Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতাগুচ্ছ: শাবলু শাহাবউদ্দিন

শেখ মজিবুর রহমান



স্বাধীনতা আহ্বানে, হৃদয়ের কান্দনে, জেগেছিল যে মানুষের প্রাণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তার নাম
ঐ কালো পিচাস, ইয়াহিয়া করেছে নরক চাষ, বাংলার প্রান্তরে
শক্তি দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে, ঐ কারাগার ভাঙ্গিয়া, আনিয়াছে মুক্তি টান
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তার নাম।

বাবার আদরে ডাকা, মায়ের কোলেতে থাকা খোকা যার নাম
একদিন ডানপিটে গ্রামের নাম রেখে, ছুটিয়া চলিলেন সোহরাওয়ার্দীনের আহ্বান
সেই থেকে তার, পথ চলা আর, নাইকো বুঝি থেমে,
কবি গানের মত, বরি টানের শত দলে দলে তারা এসে দিলো যোগদান
মজিব কে করিয়াছে শক্ত, ঝরায়েছে বুকের তাজা রক্ত, বাঁচিয়েছে বাংলার সম্মান ।

নরক চাষি ইয়াহিয়া বাসী, বুঝে নাই বাংলার সম্মান
বোকার মত শেখ মজিবারের যত করেছেন অপমান
মজিব মোদের প্রাণের নেতা, সইবে কেমনে এমন কথা
সাতই মার্চে নেতা সাথে হইল সবার দেখা,নেতা মোদের বাণী দিলো,
স্বাধীনতা ডাক মিলিলো, ঘরে ঘরে দূর্গ উঠলো, নেতা আহ্বান ।

বাংলা জনক, বাংলা পিতা শেখ মজিবুর মোদের নেতা,
আর হবে না কোন কথা, নেতার দিলো যারা ব্যথা, চাই যে ফাঁসি  শুধু হেতা,
আইন কানুন রইলো কোথায়, শেখ মজিবুর রহমান জাতির পিতা
আর মানবো না কটু কথা, বাংলা পেল স্বাধীনতা ।

বিচার হবে বিচার চাই, রাজাকার দের ফাঁসি চাই
স্বাধীন বাংলাদেশ তে, কাল পিচাসদের জায়গা নাই।




আমি হতে চাই


আমি হতে চাই, চে গুয়েভারা কিংবা নান্সেস মেন্ডেলার হাত ছানি
অথবা বঙ্গবন্ধুর পাতা ঝরা  জয়ও কণ্ঠ ধ্বনি ।

আমি হতে চাই, নজরুলের বিদ্রোহী গান কিংবা জিয়াউর রহমানের শান্তির বাগান
নতুবা করিব ডাগনের অগ্নি ঝর মুখের আহ্বান ।

আমি হতে চাই জিন্নাহ সাহেবের মুখের বাণী কিংবা এ কে ফজলুর হকের আদর্শ জীবনী
অথবা শহীদ সাহেবের বুদ্ধির মূর্তি মানী ।

আমি হতে চাই, মাদার তেরেসা সেবিকা হাত কিংবা নাইট এঙ্গেলস চিকিত্সার সদ্য চলাপথ
নতুবা হতে চাই হিটলারের দুরন্ত দুই কাল হাত।

আমি হতে চাই, রাজা রামমোহনের আদর্শ শীর্ষ কিংবা ঈশ্বর চন্দের পথ চলার এক সত্য দৃশ্য
অথবা তিতুমীরের বাঁশে কেল্লা স্বয়ং কৃষ্ণ ।

আমি হতে চাই, ওমরের শাসনের গড়া রাজ্য কিংবা এরদাগনের ভালবাসার ছড়া তুরস্ক
নতুবা মাহাতির বিন মোহাম্মদের ফিরে চাওয়া রজন্ত।

আমি হতে চাই তরুণ তরুণী আদর্শ গড়া এক সত্য সাবলীল মন কিংবা জয় উল্লাসের হৃদয়ের কানন
নতুবা হতে চাই শান্ত ঝর্না ধারার চিরন্তন কলঙ্ক ।

