৩ বার গণিল, এবং বহুদিনের পুরাতন বিক্রেতা তাহার চরিত্র বা গাণিতিক ক্ষমতার উপর এই আচম্বিৎ সন্দেহ সহ্য করিবে কেন? ফলত: প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের চকোলেট্‌ গ্রহণের নিন্দনীয়তা বিষয়ে জনসমক্ষে জ্ঞানলাভ করিয়া ছেলেটি বহু দশকের পুরাতন মনিহারী দোকান-এর সংশ্

অণুগল্প ।। বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল

ছবি
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা! মনোরঞ্জন ঘোষাল বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা। কথাটা মনে ছিল না। তাই হল ভুল!      কদিন আগে আমার গোটা তিন মুরগি একটা মোরগকে নিয়ে মহা আনন্দে বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ওদের আনন্দ দেখে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরে বসে দু কলম লিখছি, হঠাৎ দেখি ওর কজন চেঁচাচ্ছে! সে চেঁচানোর ধরন আমি জানি। বুঝলাম কিছুতে তাড়া না হয় পাকড়াও করেছে।      কুকুর খাটাস গোসাপ এ সব শত্রুরা যে  নোলা পেতে বসে আছে তা আন্দাজ করিনি।  দৌড়ে ওদের কাছে গিয়ে দেখি, আমার হলদি নেই। বড় সাধের মুরগি, সবে দুটো ডিম পেড়েছে। আশেপাশে একটু খুঁজতে দেখি পালকের ছড়াছড়ি। বুঝলাম সেখান থেকেই পাকড়াও করেছে। আর যে পথে তাকে হরণ করে নিয়ে গেছে, সে সীতার মত কিছুটা ছাড়া ছাড়া একটি করে পালক ছড়িয়ে  নির্দেশনা দিয়ে গেছে।       আমি এগিয়ে চললাম সেই পথে। সোজা গিয়ে ঢুকে পড়লাম জঙ্গলে। এদিক ওদিক খুঁজতে শুনতে পেলাম একটা ঝটপট আওয়াজ। দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি, হলদিকে ঘায়েল করে সে ব্যাটা পালিয়েছে।      তাকে ধরে আনলাম। তখন সে বেশ চড়কো আছে, ডানার পাশে শুধু একটা জায়গাতে দাঁত বসিয়েছে। বলি থাক তাহলে, আর ভাগিয়ে লাভ নেই, একটু সেবা করলে বেঁচে যাবে। তাই ওষুধ লাগিয়ে খাইয়ে ব‍্যাণ্ডেজ বে

অণুগল্প ।। সময় অঞ্চল ।। লিপিকর

ছবি
সময় অঞ্চল লিপিকর আইটি সংস্থার বড়বাবুর শুক্রবার দ্বিপ্রহরে অকস্মাৎ কার্য-বিশ্রাম-বিনোদনের সঠিক সংমিশ্রণ লইয়া ভাবনা আসিল। ভাবিয়া করিও কাজ - অর্থাৎ চিন্তাটি মস্তিষ্কে প্রসূত হইবামাত্র সহজাত সুললিত ভাষায় তাহা লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি তাহা তাঁহার ঘনিষ্ঠ উচ্চপদাধিকারীদের পাঠাইলেন, সহিত উপদেশ - তাঁহারা যেন নিজনিজ অধঃস্তনদের হাঁফ ছাড়িবার অবকাশ দেন। জীবনে সুসমঞ্জস ভারসাম্য থাকিলে কর্মীগণ সজাগ, সক্রিয়, সংস্থানিষ্ঠ ও সফল হইবে, তাহাতে তাঁদেরই লাভ।       ঘটনাচক্রে, সেসময়ে বড়বাবু অ্যামেরিকাতে ছিলেন। অধিকাংশ প্রাপকের, বিশেষতঃ যারা তখন ভারতে ছিলেন, তখন মধ্যরাত, পাশ্চাত্যমতে তারিখ পালটাইয়াছে। মুঠোফোনে কর্তার বার্তা পাইয়া দ্রুতগতিতে তাঁহারা নিজ অধঃস্তনদের উদ্দেশ্যে সেই ইমেল ফরওয়ার্ড করিলেন। কেহ তাহাতে কেরামতি প্রদর্শনে আন্তর্জালের প্রসঙ্গস্পৃষ্ট প্রবন্ধের লিঙ্ক যোগ করিলেন, কেহ উপক্রমণিকায় কহিলেন, "এই যে, এটাই বলছিলুম …" কেহ 'ভ্যালু-অ্যাড' করিবার অপর কোনও পন্থা খুঁজিয়া না পাইয়া ফরোয়ার্ডকৃত বার্তাটিকে "উচ্চ-মনোযোগ-দাবী-করে" আর "গোপনীয়" দাগাইয়া ক্ষান্ত দিলেন।      বৈদ্যুতিন

