ভালোবাসা এমনি হয়
ফাগুনের রাত, তবুও কাল বৈশাখীর মতো দমকা হাওয়া বইছে বাইরে।
মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
গভীর উৎকন্ঠায় ডাইনিংটেবিলটা ছেড়ে চলে এসেছি বারান্দায়।
অসম্ভব এক অস্হিরতায় পায়চারি করছি বারবার।
আর.....
তাকাচ্ছি বাইরে, এই বুঝি তোমার মোটরবাইকের আওয়াজ আসবে ভেসে।
সে ই কখন থেকে ঘড়িটার দিকে তাকাচ্ছি। বলেছিলে মিটিংয়ে আছো, দশটা বাজবে শেষ হতে।
দশটা পেরিয়ে বয়ে চলেছে সময়।
ঘরের ভেতর ঢুকতে যাবো, এমন সময় কানে এলো
তোমার পায়ের আওয়াজ।
মনে স্বস্হির নিঃশ্বাস।
একহাতে বাজারের ব্যাগ,
আরেক হতে কি যেনো একটা দেখা যাচ্ছে!
ইসসস!
একদম ঘেমে নেয়ে এসেছো দেখছি।
নাও, একটু বসো তো আগে এই টুলটিতে।
আমি আঁচল দিয়ে তোমার কপালের ঘাম মুছে দিলাম।
তুমি আমার হাত টি ধরে পাশে বসিয়ে বললে -
আমার প্রিয়া। সারাদিন আজ কি কি করা হলো শুনি!!
আমি এক গাদা অভিমান ছুঁড়ে দিয়ে বললাম - থাক, লাগবে না আর খবর নেওয়া।
খুউব তো থাকো কাজের ভীড়ে, আমায় নিয়ে ভাববার সময় আছে বুঝি!!
তুমি বললে - মনে না থাকলে তবে এই বেলী ফুলের মালা কার জন্য এনেছি শুনি!
আমার খুশির জোয়ার নিঙড়ে বলে উঠলাম - বেলী এনেছো!
এই, দাও বলছি.…।
তুমি যত দুষ্টুমিতে আমায় ভরিয়ে দিলে।
খোঁপায় পরিয়ে দিলে বেলী ফুলের মালা।
আকাশে জেগে ছিলো আধ খানা চাঁদ।
সাদা মেঘের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে চলা চাঁদ যেনো দেখছিলো আমায়।
কেনো জানি, ঐ আধ খানা চাঁদকে দেখে লজ্জা লাগছিলো আমার।
দৌড়ে ছুটে যেতে চেয়েছি তোমার বাহু ডোর হতে।
পারিনি...
আমার গাল দুটি, তোমার দুটি করতলে চেপে আমায় আলতো আদর দিলে কপাল জুড়ে।
সেই মূহুর্তে যেনো সকল অভিমান গলে গলে পড়তে লাগলো তোমার স্পর্শে।
ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়।
না বলেও বলা হয়ে যায় কত কথা।
শত অভিমানী মেঘ বৃষ্টি হয়ে সিক্ত করে দুটি মন।
----------------------------------------------------------------
রীতা আক্তার
হাজিপড়া, নতুনরাস্তা, রামপুরা,
ঢাকা, বাংলাদেশ।
৪/৪/১৯