পোস্টগুলি

৩৩তম সংখ্যা: 'উৎসব ও আমরা' বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। স্বাগত 2021 ।। সুকুমার কর

ছবি
স্বাগত 2021 সময়ের কাঁটা আজো চলতেই থাকে  অতি পুরাতন সেই ছন্দে  নতুন বছরে বেঁধে বেঁধে থাকি  ঝেড়ে ফেলি দ্বিধা দ্বন্দ্বে  নিশি অবসানে বিশ চলে যায়  আশা  আসে নববর্ষে  মুখোশের মাঝে যেন মুখ খুঁজে পায়   চির নতুনের স্পর্শে    ============   সুকুমার কর    01/01/ 2021   

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৩৩ ।। "উৎসব ও আমরা" ।। নভেম্বর 2020

ছবি
  ।। সূচিপত্র ।। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা বিবর্তিত সময় : নবান্ন : একটি স্মৃতিচিত্র ।। র বী ন ব সু কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।।  পার্থ সারথি চক্রবর্তী  হুদুর দুর্গা ও দাঁসায় পরব ।। সবিতা বিশ্বাস টুসু পরব ।। কানুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় দাঁইহাটের রাস উৎসব ।। অসিত কুমার পাল  লাভপুরের গ্রামীণ দুর্গোৎসব ।। রমলা মুখার্জী ছটপূজা ও কিছু স্মৃতিকথা।। রীতা রায় জাঁতাল পুজো ।। অরবিন্দ পুরকাইত খেপুত সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের কালীপুজো ।। সুস্মিতা রায় চৌধুরী  পাহাড় মারা, কালীপুজোর অঙ্গ ।। আবদুস সালাম পায়েস উৎসব ।। মধুসূদন লাটু আলোকোৎসবের দিনে ।। সুবীর ঘোষ উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত দীপাবলির এখন তখন ।। সুব্রত দাস আবার পূজো, কিছু স্মৃতি ।। শর্মিষ্ঠা ঘোষ ব্যানার্জী বদলে যাওয়া দুর্গোৎসব ।। সুদর্শন মণ্ডল কালীপুজোর স্মৃতি ।। চম্পা পণ্ডিত গোরাই  উৎসবের আনন্দ---তখন এখন ।। সাইফুল ইসলাম বেপথু উৎসব ।। সঞ্জীব সেন বাঙালিদের কাছে উৎসবের চির প্রাসঙ্গিকতা ও সর্বজনীনতা ।।  পাভেল আমান আমাদের উৎসবগুলো ।। মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজকের উৎসব ও কিছু কথা।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক বাংলার উৎসব

বিবর্তিত সময় : নবান্ন : একটি স্মৃতিচিত্র।। র বী ন ব সু।।

ছবি
বিবর্তিত সময় : নবান্ন : একটি স্মৃতিচিত্র   রবীন বসু [ ] কথামুখ তিল তিল করে যেমন তিলোত্তমা সৃষ্টি l পাথর কুঁদে রূপের ফোয়ারা ছোটানো l  গানে গানে বাউল-সাধকের  অরূপ-অন্বেষা, তেমনই নানান বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতায় বিভক্ত সংস্কৃতিকে নিয়ে বাঙালীর নিরন্তর যে পথ- পরিক্রমা, তার মধ্যেই রয়ে গেছে তার নিজস্বতা, তার বহুধা বিভক্ত মানসিকতার সমন্বয় সুষমা l  খণ্ড বিচ্ছিন্নকে নিয়ে একমের সাধনাই তার সত্যবস্তু l আনন্দং অমৃতং শুভম্ l শাস্ত্রে প্রকৃতিকে বলেছে নারী l লাবণ্য নারীঅঙ্গের সৌষ্ঠব l  খতুময়ী প্রকৃতিও রূপে রূপে অপরূপা l বাঙালীর শিল্প সাধনা ও সংস্কৃতির মন্দিরে এই ভামিনীর স্বচ্ছন্দ বিহার l সচ্ছল গতিবেগ l ধর্মবোধ বা ধর্মীয় চেতনা, আমাদের সংস্কৃতির বহিঃরেখা মাত্র l এই বহুমুখী ভাবস্রোতকে  একই সাগর সঙ্গমে লীন করেছে l বাঙালীর ধর্মচিন্তা তার উৎসবে সুপ্রকট l মানুষ আর তার আয়োজনকে কেন্দ্র করে ঈশ্বর সাধনার রূপ দেখা। এই মরমীবাদ বাংলার নিজস্ব l অপর সংস্কৃতির আগম তার রূপ ও বৈশিষ্ট্যকে ম্লান করতে পারে নি l আমি আর্য সংস্কৃতির কথা বলছি l  আর্যপূর্ব সভ্যতায় পূজা-অর্চনা ছিল মূলতঃ দেবতাকে খুশি করে সুখ ও সম্পদ লাভের ইচ্ছা l বৈরা