অণুগল্প ।। নোকরানি ।। লিপিকর

ছবি
নোকরানি     গৃহ-পরিচারিকা আসিতে প্রচন্ড দেরী করিয়াছে| কৃষ্ণাদেবী ক্ষিপ্তা হইয়াই ছিলেন| সে আসিতেই ভৎসনা করিতে লাগিলেন -     "এত দেরীতে এসেছ কি মুখ দ্যাখাতে নাকি অ্যাঁ? রোজরোজ লক্ষ্য করছি তুমি দেরী করে আসছ| মাইনে কী জন্যে দেওয়া হয়, শুনি? খেটে উপার্জন করো, বুঝলে? ফাঁকি দিয়ে নয়| এরকম বেচাল আর বেশীদিন সহ্য করবো না| তোমার মত কাজের লোক অনেক পাওয়া যাবে|"    ঝি অপমানে কাঁদিয়া ফেলিল| পরদিন হইতে সে আর আসিল না|   কৃষ্ণাদেবী একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন| সেদিন তিনি সামান্য বিলম্বে ঢুকিতেই এক আপিস লোকের সম্মুখে তাঁহার মনিব তাঁহার উদ্দেশ্যে চীৎকার করিতে লাগিলেন -     "এত দেরীতে এসেছেন কি মুখ দ্যাখাতে? রোজই দেখি আপনি দেরী করে আসেন| মাইনে তো দিব্যি পুরোই নেন| খেটে খান, বুঝলেন, ফাঁকি দিয়ে নয়| এরকম বেচাল আর বেশীদিন সহ্য করবো না| পয়সা ফেললে আপনার মত বাংলায় এম এ রাস্তায় রাস্তায় অনেক পাওয়া যাবে|" কৃষ্ণাদেবী মস্তক অবনত করিয়া উদ্গমোন্মুখ ক্রন্দনকে গলাধঃকরণ করিলেন| পরদিনও তাঁহাকে সেই আপিসে দেখা গেল|

অণুগল্প ।। মন্দিরার উপহার ।। অধীর কুমার রায়

ছবি
মন্দিরার উপহার অধীর কুমার রায়। কাল মন্দিরার বিয়ে হয়ে গেল।  কানে ভেসে আসছে সানাইয়ের সুর। কোলাহল, আনন্দ, হই হুল্লোর এখনও কান বধির হয়ে আছে। বিয়েতে এসেছিল নির্ঝর। দু চোখ ভরে গেল মন্দিরার বিয়ে দেখে। এমন করে যে মন্দিরার বিয়ে হবে সে কোনদিন ভাবেনি। আনন্দের ঢেউয়ের মাঝে  ঝড়ের মতো হঠাৎ মন্দিরা একটি উপহার দিয়ে গেল নির্ঝরের হাতে। উপহারটি খুলতে পারেনি নির্ঝর, দেখতে পারেনি মোড়ক খুলে। আর দেখেই কি লাভ? যা হবার তা তো হয়েই গেল। উপহারটা রেখে দিল লোহার সিন্ধুকে, মন মরা নির্ঝর। অনেকদিন কেটে গেল। হয়তো বছর পাঁচেক হবে। নির্ঝর একটা কাজে বেরিয়ে ছিল। বি বি গাঙ্গুলী রোডে গির্জার মোড়ে মন্দিরাকে দেখতে পেল। মন্দিরা হাসছে। ওর বাঁশির  মত নাক, সাদা ধবধবে দাঁত, নির্ঝরকে ভ্রুকুটি করতে লাগলো। পরাজিত সৈনিক নির্ঝর কাছে যেতে পারল না। দূরে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ দেখলো, তারপর চলে এলো বাড়িতে। সিন্ধুক থেকে খুলে বার করলো মন্দিরার দেওয়া উপহার। শরতের আকাশে তখন  ভেসে যায় সাদা মেঘের ভেলা, দেখে মন কেমন করে।রাংতার মোড়কে ঢাকা কাগজের খাপ খুলে নির্ঝর দেখল একটি কাগজে লেখা রয়েছে -- "তোমাকে দুঃখ দিয়ে গেলাম"।  নির্ঝ

