পোস্টগুলি

৫২তম সংখ্যা ।। আষাঢ় ১৪২৯ জুন ২০২২ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫২তম সংখ্যা ।। আষাঢ় ১৪২৯ জুন ২০২২

ছবি
    সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মুক্তগদ্য সাহিত্যে ইতিহাস ও দর্শন ।। রণেশ রায়   স-সে-মি-রা ।। কাশীনাথ হালদার বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ : বঙ্গে শৈব থেকে বৈষ্ণবীয় ধারার ভাবান্তর ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় আগুনে ধাঁধা - বিজ্ঞান না অবিজ্ঞান ।। অনিন্দ্য পাল   "কোনখানে রাখবো প্রণাম" ।। শ্রীজিৎ জানা রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমানবতাবোধ ।। শেফালি শর ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী বাসুদেব বলয়ান্ত ফাদকে ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী তাহাদের কথা...।। শাশ্বতী মণ্ডল যুদ্ধ- প্রতিপত্তি বৃদ্ধির উদগ্র বাসনার এক অবশ্যম্ভাবী ফল ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী   মুর্শিদাবাদ জেলার অর্থনীতিতে নদনদীর প্রভাব ।। আবদুস সালাম নারী ও সমাজ ।। দীপঙ্কর চৌধুরী  আলোকসম্পাতঃ দস্যু রত্নাকর থেকে আদি কবি বাল্মীকি ।। প্রদীপ দে   দুস্থ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহযোগিতার অঙ্গীকার ।। পাভেল আমান   গল্প-ছোটগল্প- অণুগল্প ১) সাধুবটতলা ২) তালডোঙা ।। সুদীপ ঘোষাল পাকামাগুর ।। চন্দন মিত্র মোহন পরিবারের দর্শনচিন্তা ।। সৌমেন দে শ্রেণীশত্রু ।। কাকলী দেব আজব নগরের কথা ।। মিঠুন মুখার্জী ক্ষণিকের যাত্রী ।। জাহ

প্রবন্ধ ।। সাহিত্যে ইতিহাস ও দর্শন ।। রণেশ রায়

ছবি
সাহিত্যে ইতিহাস ও দর্শন  রণেশ রায় সাহিত্যের  কাজ হলো মানবজীবন ও প্রকৃতির বিবর্তন প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘেটে স্মৃতি রোমন্থন করা, তাকে  তুলে এনে  বর্তমানের সঙ্গে  মেলবন্ধন ঘটিয়ে  সাহিত্যিকের নিজের মননে সাহিত্যের প্রাঙ্গণে সাজিয়ে তোলা, ভবিষ্যতের ছবি আঁকা। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের মেলবন্ধন ঘটিয়ে, বর্তমানের ঘটনাবলিকে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কল্পনার মালা গাঁথা হয় সাহিত্যে। ভবিষ্যতের ছবি আঁকা হয়। আর ইতিহাস ঘাঁটাটাও কার্যত স্মৃতি রোমন্থন কারণ ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকে মানুষ আর তার জীবনের অতীত, ভৌত জগতের বিবর্তন প্রক্রিয়া। সেই অর্থে ইতিহাসও ডায়েরির কাজ করে। মজুত থাকে সমাজ জীবন আর ভৌত জগতের যাবতীয় অতীত সম্পদ। তাই বলা চলে সাহিত্যিক ইতিহাস হাতরিয়ে তাঁর সাহিত্য কর্মে সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে, গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধে, অতীত আর বর্তমানের মধ্যে মেল বন্ধন ঘটিয়ে কল্পনার রঙে যে শিল্প সৃষ্টি করেন তাঁকে সাহিত্য শিল্প বলে। এটা ধরেই আমরা সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে যা বলতে চাই তা এই এই আলোচনায় তুলে ধরব। এখানে স্মৃতি কথাটা এই বিশেষ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। নেহাত ব্যক্তিস্মৃতি নয়। এ এক সমাজস্মৃতি। সেখানে

