পোস্টগুলি

১২শ # মাতৃভাষা দিবস সংখ্যাঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ফাল্গুন ১৪২৫ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

ছবি
সম্পাদকীয়  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ব্লগ-নবপ্রভাতের এই সংখ্যাটি প্রকাশিত হল। বাংলার সন্তান হিসাবে গর্বিত ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী আমরা । সেই গর্ব থেকেই এই সংখ্যা। সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।  সূচিপত্র  গদ্যঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়    আশিস চৌধুরী   মনীষা কর বাগচী   বনশ্রী রায় দাস   মানসী বিশ্বাস   শেফালি সর   অমৃতা বিশ্বাস সরকার   রণেশ রায়   রাণা চ্যাটার্জী    স্বরূপা রায়। কবিতা/ছড়াঃ জয়ীতা চ্যাটার্জী    কবি আর্যতীর্থ   সোমের কৌমুদী   হীরক বন্দ ‍ ্যোপাধ ‍ ্যায়   অর্ণিশা সেন   অবশেষ দাস   সুমন কুমার সাহু   অনুরূপা পালচৌধুরী   আবদুস সালাম   সোমনাথ বেনিয়া   শুভাশিস দাস   নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত   সুমন নস্কর     স্বপনকুমার বিজলী   অমিত পাটোয়ারী   নির্মল করণ   পবিত্র রায়চৌধুরী   জয়শ্রী কর   রবীন বসু    নিসর্গ   নির্যাস মাহাতো  খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়   রাজু কর্মকার   ফিরোজ আখতার   তুষার আচার্য্য   অজিত কুমার কর   জয়শ্রী রায় মৈত্র   স্মৃতি দাস   শক্তিপদ পণ্ডিত   রমলা মুখার্জী   সবিতা বিশ্বাস   তপন কুমার মাজি 

অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ

ভাষা নিয়ে ভাবনা কিন্তু কেন? অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু জিনিস নিয়ে ভাবনায় মানুষ যখন জেরবার হচ্ছে তখন ভাবনার ভাঁড়ারে ভাষার মত অতিরিক্ত আর একটি বিষয় ঢোকান হল কেন? স্বভাবতই মনে হয় সুখে-স্বাচ্ছন্দে দিন কাটানো মানুষ অথবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন গুজরান  করা লোকগুলোর কাছে ভাষা নিয়ে এই ভাবনার পরিসর কতখানি – বিশাল অথবা ক্ষুদ্র? বিষয়টিতে আবেগ কতখানি আর বাস্তব কতখানি? অনেকেই হয়ত এমন আছেন ভাষা বিষয়টিতে আবেগাশ্রিত একটা বাড়াবাড়ি বা পাগলামি বলে মনে করেন। বিশেষ তাঁরা যারা বাংলা মাধ্যমে পড়ার চেয়েও হিন্দী ও ইংরিজি মাধ্যমে পড়াশোনার ওপর জোর দেন। আজ বিশ্বের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় চাকরি, শিক্ষা, গবেষণা বা অন্যান্য বহু কারণে আমাদের বহির্মুখী স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতেই হচ্ছে। এই গা ভাসানোতে কোনও অন্যায় নেই, নেই কোনও নীতিহীনতা। কথাতেই আছে 'গরজ বড় বালাই'। তাই আন্তর্জাতিকতা আদায় করতে তুখোড় হতে হয় ইংরেজিতে। কারণ এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিকতায় ইংরিজি ভাষার কোনও বিকল্প গড়ে ওঠে নি। তাই ইংরিজির প্রচার, প্রসার আর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। জাতীয় ক্ষেত্রে এখন সেই স্থান বোধহয় দখল করেছে বা করতে চলেছে

