উপোস
শরীরের শিরা কাতর গান গেয়ে চলে অভুক্ত অঙ্গীকারে,
পূজার নৈবেদ্য ধূপের গন্ধে ভরপুর হয় নিঃশ্বাসের অহংকারে।
খালি পেট চোখের তাড়নায় খাবারের স্বপ্ন অন্বেষণ করে চলে...
খিদের জ্বালায় ঈশ্বরের কথকথার মাঝে পেটের স্বরলিপি গান ভুলে যায়...
অঞ্জলি হাতে মনের ভিতর সুগন্ধি খাবারের বোল,মনে দোলনার অবকাশ ঘটায়...
হাজারও সংস্কারের মুখ সর্পফণা তুলে , চলে নিতান্ত কড়া মন মহিমায়...
ঈশ্বর স্নিগ্ধ সদা অব্যক্ত করুণাময়ী,
পেটপূজা সংস্কারের দরজায় দাঁড়ান চিন্ময়ী।।
নীরার গান
স্বরলিপি আকাশ বেয়ে কণ্ঠকে জড়িয়ে ধরে বারে বারে...
নীরার গান রাস্তার মতন একেঁবেঁকে যাওয়া,
হাজার সুর রপ্ত করে...
গান স্থান পায় নীরার কণ্ঠের একান্ত অপরূপ সাধনায়...
দিন বয়ে চলে নিতান্ত মিষ্ট মধুর ঝলমলে আশায়...
হঠাৎ সংসারের নির্মম দায়িত্ব বাঁধ হয়ে দাঁড়ায় নির্ঝরের অসহায়তায়,
গান ভুলে যাওয়া নীরা ,সমাজের নির্দয় চক্রব্যূহে প্রবেশ করে চলে,
একান্ত বাধ্যবাধকতায়...।।
=====================
সোহিনী সামন্ত । শ্যামনগর, ২৪ পরগণা উত্তর