বিশেষ নিবন্ধ ।। স-সে-মি-রা ।। কাশীনাথ হালদার

ছবি
স-সে-মি-রা কাশীনাথ হালদার 'সসেমিরা' কথাটি একটা সংস্কৃত প্রবাদ। সাধারণত খুব খারাপ অবস্থা বা মন্দ অবস্থা বােঝাতে কথাটি ব্যবহৃত হয়। আসলে একটা সংস্কৃত শ্লোকের প্রথম চরণের প্রথম অক্ষর 'স', দ্বিতীয় চরণের প্রথম অক্ষর 'সে', তৃতীয় চরণের প্রথম অক্ষর 'মি' এবং চতুর্থ চরণের প্রথম অক্ষর রা'―এগুলাে পরপর সাজিয়ে স-সে-মি-রা। এ নিয়ে একটা শিক্ষামূলক সুন্দর গল্প আছে। গল্পটা এইরকম : কোনাে এক দেশে এক রাজকুমার ছিল। একদিন মৃগয়ার জন্য সে একটা বনের মধ্যে প্রবেশ করলাে। শিকারের সন্ধান করতে করতে সে গভীর বনের মধ্যে চলে গেল এবং পথ হারিয়ে ফেললাে। এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা হয়ে এলাে। কিছুদুরে বাঘের গর্জনও শােনা গেল। রাত কাটানাের জন্য রাজকুমার একটা বড় গাছে উঠে বসলাে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেলাে, একটা প্রকাণ্ড ভালুকও সেই গাছে উঠছে। রাজকুমার ভয়ে আড়ষ্ট। তা দেখে ভালুকটা বলল : "ভয় পেয়াে না রাজকুমার। আমি তােমার কোনো ক্ষতি করবো না। তুমি এখন থেকে আমার বন্ধু হলে। দুজনে মিলে এই গাছে আমরা রাত কাটাবাে।" একটু রাত বাড়তেই একটা বিরাট বাঘ সেই গাছের নীচে এলাে। দুটো শিকার তখন

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ : বঙ্গে শৈব থেকে বৈষ্ণবীয় ধারার ভাবান্তর ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
  বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ:  বঙ্গে শৈব থেকে বৈষ্ণবীয় ধারার ভাবান্তর সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়                                                               ১ খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী থেকে বাংলায় পাল রাজবংশের প্রভাব স্তিমিত হতে থাকলে সেন বংশের  আধিপত্যের উদয় ঘটে।  সেনরাজা বিজয় সেন হুগলী জেলার ত্রিবেণীর নিকট তাঁর রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। নামও দেন তাঁর নামানুসারে 'বিজয়পুর।' প্রসঙ্গত, পূন্যতোয়া ত্রিবেনীতীর্থের গঙ্গাতীরের আধ্যাত্ম রম্যতা এবং নিকটে সপ্তগ্রামের নৌ-বানিজ্যের সুবিধার্থেই এই বিজয়পুরের পত্তন। পরবর্তী সময়ে রাজা হন বল্লাল সেন। 'দানসাগর' এবং 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থের প্রনেতা এই নৃপতি অত্যন্ত প্রতিভাধর ও সুপণ্ডিত ছিলেন এবং সেই ধারা আরও বেশি সম্প্রসারিত হয় লক্ষ্মণ সেনের সময়কালে। কারণ, লক্ষন সেনের রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন পঞ্চরত্ন উমাপতি ধর, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন আচার্য এবং জয়দেব। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় লক্ষ্মণ সেনের রাজত্বকাল ১১৮৫ - ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।  তারপরই তুর্কী  আক্রমণ।  শুরু হয়  অন্ধকার যুগ; বাংলা  সাহিত্যের ভাবধারার এক পট পরিবর্তনের সূচনা।             প্রাচীন যুগ

প্রবন্ধ ।। আগুনে ধাঁধা - বিজ্ঞান না অবিজ্ঞান ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
আগুনে ধাঁধা - বিজ্ঞান না অবিজ্ঞান!  অনিন্দ্য পাল  ২০১৫ সালের ১৫ই জানুয়ারি চেন্নাইয়ের বিল্লাপুরমের বাসিন্দা 'কে. রাজেশ্বরী' , মাত্র ২২ বছর বয়সে সদ্য মা হওয়া তরুণী তার ছ'দিনের ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সরকারি হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন, তরুণী সেই মায়ের দাবী ছিল তার এই ছদিনের বাচ্চার শরীরে আগুন ধরে গেছে। এই ঘটনা, যথারীতি কেউ বিশ্বাস করেনি। অনেকে এর পিছনে শিশুনিগ্রহের ছায়া দেখতে  পেয়েছেন । ডাক্তাররাও ঠিকঠাক কারণ বলতে পারেন নি।    তবে একটু পিছনের দিকে তাকালে দেখা যায়, এরকম অবিশ্বাস্য কিছু ঘটনা পৃথিবীতে ঘটেছে- যার ব্যাখা আজও সঠিক ভাবে দেওয়া যায়নি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে Spontaneous human combustion বা (SHC) নামে একধরনের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ,আবার এ রকম ঘটনার উল্লেখ বেশ কিছু পত্রপত্রিকাতেও পাওয়া যায়। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত Larry E. Arnold এর Ablaze! বইটিতে দাবী করা হয়, বিগত ৩০০ বছরে সমস্ত পৃথবীতে প্রায় ২০০টি এরকম ঘটনার উদাহরণ আছে।    'ঘটনা' বলতে যেটা বোঝানো হচ্ছে, তা এককথায় বেশ রোমহর্ষক। কোনও জীবন্ত মানুষের শরীরে বাইরের কোন আগুন বা ইন্ধন ছাড়াই অগ্নিসংযোগ ঘটছ

