কলমের নিব্ ভেঙে......
বালির ক্ষুদ্রতম কণার মতো লাগে নিজের কষ্টগুলো
যখন দেখি একমুঠো শৈশবের হাসি বিকিয়ে যাচ্ছে ব্যস্ত রাজপথে
কিংবা কোনো দারিদ্রতার ফুটফুটে সাদা জুঁই ফুল রূপান্তরিত হচ্ছে রাতের অন্ধকারের রজনীগন্ধায়,
হ্যাঁ হ্যাঁ' তখন ইচ্ছা করে কলমের নিব্ ভেঙে নিজেকে নিজেই শাস্তি দিই মৃত্যু দন্ডের
কি হবে এমন পুরুষ হয়ে যে কিনা ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে গ্রাস করবে আস্ত একটা সূর্য'কে
নতুন একটা ভোরের আলো আর জন্ম নেবে না নরম ঘাসের কোলে
একদিন তো চলেই যাবো অন্য পৃথিবীর সন্ধানে
তবুও কতটা অন্ধকার বুকের উপর চেপে প্রতিটা রাত জেগে থাকি তুমি জানো না নীলাঞ্জনা
আমার স্মৃতিটুকু রয়ে যাবে শুধু অন্তহীন সব কবিতার আনাচেকানাচে
নীলাঞ্জনা, আমার কবিতাগুলো আর কাব্য গ্রন্থের রূপ পাবেনা
তোমারও আর উপন্যাস হয়ে ওঠা হবেনা
কারন আমি আজ সত্যি নিজেকে নিজেই মৃত্যু দন্ডের শাস্তি দিলাম
কলমের নিব্ ভেঙে।
---------------------------------------------------------------------
মেঘবালিকা ও পাহাড়....
কুনাল গোস্বামী
মেঘবালিকা তুমি পাহাড় দেখে বৃথাই পাচ্ছো ভয়
তোমার বুকে সে আঘাত করবে কি করে?
ঐ পাহাড় তুচ্ছ তোমার পর!
চেয়ে দ্যাখো তোমার এলোকেশীর আংশিক অংশটুকু ওর গা বেয়ে কেমন স্পর্শ করছে মাটি সাদা ঝর্না রূপে,
যখন রোজ সন্ধ্যায় সূর্য ডুব দেয় ঐ পশ্চিমে
তখন সারাটা রাত গাঢ় অন্ধকারে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তোমার প্রতীক্ষায়
আবার একটা নতুন দিনের আলোর সাথে কখন তুমি আসবে
আবার কখন তোমার স্পর্শে ভিজবে ওর সারা শরীর ;
আচ্ছা মেঘবালিকা তুমি কি বোঝো না পাহাড় তোমার প্রেমিক হতে চায়?
আচ্ছা মেঘবালিকা তুমি কি আর একটু বেশি থাকতে পারো না ওর কাছে?
পাহাড় যে তোমাকে সত্যি খুব ভালোবাসে
একদিন চেষ্টা করো না ওর বুকে মাথা রেখে তোমার যত বজ্রগর্ভ অভিমান'গুলো বৃষ্টিপ্রপাত রূপে ঝড়িয়ে দিতে!
---------------------------------------------------------------------
কুনাল গোস্বামী
গ্রাম- পূর্ব কন্যানগর
পোষ্ট- কন্যানগর
জেলা- দক্ষিণ ২৪ পরগনা