পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। নতুন দিন ।। রবীন বসু

নতুন দিন রবীন বসু নতুন বছর নতুন দিন স্বপ্ন ভরাক আলাদিন, যা গেল তা পিছে থাক যত দুঃখ শোক তাপ l মনের মাঝে জল ছবি কাঁপছে দেখ নিরবধি, কী ওঠে কী-বা পড়ে ঘন্টা কেবল নড়েচড়ে l জোনাক জ্বলে আঁধারে স্মৃতিরা উড়ছে বাহারে, মন পবনের নাও ভাসে কোন সুদূরে সুখ হাসে ! দুঃখ-সুখের ভেলা চেপে পাওনাগণ্ডা দেখি মেপে, গেল বছর কিই-বা দিল কতটা যেন কেড়ে নিল? ওই যে মেয়ে পণের বলি গায়ে আগুন শুধুই জ্বলি, মুখে অ্যাসিড নাহলে রাজি জামিন দেন হিসেবি কাজি l ভয় যে আছে ঘরের মধ্যে বাঘ বেশে বসেছে ঘোগে l নতুন বছর নতুন সে দিন ওদের এবার বাঁচতে দিন l ও মেয়ে তোর করুণ হাসি এবারও যেন না হয় বাসি ! ==================== রবীন বসু ১৮৯/৯, কসবা রোড, কলকাতা-৭০০০৪২

কবিতা ।। নববর্ষের প্রার্থনা ।। দীনেশ সরকার

ছবি
নববর্ষের প্রার্থনা দীনেশ সরকার নববর্ষ আসুক ফিরে জ্বালুক খুশির আলো সবার মুখে হাসির ধারা পড়ুক ঝরে ঝরে, মেরুদন্ড সোজা রেখে সবাই খাকুক ভালো নববর্ষ বিমল আলো ছড়াক নতুন ভোরে। খাঁচাবন্দি জীবন থেকে মনের মুক্তি হোক শত্রু-মিত্র আলিঙ্গনে দিক তারা সব ধরা, স্বজনহারা বিয়োগব্যথা, সকল দুঃখ-শোক দূর হয়ে যাক্‌ মন থেকে সব, মন হোক খুশি ভরা। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর ভেদাভেদ থাক্‌ পড়ে সব দূরে ভালোবাসার ভুবনডাঙা উঠুক ভরে ফুলে, সবাই মিলে জীবনের গান গাই যেন একসুরে হাসি-খুশির মিলন মেলায় উঠুক হৃদয় দুলে। নতুন বছর আসুক আবার আশার প্রদীপ নিয়ে দূর করে দিক কালিমা-কলুষ, মনের গ্লানি যত, সবার হৃদয় দিক সে ভরে ভালোবাসা দিয়ে বাঁধার সাগর পেরিয়ে সবাই হাসুক ফুলের মতো। ************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ---- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। গ্রীষ্মযাপন ।। রহিত ঘোষাল

ছবি
গ্রীষ্মযাপন রহিত ঘোষাল রসুলডি যাওয়ার যে পথ তন্দ্রাভিভূত  চলে গেছে হালকা হলুদ গুহ্য মাটি মেখে সেখানে ধুলোর জিগির উঠেছে,  দাহ চিহ্ন উলকি আঁকছে, সূর্যের ধুনুচি থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ছে খসখস পাতার ক্রীড়াকৌতুকে, সেখানে  যাজ্ঞসেনী জঠরজ্বালা নিয়ে কাঠ কুড়ায়, প্রজ্ঞা প্রদীপ জ্বালায়, যমযন্ত্রণা দিয়ে বস্তুজগৎ প্রসব করে, ঘাসুড়িয়া গ্রাম তাকিয়ে থাকে ঝিলমিল তারাদের দিকে বিমুগ্ধতায়।। ==================== রহিত ঘোষাল, বাঁশদ্রোণী সোনালী পার্ক কলকাতা ৭০ 

