বৃদ্ধাশ্রম
রবিউল ইসলাম মন্ডল
পিতা মাতা থাকবে বাড়ীতে ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরে
দুচোখ ভরিয়া দেখিবে নাতি সারা জীবন ধরে।
কিন্তু হায় ! যমদূত প্রায়, চাকর হাঁচকা টানে
রেখে এলো সোজা - বলে 'বুড়ো, চল বৃদ্ধাশ্রমে'।
যে চাকর সেই কবে থেকে নায্য মাহিনা দিয়ে
রেখেছিল নিজ বাড়ীতে খুব সাদাসিদে পেয়ে ।
সেই চাকর আজ বলিল "হাটো মোর আগে আগে
পৌছানো চায় বৃদ্ধাশ্রমে আজি সন্ধার আগে"।
ছেলে এলো ঘরে আসবাব ভরে পেয়েছে প্রথম মাইনে
বলিলো সে হেসে পুরানো জিনিস আর ঘরতে চাইনে।
ছোট থেকে কাটিয়ে বিদেশে মন করে হাঁঁসফাস
ঘরে রবে শুধু স্ত্রী পুত্র রবে নাকো বুড়ো বাপ।
বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ পিতা আঁখি জল ফেলে ভাবে
সন্তানের মুখ ছোট্টবেলায় সেই দেখেছি কবে !
পারবো না ! নিজ পুত্রকে আপন ক্রোড়ে রাখতে ?
ব্যাথা যাবে চলে চাই সুখে মোরা দুই জনে এক থাকতে।
প্রকৃতির খেলা হবেই দেখা চন্দ্র সূর্য নেই থেমে
ছেলে আসবে একদিন চলে এই বৃদ্ধাশ্রমে।
ছেলের ছেলে বড়ো হলে সেও বুড়ো হবে
অপেক্ষাতে দিন যে গুনি সেই সুদিন আসবে কবে।
ঈশ্বরকে সদাই বলি যেন ততদিন বাঁচি
বৃদ্ধাশ্রমে দুজনেতে নব ইতিহাস রচি।
ছেলে আমি থাকবো হেথায় গলায় গলা ধরে
সেদিন আমার শান্তির দিন দুঃখ যাবে চলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন