পোস্টগুলি

১৪শ সংখ্যা # বৈশাখ ১৪২৬ এপ্রিল ২০১১৯ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

সম্পাদকীয় ও সূচিপত্রঃ চতুর্দশ সংখ্যা

ছবি
ব্লগ-নবপ্রভাত বৈশাখ ১৪২৬ এপ্রিল ২০১৯ "খোলা চোখে খোলা মনে" বিষয়ক চতুর্দশ সংখ্যা সম্পাদকীয় প্রকাশিত হল ব্লগ নবপ্রভাত "খোলা চোখে খোলা মনে" বিষয়ক চতুর্দশ সংখ্যা। আপনাদের মতামত পরামর্শ একান্ত কাম্য।  স্ক্রীনশর্ট নয়, নিজের লেখার লিংক শেয়ার করুন। লিংক- সূত্রে পাঠকগণ লেখা পড়ুন। প্রতি লেখার নিচে ফেসবুক কমেন্ট বক্স আছে, সেখানে মতামত বিনিময় চলুক। প্রতি মাসের সর্বোচ্চ পঠিত লেখাকে সম্মানিত করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।।স্ক্রীনশর্ট  শেয়ার করলে আপনি সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাই স্ক্রীনশর্ট নয়, নিজের লেখার লিংক শেয়ার করুন। নতুন বছর সকলের জীবনে সুখবর ও আনন্দ বয়ে আনুক  এই শুভকামনা জানাই। --নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদকঃ নবপ্রভাত ======= লেখক-সূচি কবিতা-ছড়া : জয়ীতা চ্যাটার্জী    সায়নী ব্যানার্জী    মনালি বসু    শ্রদ্ধা চক্রবর্ত্তী    রীতা আক্তার    সান্ত্বনা চ্যাটার্জি    সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়    পল্লব মজুমদার    চন্দন সুরভি নন্দ    কুনাল গোস্বামী     জগবন্ধু হালদার    সোমনাথ বেনিয়া    সুমন কল্যাণ     তপন কুমার মাজি    ফিরোজ আখতার    মোনালিসা পাহাড়ী অসীম

নিবন্ধ: সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঙালির বাঙালিয়ানা  বছর কয়েক আগে চাকরিসূত্রে দুবাইতে যেতে হয়েছিলো।ঝাঁ চকচকে জীবনযাপনের জন্য মন্দ নয়,কিন্তু মনে হতো জীবনের তরঙ্গে ছন্দপতন হচ্ছে।সুর তরঙ্গ ফিরে এলো নিজের মায়ের কাছে ফিরে।এক উষ্ণ অনুভূতি আমাকে স্পর্শ করলো।  খাওয়ার পাতে পঞ্চব্যঞ্জন দেখে ভয় পেলাম।এ কটা বছর রুটি আর আলু সবজি খেয়ে কাটিয়েছি।পেট ভায়া এত ভার নিতে পারবেতো।মায়ের হাতের রান্না গুলো বেশ তাড়াতাড়ি  ঢুকে গেলো উদরে। করপোরেট জীবন গ্রাস করেছিল আমার নির্ভেজাল বাঙালি সত্তাকে। শুধু কি খাওয়া,আরো কত কিছুর মধ্যে দিয়ে  বাঙালি পরিচয় বেঁচে আছে।ইতিহাসের পাতায় বাংলার পলাশীর যুদ্ধ আর কলকাতার উৎপত্তির ঘটনা ছাড়া বিশেষ কিছু থাকেনা। এরম চলতে থাকলে একদিন বাঙালি সভ্যতা হারিয়ে যাবে।খানা পিনা,পোশাক,অলঙ্কার, স্থাপত্য কীর্তি,সবার মধ্যেই ইতিহাস লুকিয়ে আছে,যা আমরা দেখতে নিস্পৃহ।সেই ইতিহাসকে খুঁজে বার করতে বাছাই করলাম মিষ্টিকে।  শুভ অনুষ্ঠান হলেই মিষ্টিমুখ করতে হয়,এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি।  আনন্দের  সূচনা হয় পায়েস বানিয়ে। গরীব, বড়োলোক, সবাই জন্মদিন,পুজোপর্বনে পায়েস তৈরি করে। গোবিন্দ ভোগ চল,দুধ,আর চিনি বা নলেন গুড়ের

নিবন্ধঃ সুমিত মোদক

ছবি
বাঙালী সংস্কৃতিতে আধুনিক সংযোজন সমপ্রেম   ....... ....... ....... ....... ....... ....... ....... ....... ....... নতুন প্রজন্ম নতুন ভাবে, ভাবে। নতুন নতুন ভাবনাকে গ্রহণ করে। আয়ত্ব করে। প্রয়গ করে। নতুন একটি অধ্যায় সূচনা করে। এগিয়ে চলে সামনের দিকে। তার সবটাই যে সঠিক সে কথা বলছি না। পথ চললে তো হোঁচট খাবে। সেটুকু মেনে নিতে হবে।  # আর আমরা যারা চল্লিশের উপর, আমরা নিজেদেরকে ভাবি রক্ষণশীল। পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই। ব্যাতিক্রমী কিছু দেখলে -- গেলো গেলো রব তুলি। আবার কিছু দিন পর সেটাকেই গ্রহণ করি। যেমন,সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার।  # সোশাল মিডিয়া বাঙালী সমাজে প্রভাব বিস্তর করার ফলে অনেক অজানা তথ্য সামনে চলে এসেছে। তার মধ্যে একটি হল -----সমপ্রেম । রক্ষণশীল সমাজ যাকে বলছে সমকম। দুটো ছেলে বা দুটো মেয়ে একে অপরকে ভালবাসে। এক সঙ্গে চিরকাল কাটাতে চায়। সেখানে আমরা প্রেম দেখি না। দেখি কাম। অথচ, প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কটাকে বলছি না বিপরীত কাম। আসল কথা সম-মনভাবের ছেলে বা মেয়েদেরকে আমরা মেনে নিতে রাজি নই। সে কারণেই কামকে সামনে টেনে আনছি। যেটা এ

মুক্ত গদ্য: মানবেশ মিদ্দার

কবিতার সাথে ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত "ছোটো খোকা বলে অ আ ...", "ঘণো মেঘ বলে ঋ ..." সেই কোন শৈশবে কবিতা এসে ধরে ছিলো আমার হাত ভুলে গেছি, তবে নিশ্চিত আমি কবিতার হাত ধরিনি তখন। রবি ঠাকুরকে তখন একটা লম্বা দাড়ি গোঁফ ওয়ালা লোক ছাড়া আর কিছু ভেবে ছিলাম বলে মনে হয়না। কবিতা আর রবি ঠাকুরকে মিশিয়ে কবিগুরুর আনুভূতিক ছবি হৃদয়ের ক্যানভাসে আপন আত্মার রঙে ফুটে উঠেছে অনেক পরে। আর তারও অনেক পরে কবিতার সাথে লাজুক আলাপ ও পরিচয়। আর ব্যক্তিগত নিভৃত কথার শুরু তো এই, কিছু কাল আগে।          জন্মের পর প্রথম যে কবিতার সাথে আমার দেখা হয়েছিল, তখন তো জানতাম না যে সেই আসলে বড়ো একটা কবিতা গোটা জীবন ময়, তারপর যে দিন মুখ দিয়ে প্রথম ভাষার প্রকাশ হয়েছিলো, একটা আদি অন্তহীন অনন্ত কবিতা বেরিয়ে এসেছিলো আমার অনন্ত নিরূপাধিক আত্মা থেকে আপন স্বতঃস্ফূর্ততায় একটা ছোট্টো শব্দে অর্বুদ কোটি অনুভবের ভাষায় শব্দ হীন কবিতা নিয়ে, সেই আমার প্রথম কবিতার সাথে ব্যক্তিগত কিছু কথা। সেই একক শব্দের অর্বুদ কবিতা "মা"। যদিও তখন ওই কবিতায় সংজ্ঞা দানা বেঁধে ওঠেনি, এখনও না। পাশাপাসি আর একটা অতি নিবিড় নীরব

মুক্তগদ্য: শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়

রাগ খুব বেশি রাগ হলে পুরোনো  ডায়েরি খুলে বসি।ফিরে যাই শৈশবে,শিলাবৃষ্টির কোনও রাতে।অনুমতিহীন সব ইচ্ছেরা মরে যেতে যেতে ডায়েরির পাতা জুড়ে বাটিভরে শিল কুড়িয়েছে।দু'একটা আধগলা স্বপ্নের হিমে মাথার আগুন বেশ নিভে নিভে আসে।তখন যে স্রোত নামে মুছে যাওয়া বন্ধুর নামে,তাকে কেউ কান্না বলে না।দেওয়ালের গায়ে যত প্রিয় নাম জল দিয়ে লিখি।যে আমাকে ভালবেসে নয়ানজুলির বুকে একা একা রেখেছিল কাগজের ডিঙি,এতদিন পরে দেখি তারও নাম লিখে রাখা আছে।তুমুল ঝগড়া মেখে বান্ধবী দূরে চলে গেলে,চুপিসারে তার কাছে যত যত ক্ষমা চাওয়া ছিল,সেসবের ছবি পরে গাছে গাছে টাঙানো হয়েছে।ডায়েরি সেসবও বলে কিশোরবেলার অভিমানে।যত পড়ি,গলা বুঁজে আসে।ফিরে যাই বর্ণময় মুখোশের দেশে। =========================

