পোস্টগুলি

৫০তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪২৯ এপ্রিল ২০২২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। ৫০তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪২৯ এপ্রিল ২০২২

ছবি
  সম্পাদকীয় অতিমারী, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, ধর্ষণ আর কিছু লাশ পেরিয়ে আরো একটা নতুন বৈশাখ এলো। কী চাইব আমরা এই নতুন বছরের কাছে? দুর্বৃত্তশাসিত রাজনীতি থেকে মুক্তি? ধর্মের নামে অধার্মিক-লাঞ্ছিত ভাতৃঘাত থেকে মুক্তি? অসহিষ্ণুতা থেকে মুক্তি? আসলে আমরা পাতিপাবলিক শুধু সুখেশান্তিতে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখি। কিন্তু যে ব্যবস্থার মধ্যে আমাদের বাস, সেই ব্যবস্তাটাই যদি দূষিত হয়ে ওঠে তাহলে নিরাপদ যাপন ব্যাহত হবে বৈকি! তাই নতুন বছর বিশল্যকরণীর সন্ধান দিক -- এই আশায় সকলকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি। ~ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক: নবপ্রভাত। পুনঃ -- এই সংখ্যায় শুধুমাত্র নববর্ষ বিষয়ক লেখাগুলি রাখা হয়েছে। অন্য ভাবনার মনোনীত লেখাগুলি আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। সূচিপত্র প্রবন্ধ ।। আবেগের নববর্ষ -- ঐতিহ্যের পয়লা বৈশাখ ।। মৃণাল কান্তি দেব স্মৃতিকথা ।। পয়লা বৈশাখ আর কালবৈশাখী ।। সোমা  চক্রবর্তী মুক্তগদ্য ।। "নব আনন্দে জাগো আজি…" ।। শ্রীজিৎ জানা নিবন্ধ ।। পয়লা বোশেখ ।। শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ নিবন্ধ ।। নববর্ষের আবির্ভাব ।। রমলা মুখার্জী মুক্তগদ্য ।। নববর্ষের কুচুটে ভাবনা ।। মুক্তিপ্রকাশ

প্রবন্ধ ।। আবেগের নববর্ষ -- ঐতিহ্যের পয়লা বৈশাখ || মৃণাল কান্তি দেব

ছবি
প্রসঙ্গ: আবেগের নববর্ষ -- ঐতিহ্যের পয়লা বৈশাখ   মৃণাল কান্তি দেব নববর্ষ - জীর্ণ বিদীর্ণ প্রাচীরবক্ষে কিংবা ক্ষয়ীভূত কোনো শিরায় নব আনন্দের রোশনাই এ, নব সৃজনের ওড়নায়,নব চিন্তনের আবেশে নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে মহাসমারোহে উদযাপন করার এক নাম। বাংলা ও বাঙালির জীবনে এমনকি বাংলা ঘেঁষা সমস্ত আঞ্চলিক গোষ্ঠীর কাছে খুশির দিন,আবেগের দিন, সুপ্রাচীন ও চিরনবীন এক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার দিন। ইতিহাস থেকে জানা যায়,যে সময় ফসল উঠতো সেই সময় কর না নিয়ে অন্য সময় কর নিতেন রাজা ও রাজার রাজস্য দফতর ।ফলস্বরূপ হিসেব সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তেন কৃষকরা। সেইখান থেকেই হালখাতার বিষয়টি এসেছে, যদিও বিষয়টি তর্কসাপেক্ষ। আবার, "বঙ্গাব্দ " র প্রচলন কে করেছিলেন ,তা নিয়ে নানা মতভেদ থাকলেও একথা বলাই যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসার কয়েকযুগ আগে থেকেই জাঁকজমকভাবে পালিত হতো নববর্ষ,ইতিহাসের পৃষ্ঠা ওল্টালে আমরা দেখতে পাই নববর্ষের নানা চিত্র। চৈত্রের শেষদিন পর্যন্ত কৃষকরা জমিদার, ভূ-স্বামী ও তালুকদার দের খাজনা মিটিয়ে দিতেন এবং পরের দিন থেকে প্রজাদের মিষ্টি মুখ করিয়ে নতুন খাতায় সমস্ত সমস্ত ধরণের হিসেব লেখা শুরু করতেন।আর্থ