আশিস চৌধুরীর প্রবন্ধ

'মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা'  তাড়িত দুঃখের মত চতুর্দিকে স্মৃতির মিছিল/রক্তাক্ত বন্ধুদের মুখ,উত্তেজিত হাতের টঙ্কারে/তিরের ফলার মত ভাষার চীৎকার /বাংলা বাংলা.../কে নিদ্রামগ্ন আমার মায়ের নাম উচ্চারণ কর?'আল মাহমুদের এই কবিতা পড়লেই কেন জানি না ভেসে ওঠে সেই মুখগুলি যারা ঢাকায় এবং অসমের শিলচরে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন.১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরর শান্তিপুর্ন  আন্দোলনে পুলিশের বর্বরোচিত গুলি চালনায় আব্দুস সালাম,রফিক উদ্দিন আহমেদ,আবুল বরকত এবং আবদুল জব্বর নিহত হন। পরবর্তীকালে অরথাত১৯৬০ সালে অস্ম সরকার অসমিয়াকে একমাত্র সরকার স্বীকৃত ভাষা ঘোষনা করলে  শিলচরের বাংলাভাষী মানুষ আন্দোলনে শামিল হন।সেই একই বর্বরোচিত কায়দায় পুলিশের গুলি চালনায় সেদিন শিলচর রেলস্টেশনে ১১ জনের মৃত্য হয়.১১ টি প্রাণের বিনিময়ে অসম সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয় এবং বাংলাভাষা তার স্বমর্যাদা ফিরে পায়। এই নিহত ১১ জনের মধ্যে একজন মহিলা ছিলেন তাঁর নাম কমলা ভট্টচার্য।ইনিই পৃথিবীতে ভাষা আন্দোলনে নিহত প্রথম মহিলা শহিদ। পরবর্তীকালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এবং আমাদের দেশে আপন ভাষার জ

জয়ীতা চ্যাটার্জীর কবিতা

এবার একুশে অদৃশ্য এক হলদে হাওয়া  ঘুরে বেড়ায় উদাস হয়ে।  রক্তে আমার তুফান ওঠে মাতৃভাষা পড়ছে নুয়ে।  হিম নিশিতে কেঁপে উঠি আমার বাংলা হচ্ছে ক্ষয়।  কোথায় রবি, কোথায় দুখু বাংলা ভাষায় থমকে ভয়।  আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্না থামে রঙটা কেনো গাঢ় নীল?  কবিতা জুড়ে কবির ছায়া আগের মতো পাই না মিল।  এ দুঃখ আমার অস্তিত্বের,  চোখের পাতা থেকে আঙুলে ধায়। যন্ত্রনারা শিরশিরিয়ে উঠছে বুকে মাতৃভাষার শিকড় টাকে ধরবি আয়।। ====================== Jayeeta Chatterjee C/o= Shyama Prasad Chatterjee Add: 22/4 R.N.T.P Bye Lane Shyamnagar north 24 parganas West bengal-743127

কবি আর্যতীর্থর কবিতাগুচ্ছ

।  একুশে। আমার ভাষাতে শহুরে পালিশ, তোমার ভাষায় ঘাসের গন্ধ তোমার মননে লালন ফকির, আমার পঠনে জীবনানন্দ,  আসলে আমরা দুই সৈনিক, পরণে বাংলা ভাষার উর্দি, গান লিখে যাই মায়ের ভাষাতে, যতই ভিন্ন ভিন্ন সুর দি। আজন্মকাল বিদেশে থেকেও, কারোর বাংলা এখনও শুদ্ধ, কারোর বাংলা কথাদের মাঝে ভিনভাষাদের প্রবল যুদ্ধ, গ্রাম থেকে আসা উড়োখই লোক, মুখে অন্ত্যজ শব্দ অচেনা  বইছে সবাই একটা পতাকা, সক্কলে এরা বাংলার সেনা। শেকড় গেড়েছে বুকের ভেতর, ভাষার হয়না জাত বা ধর্ম, ভাষার সেনারা ঘরে ঘরে আছে, বাংলার নামে পরেছে বর্ম, অতীতে ছিলাম, এখনো রয়েছি, আমরা থাকবো  ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে কোটি কোটি হাতে মশাল জ্বলবে একুশের পথে।  । শাক মাছ। (শুনলাম কিছু লোকে ধর্মের বেড়া টানে রবি নজরুলে....) কাঠকুটো দাও, জ্বালবো আগুন, পুড়বো ধিকি ধিকি, জ্বলুক কলম, আগুন দিয়ে ভাষার  দলিল লিখি। ভেজা মনের গা শুকাবো, গনগনে আঁচ চাই, শাক লিখেছে অনেক কলম

মনীষা কর বাগচীর নিবন্ধ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ইতিহাসে এক স্বর্ণোজ্জ্বল দিন। কোনো ভাষাকে নিয়ে এমন ভয়ঙ্কর আন্দোলন এর আগে কোনোদিন হয়নি। 1947 সালে দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তানের উদ্ভব হয়।1948 সালে পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। স্কুল ও মিডিয়াতে উর্দু ভাষাকে মাধ্যম করা হয়। মুদ্রার নোট ‌ও স্ট্যাম্প থেকে বাংলা মুছে ফেলা হয়। এই অন্যায্য সিদ্ধান্তকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ, মাতৃভাষা যাদের বাংলা তাঁরা  মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। গভীর ভাবে মর্মাহত হয়ে তাঁরা রাগে দুঃখে ফেটে পড়েন। বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণ , যে ভাষায় বাঙালি শ্বাস নেয়, গান গায়, প্রথম মা বলে ডাকে, যে ভাষায় প্রিয় মানুষটিকে প্রেম নিবেদন করে,যে ভাষাকে সে যাপন করে সেই ভাষার অবমাননা কি করে তাঁরা সহ্য করবে ....তাইতো প্রাণের মায়া না করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন অসংখ্য তাজা ত‍রুণ প্রাণ। 1952 সালের 21 ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ও কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মী মিছিল শুরু করেন।144 ধারা অবমাননার অজুহ

সোমের কৌমুদীর কবিতাগুচ্ছ

সব ভাষারই সবার উপর যে ভাষার তরে ঝরেছে হৃদয় চেরা রক্ত, আমরা তবে হলাম কেন ভিন ভাষারই ভক্ত! অনেক প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি এই ভাষা, তবে কেন হচ্ছে আজ ভিন ভাষাতে ভাসা! অনেক প্রাণের বিনিময়ে এই ভাষাটা পোক্ত, হৃদয় মাঝে এই ভাষাকে রাখব করে শক্ত। কান্না-হাসি, ভাবের প্রদান এই ভাষাতে করব, সব ভাষারই সবার উপর বাংলা ভাষা রাখব। আর কি আছে এমন দামি ভাষা যে ভাষাটা মা শেখালো               ভাইরা তাঁদের প্রাণ হারালো, এই ধরাতে আর কি আছে এমন দামী ভাষা                     বল না তোরা, বল না। যে ভাষাতে পাখিরা গায় শুনলে সবার হৃদয় জুড়ায়, এই ধরাতে আর কি আছে এমন মধুর ভাষা                            বল না তোরা, বল না। যে ভাষাতে স্বপ্ন বোনা দিন যাপনের গল্প গোনা, এই ধরাতে আর কি আছে এমন খাঁটি ভাষা                            বল না তোরা, বল না। যে ভাষাতে মাটির ঘ্রাণ মাটির লোকের কোটি প্রাণ, এই ধরাতে আর কি আছে এমন শুদ্ধ ভাষা                            বল না তোরা, বল না।  =====================================

শেফালি সরের নিবন্ধ

 ।।আ মরি বাংলা ভাষা।।            বাংলা ভাষা আমার মায়ের মুখের ভাষা।এই ভাষা মাতৃ দুগ্ধ সময় অমৃত ধারা বর্ষী জীবন দায়ী ভাষা। এই ভাষা আমাদের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। আমাদের এই ভাষা রূপ কথার জীয়ন কাঠি। এই ভাষা আমাদের সার্বিক উন্নতির চাবিকাঠি।অথচ আমাদের মধ্যে ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য এতো বেশি আগ্রহ এতো বেশি মোহ যে সেখানে বাংলা ভাষা ভীষণ ভাবে অবহেলিত।আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ও সেই ধাঁচে সাজানো হয়েছে।এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন-"আমাদের মন যে সময় তেরো চৌদ্দ বছর বয়স হ আসতেই জ্ঞানের আলোকে এবং ভাবের রস গ্রহন করিবার জন্য ফুটিবার উপক্রম করিতে থাকে,সেই সময় অহরহ যদি তাহার উপর বিদেশী ভাষার ব্যাকরণ এবং মুখস্ত বিদ্যার শিলাবৃষ্টি বর্ষন হ ইয়ে থাকে, তবে তাহা পুষ্টি লাভ করিবে কী করিয়া    অত এব এই বিষয়ে সঠিক অনুধাবন করলেই বোঝা যাবে যে এই বিদেশি ভাষা চর্চার জন্য ই মাতৃভাষার ভাব শক্তির বিনাশ ঘটেছে। স্বাধীন ভারতের স্বপ্নকে সার্থক করতে হলে আমাদের জাতীয় জীবনে বিদেশী ভাষার রাহু গ্রস্ত অশুচি দশা দূর করতে হবে। বাস্তব জীবনের সঙ্গে, আত্মার সঙ্গে যে ভাষা একাত্ম হতে পারে না তার

