।। শারদ পূর্ণিমা।।
দেবীপক্ষের সূচনা- হল কৃষ্ণপক্ষের সমাপন;
প্রতীক্ষার অবসান- ষষ্ঠীতে দুর্গা মায়ের
বোধন।
মহাপূজা শেষ- অতিক্রান্ত মায়ের বিদায়
পর্ব,
বিদায় নেয় না উৎসব
ধরণী এখনো স্বর্গ।
আসেন মায়ের লক্ষ্মী মেয়ে-
সেদিন শারদ পূর্ণিমা;
সুলক্ষণা পদচিহ্নে একলা তিনি
শারদ রাতের চন্দ্রিমা।
আবার আসে রাত জাগার পালা
পূর্ণিমা তার রূপের ছটা, যেন চন্দ্রকলা।
আকাশে উজ্জ্বল পূর্ণচন্দ্র ছড়ায় রূপালী
আলো,
তার পূজাতে ধুয়ে যাক্ অসৎ আঁধার কালো।
জোছ্না
ধোয়া রূপ তার,
ধনৈশ্বর্যের অধিশ্বরী,
পুণ্য ছোঁয়া জাদুকরী, রাত যে কোজাগরী ।
সালঙ্কারা শ্রীঅঙ্গ সেজে ওঠে
শারদপূর্ণিমা রাত্রে,
কমলাসনে দেবী কমলা-কোমল চরণ রাখেন
পদ্মপত্রে ।আলতারাঙা
তার শ্রীচরণ,তার তরে আঁকি আল্পনা,
পূর্ণিমা-চাঁদ সারারাত জ্বলে,শঙ্খ-হ্রুলু-মন্ত্রে করি
তারই বন্দনা।নিশাচর
বাহন তার অনুচর, দেয় রাত পাহারা,
দরিদ্রসন্তানে স্নেহধারা ঢেলে,তিনি যেন দেন সাহারা।
অর্থ অনর্থের মূল
,
অশান্তির কারণ;
অসাধু পথে অর্থ নিতে, কর মাগো বারণ;
লোভলালসার হোক্ নিবারণ,ছড়াক্ মায়ের মহিমা;
মায়ের কোলে নেব শরণ, পুণ্য শারদ পূর্ণিমা।।
----------
লিপি ঘোষ হালদার
শ্রী অ্যাপার্টমেন্ট্,
5/1/D
বীর অনন্তরাম মন্ডল লেন,
কলকাতা-50
Sent from my Samsung Galaxy smartphone.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন