পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭২তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র = ভাষাদিবস বিষয়ক লেখাগুচ্ছ = প্রবন্ধ/নিবন্ধ মাতৃভাষায় শিশুশিক্ষা ।। তৃষা সানা আ-মরি, মাতৃভাষা ।। প্রদীপ কুমার দাস মাতৃভাষা, রক্ত-স্নাত ভাষা, বাংলা ভাষা ।। নাসির ওয়াদেন ভাষাতে বাংলা - মুন্ডা ।। তন্ময় কবিরাজ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ।। সৌভিক দে অ-পার বাংলা ।। গৌতম ঘোষ-দস্তিদার নিবন্ধ ।। হতাশার মাঝেও আলোর ঝলকানি ।। প্রদীপ কুমার দে কবিতা/ছড়া কবিতা ।। একুশ মানেই ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। একুশ আমার ।। জগদীশ মন্ডল কবিতা ।। বাংলা আমার প্রাণের ভাষা ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। ভাষাদিবস ।। গোবিন্দ মোদক ভাষাদিবসের দুটি ছড়া ।। রথীন পার্থ মণ্ডল কবিতা ।। ভাষার সুধায় ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। একুশ আমারে ।। সুজন দাশ কবিতা ।। পৃথিবীর বারান্দা মুখরিত হয় ।। আবদুস সালাম কবিতা ।। ৮ই ফাগুন, ১৩৫৮ ।। প্রদীপ বিশ্বাস ছড়া ।। মা আমার মা সাইফুল ইসলাম ।। সাইফুল ইসলাম কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। সমর আচার্য্য কবিতা ।। মাতৃভাষার সংকট ।। কে দেব দাস কবিতা ।। ভাষার দিন ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভাষার ভালোবাসা ।। কেতকী বসু ছড়া ।। সবার সে

প্রবন্ধ ।। মাতৃভাষায় শিশুশিক্ষা ।। তৃষা সানা

ছবি
মাতৃভাষায় শিশুশিক্ষা তৃষা সানা   রবীন্দ্রনাথ বলেছেন " শিক্ষার সাধনাকে পরভাষার দ্বারা ভারাক্রান্ত করলে চিরকালের মতো তাকে পঙ্গু করার আশঙ্কা থাকে ।" প্রবোধ চন্দ্র সেন তার লিখিত ' রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা ' পুস্তকে লিখেছেন - " শিক্ষায় মাতৃভাষা ই মাতৃদুগ্ধ " । শিশুরা তাদের চোখ , কান , নাক , জিহ্বা ও ত্বক এই পাঁচ ইন্দ্রিয় দ্বারা চারপাশের পরিবেশ থেকে যা কিছু দেখে , শোনে, অনুভব করে আর বোঝে তার মাধ্যম ই শেখে । দেখে শুনে বুঝতে অসুবিধা হলেই তারা বাবা , মা, দাদা , দিদি , বাড়ির বড়দের ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে   প্রশ্ন   করে। শিশুদের শিক্ষায় বড়দের দেওয়া এই উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর মাধ্যমে তাদের শেখার পরিসর ব্যাপ্ত হয়। এই দেখা শোনা ও বোঝার প্রধান মাধ্যম হলো মাতৃভাষা । মাতৃভাষা তো শুধু মায়ের মুখের ভাষা নয় , বাড়ির বড়রা এবং আত্মীয়-স্বজন এই ভাষাতেই কথা বলে। এই ভাষায় শিশু কল্পনা করে, মনে মনে ভাবনা চিন্তা করে , মনের ভাব ও ইচ্ছা - অনিচ্ছা সবই প্রকাশ করে । আবার আনন্দ , ভালোবা সা আদরের ভাষাও এই মাতৃভা

আ-মরি, মাতৃভাষা ।। প্রদীপ কুমার দাস

ছবি
আ-মরি, মাতৃভাষা ডা. প্রদীপ কুমার দাস কোন একটি বাচ্চা জন্মসূত্রে তিনটি জিনিস পায়- জন্মভূমি, জন্মদাত্রী ও মাতৃভাষা। জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী। আর মাতৃভাষা শেখায় জন্মভূমির প্রতি ভালবাসা, একাত্মবোধ, দেশপ্রেম বা দেশাত্মবোধ। শুধু ভাষাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েছে যার নিদর্শণ হল স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে ভাষাই গড়ে দিয়েছিল দেশাত্মবোধের সোপান। বিশ্বের অন্যান্য ভাষার মধ্যে বাংলাভাষা জায়গা  করে নিয়েছে পঞ্চম স্থানটিতে। কবির অতুল প্রসাদ সেনের ভাষায়: 'মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা'। শুধুমাত্র ভাষাকে কেন্দ্র করে দেশাত্মবোধের যে প্লাবন দেখা দিয়েছিল তার নজির খুব কমই আছে।       বাংলায় বাঙালীরা তাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, মহারাষ্ট্রে মারাঠীরা মারাঠী ভাষায়, উড়িষ্যায় ঊড়িয়া, অসমে অসমিয়া, পাঞ্জাবে গুরমুখী, বিহারে  ভোজপূরি, উত্তরপ্রদেশ- রাজস্থানে হিন্দি ভাষায়, সাঁওতালীরা অলচিকী ভাষায় কথা বলে আনন্দ পায়।      ভাষা টিকে আছে তার ধ্বনি মাধুর্যের জন্যে। মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান। বাংলা ভাষা বা বাংলা সাহিত্য আমাদের কাছে যেন সেই মহাসাগর যেখানে ডুব দিলে শুদ্ধ হওয়া য