হীরক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের কবিতা

মাতৃভাষা কত কত লেখা, কত কত অক্ষর কিন্তু তোমার কথা কোথাও নেই, মাতৃভাষা আমি খুজি শব্দে ছন্দে লেখনক্রিয়ায় শ্রম রক্ত ব‍্যয় করে পড়ি  চশমার পাওয়ার বাড়ে  ঢুকে পড়ি ঘোরতর জঙ্গলে যেখানে কামিনী কাঞ্চন থাকে  ছাপ ,চিহ্ণ ভবিতব্য নিয়ে, সুদূর আত্মীয় স্বজন অপেক্ষা ক‍রে অথচ একদিন বরকত আব্দুস সালাম শুধু ভাষার জন্যে... আর মাটি হয়ে যাওয়া সেই কবরস্থানে মেঘ বৃষ্টি নিয়ে নেপথ্যে বাজনা বেজেছিল  আমি মনে করতে পারছি না কেউ কি ধুয়ে দিয়েছিল তাদের গায়ের ঘাম রক্ত ফের আমি ঢুকে পড়ি গূহায় শব্দে ছন্দে লেখনক্রিয়ায়... ============================== হীরক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় # 10,DPL officer s cooperative malancho, Durgapur 713214 Burdwan

অর্ণিশা সেনের পদ্য

।।ককটেল।। হিন্দি এল, উর্দু এল, ফারসি আংরেজি বাংলা এখন বাংলা তো নেই,  হচ্ছে 'বাংরেজি'। মূল ভাষাটি ত্যগিয়ে আজি, ভুল ভাষাটি ট্যাগিয়েছি--- নানান দেশের নানান ভাষা আপন করে ব্যাগিয়েছি। # একছত্র বাক্যবন্ধে চারছত্র ভিনদেশি বেঁচেবর্তে থাকবে বাংলা এই ভাবে ভাই দিন বেশি। বাংলা নাকি ক্যালাস ক্যালাস, গ্যালাস ঠুকি ইংলিশে,  বাংলা ভাষার ককটেল আজ বঙ্গদেশে থাক মিশে।। # মিক্সচারে তাই থাকুক হিন্দি ইংরেজি রূপ বঙ্গীয় নয়তো ভ্যাবলা ক্যাবলা হবে ঢং দেখাবে ঢঙিও। উচ্চারণেও কায়দা যে চাই কাঁপিয়ে তোমার ভোকাল কর্ড দু-চার ফোড়ন বিলিতি মিক্স, তবেই আমরা আল্ট্রামর্ড।। # আগেই তো 'মা' হয়েছে 'মাম্মি' 'বাবা'-ও বদলে হয়েছে 'ড্যাড' 'স্বামী-স্ত্রী' আজ 'হাবি-ওয়াইফি', বলতে সঠিক খাচ্ছি 'ল্যাদ'। 'বাছা' যে আজ হয়েছে 'বেটা' 'প্রিয় বন্ধু' 'বেস্টি' গো বাংলা খাদ্যে বিলিতি টপিংস আহা কী দারুণ টেস্টি গো! ======================== অর্ণিশা সেন ঝিলিক এপার্টমেন্ট  সি. সি. ৫৭/৪, নজরুল পার্ক,

অবশেষ দাসের কবিতা

একুশের গান ভক্তি,শ্রদ্ধা অন্তরে থাক বুক হতে যাক বুকে  রক্তের রঙে মাতৃভাষা  যেন লাল টুকটুকে । অমর একুশে সমর তো নেই বন্দুক বোমা ঘুমে জননী আমার বাংলা আমার  তোমার চরণ চুমে। একুশের কাছে অঞ্জলি আজ  পুণ্যব্রতের দিনে  আজও দেখি বাবা, ফিরছে গৃহতে বিদ্যাসাগর কিনে•••• আমি তো বাবার বাধ্য বালক মায়ের সাধের ধন বাংলা ভাষার দিনমজুরের অশ্রু বিসর্জন । ফুলে ফুলে ভরা শহীদের বেদী  প্রদীপ শিখা তো জ্বলে  আজ তো একুশে ফেব্রুয়ারি  হৃদয়-কুসুম বলে •••

