আঁচড়ের উৎস ও দর্শক
বৈশাখী টোটো সাজিয়ে সকালের রোদ্দুর মাখতে মাখতে
নিজেকে অনেকটা সহজ ও উদাস মনে হল।
পাখির কুজন শুনি সে সঙ্গে গাছের আড়ালে দাঁড়ানো নিষাদকে দেখি--
ফুল ও ভ্রমরের প্রেম হল, যেখানে প্রেম সেখানেই বৈরী ও বিরহ হাওয়া,
অনুকূল হাওয়ায় একটা লাল ঘুড়ি উড়ছে--প্যাঁচ দেখি, তারপর ভোঁ কাট্টা,
এক বিদেশিনী সে ঘুড়ি দেখে, সে লুফে নেয় সেই ঘুড়ি
তারপর রংদার খেলার প্যাঁচ উঠে আসতে থাকে শরীরে--
সে সব খেলা তোমায় বুঝিয়ে দিতে দিতে তুমি কেঁদে উঠলে--
আসলে নরম ও কোমল গায়ে সহজেই নখ বসে যায়।
সীমা লঙ্ঘন
ভালবাসতে বাসতে একটা কোমল সীমা লঙ্ঘন হয়ে যেতে পারে,
আসলে সে কদর্য শব্দ সংজ্ঞায় আদালত বসতে পারে--
আর প্রমাণের অভাবে,
ধর্ষণ প্রেমে বদল হয়ে যেতে পারে।
প্রমাণ
অথচ খেলতে খেলতে কত কি না হয়ে যায়--
তুমি যখন চীৎকার করে ওঠো তখনি আলোচনা সভা বসে,
তোমার সোচ্চারের পেছনে প্রমাণ চাই,
সে আঁচড়ের উৎস ও দর্শক চাই।
বারবার বলতে বলতে তোমার বুদ্ধির ভ্রম হতে পারে
তোমার মধ্যে গাধার মত লবন বস্তা বয়ে নেবার
শক্তি গজিয়ে উঠতেই পারে,
সৌন্দর্য আসলে তো তোমার মন,
কদর্যতা সব তোমার মন থেকে উঠে আসছে
তবে প্রত্যক্ষ প্রমাণের মাঝে আগুন জ্বলে উঠতেই পারে,
ধোঁয়ার মাঝে আগুন প্রমাণিত হয়--আগুনের মধ্যে নিঃস্বতা।