পোস্টগুলি

মে ১৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প ।। অফিস ছুটির পর ।। ইমরান খান রাজ

ছবি
অফিস ছুটির পর  ইমরান খান রাজ  অফিস ছুটির পর, দোতলা থেকে নিচে নামতেই দেখি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। একটু পর-ই তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো চারিদিকে। কিছুটা বিরক্ত অনুভব হলেও একমুহূর্তের জন্য আবার ভালোলাগা কাজ করছিলো। কারণ বৃষ্টি আমার কাছে খুব ভাল লাগে। যখনই বৃষ্টি হয়, আমি না ভিজলেও তখনই বৃষ্টি দেখতে বের হই। কখনো জানালা দিয়ে, কখনো ছাতা হাতে নিয়ে ছাদের ওপর থেকে আবার কখনো বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখি। আমার খুব ভাল লাগে এই অনুভুতিটা। অফিস শেষে সবারই একটা প্রধান টার্গেট থাকে। আর সেটা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব বাসায় পৌঁছানো। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হওয়া, তারপর নাস্তা খেয়ে মনের সুখে বিশ্রাম করা ! কিন্তু আজ আর আমার মধ্যে এই টার্গেট কাজ করলো না ! ভাবলাম বৃষ্টিতো আর প্রতিদিন পাবো না। আজ যেহেতু বছরের প্রথম বৃষ্টি, তাই আজ নাহয় বৃষ্টি দেখলাম। বাসায় যেতে একটু লেট হলে কিছু হবে না। আর এমনিতেও আমি অবিবাহিত। তাই বৌয়ের টেলিফোনের যন্ত্রণা নেই! অবশেষে সকল চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে রফিক মামার চায়ের দোকানে ঢুকলাম। আমাকে দেখেই মামা মুচকি হেসে দিয়ে সাথে সাথে এক কাপ লাল চা এগিয়ে দিলো। চায়ে চুমুক দিতেই চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো; তৃপ্তিতে !

অণুগল্প ।। বাজে কথা ।। পীযূষ কান্তি সরকার

ছবি
              বাজে কথা                   পীযূষ কান্তি সরকার     ছোটোছেলে শানু-কে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে ফিরলেন ঋতা। তাঁর বড়ো জা তন্দ্রা জিজ্ঞাসা করলেন , " হ্যাঁগো ঋতা, কেমন আছেন মেসোমশাই ?" --- আর বোলো না দিদিভাই, বাবা জল ছাড়া কিচ্ছু খেতে পারছে না ! সে যে কী অবস্থা ... কথ্র মাঝখানে ছোট্ট শানু বলে উঠল, " না গো জেম্মা -- বাজে কথা !  দাদু দিব্যি কচমচ করে চিকেন পকোড়া চিবিয়ে খাচ্ছে... এইমাত্রদেখে এলাম !"                            --------- পীযূষ কান্তি সরকার কদমতলা, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

গল্প ।। অযাচিত প্রেম ।। রেজাউল করিম রোমেল

ছবি
  অযাচিত প্রেম রেজাউল করিম রোমেল     বেশি দিন আগের কথা নয়।চার পাঁচ বছর হবে।তখন আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।সে সময় একটা মেয়ের সাথে আমার প্রায়ই কথা হত।মেয়েটার বয়স কতইবা হবে,ষোল কি সতের।মেয়েটার গায়ের রঙ ছিল শ্যামলা।না ঠিক শ্যামলা নয় তার গায়ের রঙ ছিল কালো।কোকড়া কোকড়া চুল।মেয়েটি যখন আমার সাথে কথা বলতো তখন বেশির ভাগ সময় আমার চোখ তার দাঁতের দিকে চলে যেত। চোখে থাকত সবসময় হাই পাওয়ারের চশমা।আমার সাথে দেখা হলে হেসে হেসে কথা বলতো।আমি পাত্তাই দিতাম না।আমার আবার গায়ে পড়া মেয়ে একদম ভাললাগে না।আমি কখনো সেধে সেধে কথা বলতে যায় নি।ও-য়ি আমার সাথে সেধে সেধে কথা বলতে আসতো।দেখা হলেই Ñভাইয়া কেমন আছেন?কথাটি বলার পর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতো।তারপর আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলতাম।আমাদের ভেতরে অবশ্য পড়াশোনার বিষয় নিয়েই বেশি কথা হত।বাড়ির সবাই কেমন আছে,মা কেমন আছে,তুমি কেমন আছ।আমি আবার মাঝে মাঝে বলতাম অংক,ইংরেজি বুঝতে কোনো সমস্যা হলে আমার কাছে নিয়ে এসো।আমি দেখিয়ে দেব।মেয়েটা ছিল অনেক লম্বা।মাঝে মাঝে আমি চুপি চুপি ওর পাশে গিয়ে মাপ দিতাম।কিন্তুু দেখতাম যে না মেয়েটা আমার চেয়ে ল

তিনটি কবিতা ।। কবিরুল

ছবি
তিনটি কবিতা ।। কবিরুল  নতুন বসন্তের গান                  বছর শেষের মাদল বাজছে -          আর ক'টা দিন , তারপরেই উঁকি মারবে              নতুন ভোর। রবির কমলা , সোনালী আবীরে            চনমন করে উঠবে বৈশাখের প্রাণখোলা, সতেজ  সমীরণ।           সবুজের মখমলে বোহেমিয়ান শিহরণ!              মাঘের পবিত্র শিশিরে ভিজে  খোলা চিঠি -                  যখন  খুলে দেবে বসন্তের জানালা,                        তোমার প্রতীক্ষায় আমি থাকব সারাদিন -               কোপাই নদীর তীরে , অথবা লাল মেঠো পথে।                         তোমার দু কানে ফুলেল ঝূমকো,                         সারা শরীরে পলাশ শিমূলের আদর                          আমার কবিতার ক্যানভাসে আগুণ জ্বালাবে।         হয়ত সেদিন   ফিরে যাবে পরিযায়ী পাখিরা ভীষণ অভিমানে           ফিরবে না তুমি , গোধূলী সন্ধ্যার বক হয়ে ডানা ঝাপটাবে             তোমার সাদা ডানায় ডানায় আমার বাউল মন       লিখে দেবে ভালবাসার শ্লোক , নতুন বসন্তের গান নতুন বছরে।                                প্রেম বৃষ্টি                   তোমার চোখে জমেছে মেঘ                        বড্ড অভিমানী তুমি !

কবিতা ।। তুমি এখনো বেঁচে আছো? ।। মুস্তারী বেগম

ছবি
  তুমি এখনো বেঁচে আছো? মুস্তারী বেগম তুমি এখনো বেঁচে আছো? মানুষ!! নখ,চুল,দাঁত অবিকল। ঠিক যেনো জন্তুর মতো। ওরা স্বজাতি কে খায় না‌। এখনো বেঁচে আছো মানুষ? পলাশে,কিংশুকে আজ বারুদ ঝরে কিংবা আগুন। নখ চুল দাঁত অবিকল ঠিক যেনো রাক্ষসের মতো মানুষ তুমি বুঝি বেঁচে নেই? যৌনতা,ক্ষমতা আর লালসের ঝোলে পিঁপড়ের মতো অবিকল,,, মরে গেছো বোধহয়!

কবিতা ।। সময় শুধু বেদনায় নীল ।। অভিজিৎ হালদার

ছবি
  সময় শুধু বেদনায় নীল অভিজিৎ হালদার সময় শুধু বেদনায় নীল আকাশের তারাগুলি খুঁজছে পথ বেঁচে থাকা জীবন্ত মানুষের ভিড়ে আমি ভালোবাসি সেই মেয়েটিকে হলুদ গোলাপ বৃক্ষের ফুল দিয়ে। যতটা মন বাড়িয়ে ছুঁয়ে ফেলি তোমার মনকে তুমি কি ততটা মন বাড়িয়ে মনে করো আমাকে!! কি নিদারুণ এই শহরের সমবেদনা পাওয়া অ-পাওয়ার অপেক্ষার মৌন মিছিল আজো পথের বাঁকে জীর্ণ গাছটি দাঁড়িয়ে কাঁদে ঈগলের ডানার পালকের ছায়ার সমীচীন চাদরে। আমার শহীদ মিনারে হয়তো তুমি ফুল দিয়েছো অথচ সেই ফুল দিয়েই তুমি অন্যের পথ সাজিয়েছো সাদা শঙ্খচিলের পালকের আড়ালে। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি আমি চাইনি কখনো ভালো হতে আমি আজীবন ধরে চেয়েছি বিষণ্ণ ফাগুনের ছাপ আমার দুঃখ ঢাকার মিথ্যা হাসিতে।। _______________________ Name-Abhijit Halder Vill-Mobarockpur Nadia, West Bengal

কবিতা ।। স্বচ্ছ বন্ধুত্ব ।। সাদিয়া তাবাসসুম

স্বচ্ছ বন্ধুত্ব সাদিয়া তাবাসসুম একজন  ভালো বন্ধু একটি খোলা জানালার মত,     যেই জানালা দিয়ে সবুজ প্রকৃতি দেখা যায়    আর বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। একজন ভালো বান্ধবী একটি বারান্দার মত।    যখন ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় একটু দাড়ালে, কিছুক্ষণ বসে থাকলে একঘেয়েমি কেটে যায়।   বন্ধুত্বে যদি থাকে স্বচ্ছতা, তবে মনের কথা   সহজেই প্রকাশ করা যায়। ====================

কবিতা ।। ভালোবাসা ।। সত্য মোদক

ছবি
  ভালোবাসা সত্য মোদক আমি তোমাকে ভালোবাসি  এটা শুধুমাত্র মজা করার জন্য নয়৷ শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য তোমার সাথে সম্পর্কে জড়াতে চাই না৷ কারণে অকারণে ঝগড়া করার জন্য আমি তোমার সাথে প্রেম করব না৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে তোমাকে আটকে রাখব না৷ আমি তোমাকে ভালো বাসি বলে তোমাকে বেধে রাখব না৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে  কোন শর্ত চাপানো থাকবে না৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে তোমার মূল্যবোধে আঘাত করব না৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে তোমার সকল ইচ্ছেতে গিট পরবে না৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে  তোমার স্বপ্নগুলো কুঁড়ি অবস্থায় শেষ হ'তে দেব না৷ আমার ভালোবাসা হবে আরো গভীরভাবে আবদ্ধ করার জন্য, যেখানে স্বপ্নগুলো প্রস্ফুটিত হবে সুগন্ধি ফুট ফুটে ফুলের মত৷ যেখানে স্নিগ্ধ বাতাস মনপ্রাণকে আন্দোলিত করবে, ভালোবাসার আবদ্ধে জন্ম নেবে  নতুন নতুন স্বপ্ন , পথ হবে মসৃন দিগন্ত থেকে দিগন্ত, আকাশ থাকবে স্বচ্ছ৷ ভালোবাসায় আরো বেঁধে বেঁধে থাকবে অনাবিল সুখ আর আনন্দ৷ ভালোবাসা হবে অনুরাগের অনুভবের৷

ছড়া ।। আর বলবে কত ? ।। দিলীপ কুমার মধু

ছবি
আর বলবে কত ? দিলীপ কুমার মধু অজুহাতের হরেক ধরন শুনবে, তবে শোনো একই মুখে একরকম কথা দোষ হয় না কোন, খরিদ করে দোকান থেকে বাকি থাকে যত 'একটু পরে দিচ্ছি এসে' বলবে পূর্ব মত। কিংবা বলে 'পরে  নিও পালিয়ে যাব নাকি ? বিকেলে ঠিক পাঠিয়ে দেব ভরসা নেই নাকি ?' কখনোবা বলে আবার-- 'কালকে দিয়ে যাব' প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলে-- 'দেব ,যবে পাবো ।' তাগাদা দিলেই বলেই চলে--- 'দেব বৈকি দেবো তোমার পাওনা পয়সাটা আমি কেন নেব ?' চাইলে বলে --'চেনো না নাকি দিচ্ছি মনে আছে তোমার অমন বাকি টাকা অনেক আছে কাছে।' অভ্যাসবশে হঠাৎ বলে-- 'এইতো দিয়ে যাব ভুলে যাবো না, সত্যি বলছি না দিয়ে রেহাই পাব ?' শুনলে তো অজুহাতের ধরণ শত শত মিথ্যে বলে  শেষ হলে যে আর বলবে কত ! ----------   দিলীপ কুমার মধু, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান

কবিতা ।। আয়োজন কিসের জন্য ?? ।। অভিজিৎ হালদার

ছবি
আয়োজন কিসের জন্য ?? অভিজিৎ হালদার আমার সকল আয়োজন সবই বৃথা এই শহরে কিংবা অন্য শহরেও কারে খুঁজি আর কি কারণেই বা বেঁচে থাকা ! একদিন ধূলিসাৎ হবে চোখের দৃষ্টি আর ধূলিসাৎ হবে সকল চাওয়া পাওয়া। কোথায় হারিয়ে গেলাম আমি ; আমার সন্নিকটে সাহস করে বেঁচে উঠিলাম আবার চাই আরো মনোবল আরো বিশ্বাস বাঁচতে তো চেয়েছিল সে ও কিন্তু কত জনই বা বেঁচে ফেরে সেখান থেকে ? না আমি মানুষ কে কখনো জানতে চাইনি হয়তো তাদের হৃদয় বুঝিবার ক্ষমতা আমার ভিতর নেই (শূন্য আরণ্যক এ যেন পাখির বাসা) কিন্তু এটাও ঠিক যে সকল ক্ষমতার পথকে আমি পা দিয়ে দলিয়ে যায় এক নিমেষে। আমি প্রাণভরে আঘাত করি একজনকে না আমি কখনো দ্বিতীয় কাউকে আঘাত করিনা; এখানে রাত্রি হ'লেও সেখানেও আঁধার জোনাকিরা আলোকিত করে অন্য জনকে নীলাভ ঘন গাঢ় অন্ধকার পথে আমি হেঁটে যায় আমারি চোখের রাস্তা দিয়ে না হয় কাঁটাতারের মানচিত্র পেতে। আমার সকল আয়োজন বৃথা হয়েছে কিন্তু তাঁদের আয়োজন বৃথা হয়না কখনো তাঁদের সকল আয়োজনই বা কিসের জন্য?? আমার নিজের পাতের অন্ন শুকিয়ে দিতে কি পারি ভিক্ষার ঝুলিতে একমুঠো অন্ন? এ আয়োজন কিসের জন্য? কাদের সীমানায় বা বারোমাস আসা-যাওয়া আমার

কবিতা ।। যুদ্ধবাজ ।। দেবশ্রী সরকার বিশ্বাস

ছবি
 যুদ্ধবাজ  দেবশ্রী সরকার বিশ্বাস আকাশে কালো ধোঁয়াটা, উড়তে উড়তে সরু হয়ে মিলিয়ে যায় , বোমারুটা চক্কর কাটতে কাটতে- একসময় হয়তো ফিরে যায়! রক্তের কালো দাগটাও চাপা পড়ে একসময়! প্রিয়জনের স্মৃতি, বোবা-কান্নার ভাষা, বড় ক্লান্ত আজ! অনিশ্চিত পথে- শরণার্থীর ঢল প্রতিদিন! যুদ্ধ একদিন হয়ত থামে, তবে আবারও ফেরে! ছাই চাপা আগুন আর স্বার্থ , নোনাজল আর রক্তের স্রোত, তুচ্ছ -তুচ্ছ সবই- যুদ্ধবাজের চোখে! ==========