স্মৃতিকথা ।। পয়লা বৈশাখ আর কালবৈশাখী ।। সোমা চক্রবর্তী

ছবি
 পয়লা বৈশাখ আর কালবৈশাখী সোমা চক্রবর্তী দু'টো হাত দু'দিকে সোজা করে ছড়ানো- মুখে ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা এসে লাগছে ক্রমাগত। সেইভাবেই যত জোরে সম্ভব- দৌড়। হাওয়ার দিকে মুখ করে ছোটা।  মাঠটা বিশাল বড়। পাশে পাশে অনেকদিনের পুরনো, প্রকান্ড সব গাছ। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই আম গাছ। মাঠের একদিকে একটা ঘন বাঁশ বাগান। ভেতরটা কেমন আঁধার আঁধার। বাঁশ বাগানটা যেই দিকে, তার ঠিক উল্টো দিকে অর্থাৎ মাঠের আর একটা প্রান্তে পুরোনো একটা ভাঙাচোরা পাঁচিল। পাঁচিলের ওপাশে আর একটা বাগান, তবে সেটা ফলের বাগান। লোকে বলে 'মালীর বাগান'। কে যে মালী, কারই বা বাগান, সেসব কিছুই আমরা তখন জানতাম না। শুধু এটুকু জানতাম যে, সেখানে ঢুকতে কারোরই বাধা নেই। এমন কোনো চেনা ফল নেই, যেই গাছ ওই বাগানে ছিল না! আম, জাম তো ছেড়েই দিলাম, আতা, পেয়ারা, বেল, লিচু, সফেদা, নারকেল, সুপারী, জামরুল, তাল, করমচা, কামরাঙা, কুল এমনকি আনারস গাছও ছিল। গাছের ঘন ছায়া পড়ে দিন দুপুরেও কেমন অন্ধকার হয়ে থাকতো বাগানটা। একটা শুধু ভাঙাচোরা পুরোনো দোতলা বাড়ি ছিল বাগানের মধ্যে। সেখানে কেউ থাকতো কিনা আজ আর মনে নেই। দলে ভারী হলে ভাঙা পাঁচিলের ভেতর দি

মুক্তগদ্য ।। "নব আনন্দে জাগো আজি…" ।। শ্রীজিৎ জানা

ছবি
"নব আনন্দে জাগো আজি…" শ্রীজিৎ জানা চৈতি হাওয়ায় ভাসে বর্ষ বিদায়ের করুণ সুর। নূতনের আগমনে মনের ক্যানভাস জুড়ে যেমন অনন্দ শিহরণ। যেমন প্রত্যাশার আকুলতা। পুরাতনের গায়ে লেগে থাকে তেমন পিছুটান। ইতিউতি মায়াভাষ।বিগত ক্যালেন্ডারের সব তারিখই তো আঁধারঘন নয়। এক দু'মুঠো রোদ্দুরও বোধকরি ছিল কখনো কিম্বা কোথাও। অতঃপর ভালোমন্দের মিশেল দেওয়া বর্ষপঞ্জী সময় মেনে পুরানো হয়। দেওয়ালে ঠাঁই পায় নূতন ক্যালেন্ডার। আগমন আর প্রস্থানের মাঝখানে বেজে উঠে চোত গাজনের ঢাকের বাদ্দি! শেষ আর শুরুর মাঝের ফাঁকটুকু ভরে দ্যায় বর্ষবরণের রকমারি আয়োজন! নববর্ষ উদযাপনের উন্মাদনার পাশে চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক-গাজনের মেলা বাঙলা ও বাঙালীর উৎসবপ্রিয়তাকেই তুলে ধরে। যদিও আজকের বাঙালির কাছে চৈত্র মানেই চৈত্রসেল। হাটে, বাজারে,মলে,ফুটপাতে শুধুই ধামকা অফার। ডিসকাউন্টের লোভনীয় আহ্বান। চৈত্র মানেই তাই বাঙালির হৃদিমাঝে সসাতায় শপিং করার গাবগুবাগুব মজা! অন্যদিকেবাঙলার গাঁগঞ্জে শিবের থানে বর্ষ শেষের যে সমারোহ তা যেন পল্লীবাংলার চিরায়ত আনন্দঘন মিলনমেলার রূপকেই প্রতিভাত করে। বাঙালীর অধিকাংশ মেলা পার্বনের সঙ্গে জুড়ে আছে আধ্যাত্মিকতা। তার স