নিবন্ধ ।। মাতৃভাষা, রক্ত-স্নাত ভাষা, বাংলা ভাষা ।। নাসির ওয়াদেন

ছবি
    মাতৃভাষা, রক্ত-স্নাত ভাষা, বাংলা ভাষা                   না সি র  ও য়া দে ন যেকোনো ভাষায় সাহিত্য রচিত হয়ে থাকে সেই এলাকার নিজ ভাষাভাষী অধিবাসীদের, নাগরিকদের কৃষ্টি, কালচার, আচার-আচরণ,ভাব, ভালোবাসা ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা প্রবাহ থেকে। তার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায় সেই ভূখণ্ডের ভৌগোলিক ও সামাজিক তথা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। যুগের ও সময়ের প্রেক্ষিতে মনন চর্চা ও সৃষ্টির প্রকরণের মধ্য দিয়ে সাহিত্যের সুললিত ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হয়ে চলে এঁকে বেঁকে গতিপথ পাল্টিয়ে। এই পরিবর্তন বাঁক বদল কালের প্রেক্ষিতে শুধু নয়; মানুষের রুচিবোধ, চিন্তাবোধ, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া, সামাজিক কার্যকলাপ এবং ভাবনার উদ্রেকে পুস্ততা লাভ করে। যুগের একটা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব সেই সাহিত্যের অঙ্গনে সূর্যোদয়ের আভার মতো উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে থাকে।            বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টি অনেক দিনের। প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি সাহিত্য বিদগ্ধ কিছু জ্ঞানী ব্যক্তির মধ্যে সীমাহিত ছিল, যা পরবর্তী সময় ধাপে ধাপে পাথর নিঃসৃত ঝর্ণাধারার শীতল আবেগ নিয়ে বয়ে চলেছে দিগন্তের দিকে নতুন অধ্যায়ের পথে। দশম-দ্বাদশ শতকে চর্যাপদাবলী সৃষ্টির ভে

বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ।। সৌভিক দে

ছবি
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত  সৌভিক দে ভাষা আন্দোলন এবং ভাষা শহীদদের সন্মন্ধে সবারই কম-বেশি ধারণা আছে। অথচ যে লোকটি ভাষা আন্দোলনের বীজ বুনে ছিলেন, তাঁকে আমরা চিনি না! তিনি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর জন্ম নভেম্বর ২, ১৮৮৬ এবং মৃত্যু ২৯ মার্চ, ১৯৭১। একজন বাঙালি আইনজীবী সমাজকর্মী, বিপ্লবী ভাষা সৈনিক, রাজনীতিক ও শহিদ বুদ্ধিজীবী।তাঁর পরিচিতি মূলত একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে। দেশ বিভাগের আগে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। প্রাথমিক জীবন ----------------------- ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রামরাইল গ্রামে। তাঁর বাবা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন কসবা ও নবীনগর মুন্সেফ আদালতের সেরেস্তাদার। ধীরেন্দ্রনাথ পড়াশোনা করেছেন নবীনগর হাই স্কুল, কুমিল্লা কলেজ, এবং কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। তিনি ১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল হতে প্রবেশিকা, ১৯০৬ সালে কুমিল্লা কলেজ থেকে এফ.এ.; ১৯০৮ সালে কলকাতা রিপন কলেজ হতে বি.এ এবং ১৯১০ সালে একই কলেজ হতে বি.এল পরীক্ষা পাস করেন। সংসার জীবন  -------------------- ১৯০৬ সালে ছাত্রজীবনে ধীরেন্দ্র

নিবন্ধ ।। ভাষাতে বাংলা - মুন্ডা ।। তন্ময় কবিরাজ

ছবি
ভাষাতে বাংলা - মুন্ডা  তন্ময় কবিরাজ জাতির বিকাশে ভাষার যে কতো সুবিশাল অবদান থাকতে পারে তা মুন্ডাদের ইতিহাস পড়লেই বোঝা যায়। ধর্ম জাতীয়তাবোধের উপাদান হলেও তাকে বহন করতে হলে ভাষাকে শক্তিশালী হতেই হবে। শিল্পী নন্দলাল বসু তাঁর প্রবন্ধে ভাষাকে সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শনের গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ ভাষার গুরুত্ব সঠিক ভাবে সব সময় বোঝা যায় না। পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হলেও পশ্চিমবঙ্গ , আসাম, ত্রিপুরায় বর্তমান সময়ে ভাষা নিয়ে কতটা সচেতনতা রয়েছে সে সন্দেহের। আজকের বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির কিছু লেখক গড়পড়তা বাংলা শব্দের ব্যবহার অপেক্ষা ইংরেজি, হিন্দি, আরবী শব্দকেই বেশী প্রাধান্য দেয়। ফলে অনেক বাংলা শব্দই আজ মরতে বসেছে। সাহিত্যের প্রতি বর্তমান কিছু সাহিত্যিকের আবেগ থাকলেও দায়িত্ত্ব পালন করতে দেখা যায় না। তাই আমাদের রাজ্যেগুলোতে ভাষা দিবস পালন করা নেহাত লোকদেখানো। দক্ষিণ ভারত, উত্তর ভারত বা পূর্ব বাংলায় গেলে বোঝা যায় ভাষার প্রতি মানুষের ভালোবাসা । আমরা সেই বাঙালি যারা অনুকরণ করতে ভালোবাসি, এক কথায় টুকতে পছন্দ করি। ব্রিটিশরা ছিল তাই ইংরেজি শিখেছি, রাশিয়ার কেউ থাকলে

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