Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প ।। অযাচিত প্রেম ।। রেজাউল করিম রোমেল

 

অযাচিত প্রেম

রেজাউল করিম রোমেল

 
 
বেশি দিন আগের কথা নয়।চার পাঁচ বছর হবে।তখন আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।সে সময় একটা মেয়ের সাথে আমার প্রায়ই কথা হত।মেয়েটার বয়স কতইবা হবে,ষোল কি সতের।মেয়েটার গায়ের রঙ ছিল শ্যামলা।না ঠিক শ্যামলা নয় তার গায়ের রঙ ছিল কালো।কোকড়া কোকড়া চুল।মেয়েটি যখন আমার সাথে কথা বলতো তখন বেশির ভাগ সময় আমার চোখ তার দাঁতের দিকে চলে যেত। চোখে থাকত সবসময় হাই পাওয়ারের চশমা।আমার সাথে দেখা হলে হেসে হেসে কথা বলতো।আমি পাত্তাই দিতাম না।আমার আবার গায়ে পড়া মেয়ে একদম ভাললাগে না।আমি কখনো সেধে সেধে কথা বলতে যায় নি।ও-য়ি আমার সাথে সেধে সেধে কথা বলতে আসতো।দেখা হলেই Ñভাইয়া কেমন আছেন?কথাটি বলার পর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতো।তারপর আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলতাম।আমাদের ভেতরে অবশ্য পড়াশোনার বিষয় নিয়েই বেশি কথা হত।বাড়ির সবাই কেমন আছে,মা কেমন আছে,তুমি কেমন আছ।আমি আবার মাঝে মাঝে বলতাম অংক,ইংরেজি বুঝতে কোনো সমস্যা হলে আমার কাছে নিয়ে এসো।আমি দেখিয়ে দেব।মেয়েটা ছিল অনেক লম্বা।মাঝে মাঝে আমি চুপি চুপি ওর পাশে গিয়ে মাপ দিতাম।কিন্তুু দেখতাম যে না মেয়েটা আমার চেয়ে লম্বা নয়।তবে হাই-হিল পড়লে নিশ্চিত আমার চেয়ে লম্বা দেখাবে।মেয়েটাকে আমার তেমন একটা ভাললাগতো না।এমনিতে দেখতে-টেকতে সেরকম একটা ভাল-না,তারপরে আবার গায়ে পড়া মেয়ে।এসব মেয়ে আমার আবার একদম ভাললাগে না।মেয়েটা এস.এস.সি-তে গোল্ডেন প্লাস পেয়েছিল।ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়তো।হটাৎ একদিন শুনি সুমির বিয়ে।হ্যাঁ মেয়েটির নাম সুমি।ছেলের বাড়ি বরিশাল,সরকারি চাকরি করে।ছেলে পক্ষ অনেক বড়লোক।দেখতে এসে বিয়ে হয়ে গ্যাছে,পরে অনুষ্ঠান করে বউ তুলে নিয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তারপর একদিন দেখি সুমি খুব সেজেগুজে কোথায় যেন যাচ্ছে।সাথে কোট-টাই পড়া সুদর্শন একটা ছেলে।যাওয়ার পথে আমার সাথে দেখা হল।সুমি আমাকে দেখেই জিঞ্জেস করল-"ভাল আছেন ভাইয়া?
আমি ইতস্তত বোধ করে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম-"হ্যাঁ হ্যাঁ তো.. তো.. তোমরা কোথায় যাচ্ছো?
"মার্কেটিং করতে যাচ্ছি ভাইয়া।কিছু কেনাকাটা কোরবো।ও আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়নি।"
সুদর্শন ছেলেটি আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বললো-
"হ্যালো,আমি নাহিদ হাসান।"
আমি বললাম-
"হ্যাঁ হ্যাঁ আমি সুজয়।"
আমি কোনো ভাবেই মাথা উচু করে তাদের সাথে কথা বলতে পারছিলাম না।চোখ উঠিয়ে তাদের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।আমি কোনো কথা বললাম না।কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
সুদর্শন ছেলেটি সুমি-কে বললো-
"সুমি,চলো আমরা যাই।দেরি হয়ে যাচ্ছে।"
সুমি বললো-
"খোদা হাফেজ ভাইয়া।"
সে দিনই ছিল সুমির সাথে আমার শেষ কথা।তারপর বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে কিন্তুু কোনো কথা হয়নি।এখনও দেখা হয় কিন্তুু কথা হয় না।সেই স্মৃতিময় দিনগুলো আমি এখনো ভুলতে পারিনি।সেই অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা,হাস্যজ্জ্বল চেহারা।আমি আজও ভুলতে পারি না।আমার অনেক বন্ধু আছে,বান্ধবিও আছে।তাছাড়া অনেক মেয়ের সাথেই আমার কম বেশি ভাল সম্পর্ক।কিন্তুু কোনো মেয়েই সুমির মতো কোরে আমার মনে দাগ কাটে না,নাড়া দেয় না। কারণ সে ছিল আমার অযাচিত প্রেম।


----------------------------------------------------------
রেজাউল করিম রোমেল।
চাঁচড়া, রায়পাড়া,
ইসমাঈল কলোনী, যশোর।

মন্তব্যসমূহ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

জনপ্রিয় লেখা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৭তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৪তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩১ এপ্রিল ২০২৪

অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৬তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩০ আগস্ট ২০২৩