অণুগল্প ।। দেবাংশু কি তাহলে...? ।। আশিস ভট্টাচার্য্য

ছবি
দেবাংশু কি তাহলে...? আশিস ভট্টাচার্য্য ২০০২, জুন মাসের শেষের দিক, ঘরে ঢুকে এসিটা চালিয়েছিলেন অধ্যাপিকা ডঃ মনীষা নন্দী। প্রতিবারের মত এবারেও দেড় মাস গোয়া থেকে সামার ট্রিপ সেরে ফেললেন বছর চল্লিশের মনীষা। স্বামী দেবাংশু আর্মি অফিসার। ফুলশয্যার রাতে দুজনে ঠিক করেন আর্মির গুরুদায়িত্বে সারা বছর সংসার থেকে বাইরে থাকবেন দেবাংশু ।   মনীষা ব্যস্ত থাকবেন অধ্যাপনা, ছাত্রীদের গবেষণায় সাহায্য করা , বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়া, আর বই লেখায়। ভূত পেত্নীর ওপর আট-দশটা গল্পের বই লিখেছেন তিনি। গরমের ছুটি সাথে দিনপনেরো উইদাউট পে ছুটি নিয়ে প্রতি বসর গোয়ায় যাবেন বেড়াতে। গত বছর পনের ধরে তাই চলছে। ওই দেড়মাস দেবাংশু আর মনীষা খুব উপভোগ করেন সমুদ্র , ব্লু ফিল্ম, বিদেশি দামি মদ, আর দেবাংশুর বাইকে চেপে গোয়ায় চড়ে বেড়ানো । সারাবছরের যাবতীয় তৃষ্ণা মিটিয়ে নেন মনীষা। বছরভর যত মান ,অভিমান, অভিযোগ, আবদার আদরের তৃষ্ণা সব পূরণ করেন দেবাংশু। কাজের মেয়ে মুন্নিকে খবর দিতে হবে তিনি ফিরছেন। একটু চা করে খাচ্ছেন এমন সময় সদর দরজার কোনে একটা চিঠি লক্ষ্য করলেন। ফোর্ট উইলিয়ামে এক স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়েছে। কা

অণুগল্প ।। বিস্কুট ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
 বিস্কুট প্রতীক মিত্র   কুকুরগুলো ওর দিকে দৌড়ে এলেও লেজ নাড়ছিল। ওর সবটা জানার কথা নয়। ওর গড়ন কতকটা ওর মতন পোষাক-পরিহিত একজন এই রাস্তা দিয়ে গেলেই ওই কুকুরগুলোকে বিস্কুট দেয় বা বলা ভাল বিস্কুট দিত। রাস্তাটায় বড় বড় গাড়ি বেশি বেশি করে চলে বলে কুকুরগুলোকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে রাস্তার ধারে নিয়ে গিয়ে লোকটা বিস্কুট খাওয়াতো। যে দোকান থেক ও বিস্কুট কিনলো সেই দোকানদারের অত জানার কথা নয়। কুকুরগুলো যার কথা ভেবে দৌড়ে উৎসাহ এবং সোহাগে লেজ নাড়ছিল তার কাছে সব সময় বিস্কুট থাকতো। স্বভাবে সেই লোকটার একদম ভিন্ন বিপরীত চরিত্রের ও। ওর এত সব জানার কথা নয়।সেই লোকটার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল দ্রুত বাড়িতে পারিবারিক অশান্তির কারণে।তাছাড়া ওর নিজের শারীরিক অসুস্থতাতো তো ছিলই। পায়ের একটা ব্যথা ওকে ভোগাচ্ছিলো অনেকদিন থেকেই।সে কারণে ও একটু খুঁড়িয়ে হাঁটতো শেষ দিকে যেমন আজকে ও হাঁটছিল।ওর হাঁটাটা অবশ্য আলসেমিবশত ছিল।তারপর বাড়ির সমস্যা না মেটায় যে এলাকায় কাজে যেত সেই এলাকারই কোনো সস্তা শুঁড়িখানায় নেতাদের ষন্ডা-গুন্ডাদের হাতে ও স্বেচ্ছায় মার খায়। এই সবই কুকুরগুলোর জানা, দেখা। ওরা চিৎকার করেছিল।প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল। ফায়দ