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
  কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায়  পার্থ সারথি চক্রবর্তী  কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই।  খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে

হুদুর দুর্গা ও দাঁসায় পরব ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
হুদুর দুর্গা ও দাঁসায় পরব সবিতা বিশ্বাস  বঙ্গের সিংহভাগ মানুষের শারদোত্সবের আনন্দযজ্ঞের মধ্যেই বিষাদের সুর বাজে আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর অসুর সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে | চিরাচরিত দুর্গা পুজার কাঠামোয় অসুরকে যতই হিংস্র আর অত্যাচারী দেখানো হোক না কেন, বাস্তবে তা ছিল উল্টো | লোককথা অনুসারে মহিষাসুর কখনো শিশু বা স্ত্রীলোকের উপর অস্ত্রের আঘাত করতো না | অসুর রাজার মূলত চারটি নীতি ছিল | ১) কোনো শিশুর উপর অস্ত্র প্রয়োগ করবে না | ২) কোন নারীর উপর অস্ত্র প্রয়োগ করবে না | ৩) কোন বৃদ্ধের উপর অস্ত্র প্রয়োগ করবে না | ৪) কোনো অসুস্থ মানুষের উপর অস্ত্র প্রয়োগ করবে না | ঝাড়খন্ডের ঝোবিপাট, বরপাট, চারুয়াপাট এলাকার অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশ্বাস করেন তাঁদের পূর্বপুরুষ মহিষরাজাকে দুর্গা নামের এক বহিরাগত সুন্দরী রমণী ছলাকলায় ভুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল | শারদীয়া উত্সবের দিনগুলি তাই অসুর জনজাতির কাছে অশৌচ পালনের দিন | ঋগ্বেদে এই অসুর কোনো ঈশ্বরবিরোধী শয়তান নয়, শক্তিমান এক পুরুষ | এই ক্ষমতাশালী অসুর পুরুষ আসলে বিশ্বস্রষ্টা |  ঋগ্বেদ অনুসারে মিত্র, বরুণ, অগ্নি, রুদ্রবৈদিক দেবতাই অসুর | এমনকি স

টুসু পরব ।। কানুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

ছবি
                                                                                টুসু পরব                                     কানুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়   এমন জাড় ভাই দেখি নাই আগে / গেল বুড়া বুড়ির দাঁত লাইগে/ টুসু হামার জাড়ের গ্যাঁদাফুল/ মকর সিনান করে বাঁধব চুল। পুরুলিয়া অঞ্চলে টুসু উৎসবের সময় প্রচন্ড শীতের পরিপ্রেক্ষিতে হাসি ঠাট্টায় রচনা করা এমন গান। এখানে জাড় মানে শীত। টুসু প্রধানতঃ জঙ্গলমহলের উৎসব- মহামিলনের পরব। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া,  বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্দ্ধমানের আসানসোল মহকুমার কিছু অংশ এবং ঝাড়খন্ডের সাঁওতাল পরগনা, ধানবাদ, রাঁচী এবং হাজারীবাগ- এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে সাধারনত টুসু পরব পালন করা হয়। এই উৎসবকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে জঙ্গল মহলের লোকসংস্কৃতি, যার নামও টুসু। টুসু উৎসব শুরু হয় অগ্রহায়ন মাসের শেষ দিনে আর শেষ হয় পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তির পুন্য লগ্নে। ধানের ক্ষেত থেকে এক গোছা নতুন আমন ধান মাথায় করে এনে খামারের পিঁড়িতে রেখে দেওয়া হয়। অগ্রহায়ন মাসের সংক্রান্তির সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের কুমারী মেয়েরা একটি পাত্রে চালে

দাঁইহাটের রাস উৎসব ।। অসিত কুমার পাল ।।

ছবি
দাঁইহাটের রাস উৎসব   অসিত কুমার পাল আমি চাকরিসূত্রে  প্রায় এক যুগ সময় বর্তমান পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত খুব ছোট একটা শহরে কাটিয়েছিলাম ।  ব্যান্ডেল আজিমগঞ্জ রেল পথের ধারে  অবস্থিত এই শহরটির নাম দাঁইহাট , যেটা নাকি এই  রাজ্যের দ্বিতীয় প্রাচীনতম পুরসভা ।  ভাগীরথী নদী তীরে অবস্থিত দাঁইহাট শহরকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে তার রাস উৎসব ।   আমরা অনেকেই জানি  কোচবিহার , নবদ্বীপ এবং শান্তিপুরে রাস উৎসব খুবই বিখ্যাত , কিন্তু  জাঁকজমক ও স্থানীয় মানুষের উৎসাহের দিক থেকে  বিচার করলে তাদের থেকে কোনও অংশেই কম নয় ছোট এই শহরের রাসযাত্রা ।  দাঁইহাটে বেশ কয়েকটি দুর্গা পূজা হলেও সেটার আকর্ষণ তত বেশি নয় , কারন দাঁইহাটের প্রধান আকর্ষণ হল রাস উৎসব ।  দুর্গাপূজার পরেপরেই শহরবাসী রাস উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে দেয় । প্রতি বছরে অগ্রহায়ণ মাসে রাসপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে দাঁইহাটের  এই শহরের অলিগলিতে অন্তঃত পঞ্চাশটি পূজা অনুষ্ঠিত হয় ।  আশপাশের এলাকা থেকে   আগত লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহনে  দু দিনের এই উৎসবটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে । চন্দননগরের শিল্পীদের দিয়ে পূজা প্যান্ডেলগুলির  আলোকসজ্জা করা হয় । রাধা ও কৃষ্ণের রাস

লাভপুরের গ্রামীণ দুর্গোৎসব ।। রমলা মুখার্জী

ছবি
লাভপুরের গ্রামীণ দুর্গোৎসব   রমলা মুখার্জী আমার বাড়ি হুগলী জেলার বৈঁচিতে, কিন্তু আমার বিয়ে হয়েছে বীরভূম জেলার লাভপুরে। লাভপুরের দুর্গাপুজোর রীতিনীতি আমাদের হুগলী জেলার থেকে পুরোপুরি আলাদা। এখানকার দুর্গাপুজোতে একটি প্রাচীন ভক্তিমণ্ডিত ভাবের সপাঠাঙ্গে সমস্ত পুজোগুলির একত্রিত হবার সুন্দর একটি পরিকল্পনাও রয়েছে যা আমাকে মুগ্ধ করেছে।    ষষ্ঠীর দিন বোধন যেমন হয় মন্দিরে মন্দিরে সেরূপই লাভপুরেও হয়। কিন্তু সপ্তমীর দিন থেকে সমস্ত পুজোগুলির মধ্যে একটি সমবেত প্রথা লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের সমস্ত পুরুষ ও ছোট ছেলেমেয়েরা নতুন বস্ত্র পরিধান করে এসে প্রথমে জড়ো হয় আমার শ্বশুরবাড়ি বাবুপাড়ার পুজো "ওপর সদরে"। "ওপর সদরের" দুর্গাঠাকুরের পুজোর ঘট প্রথম ভরতে বের হবে এবং মন্দির থেকে ঘট নিয়ে পুন্যার্থীরা বের হয়ে প্রধান রাস্তায় অপেক্ষা করবে। ঘট ভরতে প্রত্যেক পূজা মণ্ডপ থেকেই দোলায় চেপে ঘট যায়, সর্বাগ্রে যায় "ওপর সদরের" দোলা, তারপর ক্রমান্বয়ে কুলীন পাড়া ও দত্ত পাড়ার দুটি দোলাও এসে হাজির হয়। সমস্ত বাজনদাররাও একসঙ্গে পিছনে বাজনা বাজাতে বাজাতে অগ্রসর হয় ও সব গ্রামের ছেলেমেয়েরাও শোভাযাত্রায়

ছটপূজা ও কিছু স্মৃতিকথা।। রীতা রায়

ছবি
ছটপূজা ও কিছু স্মৃতিকথা রীতা রায় দীপাবলী ও ভাইফোঁটা পেরোলেই মাইকে এদিক ওদিক থেকে ভেসে আসে ভোজপুরি ভাষায় ছটের গান।| শুনতে বেশ লাগে। পূর্বে এই গানগুলি মুখে মুখে মেয়েদের গাইতে শুনতাম ..  যাকে বলা হতো গীত গাওয়া। আমাদের বাড়িটা মালদহের এমন একটা জায়গায় যেখানে সবরকম শ্রেনীভুক্ত বিভিন্ন জাতির মানুষের বাস | এখানে আমরা হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি থাকি | শুধু তাই নয়, আমাদের বাড়ির পশ্চিমে কামারপাড়া তো.. পূর্বে মুসলমানপাড়া; দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঘোষপাড়া ও দোসাদপাড়া তো .. দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হরিজনপাড়া; আবার উত্তর-পূর্বে ধানুক, তিওর, দোসাদ ও বিহারীর একত্রে বাস | চারদিকে মন্দির মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল হাট বাজার অফিস ইত্যাদি.. আর মাঝখানে মোড়ের মাথায় আমাদের বাড়ি | বোঝায় যাচ্ছে, বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা ..আর কী ! অতএব জন্ম থেকেই সবকিছু নখদর্পনে | এ পাড়ায় দোসাদ আর হরিজন বস্তিতে  ছটপূজার ধুম বেশি | ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু বৈশ্যজাতি বিশিষ্ট বিহারীও রয়েছে .. তারাও ছটের মহোৎসবে মেতে উঠে | আর হুজুগে বাঙলিরা তো সবার উৎসবেই  সামিল  .. তারাও মনে মনে তৈরী হয় বিকেলে ও ভোরে ঘাটে গিয়ে ছটের মজা উপভোগ করার জন্য ও ছটের প্

জাঁতাল পুজো ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
গোকর্নী পুরকাইত পাড়ার জাঁতাল পুজো                                   – অরবিন্দ পুরকাইত আদিম জোছনা। আদিম জোনাকি। এ মহাগ্রামে। হ‍্যাঁ, সুদূর সমুদ্র কিংবা দুর্গম অরণ্য-পর্বত ছেড়ে দিলে, মাঝে মাঝে এক-একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো শহর-শহরতলির বাইরে বসবাসের এ পৃথিবীকে অখণ্ড এক মহাগ্রামই মনে হয় যেন (তারাও কি গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারে সব গ্রাম-বৈশিষ্ট্য!)! শহর-শহরতলির ঝলমলে বিজলীর আলোয় এই জোছনা, জোনাকি আদি বড় ম্লান এই যা। কিন্তু অজ পাড়া-গাঁ কিংবা অরণ‍্য-অধ‍্যুষিত লোকালয়ে কিঞ্চিদধিক বিজলী বা সোলার আলো সত্ত্বেও আজও এদের উপস্থিতি রীতিমতো টের পাওয়া যায়। আর কৃত্রিম আলোর নিতান্তই সীমিত বলয়ের বাইরের বৃহত্তর জগতে তো তাদের রীতিমতো রাজত্ব! এই সেদিনও স্বনামধন্য কবি গেয়ে উঠেছেন, চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে..., জোনাকি কি সুখে ওই ডানা দুটি মেলেছ...। অরণ‍্যচর বা পশুপালক কিংবা কৃষিজীবী আমাদের তস‍্য পিতামহ-পিতামহীর সময়েও তারা ছিল, আজও রয়ে গেছে! বড়জোড় ভিন্ন বা বিবর্তিত রূপে। আদিম হয়েও অধুনাতন – আধুনিক। চিরকালের যোগসূত্র – চিরন্তন। আদি ও অকৃত্রিম যেন! মধ‍্যরাতে বসতের উপর দিয়ে 'প্রিল‍্যুড'-এর পরে 'চোখ গেল'

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