এ গ্রাম ঘুরে সে গ্রাম ঘুরে খেলতে যাওয়া আসা,
সই পাতিয়ে বন্ধু করে অনেক ভালোবাসা,
মাঠে মাঠে খেলাধুলো হেসে লুটোপুটি
দল বেঁধে সব হল্লাহাটি অসীম ছুটোছুটি।
লাগামছাড়া বাঁধনহারা খেয়াল খুশির বশে
সারাটা দিন কাটিয়ে দেওয়া উল্লাস ও হরষে।
খোয়া গেছে কালের স্রোতে খোকা-খুকীর হাসি।
খোয়া গেছে বটের তলার রাখালিয়া বাঁশি।
দিদির স্নেহ দাদার আদর পায়না যারা শিশু,
ত্রাতা হয়ে তাদের জন্য আসবে কোন যীশু!
জীবন তাদের ব্যস্ত বড়ো লড়াই শুরু থেকে,
লড়িয়ে খেলে বাবা-মায়ে সারাটা দিন ডেকে।
অফিস ফেরত মায়ের এখন নেইকো সময় হাতে।
গরম হয়ে থাকে সদাই বসতে কিংবা খেতে।
ঘরে যেন বাঘ পড়েছে শুধুই হাঁকাহাঁকি,
তারই চাপে পড়ে শিশুর জীবনটুকু ফাঁকি।
অবসাদের শিকল পরে আটক ছেলে-মেয়ে,
কিশোর কালও আসবে তাদের এমনই একঘেঁয়ে।
গ্রাম-শহরের তফাত যেন যাচ্ছে দ্রুত ঘুচে,
শিশুকালও তারই সাথে যাচ্ছে এবার মুছে।
______________
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
গ্রাম ও পো- আমতলা,
থানা-ক্যানিং,
জেলা-দক্ষিণ 24 পরগনা,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ,
পিন নং-743337
No comments:
Post a Comment