দুটি অণুগল্প ।। রথীন পার্থ মণ্ডল

ছবি
দুটি  অণুগল্প রথীন পার্থ মণ্ডল  ১.  অপেক্ষা দীপাবলির আলোয় চারিদিক আলোকিত। মা শ্যামার আরাধনায় মেতেছে সমস্ত সংসার। তবুও আঁধার আজও ঘোচেনি অরিজিৎবাবুর ঘরে। কোনো এক দীপাবলির সময়ে দীপাবলি হারিয়ে গেছে তাঁর জীবন থেকে। আজও তার ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি।     ২.  আজও তার খোঁজে মুন্নি... মুন্নি... বলে চেঁচিয়ে মুন্নির খোঁজে ছুটে চলেছে মুন্নির মা। বছর দুয়েক আগে কোনো এক দীপাবলির রাতে মুন্নিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল হাঙরের দল। সেই থেকে মুন্নির খোঁজে ছুটেই চলেছে মুন্নির মা।   -------------------- রথীন পার্থ মণ্ডল শশীভূষণ বোস রোড রাধানগর পাড়া পূর্ব বর্ধমান ৭১৩১০১

অণূগল্প ।। বিসর্জন ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

ছবি
  বিসর্জন প্রবোধ কুমার মৃধা কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর ঠিক পরে পরে রাধানগর গ্রামের বারোয়ারি  শ্যামা পুজোর আয়োজনে পুজো-কমিটির সদস্য যুবকবৃন্দ সক্রিয় হয়ে উঠল। পুজোটা দূর-দূরান্তের গ্ৰামে-গঞ্জে এমনভাবে প্রচার পেয়েছে, যার কারণে‌ অনুষ্ঠান সূচির‌ মধ্যে বৈচিত্র ঘটাতে না পারলে গ্ৰামের এবং পুজোর সুনাম নষ্ট হ‌ওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। অত‌এব সে চিন্তাটা সচেতনভাবে মাথায় রাখতে হয়। শ্যামা পুজোটাই এ গ্ৰামের সর্বজনীন বড়ো উৎসব।কম হোক, বেশি হোক, যার যেমন সামর্থ্য , সব বাড়ি থেকে তেমন সাহায্য দিয়ে  পুজোটাকে বছরের পর বছর ধরে বেশ আকর্ষনীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলেছে। নিয়ম রক্ষার্থে দুর্গাপুজো একটা অনুষ্ঠিত হয় বটে, তাতে তেমন আড়ম্বর থাকে না। গ্ৰামের প্রতিটি বাড়ির ঝি-জামাই, আত্মীয়-স্বজন সারা বছর ধরে মুকিয়ে থাকে শ্যামা পুজো উপলক্ষ্যে এসে ক'টা দিন আনন্দ-আহ্লাদ  উপভোগ করতে।          শ্যামা পুজো যত কাছে আসছে, গোপালের মায়ের কান্না তত‌ই অন্তর্ভেদী হয়ে উঠছে।সবাই আসবে। প্রতিমা আর আসবে না। আর কোনো দিন‌ই আসবে না। দুর্গা পুজোর সময় প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেছে।    প্রতিমা গোপালের বড় বোন। চার ভাইবোনের মধ্যে বড়