সুমন কুমার সাহুর কবিতা

মাতৃভাষা                                         যে ভাষায় গল্প ছিল; - আজো গল্প আছে বেঁচে ... সে ভাষায় দাঁড়াই এসে আমি তোমায় ভালোবেসে । আমি সোচ্চারে বাঁচি তুমি একুশে সূর্য্য তারা চাঁদের আলোয় মাখি ওগো আমার  মাতৃভাষা  । তুমি আগামী একুশের, -গল্পে ইতিহাস হয়ে যাও তুমি বার বার ফিরে আসো, আর গল্পটা গলা ছেড়ে গাও ! পাথরেই হোক কিংবা রক্তে মাংসে ছবিতেই হোক কিংবা কবিতায় গল্পটা অনুভব করি মাতৃ-ক্রোড়ে জন্মভূমি তোমারি স্পর্শে। গল্পটা স্বপ্ন দেখায় - ,  উঁকি ছুঁকি ভোর বেলায় – গল্পটা বলছি তোমায় আমার  মাতৃভাষা য় গল্পটা ছন্দ বাঁধায় ফিরে আসে কবিতায় গল্পটা তোমার ছোঁয়ায় – ইতিহাস হয়ে যায় - ...............ইতিহাস হয়ে যায় !

অনুরূপা পালচৌধুরীর কবিতা

ভাষাতীত শহীদ আকাশপৃষ্ঠ -------------------------------------- স্বাধীন অথচ পরাধীন ঘুমবেগ চাইলেই উল্লাস ফাটা মিছিলকারী মেঘ ছিঁড়ে যাচ্ছে রক্তের ফাঁসি  তবু মা, তোমার গোপন আলোয় বাতিল তরল কাগজ খুঁজে যাই চশমাভর্তি আড়াল  এখন জলসঞ্চয়। বিপদগামী বৈঠার বুক।   হয়তো : জখম মাটির আবেদনে শিকড়ের চিৎকার ১ম বিচ্ছেদের ভোর। ২য় মেরুদেশে আর্তনাদ সাময়িক শব্দভেদ : কয়েকশো সভ্যআলোয় চারুলতা শেষতম শিকারি হত্যা বন্দিত্বের খুন করে   আদিমতম যোনিপথে সারিবদ্ধ দিবসের দরজা ভেদ করি 'ব' ফলার মাতৃঋণ। তুলে রাখি শব্দময় লাশঘর ===================== অনুরূপা পালচৌধুরী।

বনশ্রী রায় দাসের ভাবনা

               "আ মরি বাংলা ভাষা" "আমরি বাংলা ভাষা " মুখে ভাবলে এবং বললে ও কতটুকু হৃদয়ের অন্তস্তলে ধারণ করতে পেরেছি আমরা । বাঙালি ভাবার কতদূর সম্ভাবনা রয়েছে ভাবি কালের কন্ঠে ? এ বড়ো কঠিন কথা।আন্তর্জাতিক বাজারে ফুরফুরে মেজাজ মাখতে মাখতে ক্রমশ কোন সুদুরে ভেসে যাচ্ছে ভাষা স্রোতের ঢেউ?বাঙালীর রক্তে রাঙানো  ইতিহাসের পাতা জমাট বেঁধে কালো হচ্ছে   মেঘ  ক্রমশ । ধূসর মানচিত্র  : বাংলা বিভাজনের ফলে পূর্ব বাংলা  সরে গেল পূর্ব পাকিস্তানের দিকে ফলত তাদের ওপর চাপানো হলো পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ।এই বলপুর্বক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে  প্রতিবাদী আন্দোলন  সংগঠিত করলেন ঢাকার ছাত্র যুব সমাজ 1952  সাল  শুরু হলো মিটিং মিছিল  ধর্মঘট  বাংলা ভাষাকেই  রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার জন্য গর্জে উঠলো যুবছাত্র সমাজ । অবশেষে উপস্থিত সেই দিন একুশে  ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আন্দোলনে উত্তাল ,থামাতে পারেনি সরকারের রক্ত চক্ষু ।পুলিশের অত্যাচার, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের দাপটে অসুস্থ  হয়ে পড়লেন বহু মানুষ ।ডানা ছাটা সবুজ যৌবন  মুখ থুবড়ে পড়লো মাটিতে ।রক্তে লা