কবিতা ।। ভূমি ।। গণেশ মাইতি

ছবি
ভূমি গণেশ মাইতি কবিতার দেশ জুড়ে কফিনের বাগ রুটির ঝুড়িতে পোড়া বারুদের দাগ। চারিদিকে ধ্বংস স্তুপ মায়া আর কান্না সবাই চোখ বুঝে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাই না। আর কতদিন আত্মরক্ষায় চলবে দমন সূর্য তুমি না হলে মহৎ ধরা বাঁচে কেমন। ট্রমবিতা শুনে মাটির গন্ধে বাঁচত যে প্রাণ সাইরেন শব্দে মরছে নিয়ে বারুদের ঘ্রাণ। ভালবাসার শুড়ঙ্গ জুড়ে প্রতিশোধের আশ মাতৃ ভূমির মুক্তিতে রাজি হতে রক্তাক্ত লাশ। জীবন কি শুধু সাম্রাজ্য বাদির দয়া তোমরা যে সভ্য সর্বোৎকৃষ্ট কায়া। কবেইত নিয়েছ কেড়ে কর্ণকবজ যুদ্ধ যোজনায় ধ্বংসের পরও থাকবে বেঁচে কর্ণ হৃদয় যন্ত্রনায়। কুরুক্ষেত্রে কে জিতেছে দেখ একবার এবার যুদ্ধ থামাও,থামাও মৃত্যু কারবার।

কবিতা ।। হীরক রাজা ।। উৎপল হালদার

ছবি
  👑  হীরক রাজা   👑        উৎপল হালদার     আমি নিভন্ত, আমি ঘুমন্ত                  নই আমি জাগ্রত    হচ্ছে  প্রলয়  এ  বিশ্বময়                   তবু  নই  বিব্রত।    নেই চিন্তন,  করি  মন্থন                    আমি যে যাদুকর   আমি শোষক,আমি তোষক                  দস্যুদের  দোসর। আমি কৌশলী,গায়ে নামাবলী                আমি  ক্রুর  পরম সাথী মিথ্যের, নেই সত্যের                 লেশ  একদম।   আমি আমীর, টাকার কুমীর                  বুকের পাটা ভীষণ    মনুষত্ব  হীন, নয়া  আইন                যাঁতা কলে পেষণ।    যত নিরন্ন,  কেন  বিষণ্ণ                 ধর ধৈর্য্য খানিক    নয় কল্পনা, থামা জল্পনা                পাবি পরশ মাণিক।    খেয়ালে চলি,যা খুশি বলি                   অসার  অঙ্গীকার     শপথ যত, আমি বিস্মৃত                   ঘুচাতে হাহাকার। ===================

কবিতা ।। প্রেম এখন ।। কাশীকান্ত চৌধুরী

ছবি
প্রেম এখন কাশীকান্ত চৌধুরী  আকাশ মেঘে ঢাকা তারা রাস্তায় অজস্র শকুনের পালক। প্রেম শুধু কেনাকাটার খেলা খরিদ্দারের মেলা। প্রেম ছিলো হৃদয়ের গভীরে লীন  এখন বাসনার মোহে উন্মত্ত শখিন। প্রেম এখন বালুচরে পুড়ছে হাওয়ায় শুধু উড়ছে প্রেম সত্যিই প্রহসন! ========= কাশীকান্ত চৌধুরী করিমপুর, নদিয়া

পদ্য ।। মহাজন ।। সুদীপ ঘোষ

    মহাজন      সুদীপ ঘোষ সে গুণী মহাজন দয়ালু তার মন, বিয়ে ছেলের দেবেন  গুনে গুনে নেবেন। গুণের গুনমনি হিসাবে সে শনি ঃ                    সেদিন বিভোর ঘুমে                     দেখেন চেয়ে সনে..                     কলসী কলসী মোহর ঃ                    তখন দ্বি প্রহর !  কোত্থেকে এক কাজী  হাজির নিয়ে পাঁজি ;  অঙ্গুলি তার মেপে  বলেন যাহাপনে..  দিন দেখিনা সনে।                     বাবু কহেন হেকে                     চোখ পাকিয়ে রেগে ঃ                    ওরে হারামজাদা                     দেখছো সাপের পাঁচ পা ? আমি চতুর সন্ড  করব লন্ড ভন্ড ঃ কানের গোড়ায় বসি  দেবো দু - চার কষি    "" "" "" "" **" "" "" "" ""    সুদীপ ঘোষ Greenland Enclave  Flat no "L" 3rd floor  West Jagtala  Maheshtala  KOL - 141  South 24 paraganas  West Bengal                  

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