নিবন্ধ ।। পয়লা বোশেখ ।। শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ

ছবি
পয়লা বোশেখ শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ      নতুন বছর শুনলে মনের মধ্যে কতকথা মনে পড়ে। আনন্দ বিষাদে ভরে যায় । চোখের মধ্যে ভাসে সারা মাঠময় ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভোর ভোর উঠে , যার যার চাষের জমিতে খড়ের নুড়ো জ্বালিয়ে আসে। বাস্তুভিটায় একই খড়ের নুড়ো জ্বালানো হয়।     প্রতীকী আগুন জ্বালানোর অর্থ তাৎপর্য পূর্ণ। ক্ষেতের মাটি পুড়িয়ে আরো উর্বর করা। বাস্তুতে আগুন দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা। যা কিছু  অশুভ দূর করা। চলে আসছে। অতকিছু সবাই না জানলেও বছরের প্রথম দিন গ্রামের সবাই জমিতে নুড়ো জ্বালাবেই । সেই গ্রামের মানুষটি যদি সহরে গিয়ে বসবাস করে। সংস্কার ভোলেনা। একটুকরো কাগজ পুড়িয়ে সেই রীতি রক্ষা করে।      কাঁচা হলুদ বাড়িতে না থাকলে, সংগ্রহ করা । নীমের পাতা কাউকে দিয়ে পাড়িয়ে নেওয়া, এগুলো প্রাথমিক কাজ। হলুদ-নীম একসঙ্গে শীলে বেটে সরষের তেল মিসিয়ে গায়ে না মাখলে কীসের পয়লা বোশেখ। ভালো করে গায়ে শুকিয়ে, তবেই স্নান করা। কেউ সাবান দিয়ে তুলে দেয়। অনেক যতটা সম্ভব হাত দিয়ে ঘষে নেয়। ফলে হলদেটে আভা বেশ কয়েকদিন শরীরের সঙ্গে লেপটে থাকে। নতুন বিয়ে হলে যেমনটা হয়। আমার শেষেরটা বেশ ভালো লাগে।      গরমের সময় গায়ে খোসপেজড়া হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। বাড়

নিবন্ধ ।। নববর্ষের আবির্ভাব ।। রমলা মুখার্জী

ছবি
নববর্ষের আবির্ভাব   রমলা মুখার্জী নববর্ষ আমাদের জীবনে জ্বালে নতুন আলো। কিন্তু নববর্ষের আবির্ভাবের ইতিহাস সবার একটু জানা প্রয়োজন। যীশুখ্রীষ্টের জন্মের ৫৭ বছর আগে সম্রাট বিক্রমাদিত্য বিক্রম সাম্বাত পঞ্জিকার প্রচলন করেন। এটাই আমাদের বাংলা পঞ্জিকা, অবশ্য তখন লিখিত বাংলা ভাষা ছিল না। বাংলা লিখিত ভাষার প্রচলন হলে বিক্রম সাম্বাত ক্যালেন্ডার বাংলায় লেখা হয় এবং বাংলা ক্যালেন্ডারের যাত্রা শুরু হয় মাসের নামগুলিকে আবিষ্কৃত রেখেই। তাই পয়লা বৈশাখ শুধু বাঙালির নয় এটি পুরো দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নববর্ষ।        ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করতেন, কিন্তু হিজরী সন চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষকদের খাজনা দিতে অসুবিধা হত। সেজন্য সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিকাকেই সংস্কারের আদেশ দেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহ উল্লাহ সিরাজীকে। ১৫৮৪ খ্রীষ্টাব্দে থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্রমাসের মধ্যে খাজনা, শুল্ক ইত্যাদি শোধ দিতে হত এবং ভূমির মালিকরা নানান উৎসবের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে মিষ্টিমুখ করাতেন। নব

মুক্তগদ্য ।। নববর্ষের কুচুটে ভাবনা ।। মুক্তিপ্রকাশ রায়

ছবি
  নববর্ষের কুচুটে ভাবনা  মুক্তিপ্রকাশ রায় নববর্ষের শুভেচ্ছায় যখন ইনবক্স প্লাবিত, তখন কিছু ভাবনা বোতলের সোডার মতো নিজের থেকেই ভসভসিয়ে ওঠে (সুকুমার স্মর্তব্য)। বিশেষত হাতে কাজ না থাকলে মাথায় জিলিপি ভাজাই কুচুটে মানুষের বিধিলিপি। অতএব নববর্ষের প্রথম প্রভাতে এই শুভেচ্ছা-সুনামির কারণ অনুসন্ধানে ধূসর কোশগুলিকে জাগানোর চেষ্টা করা গেল।      সত‍্যিই কি এমন সম্ভাবনা আছে যে নতুন বছরে আমাদের জন্য অবিমিশ্র সুন্দরের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হবে? শুধু এ-বছর নয়, কোনও বছরই কি এরকম কর্নওয়ালিসীয় পরিকল্পনা কার্যকর করতে সক্ষম? বাস্তববোধসম্পন্ন সব মানুষই জানেন -- তা অহিফেনবিলাসীর খোয়াবমাত্র। তাই "নতুন বছর শুভ হোক" কথাটির কোনও মানেই হয় না।      বরং এ-কথা উপলব্ধি করতে বেশি মুণ্ডশ্রম দরকার নেই যে সময় এক অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ --- একটি continuum। মানুষ নিজের কাজকর্মের সুবিধার জন্য তাকে ছোটোখাটো এককে বা ইউনিটে ভেঙেছে। অতএব নতুন বছর এইরকম এক কাল্পনিক ধারণা বই কিছু নয়। সময়ের নিরন্তর প্রবাহে এক চক্রান্তবিশেষ। পৃথিবীর নিজ কক্ষপথে একচক্কর ঘোরা শেষ হলে, সে যখন আবার পুরোনো পথেই টয়ট্রেন-জার্নি শুরু করে, আব

মুক্তগদ্য ।। শুভ বাংলা নববর্ষ ।। শেফালী সর

ছবি
।। শুভ বাংলা নববর্ষ ।। শেফালী সর চৈত্রের শেষ আর নতুন বছরের সূচনাই তো বাংলা  নববর্ষ।জীর্ন পুরাতন বছরটা রাত্রির অন্তিম প্রহরে যেন তারই আগমনের  বার্তা  ঘোষনা  করে।আাঁধার রাত্রির বুক চিরে উদিত হয়  নবীন  সূর্য।পৃথিবী বাসীর মনে  জাগায় নবীন  আশার উন্মাদনা।পাখির কণ্ঠে  ধ্বনিত হয় নব প্রভাতের বন্দনা গান।মর্ত‍্যবাসী থাকে  উৎসবের মেজাজে।সকলে নতুন  বছরকে অভিনন্দিত করে শঙ্খধ্বনির মাধ‍্যমে।নতুন দিনের  কাছে  প্রত‍্যাশা থাকে নতুন বছরটিতে যেন সবার  জীবন  সুখ সমৃদ্ধিতে ভ'রে ওঠে।অতীতে অগ্রহায়ণ মাসকে বছরের  প্রথম মাস বলে  ধরা  হ'তো।তাই অগ্রহায়ণ মাসকেই বলা  হ'ত মার্গশীর্ষ মাস। অগ্র অর্থাৎ  শ্রেষ্ঠ  আর হায়ণ মানে ব্রীহি বা ধান জন্মায় যে মাসে তাই-ই অগ্রহায়ণ।কালের পরিবর্তনে বিশাখা নক্ষত্র যুক্ত  পূর্ণিমার নাম বৈশাখী পূর্ণিমা।বৈশাখ যেহেতু পুণ‍্যের মাস সেই থেকেই বৈশাখ বছরের  প্রথম মাস।  যদিও নববর্ষের দিনটি বছরের  আর পাঁচটা দিনের  মতোই সাধারণ, এর তেমন  কোনও  বিশেষত্ব  নেই।তবুও  এই  দিনটি  প্রতিটি  বাঙালির  মনে  একটি সম্পূর্ণ  স্বতন্ত্র দিন।চলমান মহাকালও যেন  বিশেষ  এই দিনটিতে থমকে  দাড়ান। তাঁর অশ্রান্ত