কবিতা ।। নারী ।। লালন চাঁদ

ছবি
নারী লালন চাঁদ         নারী ! ! তুমি আজও বুকে আগলে রাখো সংসার এক টুকরো হাসি রোদ খুঁটে খাওয়া নশ্বর সুখ। স্বপ্ন অনাবিল তোমার মন বাগিচায় পাখি ওড়ে মিশে যায় নীলে তুমি হাপিত্যেশ করো দুপায়ের মায়া বেড়ি ভাঙতে পারো না কিছুতেই কতো স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসে সকাল মান অভিমান তুমি প্রতিবাদ করো না। মুখ বুজে সয়ে নাও সব তুমি কী পেয়েছো নারী ??? আজও পেয়েছো কি স্বাধীনতা পেয়েছো কি অধিকার নিজেকে প্রশ্ন করো। হাজার বার। সারা জীবন যারা তোমার কথা বলে আদতে তারা কপট। লোভী। নিষ্ঠুর স্বার্থপর রাস্তায় আজও নারীরা ধর্ষিতা হয় খুন হয়। লাশ হয় নারী রক্তে সিক্ত হয় রাজপথ তোমাকে নিয়ে বিচারের নামে চলে নির্মম প্রহসন নারী সময় এসেছে। জোট বাঁধো। লড়াই করো বেঁধে বেঁধে একসাথে সব অধিকার উসুল করে নাও   ---------------------------   লালন চাঁদ  কুমারগঞ্জ। দক্ষিণ দিনাজপুর।

তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন

ছবি
   তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন   মানুষ মানুষ তোমাকে নিয়ে চরকি বাজি  খেলতে খেলতে হাফ ধরে গেল সভ্যতার। তখন একটু অসভ্যতা করার বাসনায় দুটো দেশে যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়া হল। জমে উঠলো মোহনবাগান - ইস্টবেঙ্গল। এখন ঠ্যালার নাম বাবাজি কে আগে যুদ্ধু শুরু করেছিল  খুঁজে বার কর।  তখন আবার সভ্যতা সভ্যতা মানুষের অগ্রগতি ইত্যাদি চরকি বাজি শুরু করা যাবে। পথ পথগুলি কোথায় যে থাকে পথগুলি কোথায় যে যায়  ধরা দেয় বুঝি জ্যোৎস্নাকে যেন সে বড় নিরুপায়। তোমার পথে যে পড়ে নদী তার বুঝি দু'কুলে ভাঙন সে ভাঙনে ত্রস্ত হও যদি পাশে আমি যাব কি তখন ! তোমাকে নিবিড় করে পাবো এই আশা মনে প্রতিদিন না হলে কি সর্বস্ব হারাব হব দিকভ্রান্ত বেদুইন ! তাই পথ - শব্দ গুলি শুনি মনে মনে অর্থ তার গড়ি  গান গায় উত্তর ফাল্গুনী শব্দ যেন নবীন মঞ্জরী।     রোবট একটা রোবট আমার সঙ্গী সে সাথে সাথে থাকে সব সময় তাকে যা জিজ্ঞাসা করি তার উত্তর দেয় মনে হয় গুগুল'এর মেধা দিয়ে তৈরি। মাউন্ট এভারেস্ট যে কেটে সমুদ্রে ফেলে দিলে যে ডুবে যাবে - সঙ্গী রোবটের কাছে জানলাম। তখন থেকে রোবটের ওপর শ্রদ্ধা ভক্তি বেড়ে গেল। ওকে জিজ্ঞাসা করলাম - ভালোবাসা কোথায

তিনটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
  ৩ টি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত স্পর্শ সময় বয়ে যায় সময়ের সঙ্গে অপেক্ষার তাজমহলে ভালোবাসার প্যারাসিট আমল প্রতি ঘরে সময় কেটে যায় সময়ের নিভৃত যন্ত্রনায় আপামর জানসাধারণ জানে ফেলে আসা ব্যর্থতার ইতিহাস কলকে গাছের ডালে পাখি এখনো বাসা বাঁধে রাত পেঁচারা প্রতিনিয়ত আসে আমার ঘরে বিষন্ন কবি জীবনে ডুয়ার্সের নদী একাই তরাইকে স্পর্শ করে।     মিলিয়ে যাচ্ছে কতগুলো আঁকড় কাটছি বইয়ের পাতা জুড়ে নিঃস্ব মুহূর্তে যত অভিমান দূরে সরে যাচ্ছে বেরঙের রঙ ঘিরে আছে যত অন্ধকারের বিলাসিতাকে কথা দেওয়া এক একটা... পিরামিডের গায়ে লিখে রাখা সুক্ষ চেতনার অভিপ্রায় এখন শুধু রঙ বদলানোর খেলা আর আমার যত বেদনা নীলে নীল হয়ে আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে।।     কথনের ঝলক কত ব্যর্থতা লিখে গেছে ইতিহাসের শিরোনাম অন্ধ মননে জেগেছিলো কালের পুতুল আজ তাকে লিখতে হচ্ছে অতীত কাঁচা পাকা মরুবণ একদিন বয়স পেরিয়ে হবে প্রাচীন তবুও তুমি কথা রাখবেনা আলো ছায়ায় হেসে উঠবে কথনের ঝলক।    =============== তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুণ্ডু, হুগলী   

কবিতা ।। ভাষার সুধায় ।। বিবেকানন্দ নস্কর

ছবি
ভাষার সুধায় বিবেকানন্দ নস্কর এপার বাংলা ওপার বাংলা বাংলা ভাষার টান মাটির মাকেই রক্তাঞ্জলি ভাষা শহীদের মান। আপন কন্ঠে উচ্চারিত মাতৃ ভাষার  তান মায়ের  মতোই ভাষার ব্রত ই উৎসর্গিত প্রাণ। আ মরি ভাষার টানেই শব্দ মিছিল  মানুষ বিশ্ব জয়ের জেদের নেশায়  ওড়ায় স্বপ্ন ফানুষ। বাংলা আমার বাংলা সবার বাংলা আলোর মুখ পরম যাপন ভাষায় আপন ভাষায়  দু:খ সুখ। বর্ণমালায় রক্ত ধারায় একুশ ফেব্রুয়ারি  অমর গাথার স্মরণ ব‍্যাথার ভাষার আলোর তরী। বঙ্গ ভাষায় বোধের তৃষায় ভাষার অতল তল ভাষার সুধায় ভাষার মায়ায় চোখের কোণায়  জল।

কবিতা ।। একুশ আমারে ।। সুজন দাশ

ছবি
একুশ আমারে  সুজন দাশ  একুশ আমারে জাগায় আলোকে  দেখায় চলার পথ,  নেয় টেনে বোধে চেতনার রোদে  জ্ঞানের টানে রথ! একুশ শেখায় শির উঁচু করে অনিয়ম যেন রুখি,  দাঁড়াতে সাহসে প্রতিবাদে তার হই যাতে মুখোমুখি ।  শহীদ স্মৃতির বীরত্ব গাঁথা প্রেরণার ছবি আঁকে,  ভাসায় আমারে দুর্জয় ত্যাজে  একতায় কাছে ডাকে!  মায়ের গায়ের ঘ্রাণ দেয় মনে  দেশপ্রেম দেয় এনে, বাঁচতে শেখায় স্বকীয়তা ভিতে  আপন কীর্তি মেনে।  হাত ধরে তার পেয়েছি স্বদেশ  আপন মাতৃভূমি,  একুশ আমার আলো আশা গান  শহীদ চরণ চুমি! ============= সুজন দাশ  আটলান্টিক সিটি, নিউজার্সি,  যুক্তরাষ্ট্র।

কবিতা ।। পৃথিবীর বারান্দা মুখরিত হয় ।। আবদুস সালাম

ছবি
পৃথিবীর বারান্দা মুখরিত হয় আবদুস সালাম উদ্বেগে উথলে ওঠে বাহু অন্তহীন অভিসারে চুমু খায় প্রেমের পাখি কড়া নির্দেশে মূহুর্মূহু গর্জে উঠে  বুলেট নীরব স্রোতে মেশে রক্তের ফুলকি লুটোপুটি করে ফাগুনের রক্ত মাখা ভাষা শহিদের অঙ্গিকার  মৃতময় ধূসর আল্পনা আঁকে মাতৃভূমির উঠোনে  সালাম বরকত জাব্বারেরা  দেখছে বেহেশত থেকে  মাতৃভাষার ফেরেস্তারা খোঁজ করছে তাদের   স্মরণে লক্ষ পাখির কলতানে মুখর আজ পৃথিবীর বারান্দা ### আবদুস সালাম  প্রয়াস শ্রীকান্তবাটি মাদারল্যান্ড রঘুনাথ গঞ্জ মুর্শিদাবাদ

কবিতা ।। বিপ্রতীপ হাওয়া ।। দীপঙ্কর সরকার

ছবি
বিপ্রতীপ হাওয়া    দীপঙ্কর সরকার নিরাপদ দূরত্ব থেকে জয়ের উদ্ভাস। সবটা যায় না বলা বাতাসেও নড়ে ধর্মের কল। ওজনস্তরে বিস্তর ফাঁক লৌকিক হাটে ছড়িয়েছে গুজব সকল। আরও কিছু বাকি থাকে পরস্ব হরণ, সন্নিকটে আলোর ইশারা। অনুকরণের দায়টুকু ছায়ায় বর্তায়, এ নহে শ্রুতি নির্ভর। কর্মের ফল প্রকাশ্যে আসে না সহজে, হিসেবের খাতায় লেখা থাকে অনুশাসনের তামাম বয়ান। ================== দীপঙ্কর সরকার কাঁঠাল পুলি (সিংহের হাটের কাছে) চাকদহ নদিয়া ৭৪১২২২

কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। লালন চাঁদ

ছবি
                          একুশে ফেব্রুয়ারি   লালন চাঁদ শেষ দিগন্তে ভেসে যায় জীবনের তরী বিধ্বস্ত রাতের বুকে জেগে ওঠে রক্তবীজ বারবার রক্তে রঞ্জিত বাংলা তবু রক্ত ঝরানো সংগ্রাম গড়ে তোলে  দামাল সৈনিক বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি তাই লড়াই করে বাংলা ভাষা ছিনিয়ে এনেছে অধিকার রাফি বরকত জব্বার সালাম প্রাণের বিনিময়ে স্বীকৃতি আদায় করেছে মাতৃভাষার একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা পেয়েছে মর্যাদা বিশ্বের দরবারে পূজিত আজ বাংলা ভাষা ------------------------------------------------- লালন চাঁদ গ্রাম + পোস্ট = কুমারগঞ্জ। জেলা = দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। ভাষার ভালোবাসা ।। কেতকী বসু

ছবি
ভাষার ভালোবাসা কেতকী বসু বাংলা আমার মাতৃভাষা,স্বপ্ন সাগর তীরে, তোমায় আমরা বরণ করি সুখের পারাবারে। জন্ম থেকে মায়ের ডাকে, বর্ণ পরিচয় মধুর তোমার সুরের ধ্বনি, বাংলা মায়ের জয়। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল যার নাম একই মন্ত্রে গান গেয়েছেন, বাংলা ভাষার দান। দ্বিজেন্দ্রলাল,অতুলপ্রসাদ সুরের জাদুকর বাংলা ভাষা মিষ্টি মধুর, সৃষ্টি শুধাগর। ফাগুন ঝরা আগুন দিনে কৃষ্ণচূড়া লাল শত সহিদের প্রাণের রক্তে সত্যের বেড়াজাল জন্মভূমি বাংলা আমার শস্য ভরা ক্ষেত, বরকত আর রফিক তাদের নেই জীবনের খেদ। পূর্ণ ভূমি স্মরণ করি, বাংলা ভাষার জয়, ২১ হলো মহান দিবস জয় জীবনের জয়। ইতিহাস আজ সাক্ষী দিল বাংলা ভাষার দিন স্মরণ করি আমরা তোমায় ,লিখে যাই প্রতিদিন , প্রাণের মতন সুধা সিন্ধুর,অক্ষর আর লিপি এই ভাষাতেই ' মা ' কে ডাকি, চিরজীবনের স্মৃতি। বর্ণরা আজ গন্ধ ছড়ায়,বাংলাকে প্রাণে ধরি চিরসত্যের জীবন শেখায় ২১ ফেব্রুয়ারি।। ================ Ketaki Basu Haridash Dutta road Post.joynagar Majilpur Dist. 24 PGS West Bengal Pin.743337

কবিতা ।। একুশ তুমি মায়ের চোখে ।। গোলাপ মাহমুদ সৌরভ

ছবি
একুশ তুমি মায়ের চোখে  গোলাপ মাহমুদ সৌরভ  একুশ তুমি কেড়ে নিয়েছ আমার ভাইয়ের প্রাণ,  একুশ তুমি বাংলা ভাষার  বর্ণমালার গান।  একুশ তুমি রক্তে কেনা  স্বাধীনতার নাম, একুশ তুমি রাজপথের  গায়ে ঝরানো ঘাম।  একুশ তুমি লাল সবুজের  প্রিয় যে বাংলাদেশ, একুশ তুমি ধান শালিকের চির সবুজের দেশ।   একুশ তুমি রক্তে রাঙানো  বর্ণমালার গান, একুশ তুমি শহীদ ভাইয়ের  কেড়ে নেওয়া প্রাণ।  একুশ তুমি মায়ের চোখে  সন্তান কাড়া দাম,  একুশ তুমি বাংলা ভাষা ফিরে পাওয়াদানাম। =============== গোলাপ মাহমুদ সৌরভ  বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। 