দুটি অণুগল্প ।। মানস চক্রবর্তী

ছবি
  মানস চক্রবর্তীর দুটি অণুগল্প   প্রদীপের নীচে    ---------------- বেলা প্রায় পৌনে বারোটা। বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল উত্থানপদ গোস্বামী কর্তব্যরত । এক যুবতী পড়িমড়ি করে তাঁর দিকে ছুটে আসছে। যুবতীটি যন্ত্রণায় ছটফট করছে। সম্ভবত বিষ খেয়েছে। উত্থানবাবুর কাছে এসে ঐ যুবতীটি জানায় 'আমার প্রেমিক দীর্ঘদিন ধরে বারংবার আমার সঙ্গে সহবাস করেছে। কিন্তু এখন সে তার গার্জেনদের পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে করবে মনস্থির করেছে। আমি প্রেগনেন্ট । মরা ছাড়া আমার কোনও পথ নেই। কথাগুলো বলতে বলতে ক্রমশ সে ঝিমিয়ে পড়ল। এক মুহূর্ত দেরি না করে উত্থানপদবাবু তাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ার ফলে সে প্রাণে বেঁচে যায়। জ্ঞান ফিরলেই পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। ডিউটি শেষে উত্থানবাবু হাসপাতালে মেয়েটিকে দেখতে যান। তার বাড়ির লোকজনদেরকেও খবর দেওয়া হয়েছে। এই তৎপরতা, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার জন্য সহকর্মী থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের কাছে উত্থানবাবু খুবই প্রশংসিত হন । আগামী ১লা সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবসে পুলিশমন্ত্রী তাঁকে পুরস্কৃত করবে

অণুগল্প ।। নামকরণ ।। পীযূষ কান্তি সরকার

ছবি
                   ‌নামকরণ                    পীযূষ কান্তি সরকার      ভদ্রলোকের নাম তন্ময়। তাঁর মেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। পেয়েছে আমার মেয়ে রুচিরাও। তন্ময় জানালেন তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকেই আসা-যাওয়া করবে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে চলে যাবে। বললাম, "আপনার কন্যার নাম কি ?" --- ত্রপা। --- ত্রপা ? সে কি ! --- আমার নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছি। একদম আল্ট্রা-মডার্ন। --- নামের মানেটা জানেন তো !  লজ্জা ! মেয়ের নাম ত্রপা, রিক্তা -- এসব বোধহয় না-রাখাই ভালো। --- আপনার মেয়ের নামের ভালো মানে আছে নিশ্চয়ই !  --- অবশ্যই। রুচিরা -- মানে 'মনোরমা'। --- কিন্তু আপনার নামের সঙ্গে তো মিল নেই ! --- না। তবে ওর মায়ের নামের আদ্যক্ষর ধরেই রাখা। --- আপনার মতে আমার মেয়ের নাম তিস্তা হলে ভালো হত ? --- আপনার ছেলেমেয়ের নাম তো আপনিই রাখবেন তবে নামের একটা সুন্দর মানে তো থাকা উচিত।    ================                 পীযূষ কান্তি সরকার ১/১, কুচিল ঘোষাল লেন কদমতলা হাওড়া-১ পশ্চিমবঙ্গ ভারত।

অণুগল্প ।। জর্দাপান ।। দীনেশ সরকার

ছবি
জর্দাপান   দীনেশ সরকার                           সাইকেল নিয়ে বাড়ির গেটে ঢোকার মুখে সুরেশবাবুর মনে পড়লো, 'এই যাঃ, সরমার জন্য তো জর্দা আনা হয় নি। বাড়িতে ঢুকলে আজ আর রক্ষে নেই! নির্ঘাৎ কুরুক্ষেত্র!' মনে মনে বললেন, 'হারামজাদা, দশটা না পাঁচটা না একটা মাত্র বউ, তার একটাই নেশা ---- জর্দাপান।   কালকেই বলেছে জর্দা ফুরিয়ে গেছে। আর তুই সেই জর্দা আনতে ভুলে গেলি! তোর বউয়ের কাছে ঝাড় খাওয়াই ভালো।'                    একবার ভাবলেন, 'সাইকেলটা ঘুরিয়ে আবার বাজারে যাই।' পরক্ষণে ভাবলেন, 'এই সত্তর বছর বয়সে কাঠফাটা   রোদ্দুরে তিন তিন ছয় কিলোমিটার সাইকেল চালানো কি মুখের কথা। বলবো, ভুলে গেছি, কাল এনে দেবো। ঝাড় যদি একটু খেতে হয় তো খাব। ভুল তো আমারই। 'দুগ্‌গা দুগ্‌গা করে   সুরেশবাবু বাড়ির ভিতরে ঢুকলেন।                  ব্যাগপত্র নামিয়ে বারান্দায় রাখলেন। কি ব্যাপার, সরমা তো রান্নাঘর থেকে এলো না। তবে কি সরমা বাথরুমে। নাঃ, জলের কোনো শব্দ নেই। তবে কোথায়?   এমন সময় শোবার ঘর থেকে ভেসে এলো, 'আঃ, উঃ, ওরে বা

