।।মাঝেমাঝে চুপ করে থাকো।।
মাঝেমাঝে চুপ করে থাকো,
চেয়ে দেখো জোনাকির আলো ঢলে পরে ম্যাকবেথে,
গোলাপ কেমন নুয়ে পড়ে মাটির বুকে,
লতানো গুল্মলতায় মাকড়শাদের বাড়ি,
চেয়ে দেখো চেড়া চটিরা ভিড় জমায় মন্দিরে।
তপ্ত দুপুরে খাখা মাঠ যেভাবে আগুন পোয়ায়,
তোমার চোখের উষ্ণতা তেমনি রবে।
পুকুরের শান্ত জলে পতিত পৃথিবীর ছায়া, শোন সে কি কথা বলে যাবে।
দেখো শামুকের দল মাটি কামড়ে ধরে,
ফোসকার জলে ভিজে যায় এ শহর।
মাঝেমাঝে চুপ করে থাকো,
ভেবে দেখো,তোমার বুকের তিলটাও একদিন মুছে যাবে।
।।অশ্বথামা।।
সবাই এগিয়ে আসছে,
গ্রাম থেকে মফস্বল, মফস্বল থেকে শহর,
শহর থেকে মেট্রোপলি।
বালতির থেকে উপচে পড়া জল গড়িয়ে চলে,
কোন নদী না, সমুদ্র না,
শুধু দুভাগ হাইড্রোজেন আর একভাগ অক্সিজেন।
দাহ্য থেকে ক্রমশ উহ্য হয়ে আসে।
নীহারিকার গহ্বর হতে ঘোলাটে ধূলিঝড়
সবটুকু গিলে নেয়,
ছিটেফোঁটা আলো, প্লাজমা আর একাকীত্ব।
এবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসো অশ্বথামা।
।। অচেতন চৈতন্য।।
প্রতিটাদিন সমুদ্রের দিকে ত্রুমশ এগিয়ে চলে শহর,
ভীষণ গতিতে ছায়া পেরিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে আলো,
এগিয়ে ওদিকে বিচ্ছুরিত হয় আপেক্ষিকতা,
যে দেরি করে এলো,বুঝি তার কাছেই আছে বসন্তের এসরাজ।
জলের সাথে লেগে থাকে তরঙ্গের সুর।
নিদ্রা ও তন্দ্রার মাঝে যে ছুঁয়ে গেল,
তাকে আমি ভোলাই কিভাবে!
।।যা কিছু নেই।।
কিছু তো অনেক কিছু আছে,
তবে আমি ভাবছি, কিছু নেই এমন কতকিছু থাকতে পারে।
ভাবছি, কিভাবে এ পৃথিবী ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে হিমালয়ের মতো।
একটা একটা করে সরে যাচ্ছে যূপকাষ্ঠ,
কান পেতে শোন ডমরুর নিনাদ,
এই হাওয়ার পরতে পরতে যে বৈভব
পৃথিবী তাকে অনেকটা আড়ালে রেখেছে।
মনে তো অনেক কিছু আছে,
তবে আমি ভাবছি, মনে নেই এমন কতকিছু থাকতে পারে।
=========================================
নাম- দেবব্রত দাস
ঠিকানা- ৫ নং ইছলাবাদ, পোঃ-শ্রীপল্লী, বর্ধমান।
ঠিকানা- ৫ নং ইছলাবাদ, পোঃ-শ্রীপল্লী, বর্ধমান।