কবিতা ।। আমার মাতৃভাষা ।। অজিত কুমার জানা

ছবি
আমার মাতৃভাষা  অজিত কুমার জানা  মনের গরম চুল্লীতে,  টগবগ ফুটন্ত ভাব,  মাতৃভাষায়ই মিলতে পারে ডানা।  ছড়ায় ও ছন্দে ঝান্ডা তুলে,  গাইতে পারে স্বাধীনতার গান।  মাতৃভাষাই আঁকতে পারে,  সব জ্যামিতিক চিত্র।  নদীর উভয় কূল ছাপিয়ে,  প্লাবিত উর্বর ভূমিতে,  ঝলমল করে সোনার ফসল।  আমার ভাবের প্রাণ   আমার মায়ের দান, বাংলাভাষা আমার মাতৃভাষা।  ================ Ajit kumar Jana, Vill +Post-kotra, P.S-Shyampur, Howrah, West Bengal, 

নিবন্ধ ।। কবিতায় উত্তরাধুনিক প্রসঙ্গ ।। বিদ্যুৎ ভৌমিক ২১

ছবি
প্রসঙ্গ উত্তরাধুনিক  বিদ্যুৎ ভৌমিক          "উত্তরআধুনিক"-- প্রসঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকে অনেক ভাষণ-টাষণ দিয়েছেন, নানা সাহিত্যধর্মী ম্যাগাজিনে লম্বা লম্বা প্রবন্ধ লিখেছেন পন্ডিত মহল ৷ আমি সেই বিচারে পণ্ডিত-  টন্ডিত নই, তবে আমার সামান্য অল্পসল্প পড়াশোনা থেকে এটা বলতে পারি, আসলে আমার যেটা মনে হয় এই উত্তর আধুনিকতাবাদ আধুনিকতাবাদের একটা প্রকারন্ত দিক! যা গোটা ব্যাপারটাকে সমৃদ্ধ করে। কিম্বা আধুনিকতার পরবর্তী সিঁড়ি বলা যেতে পারে৷ কিন্তু আসলে আদৌ সেটা নয়! কারণ এরা পরস্পর বিরোধীপক্ষ৷ আধুনিকতার মূল উপজীব্য হল, এটা যে সময়, তাকে আদ্যোপান্ত ধারণ করা৷ কিন্তু উত্তরাধুনিকতার মূল বিষয়টা হল, কোন কিছু ধ্রুব অর্থাৎ সত্য মেনে ধারণ করা যাবে না৷ ফলে এই ধ্রুবহীনতাকে আদর্শ ধরে যে কাঠামোকে গ্রহণ করা হয় তাকেই বলা যেতে পারে উত্তরাধুনিকতাবাদ৷ এই মতবাদটিতে লেখকের যে ক্যারেক্টরের কথা বলা হয়ে থাকে তা মূলত লেখকের স্বাধীনতা কিম্বা স্বকীয়তা৷ কবিতার বিষয়বস্তুই হল বাস্তবতার ভিন্নরূপ! কেননা কবি তার চারপাশে যেই চিত্র উপলদ্ধি করেন তাই শব্দের মাধ্যমে আঁকেন৷ তবে বাস্তবতাকে যদি ধ্রুব না মানা যায় তবে কি দরকার কবিতায়

কবিতা ।। কাইতিনের হাট ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
কাইতিনের হাট   অনিন্দ্য পাল  সবুজ বটতলা  ছুঁয়ে আছে পুকুরের মেদ  এখনও,   দু-এক পা এগিয়ে যেখানে তিনটে মাথার মিল  সেখানে এখন অতীত অমিল,  অথচ সেখানে ছিল ঘুনসিবেলায়  রমরমা শীত, আনন্দমেলায়...  অনেক ছোট তখন  চিনি না লিঙ্গভেদ, জাত-বেজাত  বুঝি না লোকসান - লাভ , মন-আঘাত  গাঢ় চোখে খুঁজিনা বিপরীত অন্তর-বাস  রাতে ভয় পাওয়া তখন স্বভাব,  জানি না তখনও অন্ধকারেরও আছে শরীর  বুঝি না বড়লোক কি?  মরা-গরীব সেই তখন থেকেই দেখেছি মাঙন,  উপবাস  দেখেছি গ্রামের কাইতিন হাট ,  মাঘ-ফাল্গুন মাস পূর্ণিমাতিথী  বৃহস্পতি রবিবারের সদ্য বিকেলে  গুচ্ছের লোক,  ধানের পালিতে মেপে মুড়ি-মুড়কি  বেগুনি, চপ, পাঁপড়, ফুলুরি আরো কতকি  ছেঁড়া ত্রিপলের নীচে ঝাঁকবাঁধা পরিযায়ী  হাঁড়ি কলসি রান্নাবাটি দোকানপাট পোড়ামাটি  কুমোরের পনে পোড়া লাল মাটির খনখনে শব্দে ভেঙে যেত কাঁচা ঘুম, দুপুরে নিঃশব্দে  আসলে ঘুমটা ভাঙতেই চাইতো  দুষ্টু স্বপ্ন গুলো আঁচড় কাটতো  দুদ্দাড় উঠে পড়ে বায়না রঙীন  এরপর কঠিন কাজ, হপ্তায় দুদিন  ঘুমন্ত বাবার গাঁট কেটে  অবিরাম ঘ্যান ঘ্যান কেঁদে কেটে  একটা সিকি বা আধুলি নিতান্ত মেরেকেটে  মান অভিমানের ছোট্ট সেই সব সিন  পৌষ - মাঘ জুড়ে হপ

কবিতা ।। তৃতীয় পরাদেশের কুণ্ডলাকৃতি জৈবনিক পাহাড় ও গর্ভের ধ্রুবপথ ।। নিমাই জানা

ছবি
তৃতীয় পরাদেশের কুণ্ডলাকৃতি জৈবনিক পাহাড় ও গর্ভের ধ্রুবপথ নিমাই জানা অ্যামোনিয়াম সিলিকেট মিশ্রিত ব্রহ্মকুণ্ডের রসালো নোনতা রক্তের মত আগুনের হৃৎপিণ্ড ঝিল্লি লিলিথের খৈ উঠছে শ্মশানের উদগীরণ আগ্নেয় ক্ষমা আর আগুনের জেলিফিকেশন কঙ্কালদের মুখে ,হে  বিশুদ্ধ তরবারির নীল দিতি , তুমি প্রতিদিন খুলে রাখ এ জন্ম ঘরের অযোনিজ সম্ভোগ দশা √ ঈ কারের তৃষ্ণা চিহ্নের মতো শান্তিব্রত নক্ষত্রেরা তীব্র ক্ষুধার গম্বুজাকৃতি মঞ্জির বাজাচ্ছে নিজেদের অঙ্গিরা মুলাহারে  , অসংখ্য স্বরবর্ণের মতো নৃতত্ত্ব ধ্বংসাবশেষের নৃত্য মুদ্রা  , যক্ষের সুদক্ষ আলুলায়িত স্বর্গ , ধর্মগ্রন্থী তৃষ্ণার্ত পাখা পিচ্ছিল ধ্বংসনগরী শুরু করেছে এ বিভাবতী ঘোরের মিথুন চোখের ঋতম প্রবাহ , একটা জল ডোবা সেতুর নিচে আমরা মৃত সাদা রুপোলি মাছের বিষাক্ত জলে ডোবানো ঝোল রেঁধে খাচ্ছিলাম আমরা দুজন আমি অসংখ্য -১৫°  ডিম্বক খোলকের ভেতরে বসে থাকা খোলকহীন যুদ্ধক্ষেত্রের অপরাজিত সৈনিকের লাল কেশোদ্গম ও গন্ধহীন গলাকাটা বিষাক্ত পরিযায়ী দেবতাদের পাহাড়ের ঘাম  , বাতাসে ভেসে থাকা শুঁয়োপোকাদের মত পিচ্ছিল আলখাল্লা ফেলে আমি রাতের নৈঋত বিন্দুর অতলান্তিক জলযান হয়ে যাই আম