মুক্তগদ্য ।। আমার সেকাল আর একালের নববর্ষ ।। ঊষা মল্লিক

ছবি
  আমার সেকাল আর একালের নববর্ষ  ঊষা মল্লিক নববর্ষ মানেই খুব আনন্দের। একটা পুরো বছর কে অতিক্রম করে আবার একটা নতুন বছরে পা দেওয়া। কত নতুন স্বপ্ন জাগে মনে।  তবে শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত সে নববর্ষের স্বাদ ছিল আলাদা । তখন মাঘের শীত যেতে না যেতেই  মনে হতো  এই বুঝি বৈশাখ মাস চলে এল। আমার শৈশবের দিন গুলো তে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতই প্রাধান্য পেত। বসন্তের ছোঁয়া তো লেগেছিল কৈশোরে এসে। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণ চূড়ায় প্রেম জেগেছিল যৌবনকালে। নববর্ষের কাছে এদের গুরুত্ব ছিল ভীষণ কম। শৈশব আর কৈশোরের নববর্ষের পূর্বের প্রস্তুতি ছিল অন্যরকম। গোটা বাড়ী ঘর পরিষ্কার। পুরানো কাগজ, পুরানো জিনিসপত্র ফেলা দেওয়া বা বিক্রি করার এক মহা যোগ্য। একটা নতুন টেপফ্রকের জন্য মায়ের কাছে রাতদিন আব্দার করা।  নববর্ষ না বলে, আমরা পয়লা বৈশাখ বলতেই বেশি পছন্দ করতাম। ভাই বোনে দের সব বাড়ীতে থাকতে হতো। মামা বাড়ি  বা আর কোথাও গেলে ও নববর্ষের আগে বাড়ীতে ফিরে আসতে হবে।  মনে  হতো নববর্ষে নতুন জামা না পরলে বোধ হয় নববর্ষ হলো না। সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতেই হবে।  বছরের প্রথম দিন সব কিছু ভালো অভ্যাস করতে হবে, তা নাহলে মা বলতেন যে, সারা বছর নাকি খ

গল্প ।। শিকড়-সন্ধানের গল্প অথবা সন্তান-বিরহের আখ্যান ।। চন্দন মিত্র

ছবি
শিকড়-সন্ধানের গল্প অথবা সন্তান-বিরহের আখ্যান                  চন্দন মিত্র অলিভিয়া ফেরেনি, ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। কলেজ থেকে ফিরে খবরটা শুনে দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়লেন তপন মণ্ডল। তাঁর সব রাগ গিয়ে পড়ল স্ত্রী দীপালির উপর। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দিলেন।     — আমাকে তো ফোন করতে পারতে একবার। — আমি জানব কী করে যে ও এমন কাণ্ড ঘটাবে। ছ-টার মধ্যে  তো বাড়িতে ঢোকে। আমি স্কুল থেকে ফিরে একবার ফোন করেছিলাম। দেখলাম নট রিচেবল। তখনও ছটা বাজেনি। ভাবলাম টাওয়ারের সমস্যা। তারপর মিনতিদিকে রান্নার দিকটা বুঝিয়ে দিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভাবলাম রাস্তায় আছো সাতপাঁচ ভাববে, তাই আর তোমাকে ফোন করিনি। সকালবেলা ইউনিভার্সিটি যাচ্ছি বলে বেরোল। তবে   অন্যদিনের তুলনায় অনেকটা তাড়াতাড়ি বেরিয়েছে। খেয়ে যেতে বললাম। বলল, ক্যান্টিনে খেয়ে নেবে।     কয়েকদিন আগে অলিভিয়ার কিনে আনা আদ্যিযুগের পুরোনো মডেলের পেন্ডুলাম   ঘড়িটা ঢং ঢ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