মুক্তগদ্য: পিয়াংকী মুখার্জি

মনমন্থন   নাম : পিয়াংকী ডাকনাম : রূপসী পাখি পিয়ানো কুটু বাবু মিতসুবিশি  কেয়ার অফ : আগে বাবার নাম থাকতো  এখন রাজা-মহারাজের নাম  পেশা : অগোছালো সংসার আর কলমের সাথে শখের সখ্য   গায়ের রং : লোকজনের মতে হাল্কা কালো,  নিজের কাছে উন্মাদআদিমতা  উচ্চতা :পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি  দৈর্ঘ প্রস্থ : জায়গায় আঁটবে না  সন্তান : একজন রাজকন্যা  স্বামী : অবশ্যই একজন  প্রিয় মানুষ : রাজামহারাজ  প্রিয় আদর্শ : পরিস্থিতির স্বীকার না হওয়া  প্রিয় সম্পর্ক : বন্ধুত্ব  আর অবশ্যই শত্রুতা , প্রথমটা জল হতে শেখায় পরেরটা আগুন  প্রিয়বন্ধু : পিয়াংকী অপ্রিয়শত্রু : অতিঅবশ্যই পিয়াংকী ধর্ম : একটা জলপূর্ণ পাথরবাটি , আঙ্গুল যতটা ডুবলো ততটাই জীবন পছন্দ : নিজের হাতে রান্না করে সবাইকে খাওয়ানোর পর তাদের ওই তৃপ্তির আবেশটা বুক ভরে নেওয়া   অপছন্দ : অপ্রাপ্তি ভেবে অযাচিত কাড়াকাড়ি করা আর সাথে সব ওঠাপড়ায় ভাগ্যের দোহাই দেওয়া  জীবনের ট্যাগলাইন : মুখোশ মুখস্থ করবো না কোনোদিন  প্রিয়বাক্য : আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ "মধ্যযমের-আলো"থেকে ... "মানবজীবনে একবার স্বেচ্ছা নগ্নতা সব ক্ষেত্রে

মুক্তগদ্য: চন্দন মিত্র

                                              স্বপ্নে                                 স্বপ্নে আজ তোদের বাড়িটা দেখলাম । দক্ষিণ-দুয়ারি দুকামরা ঘর, ডানদিকের বারান্দাকে মুলিবাঁশের দরমা দিয়ে ঘিরে একটি আড়াল-কক্ষ। বাঁদিকের কামরাটি মাটির । সর্বসাকুল্যে একখানি ইটেরঘর। ছাউনি টালির । সামনে একচিলতে উঠোন ।আগে রাঙচিতার বেড়া দিয়ে ঘেরা তোদের চৌহদ্দিতে ঢুকলে, ডানহাতের ঠিক নিচে একটি পুষ্করিণী শুয়ে থাকত। পরে মাটি খাইয়ে খাইয়ে তার খিদে জন্মের মতোপূরণ করা হয় । পরিবর্তে অঙ্গনে শিকড় চারায় একটি বিজাতীয় যন্ত্র । তার দ্বারা কাজ চলে যায় তবে সে মাছ বিয়োয় না। চৌহদ্দির তিন পাশে সুপুরি গাছের সারি।কেবল ভদ্রাসনের ঠিক পিছনে ছয়টি মাদি খেজুরগাছ ।তার পরেই মাঠের বিস্তার।          তোদের মাটির কামরাটি আমার ও আমাদের কৈশোরের দিন-রাতগুলি এখনও কি জমিয়ে রেখেছে? জমায় যদি সে এখন কোথায়?          কাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি , আজ শেষ চৈত্রের দুর্ধর্ষ গরম-দুপুরে আমি ঘুমিয়ে  পড়েছিলাম। হঠাৎ স্বপ্নে তোদের বাড়িটা দেখে জেগে উঠি।দেখি বালিশটা ভিজে গেছে ঘামে ও কান্নায়। বিশ্বাস কর বাবা চলে যাওয়ার অনেকদিন পর অন্য এক শোকে