আবদুস সালাম এর কবিতা

মানচিত্র   অজন্তার গুহায় খুঁজি জীবনের আশ্রয়  সন্দিপন আলোয় ভেসে ওঠে জীবনের বীজ  একটা সকাল রঙের মুখ দেখার অনন্ত প্রয়াস  জীবনের ঘ্রাণ চেটে পুটে নেয় স্বপ্নীল বিশেষণ  বিষাদ বীণার তারে ঝঙ্কার তোলে নষ্ট দিনের গান   সর্বগ্রাসী  অহংকার যেন প্রেমের ফিনিক্স পাখি দহন জুড়ে খেলা করে আইবুড়ো চৈতন্য বিবস্ত্র চাঁদ গেয়ে ওঠে পিচ্ছিল ভাটিয়ালী  পরিবর্তনে পুড়ে মরে কলঙ্কের নৌকা দুর্ভেদ্য জীবন এঁকে যায় অন্তঃস্বারশূন‍্য ভৌগোলিক মানচিত্র @@@ আমার ভাষা        এখনো অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে ঘুরে আসে রোজ দেখতে পায় দিন বদলের কানামাছি খেলা  পলাশ বনে উঁকি মারে অসমাপ্ত অভিসার ভাষার আফিম খেয়ে নাচে কৃষক মজুর ভাটিয়ালীর সুরে পূজা হয় বাঙলা মায়ের ভাষার সন্তানেরা  রোদ জলে ভিজে ভাষালুটেরা গুলি চালায় নির্বিচারে আবেগের পাখিরা ডানা ঝাপটায় রোদ জমা হয় আলোর প্রান্তরে ভাষার নগ্নডানায় জড়ো হয় অমানবিক -ক্ষত  কুটিল আবর্তে পাক খায় ভ্রষ্ট বিবেক সারা পৃথিবীর মুখে  চুনকালি মাখায় নিকানো  উঠোনে পুঁতে দিচ্ছি ভাষার- ফনিমনসা লালন করছি যতনে ভাষার কাঁটা গাছে নাকি খ

মানসী বিশ্বাসের মুক্তকথা

"আ মরি বাংলা ভাষা" খাবার টেবিলে পাঁউরুটিতে বাটার মাখাতে মাখাতে চিন্তার পাহাড় জমেছে সুধার।আজ গোগোলের রেজাল্ট। মাধ্যমিকের রেজাল্ট আজ।গোগোলের রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা বলা ভুল, কোন পজিশন–কত র‍্যাঙ্ক এসব মাথায় ঘুরছে সুধার।একমাত্র ছেলে কিনা। একটু কিছুতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয় ওর।দেখা যাক...এই ভেবে মনে মনে 'জয় মা তারা'বলে উঠল সুধা। বাথরুম থেকে স্নান সেরে এসেছে গোগোলের বাবা নিলয়।খুব টেনশনে আছে সেও।সুধার দিকে তাকিয়ে বলল —"এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি তো?তোমার ওই বাঁদর ছেলে?পড়ে পড়ে বেলা ৯টা অব্ধি ঘুমোক। আজ রেজাল্ট কোন ভ্রুক্ষেপ আছে? কী জানি!... "আ!তুমি টেনশন করো না।গোগোল তো স্কুলে ফার্স্ট হয়।এবারেও..." কথাটা থামিয়ে দেয় নিলয়।বলে,"এটা স্কুল নয়,রাজ্য।রাজ্যতে ওকে ফার্স্ট হতে হবে।" সকাল দশটা।বারোটায় রেজাল্ট হাতে এলেও,অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে রেজাল্ট। এই সময় নেটওয়ার্ক সার্ভিসেরও কিছু সমস্যা দেখা হয়।"ঠিক সময়েই কেন যে টাওয়ার পাই না,বুঝি না"—বল্র গটগট করে ছাদে চলে যায় নিলয় টাওয়ারের আশায়।অগত্যা সুধা টিভি খুলে বসে।আনন্দ সংবাদ চোখে ভেসে ওঠে। চোখ জুড়িয়ে