আমি হতে চাই পুরুষে নারীতে এক মিলন বন্ধন, কিংবা ঐক্যবদ্ধ পথচারীর সন্তানের জনক জননী
অথবা আদর্শ দেশ গড়ার কাণ্ডারী কমল বাণী।






আমি মজিবুর রহমান


আমি শেখ মজিবুর রহমান, আমার রক্ত মাখা মুক্তি টান
আমি গায়ই বাংলার জয়ও গান, বাংলা আমার প্রাণ,
আমি শেখ মজিবুর রহমান ।

আমি দামাল পুলা, কামান-গোলার করি নাকো ভয়
আমি মানি আমার সত্যের হবে জানি জয়
আমি শেখ মজিবুর রহমান, রক্ত মাখা মুক্তি আমার টান।

পাকিস্তান কি বুঝি,সুযোগ সুবিধা খাঁজি না
জনগণের মনে আসুক শান্তি আমি চাই,
বাংলাদেশের সব জনগণ, তারা আমার ভাই।

আমি শেখ মজিবুর রহমান, আমার রক্ত মাখা মুক্তি টান
আমি গায়ই বাংলার জয়ও গান, বাংলা আমার প্রাণ,
আমি শেখ মজিবুর রহমান ।





নারী


ধাত্রী মাতৃ ধরিত্রী যে, দেবী সুলভ নারী সে
তুচ্ছ তুল্লো করিয়ে ভুল্লো, নারী সম্মান দেবী তুল্লো
দিবস টিবস নগ্ন রুপ, নারী মাতৃ সবার উপ'
মাতৃকুলে সৃষ্টি তুলে যৌব্ব-কাম্য নানান রুপে।

দেবী পূজা যোগ্য তুলে, পুংজাতীয় নরক ভুলে
নারী হল স্বর্গ রুপি, সুখ বিলাইছে সব-ই উপি'
স্নেহ-প্রিতি মায়ার রীতি স্বর্গ লোকের অশেষ কৃতি
দেবীপ্রসাদ কাম্য স্মৃতি নারী হৃদয় অহরহ গীতি।

মা-জননী নারীর গুণী, কন্যা তাহার গর্ব ধ্বনি
সৃষ্টি রুপের রহস্য মনি, নারীর শব্দের মীনময়নী
সাগর পাহাড় চূর্ণ খনি, মাতৃ হৃদয় বিশ্ব বদনী
সৃষ্টিকর্তা বিশেষ দান, নারী হল সবারই ইমান।

কল্যাণ চির মেরী মাতা, যীশুর নাহি ছিল পিতা
নারী দিবস পালনে সব, নারী গর্ভে স্বয়ং পপ
স্বয়ং সিদ্ধার্থ নারী বিদ্যার্থ, নারী সম্মানে পুং কৃতার্থ
নারী জীবন না হক মলিন, এই হক জাতির কলিন ।







এক সহস্র শতাব্দী


এক সহস্র শতাব্দী আমি চেয়ে আছি, এই পথে
কে যেন আসবে ,বাংলা জয় উল্লাসে মাতবে
সহস্রাধিক কাল হৃদয়ের মানব এসেছে, বাংলাকে পিশেছে
কে মুক্তি দেবে? এই বাংলার সোনার সোহাগ মাটিকে।

নয়ন কাল ছলনা মায়াবী, হৃদয় নয় যার ভাল
তাঁরাই দানা বেঁধেছে , সহস্র বছর ধরে শতাব্দী
বাংলা হয়েছে আঁধার কাল, উঠেনি চন্দ্র কোন দিবারাত্রি
আমি চেয়ে আছি, কবে আসবে মায়ের কোলে সে।

শত সহস্রাধিক কাল বেঁচে থাকবো সেই অপেক্ষায়
আসবে জানি সেই ছেলে বাংলার বুকে, মুক্তি হবে চিরকাল ।










আমি বিদ্রোহী


আমি বিদ্রোহী, গড়িব দেশ
মানিব না কারো আর যে আদেশ
আমি করিব তাঁরে পদ চরণ
যে করিবে দেশ বিরুদ্ধে আন্দোলন
আমি বিদ্রোহ করি
ভিক্ষারির বেশে, কিংবা রণক্ষেত্রের রেসে
দাবি আদায়ে আমি অনড়
মরে গেলে হব তবুও স্মৃতি অমর ।

রাজনীতির কাল বাণী , মৃত্তিকায় মিশিয়ে
করিব আমি মাকে চিরমুক্ত, হক ভাল যুক্ত
দুর্নীতির কাল থাবা, মুক্ত করাই আমার স্বপ্ন
বাংলা করিব আমি স্বাধীন চির মুক্ত ।





সম্পা


হাসলে ঠোঁটে মুক্তা ঝরে, সুশ্রী তার দন্ত
চিকচিক করে আলো ছড়ায়, লিবিস্টিকে মন্দ,
মেঘবরণ চিকন কালো, মাথায় আছে কেশ
খোলা চুলে দেখতে তারে লাগছে অনেক বেশ।

চোখ দুটি তার কাজল কালো, মুখটা লাগে বেশ
পদ্মার তীরে মত তার, চলন পরেছেরে রেশ
কপাল তাহার দৃষ্টি জোড়া নিছে কেরে মন
তার প্রেমেতে আমি নিচ্ছুক বাজায় প্রেমের টোন

নামটি তাহার হয়নি বলা , বিন দেশের নয় মেয়ে
সম্পা নামে ডাকে সবাই, মুখ খানি তার চেয়ে ।




কবি আল মাহমুদ


পরপারে যেতে হবে এই যে নীতি, মাঝে শুধু রেখে গেছে অমর স্মৃতি
প্রাণকেন্দ্র প্রশাসন থাকবে যখন ,কবি রুপ সাজবে পৃথিবী তখন।

কবি সাংবাদিক প্রবন্ধ লেখে যে জন, আল মাহমুদ কবি ভাই নেই যে এখন,
আঁখি যায় ভাসি মোদের বাংলা হয়, সব ভূমি প্লাবন, আল মাহমুদ কবি নেই যে এখন,
বাংলা আকাশে আজ ঘন কাল মেঘ,একটি প্রাণ নেই , দুঃখে ভরা দেশ,
আল মাহমুদ কবি লেখবে না আর গ্রাম বাংলার স্মৃতিময় রমণী কেশ
মুছে গেছে সব কথা, হৃদয় তার নীড় ব্যথায় জীবনের টেনেছে ইতিময় শেষ ।

উনিশ শত ছত্রিশ অবতীর্ণ হয়েছিল বাংলা সাহিত্য আলো
নিবে গেল সেই বাতি করে আঁধার কাল
পূর্ব গগনে উঠিবে না আর, আল মাহমুদ নামক সূর্য যার
দীপ্ত করিবেনা কবিতা পাতা, মুছে গেছে আল মাহমুদ উপন্যাসের খাতা।

আর না কান্না, নয়নের জলে, কবি মোর লুকিয়ে আছে হৃদয়ে কোলে
অমর স্মৃতি হয়ে রবে চির কাল, আল মাহমুদ সাহিত্য সংসদ পাল,
বিধাতার কাছে মোর এই মিনতি, ফিরে আসুক কবি মোর চিরকালের স্মৃতি
মানছেনা মন মোদের প্রকৃতির বিধ্বংসী প্রবাহমান কাল বিশ্রী কৃতি।




মনের আশা বাংলা ভাষা


সংগ্রাম আর রক্ত দানে আসল বাংলা ভাষা
ফিরিঙ্গিরা করল নষ্ট বাংলা মায়ের আশা,
হায়না পাক গেল সরে, কিচ্ছা গীবত গাইল দূরে
তবু মোদের আদায় হল বাংলা ভাষার আসা ।

রক্ত দানে শহীদ জব্বার বরকত হল অমর
বাংলা পেল সংগ্রামী দিন, বাধল তারা কোমর
আসুক যত শক্ত বাঁধ, রক্ত দিয়ে করব তাক
বাঁধন বিহীন সংগ্রামী দিন বাংলা ভাষা মুক্তি পাক।

বাংলার কবি বাংলার সবই, লেখবে তারা কাব্য
বাংলায় ভাষায় মিশে না যেন অন্য ভাষার শ্রাব্য,
ভাষা যেন একুশে না আটই ফাল্গুন হয়
ভাষা দিবস নামে কেন মিথ্যা অভিনয় ।

বাংলা ভাষার নাই যে আশা পথ উন্নয়ন
ভাষার নামে করছে সাধন ইংরেজি তে অয়ন,
দুর্বার ঐ পথ শিশু খাইছে যে মার অহ্ণ নিশু
অন্য ভাষায় আনুক কিছু, এমন কেন হয়বাংলা ভাষায় নয় ।

শহীদ আত্মা কষ্ট পাবে, বাংলার আসা নষ্ট হবে
হয় না যদি বাংলা ভাষা, শৈশবের মনের আশা;
লাল পতাকার সবুজ তলে স্বপথ করি দলে দলে
বাংলা ভাষার ছায়া তলে আশ্রয় নিব সব ভুলে,
জয় বাংলা, জয় ভাষা হক পূর্ণ মনের আশা ।





নকল হাওয়া



সাধক সিদ্ধ বিন্দাবনে কান্দি সারাক্ষণে
সুখ আসে না রাখালদাসের একটু খানি মনে,
দ্বিপ্রহরের দিগন্ত দিন নয়ন কান্দে চয়ন বনে
রাখালদাসের সনে, কান্দি বিন্দাবনে ।

নকল হাওয়া সকল মাধব আসছে দুলে দুলে
শ্রীমতী দাস পাল তুলিয়ে যাচ্ছে কিচ্ছা ভুলে,
আগুন হওয়ায় ফাল্গুনী চাঁদ যায় রে দূরে সরে
মিথ্যার সাথে সত্যের আজ বিরুদ্ধ বনও জাগে

মিন্দুর ছেলে বিন্দু আজ কয় না কোনো কথা
দেশ মাতারী দিচ্ছে তাঁহার বুক ভরিয়ে ব্যথা,
আজব কলি গাজব বলি সত্য গেল লোকায় তলি
পত্র বিনা পথিক চলি, এ কেমন কথা !

নকল হাওয়া সকল তরে বইছে দিবা মান
মনুষ্য জীব মরে গেছে, হয়ছে পশুয়ান,
কলঙ্কিত কৌশল হৃদয় পথ পেয়েছে বিনাদিধায়
মানবতা লুট পেয়েছে, কলমি লতার পাতায় ।







একুশে ফেব্রুয়ারি

প্রভাতে ফেরি কেন যে করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
কর্ম ধর্ম ছেড়ে মোরা, কেন যে পালন করি, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
লাল সবুজের পতাকা তুলে, কেন যে সম্মান করি, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
প্রশ্নের উত্তর জানতে আমরা, কী যে করতে পারি, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি

শহীদ জব্বারের রক্ত মাখা শীতল মাটির দুঃখ ব্যথা তাই তো পালন করি, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
শহীদ বরকতের মায়ের কোল যে খালি, তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
শহীদ রফিকের না ফিরা বাড়ি এমন স্মৃতি রক্ষা করি,তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
শহীদ সালামের মাতৃ দাবি, হৃদয় থেকে আদায় করি,তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ।


আমার মায়ের  মুখের ভাষা, বাংলা মায়ের সকল আশা তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
বাঙালি জাতির প্রাণের দাবি, পাক উর্দু বিদায় করি , তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
শফিউরের প্রাণের স্মৃতি, বাংলা মায়ের দামাল রীতি,তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
রাজনৈতিক ঐ কাল কৃতি, রুখতে পারে বাংলা মিতি,তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ।

ভাষা শহীদ স্মরণ তরে শহীদ মিনারে আকরে ধরে তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
বাংলা ভাষার মাতৃকুলে জীবন রক্ষা করি তাই তো পালন করি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি





মানুষ কত স্বার্থপর


মানুষ কত স্বার্থপর,
বিদেশেতে বাধল ঘর
দেশের খাইল দেশের পড়াল,
আপন সুখে পাড়ি দিল
দেশের কথা ভুলে গেল
নিমক হারামের দল

শিক্ষার তোর মূল কি
বিদেশেরই দালালি, করিস জীবন ভর
তোদের জন্য বাংলা আজ কাঁদে ক্ষুধার তর

 তোদের চেয়ে শ্রমিক ভাল
মাতৃভূমি দুঃখ গুলো করে আপন ঘর।

লজ্জার তোদের নাড়ি নাই
তোরা ফকিন্নিরই দল ভাই
তোদের সুখে বাংলার আরও অনেক কিছু দিতে চাই

সম্মান ঐ পথিক দলের, বাংলার যারা কৃষক বলে
হাড় খাটুনি বাংলার তাঁরা অনেক কিছু দিতে চায়

ধিক্কা তোদের সালাম ভাই, ভিক্ষা দিতে আমরা চাই
তোদের মত বাঙালির বাংলাদেশে দরকার নাই
তোদের চেয়ে প্রবাসী শ্রমিক এরাই বাংলার আপন ভাই
ওদের নিয়ে বাংলাদেশ সুখে শান্তিতে থাকতে চাই।

নিমক হারাম শিক্ষিত, ভণ্ড জাতির দল
বিদেশেতে থাকবি তোরা দিসনা বাংলাই কল ।




ওহে ফাগুন আনিয়াছ আগুন


ওহে ফাগুন আনিয়াছ আগুন
পুড়িয়েছ দেশ, করিয়েছ শেষ ,
ওয়াহিদ ম্যানশন বানাইয়াছ বন
সঙ্করের তাজাতাজা ধন করিল মরণ ।

মা দেখছ নাকি তুমি ঝলসান মানুষ নাকি আমি
দেখে না যায় চেনা, মাতৃ করনা আমায় ঘৃণা,
আমি তোমারি সন্তান কিনা, করও না প্রশ্ন করি যে মানা।

কহেছে দেশ জাগিয়াছে বেশ, আর গুদাম এখানে থাকবে না
সাইদ খোকন ছিলনা তখন , না ছিল মির্জা ফকরুল,
বাক্য বাণী ছড়ায়েছে জানি, বিরোধী দলের কর্মখানি
কি মজার সমবেদনা, পরাণ যে মানেনা মা পরাণ যে মানে না ।

আছে টাকা কড়ি কড়ি , বিলাইবে তারা সালাম করি
মাগো আমি যে ফেরবো না, তুমি আমায় ভুইল না।

রক্ত মাগো শুকিয়ে গেছে, বাষ্পীয় ভাবে উড়ে
শরীরে মাংস ঝলসে গেছে, কাবাব নীতি মূলে
সাতষট্টি প্রাণ করছি যে দান, টাকার মূল্য কুলে।

দফায় দফায় আগুন আসে, ফাগুন আসে না
নীতি পরে নীতি আসে , কাজ তো আসে না
রাষ্ট্রপক্ষ কাস্ট আসে , মাসের পরে মাস তা ভাসে
নিউজ চ্যালেন একটু নাচে, মাঝখানে তে সবাই হাসে
মাগো আমরা আসি না মাগো আমরা আসি না।

ঝলসাব আর কত দিন, ফিরিয়ে দেও আমাদের ঋণ
বাংলার আর একটি প্রাণ, কাবাব বানায়ে না আর খান
মৃত্যু কালে আমার জান, জিগায়, কাবাব বানা কেন খান
আমায় এবার মুক্তি দেন, মৃত্তিকা তে মিশতে দেন।





নীতি শিক্ষা


বস্তুবাদী স্বার্থ সিদ্ধি নয়ন অভিরাম
পুঁজিবাদী কাঁদছেও যদি টাকা-কড়ি আন,
শিক্ষা নীতি ধিক্কার স্মৃতি জ্বলছে অগ্নিবাণ
নীতি শিক্ষা স্মৃতি পাতায় তুলছে দেশের মান
আবার নীতি শিক্ষা আন, বাঁচা দেশের জাত মান সম্মান।

কলঙ্কিত বিমোহিত শিক্ষায় জাতি নরক আনীত
শিক্ষা বলে কি থাকিত, পণ্ডিতমশাইদের দান
নীতি শিক্ষা আন আবার নীতি শিক্ষা আন

স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর হল, ডক্টরেটও পাস করিল
বিদ্যা নমক ডিগ্রি পেল, দেশকে ; করল মোহিয়ান
ওরা দেশের গর্বিত সন্তান, ওরা মায়ের বিশেষ একটা দান,
ওরা বিপথগামী কেন যে হল, দুর্নীতি হাত কেন ধরিল
রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন করে, মূর্খ কৃষক চাষী জেলে জাতির প্রতি টান,
আবার নীতি শিক্ষা আন, বাঁচা দেশেরও সম্মান ।

ধর্মগীতি ব্যবসায়ী নীতি অর্থবাদী সমাজ কাঁদি
টাকার পিছে ঘুরছে মাদী, কুকুর বিড়াল খাচ্ছে যদি
শিক্ষা নামক আজক কৃতী; ছিল কি দরকার ?

বলি দেশের জনগণ, শোন দিয়া তোমরা মন
কি দরকার ঐ কমিশন, নীতি শিক্ষায় দেও মন,
দুর্নীতি আর কারসাজি উঠে যাবে সোজাসুজি
মাতৃকুলে পায় যদি ধর্ম কর্ম নীতির প্রিতি, আর থাকবে না দুর্নীতি ।

বাস্তববাদ আর অর্থ স্বাদ উৎপাদন মুখি শিক্ষা থাক
পাশাপাশি নীতি শিক্ষার বিদ্যা একটু মাথায় রাখ
নীতি শিক্ষা যুক্তথাক, শিক্ষা আইন মুক্তি পাক
দেশধরিয়া দুর্নীতি আর কালবাজি নিপাত যাক।




বন্দুক যুদ্ধে


পত্রিকার শেষে পাতায় মা-বাবা মনের খাতায়
লেখা একটিই নাম, আহমেদ আলী নাই আর হেতায়
কথিত বন্দুক যুদ্ধে জীবন বুঝি তার যায় যায়
অপরাধী আলী হাত তার খালি , কেটেছে কয়েকটি বছর
জেল হাজত কাস্টারি, কিংবা পুলিশের আস্তানায় ।

হঠাৎ একদিন খবর এল আহমেদ আলীর প্রাণ গেল
বন্দুক যুদ্ধে বাবার মৃত্যু, কেন এত মিথ্যা অভিনয়
বড় ছেলে মোজাফফর আলী কষ্ট ভরা মনে এই কথা কয় ।

ছোট ছেলের কান্না সইতে নানু পারে না, ঠিক তিনটা বুলেট
বুকের মাঝ দিয়ে পেরিয়ে গেছে, এক গেলন মাংস নিয়ে,
স্ত্রী সাজেদা হয়েছে জ্ঞান হারা, সেও কী  দিবে পারি নাই তার আহাজারি।

এ কেমন বিচার, বন্দুক যুদ্ধ নাম দিল যার, মিথ্যা কলঙ্ক মৃত্যু লাশের উপর
কেহ করে না কেন এহার বিচার, পিতা আজহার আলী করে যে চিৎকার।
ধার্মিক নানু মিয়া করে ফরিয়ান, মৃত্যু না হয় যেন সবকিছুর সমাধান ,
বিজ্ঞ জন করে আবেদন, হয় না যেন কোন পাপ, মৃত্যুর কারন।

আমি পাপী সাজা দেও কি তাতে মজা পাও
শিক্ষা নয় দিক্ষা নাহি দিয়া, মৃত্যু কলে ঠেলে দেও,
আমার মৃত্যুর পাপ কে নিবে গারেতে, বন্দুক যুদ্ধ চালায় যে
সে কেন এত নিষ্টুর নির্দয়া তার।
আমার অন্যায় যদি পাপ হয়, আমার হত্যা কেন তা নয়?

নীতি শিক্ষা শিথিল করণ, এই তার বিবরণ
বন্দুক যুদ্ধে হাজার ধন হচ্ছে যে হরণ।


শাবলু শাহাবউদ্দিন
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী
(তৃতীয় বর্ষ )
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ,
রাজাপুর পাবনা ।
01746631125
01783134264



নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

জনপ্রিয় লেখা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৭তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৪তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩১ এপ্রিল ২০২৪

অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৬তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩০ আগস্ট ২০২৩