প্রবন্ধ: অরুণ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
'নতুন সূর্য আলো দাও আলো দাও' " আকাশভরা সূর্য- তারা, বিশ্বভরা প্রাণ, তাহারই মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান, বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান ।। " ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটাও ছেঁড়া হয়ে গেল আজ। দেওয়াল আলো করে আগামীতে ঝুলবে আর একটা নতুন। একটার পর একটা পাতা আসবে আর জাহির করবে তার অস্তিত্ব। সেই পাতাগুলো কেমন হবে, আমাদের আশা, আকাংখ্যা কতটা পূর্ণ করবে, বিগত পাতাগুলোর তৈরি করে দেওয়া আমাদের জীবনের ক্ষতে কতটা মলম লাগাবে সেই নিয়ে থাকে আমাদের উন্মুখতা।  বিশ্বকবির এই পংক্তিগুলি দিয়েই শুরু হোক আমাদের এই বর্ষ-বরণ । গ্রহতারা ভরা প্রকৃতির মধ্যে  নিজের অস্তিত্বের চমৎকারিত্বে মুগ্ধ কবি। আর অবশ্যই আমরাও। কারণ কবির গুণ, কবির প্রতিভা, কবির বিচক্ষণতাই –এক কথায় বলতে গেলে কবির কলমই আমাদের প্রতিনিধি। ভারি চমৎকার তাঁর নাম। যিনি তমসাময় রজনী অতিক্রম করে দিনের প্রথম আলো দেখান সেই সূর্যের নামের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর নাম। দিনের প্রথমে যেমন তাঁর উদয় তেমনি বছরের প্রথমেই তাঁর জন্ম। এক দুরন্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর প্রতিভার মতই ক্ষমতা ছিল মানসচক্ষের। সমগ্র

মুক্তগদ্য: সুমন কুণ্ডু

                    ' বৈশাখ ও কিছু টুকরো ভাবনার কোলাজ '                                                  ১ । এডিট করতে করতে ক্রমশ খাপ খাইয়ে নিচ্ছি । এই শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, গুমোট, ছায়াহীন বেঁকে যাওয়া রাস্তা ফের পার করছি । ধুলোয় ধুলোয় ক্লান্ত হয়েছে সম্পর্কের হলুদ পাঞ্জাবি । ভাবলাম ধুই, না ধোয়াও একটা ঘ্যাঁতরা ইচ্ছে আগে থেকে ঠিক হয়ে আছে ! বসন্তের রং চেটে নিয়ে ৩৬৫ টা দিনের ঘাম । অদ্ভুত না ? ধুয়ে ইস্ত্রি করে নিলে নতুন, অথচ নতুন তো ভিতরে পুরনোই ! বৈশাখ নামটা তুমি দাও নি !                                                  ২ । টোটোর সামনে ও পেছনে পতপত উড়ছে দলীয় পতাকা । গরিবি নিভিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ডিজিটাল ডিজিটাল বলতে বলতে গাঢ় হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার । এদিকে এক পশলা চৈত্রের হুমকি ডিঙিয়ে, অসহনীয় ডিঙিয়ে, সূর্যের বুকে লিখে দিতে চাইছি আরেকটু... আর একটু হঠো ।  কতদিন পড়ে থাকা আমের মুকুল কুড়োও নি তুমি ! কালবৈশাখী এসো । শুকনো অপেক্ষায় জামা ভিজছে, মন ... ভেজে নি !                                                   ৩ ।  ভিড় ট্রেন । কথা ঝুলে আছে, সকাল ঝুলে আছে । বিকেল হবার আ

মুক্তগদ্যঃ শেফালি সর

।। জীবনের ভুল।।                        জীবন-স্রোত কলকল ছলছল করে অহরহ বইতেই আছে। সেই জীবনের  প্রথম দিন থেকেই আমার এই জীবন-তরীর খেয়া মাঝি তার অনভিজ্ঞ হাতে দাঁড় বাইতে বাইতে চলেছে নিরুদ্দেশের ঠিকানায়। কতবার পথ হারিয়ে অন্য পথে চলে গেছে। ভুল পথে বহুদূর গিয়ে হয়তো হুঁস হ'ল তার। আবার সঠিক পথে ফিরে যেতে বহু সময় লাগলো। সেই পুরোনো জায়গায় আবার  ফিরে যাওয়া। আবার চলা শুরু। আসলে জীবন তো একটাই।        যদি বারবার ভুল পথে চলি এভাবে তাহলে গন্তব্যে পৌঁছাতে যে অনেক দেরি হয়ে যাবে। সেই বোধটুকু ও যেন তখন ও  জন্মায় নি। জীবন তরণী শুধু চলার নেশায় মত্ত।কত ইচ্ছা নিয়ে জন্মেছি এই পৃথিবীতে কিন্তু কীভাবে সেই সব ইচ্ছা পূরণ হবে বুঝতে পারিনি। আমার চলার পথে প্রেম এসে মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত করেছে।        প্রেমের দমকা হাওয়ায় আমার জীবন-তরনী কখনো কখনো টলমল করতে করতে ভুল পথের পথিক হয়ে প্রচুর কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করে চলেছিল জীবনের পথে। তারপর আবার সঠিক পথ ধরতে অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। অবেলায় অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরেছে নুড়ি পাথরে।চড়ায় ঠোক্কর খেতে খেতে এক সময় যখন হাজির হলাম চাওয়া পাওয়ার সীমানায় তখ

কবিতা: রীতা আক্তার

ছবি
ভালোবাসা এমনি হয়  ফাগুনের রাত, তবুও কাল বৈশাখীর মতো দমকা হাওয়া বইছে বাইরে।  মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।  গভীর উৎকন্ঠায় ডাইনিংটেবিলটা ছেড়ে চলে এসেছি বারান্দায়।  অসম্ভব এক অস্হিরতায় পায়চারি করছি বারবার।  আর..... তাকাচ্ছি বাইরে, এই বুঝি তোমার মোটরবাইকের আওয়াজ আসবে ভেসে।  সে ই কখন থেকে ঘড়িটার দিকে তাকাচ্ছি। বলেছিলে মিটিংয়ে আছো, দশটা বাজবে শেষ হতে।  দশটা পেরিয়ে বয়ে চলেছে সময়।  ঘরের ভেতর ঢুকতে যাবো, এমন সময় কানে এলো  তোমার পায়ের আওয়াজ।  মনে স্বস্হির নিঃশ্বাস।  একহাতে বাজারের ব্যাগ,  আরেক হতে কি যেনো একটা দেখা যাচ্ছে! ইসসস!  একদম ঘেমে নেয়ে এসেছো দেখছি।  নাও, একটু বসো তো আগে এই টুলটিতে।  আমি আঁচল দিয়ে তোমার কপালের ঘাম মুছে দিলাম।  তুমি আমার হাত টি ধরে পাশে বসিয়ে বললে - আমার প্রিয়া। সারাদিন আজ কি কি করা হলো শুনি!!  আমি এক গাদা অভিমান ছুঁড়ে দিয়ে বললাম - থাক, লাগবে না আর খবর নেওয়া।  খুউব তো থাকো কাজের ভীড়ে, আমায় নিয়ে ভাববার সময় আছে বুঝি!!  তুমি বললে - মনে না থাকলে তবে এই বেলী ফুলের মালা কার জন্য এনেছি শুনি!  আমার খুশির জোয়ার নিঙড়ে বলে উঠ

কবিতাগুচ্ছ: দেবব্রত দাস

।।মাঝেমাঝে চুপ করে থাকো।। মাঝেমাঝে চুপ করে থাকো,  চেয়ে দেখো জোনাকির আলো ঢলে পরে ম্যাকবেথে,  গোলাপ কেমন নুয়ে পড়ে মাটির বুকে,  লতানো গুল্মলতায় মাকড়শাদের বাড়ি, চেয়ে দেখো চেড়া চটিরা ভিড় জমায় মন্দিরে।  তপ্ত দুপুরে খাখা মাঠ যেভাবে আগুন পোয়ায়,  তোমার চোখের উষ্ণতা তেমনি রবে। পুকুরের শান্ত জলে পতিত পৃথিবীর ছায়া, শোন সে কি কথা বলে যাবে।  দেখো শামুকের দল মাটি কামড়ে ধরে, ফোসকার জলে ভিজে যায় এ শহর। মাঝেমাঝে চুপ করে থাকো,  ভেবে দেখো,তোমার বুকের তিলটাও একদিন মুছে যাবে। ।।অশ্বথামা।।  সবাই এগিয়ে আসছে, গ্রাম থেকে  মফস্বল, মফস্বল থেকে শহর, শহর থেকে মেট্রোপলি। বালতির থেকে উপচে পড়া জল গড়িয়ে  চলে,               কোন নদী না, সমুদ্র না,  শুধু দুভাগ হাইড্রোজেন আর একভাগ অক্সিজেন।  দাহ্য থেকে ক্রমশ উহ্য হয়ে আসে। নীহারিকার গহ্বর হতে ঘোলাটে ধূলিঝড় সবটুকু গিলে নেয়, ছিটেফোঁটা আলো, প্লাজমা আর একাকীত্ব। এবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসো অশ্বথামা। ।। অচেতন চৈতন্য।।     প্রতিটাদিন সমুদ্রের দিকে ত্রুমশ এগিয়ে চলে শহর, ভীষণ গতিতে ছায়া পেরি

