google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re মুক্তগদ্য: পিয়াংকী মুখার্জি - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯

মুক্তগদ্য: পিয়াংকী মুখার্জি




মনমন্থন  



নাম : পিয়াংকী
ডাকনাম : রূপসী পাখি পিয়ানো কুটু বাবু মিতসুবিশি 
কেয়ার অফ : আগে বাবার নাম থাকতো  এখন রাজা-মহারাজের নাম 
পেশা : অগোছালো সংসার আর কলমের সাথে শখের সখ্য  
গায়ের রং : লোকজনের মতে হাল্কা কালো,  নিজের কাছে উন্মাদআদিমতা 
উচ্চতা :পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি 
দৈর্ঘ প্রস্থ : জায়গায় আঁটবে না 
সন্তান : একজন রাজকন্যা 
স্বামী : অবশ্যই একজন 
প্রিয় মানুষ : রাজামহারাজ 
প্রিয় আদর্শ : পরিস্থিতির স্বীকার না হওয়া 
প্রিয় সম্পর্ক : বন্ধুত্ব  আর অবশ্যই শত্রুতা , প্রথমটা জল হতে শেখায় পরেরটা আগুন 
প্রিয়বন্ধু : পিয়াংকী
অপ্রিয়শত্রু : অতিঅবশ্যই পিয়াংকী
ধর্ম : একটা জলপূর্ণ পাথরবাটি , আঙ্গুল যতটা ডুবলো ততটাই জীবন
পছন্দ : নিজের হাতে রান্না করে সবাইকে খাওয়ানোর পর তাদের ওই তৃপ্তির আবেশটা বুক ভরে নেওয়া  
অপছন্দ : অপ্রাপ্তি ভেবে অযাচিত কাড়াকাড়ি করা আর সাথে সব ওঠাপড়ায় ভাগ্যের দোহাই দেওয়া 
জীবনের ট্যাগলাইন : মুখোশ মুখস্থ করবো না কোনোদিন 
প্রিয়বাক্য : আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ "মধ্যযমের-আলো"থেকে ... "মানবজীবনে একবার স্বেচ্ছা নগ্নতা সব ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক" 

একমাত্র ইচ্ছে : জীবনের এমন কিছু কথা যেটা বলতে মন সায় দেয় কিন্তু মস্তিষ্ক সাহায্য করে না ...
আশা : সন্তান মানুষ হোক , পায়ের ছাপ ফেলুক জন্ম-জমিতে 

এবার আসি প্রসঙ্গে ...ওপরের কথাগুলো লিখলাম কারণ পরের পাঁচালীটা পড়ার ধৈর্য অধিকাংশেরই থাকবে না জানি 

নামটা শুনে অনেকেই চমকে গিয়ে বলেন , "আপনার নামের অর্থ আছে কোনো ?" সগর্বে তাদের বলি নিশ্চই আছে ...আসলে মায়ের একটা ছেলে হবে সেই আশায় আমার জন্মের অনেক আগেই আমার নামধাম ঠিক করে ফেলেছিলেন কেও কেও কিন্তু দামামা বাজিয়ে ভরা শ্রাবণে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুদিনে জন্মাল যে সে একটি মেয়ে এবং এই উত্তমের ( সরি প্রবাদগত অধম বলতে পারি না নিজেকে ) নাম বাবা নামের বই দেখে রাখলেন পিয়াংকী , , অর্থ রামধনুর কমলা রংএর সমার্থক ...জীবনে প্রায় বেশিরভাগ জায়গায় সবাই ভুল করেছেন , , প্রিয়াংকা লিখে দায় উদ্ধার করে ফেলেছেন , , সারা জীবনটা তাই নামগত কাটাকুটিতে ভরা ...সেই সাড়ে পনেরোতে বিয়ে ,  হয়তো ভাবছেন এমন হয় নাকি ? হ্যাঁ অবশ্যই হয় , , দেশটার নাম ভারতবর্ষ ...বাবার শারীরিক আর আর্থিক দুর্বলতা আর মহারাজের ইনকাম ট্যাক্সিয়ান চাকরি ...বিয়ের পিঁড়ি...সাড়ে সতেরোতে মেয়ে , , 
দুরন্ত একটা শ্বশুরবাড়ি মনের মতো থেকেও উচ্চমানের স্বামী তার সাথে সহোদর দাদা দিদির মতো ভাসুর জা , , এগুলো সবই প্রাপ্তি জীবনের ...তারই মাঝে পড়াশুনো যদিও চাকরি পাইনি বা চেষ্টা সেই অর্থে করিনি ...

আজ অবধি জীবনের সেরা প্রাপ্তি আমার পালিত বাবা মানে শ্বশুর , , যিনি প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায় বলেছিলেন "দুধ না খেলে তোর বাবার নাম ভুলিয়ে দেবো " প্রতিটি মুহূর্ত আজও তার আদর্শেই বাঁচি যা মানবিক হতে শেখায় 

লেখালিখি করে কোনো প্রতিষ্ঠা পাওয়া উদ্দ্যেশ্য নয় , আক্ষরিক অর্থে অক্ষরই একমাত্র খোলা দরজা যা কোনদিন চৌকাঠ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে না , আসলে কানে কানে বলি আমি ভালোবাসা লোভী বড্ড , , সম্মানের থেকেও আদরকে ওপরে রাখি , 

শব্দের জমিতে নিশ্চিন্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাই , হয়তো তাই এই অক্ষরযাপন আর এতে আমায় প্রশ্রয় জোগান দেন যিনি তাকে দুনিয়া স্বামী বলে আর আমি বলি রাজামহারাজ 

বাঙ্গালরান্না মেহেন্দি আলপনা নৈবিদ্যসাজানো প্রিয় কাজ

প্রতিটি ভোরে চোখ খোলামাত্রই দেখি গুচ্ছমূলের মতো আগামী খুলে রেখেছে প্রচুর দরজা , ইচ্ছে আছে সবকটাতেই একবার করে ঢুঁ মেরে আসবো , কারণ ভালো থেকেও বেশি আগ্রহ আমার  খারাপের প্রতি বরাবর 

শেষকে ছোঁবার আকাঙ্খা বহুদিনের তাই আজও দুহাতে আকাশ ছিঁড়ছি ...দেখা যাক উপসংহারকে আয়ত্ব করতে পারলে একদিন সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে যাবো কাঠ আর আগুনকে ॥