কবিতা ।। চোর সিরিজ ।। দেবাশীষ সরখেল

ছবি
চোর সিরিজ   দেবাশীষ সরখেল চুরি হয়ে গেছে রাজ কোষে ।  যদিও কী চুরি কেমন চুরি কোন সময়  --- এসব প্রশ্ন অবান্তর ।     চুরি হয়ে গেছে সেইটাই বড় কথা।        তাছাড়া রাজার কোষাগারে বিবেক রয়েছে , বুদ্ধি রয়েছে জ্ঞান আছে , স্বাস্থ্যের সারথী রয়েছে , আছে রাশি রাশি খাদ্য পশুর ও মানুষের ।আছে রত্নোদধী রত্নসাগর রত্ন কুট ।        সব চুরি হয়ে গেছে রাজকোষে ।   মন্ত্রী সান্ত্রী সিপাই বরকন্দাজ সকলে ছুটলেন ।             বিলম্ব দেখে অবশেষে বেরিয়ে পড়লেন রাজা ।         সাত ঘোড়ার গাড়ি হাঁকিয়ে চলল তস্করের অনুসন্ধান ।     খোঁজ খোঁজ খোঁজ । অনুসন্ধানের দাপটে কেঁপে উঠল নদী পাহাড় গ্রামগঞ্জ ।              অবশেষে রাজাকেই ধরে নিয়ে আসলেন এক চন্ডালমার্কা কবি ।       সকলে হই হই করে উঠলো । এ আবার কী তামাশা ? যার ঘরে চুরি হলো, সেই হয়ে গেল চোর ?           রাজার বশংবদ কেউ মানতে চাইলেন না । প্রায় সকলে বললেন, এই চালচুলোহীন,ক্ষ্যাপাটে মতলববাজ কবিকে অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করা হোক  ?        কবি ও মৃদু হেসে প্রস্তুত ।   অকস্মাৎ গোল বাঁধলো চারিদিকে।          আকাশে উঠল ঘন কৃষ্ণ মেঘ, গাছেরা মাথা দোলাতে লাগলো ।হাজার হাজ

গুচ্ছকবিতা ।। সুশান্ত সেন

ছবি
গুচ্ছকবিতা ।।  সুশান্ত সেন চুপ জানি চুপ করে থাকা উচিত নয় চুপ করে থাকলে অন্যরা উৎসাহিত । তবু চুপ করে থাকি ফুলের মত ফলের মত কৃষ্ণচূড়ার ডালের মত নদীর মত ডোবার মত ঝোরার মত  এবং  চুপ করে থাকতে থাকতে  ক্রমে বোবা হয়ে যাই। তখন ঝড় এসে ছুড়ে ফেলে দেয় গাছ তলায়। হা হা হি হি করে করা সব হেসে ওঠে। বাঙালির যীশু বাংলা মায়ের বুকের ওপরে অনেক প্রেরণা এসে মিলে মিশে সব এক হয়ে যায় সবাই কে ভালবেসে, সৃষ্টিকর্তা বড় উদাসীন সবাই তাহার কাছে প্রার্থনা করে চেয়ে নিতে চায় যার যা পাওনা আছে । মনের ভেতর মঙ্গলদীপ সতত জ্বালাও যদি সকাল ধর্ম প্রেমেতে মেশাবে বহতা হবে যে নদী। বাঙালির যীশু তাই বেধে দিল যত মত তত পথ মিলন গঙ্গা মর্তে আনলো অমর সে ভগীরথ। বাঙালির বুকে সদা জাগ্রত ভারত মহিমা খানি প্রভাত আলোর ঝলকানি নিয়ে স্বর্গ আনবে টানি। ক্ষমা ক্ষমা ত চাইতেই হবে এই পূবের আলো লাগা বাতাসের কাছে তাকে ত আঘাতে আঘাতে কালিমালিপ্ত করে ফেলেছি। ক্ষমা ত চাইতেই হবে এই আলো ঠিকরে ওঠা হিমবাহের কাছে তাকে ত গলিয়ে গলিয়ে ক্ষুদ্রতর করে চলেছি। ক্ষমা ত চাইতেই হবে উত্তর মেরুর হিম বাতাসে ভেঙে ভেঙে যাওয়া শৈল শিখরের কাছে, নীল তিমিদেরও কাছে, তাদে

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