অণুগল্প ।। অবিশ্বাস ।। পিন্টু কর্মকার

ছবি
অবিশ্বাস পিন্টু কর্মকার পৃথিবীতে কখনও সত্যি বিশ্বস্ত ও ভালোবাসায় আলোকিত মানুষই কারও কারও অনেক অবহেলা আর তুচ্ছ -তাচ্ছিল্যের শিকার!যতই বলা হউক না কেন বাইরেটা নয়, ভেতরটাই মানুষের আসল পরিচয়, কিন্তু বাস্তব অন্যরকম… তেলির মা হিনকে ছাই ফেলা ছেলে না ভাবলেও সোনা গুরুত্ব দিয়ে দেখতো না ;তেলিও হিনের ওর বাড়িতে যাওয়া খুব একটা সরল কোণে মনের খাতায় নিতো না; কারণ তার অর্থনৈতিক গ্রাফরেখা অনেকটা আনুভূমিক… হিন যে তেলিকে পছন্দ করতো তা বুঝলেও ও মনে কখনও অনুভূতির আগুন জ্বালায়নি!তেলির মা দাঁত বের করা টক হাসি দিয়ে বলতো, "তোক পটাবার চায়! খবরদার ওরকম বেন্নার ঘরে তোর বিয়া দিবো না; অয় সরকারি চাকরি পাবে!টাকা ছাড়া এখন সরকারি চাকরি হয়!" তেলির বাবা না থাকলেও ওদের সম্পত্তির অঙ্ক অনেকটা বলেই অহংকারের জায়গাটা পাহাড়ের মতোই…  ভারতীয় পারমাণবিক বিভাগের চাকরির ফাইনাল মেরিট লিস্টে নাম ওঠার পর, হিন দুই তিনবার তেলির বাড়িতে যায়…কিন্ত তেলির মা ও তেলির একশো শতাংশ সীল মারা বিশ্বাস যে হিনের কোনো সরকারি হয়নি!ওদের মনে শেকড় ছড়ানো একটাই ধারণা ছিল যে তেলিকে পাওয়ার জন্য হিনের যত কাগজে গল্প… না, হিনের একমুখী চেষ্টায় তেলি ওর জীবন -ব

অণুগল্প ।। শঙ্কুর প্রশ্ন ।। অমিত কুমার রায়

ছবি
শঙ্কুর প্রশ্ন  অমিত কুমার রায় শঙ্কু ঘুম থেকে উঠে সবেমাত্র টয়লেটে ঢুকেছে ঘড়িতে তখন ভোর ছটা। সে শব্দ শুনতে পেল ধপাস দুম ধপাধপ ধপাধপ ঘচাং খচাং। এ হলো ত্রেতাযুগের রামভক্তদের টিনের চালে, ডালে মাচায় লাফালাফির কান্ডকলাপের ঝম্প! তার কিছুক্ষণ পরেই শঙ্কুর মায়ের চিৎকারের শব্দ---   হ‍্যাই হুই যা নিয়ে নিল রে!  ততক্ষণে ছাদ থেকে করবীগাছের ডাল ধরে ইলেকট্রিক কেবলে পা রেখে নখ দিয়ে কুচ করে কচি চালকুমড়ো পাঁচশ ওজনের কামড়ে ভাগাভাগি করে তিন জনের পেটে চালান হয়ে গেল! একশ কেজি ওজনের কর্তারা তুলতে আসেনি, এক বিশকেজির কিশোরকে দিয়ে কাজ সারল। ওরা দলে ভারি ছিল পঁচিশ জন ছোট বড়ো মিলে। এদিকে ভোর হলেই উঠোন  সংলগ্ন বাগানে পাখিরা আসে ছাতার ফিঙে বুলবুলি হাঁড়িচাঁচা শালিক কাঠবিড়ালি। ওদের জন্য হাতে গড়া রুটি কুচি কুচি করে ছড়িয়ে দেয় শঙ্কুর মা। আজ ওদের কেউ আসেনি, রাম ভক্তরাই যেন বিসকিট খাচ্ছেন পা ছড়িয়ে; এককাপ করে চা কিম্বা কফি হলে হাল্কা শীতে ভাল হয়!! শঙ্কু টয়লেট থেকে বেরিয়ে সবজির ঝুড়ি থেকে মাকে বলে কয়েকটি আলু খেতে দিল হাল্কা ছুঁড়ে দিয়ে।  গ্রীষ্মের দুপুরে শঙ্কুর  মা যখন দরজা বন্ধ করে বিশ্রাম নেয় কোনো না কোনো ফাঁকে ফাঁকি দিয়ে কত্