কবিতা: সোমনাথ বেনিয়া

আপাতত  জানতে চাইছো বলেই হয়ত বলতে হবে আমার মুক্ত মনের কিংবা খোলা চোখের গল্প। যা বলবো তা কালের নিয়মে ঘটে যাওয়া আত্মপ্রলাপ। এই প্রলাপে বিষাদ ছুঁয়ে আছে জন্মলগ্ন থেকে। তাই একটা ছায়াপথ খুঁজছি যেটা মাটি থেকে উঠে স্পর্শ করতে চাইছে আকাশ। এরপর হারিয়ে যাওয়ার একটি ইচ্ছা যা অতিযত্নে রোপন করে রেখেছি মনের টবে। হৃদয় যেখানে মাঝেমধ‍্যে গিয়ে ভালো-মন্দের খবর নিয়ে আসে। ছাপার অক্ষরে তা ফুটে ওঠে চোখের পাটাতনে। এবার পড়ে নিতে পারো অবলীলায়। যদি ভালো লাগে তাহলে হাততালির শব্দে পায়রা উড়িয়ে দিও, এ আমার জেগে থাকা। যদি খারাপ লাগে একটি চন্দ্রবিন্দু রেখো, এ আমার ঘুমিয়ে পড়ার চিহ্ন। নিজের মতো করে বুঝে নিও সারসংক্ষেপ। হিসাব করে কিছু পেলে কোনো পরিত‍্যক্ত ডাকবাক্সে ফেলে এসো। আর শূন‍্য! তবে ভাববে পূর্ণতার অভিশাপে পুনর্জন্ম হচ্ছে কোথাও ... =========================== ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলকাতা - ৭০০ ০৪৯।

বড় গল্প: সিদ্ধার্থ সিংহ

বোড়কি না। বোড়কিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ছলছল চোখে শিবকুমার এ কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল তার বউ। আর তার কান্না শুনে বইপত্র ফেলে পাশের ঘর থেকে ছুটে এসে মায়ের কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল তাদের বাকি দুই ছেলেমেয়ে— মেজকি আর ছোটকা। কান্না জড়ানো গলাতেই শিবকুমারের বউ বলল, তা হলে ও বোধহয় আবার পালিয়েছে। যাও, থানায় যাও। একবার গিয়ে বলো... এর আগেও চার-চার বার ও পালিয়েছে। প্রথম বার যখন ওকে খুঁজে পাওয়া গেল না, তখন গ্রাম থেকে অনেক দূরে, কালিন্দী থানায় মিসিং ডায়েরি করার সময় পুলিশ অফিসারটি বলেছিল, তেরো বছর বয়সেই পালিয়েছে! কার সঙ্গে? শিবকুমার হাঁ করে তাকিয়ে ছিল। সেটা দেখে ওই পুলিশটি অফিসারটি বলেছিল, ও তো আর দুধের বাচ্চা নয় যে, কোনও তান্ত্রিক তুলে নিয়ে গিয়ে আর সব বাচ্চাদের মতো ওকেও মায়ের সামনে বলি চড়িয়ে দিয়েছে... হ্যাঁ, এখানে মাঝে মাঝেই বাচ্চা খোয়া যায়। এবং খুঁজে পাওয়া না গেলে লোকেরা ধরেই নেয়, তাকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে বলি দিয়ে দিয়েছে। শোনা যায়, বহু বছর আগে ইংরেজ আমলে ছোট, মেজ, বড়, আরও বড় কর্তাকে বারবার অনুরোধ-উপরোধ করা সত্ত্বেও যখন হল না, তখন আশপাশের গ্রামের লোকেরা সবাই এককাট্টা হয়ে বড় রাস

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