প্রবন্ধ ।। "কোনখানে রাখবো প্রণাম" ।। শ্রীজিৎ জানা

ছবি
  "কোনখানে রাখবো প্রণাম" শ্রীজিৎ জানা বাঙালী চিরকাল ঠাকুর বলতে অজ্ঞান। তার নিত্যদিনের যাপনে, সমারোহে, উদযাপনে, দুঃখ-শোকের অভিঘাতে,প্রেমে, বিরহে আরোপিত হয়েছে ঠাকুর-দেবতার ভাবাদর্শ। তার হৃদিমাঝে বারবার অনুরণিত হয়ে চলেছে ওই একই সুরতরঙ্গ -"দেবতারে প্রিয় করি/প্রিয়রে দেবতা"। বাঙালী যাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে তাকে অনায়াসে, নিঃশর্তে বসাতে পারে দেবত্বের আসনে। ফলত পুজোর ঘরে অথবা দেয়ালের গায়ে লক্ষ্মী-গনেশ-কালী-দুর্গা-সরস্বতী-শিবনারায়ণের পাশে আরেক ঠাকুর পরম শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় ঠাঁই পেয়েছেন। তিনি আর কেউ নন--তিনি বাঙালীর 'নিয়তি ও নৈঋত',তিনি বাঙালীর ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ, তিনি বাঙালীর আশীর্বাদ ও আশ্রয়, তিনি বাঙালীর প্রাণের ঠাকুর--রবি ঠাকুর!       তিনি তো সত্যিকারের ঠাকুর। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ আর সারদাসুন্দরী দেবীর অষ্টম পুত্র সন্তান তিনি। বাঙালী সেই কোন যুগ থেকে অষ্টমগর্ভের সন্তানকে  সৌভাগ্যের, দুঃখহরণের,প্রেমের ঠাকুর মেনে নিয়ে বসিয়েছে মনে ও মন্দিরে। মহর্ষিও তাঁর অষ্টম পুত্রসন্তানকে শৈশবেই চিনেছেন 'বিস্ময়বালক' রূপে! পরবর্তীতে দীর্ঘকায়, প্রলম্বিত, হীরকদ্যূতি চোখ,দাড়ি-গোঁফভরা শ

ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী বাসুদেব বলয়ান্ত ফাদকে ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

ছবি
  ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনটা এবং কে সেই স্বাধীনতার প্রথম সংগ্রামী নেতৃত্ব , এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের একটু বিতর্কের মধ্যে ঢুকতে হবে । আমাদের আগে ঠিক করে নিতে হবে আমরা কোনটাকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার সংগ্রাম বলে আক্ষায়িত করবো - ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যারাকপুরে সেনা ছাউনির কিছু সেনা মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহ এবং পরে সেই বিদ্রোহে কিছু রাজা , জমিদার আর রাজনৈতিক চরিত্রের যোগদান করা , না মহারাষ্ট্রের বাসুদেব ফারকের নেতৃত্বে ভিনদেশী ইংরেজ শাসন এবং শোষণ মুক্ত স্বাধীন দেশ গড়ার সংগ্রাম ?             যদিও ইংরেজ সাহেব এবং সাদা চামড়ার ঐতিহাসিকরা সিপাই বিদ্রোহের ব্যাপারটাকে ভারতের জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম বলে মানতে চাননি । তাদের মতে - ওটা ( ১৮৫৭ সালের সেনা ছাউনির ঘটনাটা ) ছিল একটা নিছক সিপাইদের বিদ্রোহ । কিন্তু , অন্য আরেক দল ঐতিহাসিক এবং ইতিহাস সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞের মতে - ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ছিলো আসলে একটা ইংরেজ বিরোধী ভারতীয়দের প্রথম জাতীয়তাবাদী বা স্বাধীনতা অর্জনের সংক্ষিপ্ত আন্দোলন । কারণ , ১৭৫৭

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