দুটি অণুগল্প ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল

ছবি
  দুটি অণুগল্প ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল   পাষাণ ভারী ----  রাজীব বাবুর সঙ্গে দেখা হলো ? ছন্দার গলায় চিন্তা আর অস্বস্তির কালো মেঘ । পতিতপাবন ব্যাগ হাতে নিয়ে  বলল , তোমার জন্য জারদৌষি কাজের লেহঙ্গা পেলাম না;  বলল -- কলকাতার শপিংমলে ছাড়া পাওয়া যাবে না  । উজ্জ্বল ফুসিয়া পিঙ্ক লেহঙ্গা বললাম-- তাও না। -----  আমি বলেছিলাম তো পাবে না । যখন ওগুলো আনব তখন কুন্দন হারও এক সঙ্গে নেব।  কিন্তু যে কথাটা বলেছিলাম আগে সেটার খবর কি বলো? -----  তা আমি কি ব্যাগ হাতে করে দাঁড়িয়ে থাকব? -----  সেটার কোনো উত্তর দিচ্ছ না, তাই ধরছি না। -----  বাহ -সত্যি পারো ! ধরো, বলছি । উফ্ এত ভারী যে বয়ে আনতে পারি  ?  ----- সংসারে যেটা ভারী সেটা নিয়ে আমি নাস্তানাবুদ খাচ্ছি ! আর উনি সামান্য এই ব্যাগটা নিয়ে ঘেমে উঠেছেন ? সত্যিই তুমি পুরুষ ! ----- তুলে দেখো না আমি মিথ্যে বলছি কিনা ?             ----- তোমার কথা শুনে ঘোড়ায় হাসবে। বাৎলা তো -    ----- কি বলতে চাও বলো তো ? ----- কাগজটা কি পকেট থেকে চলে যাচ্ছে ?            -----  হ্যাঁ ।  ওর জন্যই ভাবছি । তোমাকে বাজারে পাঠালাম । এক সপ্তাহ পরে মহালয়া । হুঁশ আছে ?  একটা ওয়া

অণুগল্প ।। অপসংস্কৃতি ।। তীর্থ মণ্ডল

ছবি
    অপসংস্কৃতি    তীর্থ মণ্ডল     চন্ডীমন্ডপে হাবল খুড়ো খুব চিৎকার চেঁচামেচি করছে দেখে পাড়ার সবাই ঐ দিকেই দৌড়াচ্ছে। কিন্তু সবার একটাই প্রশ্ন খুড়ো কেন চেঁচাচ্ছেন ? হাবল খুড়ো সহজে রাগেনা , একবার রেগে গেলে থামানো খুব মুশকিল। মালতী কাকিমা খুড়োর অর্ধাঙ্গিনী। খুড়োকে প্রশ্ন করল ," তুমি কেন চেঁচাচ্ছ ?" খুড়ো উত্তর দিল , " গ্রামে সব পাষন্ডর দল , বোধ বুদ্ধি নেই ধর্ম জ্ঞান নেই , কাল রাতে মন্দিরের ভেতর মদ গিলছিল। " ঐ আশুতোষ , ভৈরব , আর নন্দের তিন ছোঁড়ারা মিলে গত রাতে এই মন্দিরের ভেতর মদ গিলছিল , আমি রাত্রে খাবার পর পাইচারি করতে বেরিয়ে দেখলাম। রাত্রে কিছু বলিনি , সকালের অপেক্ষায় ছিলাম। " হাবল খুড়োর সাথে বঙ্কিম জ্যাঠামশাই ও বলতে শুরু করল ," আজকাল ধর্মের নামে শুধুই প্রহসন হচ্ছে , প্রহর কীর্তন শেষের দিন , ও কোন পুজো পার্বনের রাতে ডিজে বাজিয়ে অর্কেষ্ট্রার নামে মাতাল ড্যান্স , মেয়েদের অর্ধ নগ্ন শরীর দেখিয়ে নাচ - গান , এগুলো শ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