সোমনাথ বেনিয়ার কবিতা

বাংলা, ভাষা আমার  আমার ভাষা আমাকে আগলে রাখে আগন্তুকের স্মার্ট বুলির উপর -                           হাসির দুধেল সর ফেলে দেয় স্পর্শ দিয়ে বুঝে নেয় পরিচয়, চাহিদা, আড়াল কিছু নিঃশর্ত ক্ষমা আমার ভাষার কাছেই শেখা যত সংশয়, কষ্ট, অতিপ্রাকৃতিক বিষয় সুচালো ফলক ভাষার মিষ্টি তরঙ্গে ভেসে যায় ঘুমের ভিতর স্বপ্ন আসে, ছায়ামুখ বাংলা ভাষা আমার মা, দেবী বরাভয়ে জন্মকে বাজি রেখে -                           মৃত‍্যুর সাথে হাডুডু খেলি ... ======================================== সোমনাথ বেনিয়া ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলকাতা - ৭০০ ০৪৯ ফোন - 8697668875.

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর কবিতা

      ভাষা আমার, জননী আমার                             **************** গর্ভের অন্ধকারে পৌনে তিনশো দিন লুকিয়ে রেখে অবশেষে দিনমণি সূর্যের আশ্বাসে তুমি যাকে ভূমিষ্ঠ করেছো মাগো,আলোর জগতে সে আর ফিরে যাবে না অন্ধকারে কোনোদিন। জন্মমাত্র বক্ষসুধায় পুষ্ট করেছো এই দেহ ক্রমে মুখে দিয়েছো মাতৃদুগ্ধে স্নিগ্ধ এক ভাষা মুখের ভেতর দিয়ে বুকের গভীরে সেই ভাষা হৃদয়ের উত্তাপে কেলাসিত হয়ে বহুমূল্য রত্ন হয়ে আছে। জীবনের চলার পথে এই রত্ন ছাড়া আমার আর অন্য পাথেয় নেই। আমার ভাই,বোন, বন্ধু আছে যত সকলেই বাংলার,বাংলাভাষার সন্তান আমার সন্তান-সন্ততির মুখের ভাষাও বাংলা ভিন্নভাষীরাও আমার তুতো ভাইবোন তাদের ভাষা মনে মনে বাংলায় অনুবাদ করে বঙ্গবাসী আমি ভারতবাসী,বিশ্ববাসী হই। ভাষা আমার, জননী আমার,আমি অকৃতজ্ঞ নই। ****************************************** Sender: Nripendranath Mahanta Vill.&Post-HEMTABAD Dist.Uttar Dinajpur PIN-733130     ----------------------------------------------------- 

সুমন নস্করের ছড়া

আমার ভাষা বাংলা ভাষা আমার ভাষা বাংলা ভাষা এই বুকেতেই জাগে, সবার চেয়ে এই ভাষাটাই  মিষ্টি বড়ো লাগে৷ বাংলা আমার প্রাণের ভাষা পল্লি বাউল গানে, বুকের মাঝে উথাল পাথাল আবেগ বয়ে আনে৷ মার শেখানো মিষ্টি ভাষা শিশুর আধো বোলে, দুখের মাঝে সুখের ছোঁয়ায় খুশির তুফান তোলে৷ আমার ভাষা বাংলা ভাষা ছন্দ এবং সুরে, ছড়ায় গানে দেয় যে দোলা হৃদয়খানা জুড়ে৷ এই ভাষাতেই আদর স্নেহ মিষ্টি মায়ের কোলে, ঘুম পাড়ানি মায়ের গানে আজকেও মন ভোলে৷ আমার ভাষা বাংলা ভাষা সদাই জাগে প্রাণে, মায়ের মত বাংলা আমার কোলের কাছে টানে৷ ============================== সুমন নস্কর গ্রাম+পোষ্ট- বনসুন্দরিয়া থানা- মগরাহাট জেলা- দক্ষিণ ২৪ পরগনা পিন- ৭৪৩৩৭২

. স্বপনকুমার বিজলীর ছড়া

   বাংলা ভাষা  বাংলা ভাষায় লিখি পড়ি  বাংলা তে গান গাই  এমন মধুর ভাষা যে আর এই ভুবনে নাাই । সকল মানুষ ঈদ পুজোতে বাংলা তে গায় গান বাংলা আমার মাতৃভাষা  বাংলা কে দিই মান । বাংলা ভাষা যাক ছড়িয়ে  দেশের চারিদিক  বাংলা ভাষা সব মানুষের  মন ভরাবে ঠিক । ---------------------------------- স্বপনকুমার বিজলী  জোকা, কলকাতা ,  Sent from my Samsung Galaxy smartphone.

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