অবশেষে প্রেম এলো
প্রবীর কুমার চৌধুরী
অবশেষে পুরানো অকেজো সব বিধিনিষেধ,
অন্যায় আদেশের পাঁচিল টপকে, সমস্ত—
ধাপ্পার পরোয়ানা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে
সমস্ত ভেদাভেদ মাড়িয়ে দুরন্ত বেগে সীমাহীন প্রেম এলো।
উঠানের পাড় ঘেঁষে, ভাঙা দেউড়ির স্মৃতির খাঁজে—
রেখে এলো আজন্মের বঞ্চিতের শূন্যতার খাতা।
দুপুরের ওত পেতে থাকা আধমরা যত কুঁচক্রি—
নিত্যকর্মের সিন্দুক খুলে দেখে ফুরিয়ে গেছে নিন্দার ভান্ড।
খেরোর খাতার যত ক্ষত-বিক্ষত বাউন্ডুলে বুকে যন্ত্রনা চেপে—
মুখে তুলে নিল লুকিয়ে রাখা ভালোবাসার স্লোগান, অন্ধকার একতলায়,
দোতলায় আনন্দে উঠলে উঠল আলো
দুশ্চিন্তার দুচোখে অবশেষে নিশ্চিন্ত ঘুমে কাংক্ষিত প্রেম এলো।
সহসা ন্যাড়া পাহাড়ের গায়ে ফুলে ফুটলো সুগন্ধি ফুল
লাল, নীল, সবুজ। উড়ে এসে মেঘবালিকা ধরল হাত
ঋতুরাজের, রামধনু আঁকলো যুদ্ধশেষের শান্তির চিত্র
মিলনের গর্ভে দেবশিশু, আশীর্বাদক মানুষের সকল ধর্ম।
==============
প্রবীর কুমার চৌধুরী
গড়িয়া, কলকাতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন