নষ্টপ্রেম কাব্য কথন
আমার সমস্ত নষ্ট প্রেম যদি বলতে পারতো তার নিজস্ব সব কথা- তবে আস্ত এপিক হয়ে উঠত এই জীবনসমগ্র।
এক একটা এপিসোড এক একটা মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-
হলুদ ঈর্ষার ছিন্ন পদাবলী ।
জীবন আঁকড়ে প্রেম না প্রেম আঁকড়ে জীবন
জীবন আঁকড়ে প্রেম না প্রেম আঁকড়ে জীবন
সব গুলিয়ে যায় কেমন ।
এ যাবৎ গাইড হিসেবে সময়কেই বেছে নিয়েছি।
অপরিহার্য শব্দটা আর মিথ নয় এটা বুঝিয়ে দিয়েছে সময় ।
এ যাবৎ গাইড হিসেবে সময়কেই বেছে নিয়েছি।
অপরিহার্য শব্দটা আর মিথ নয় এটা বুঝিয়ে দিয়েছে সময় ।
সব পর্যায়েই মরুভূমি আর মরীচিকার আশ্চর্য সমাবেশ ।
ফুটে ওঠে অন্তহীন পিপাসার নদী।
ক্রমশ আরণ্যক হয়ে ওঠে মন।
ক্রমশ আরণ্যক হয়ে ওঠে মন।
সবুজের প্রতীক্ষায় থাকে পথ- কেটে যায় চন্দ্রগ্রহণ---
জেগে ওঠে অনন্ত নক্ষত্রবীথি ।
চন্দ্রাহত হয়ে শুরু হয় নতুন নৈশঅভিযান।
এক মহাকাব্যিক উপস্থাপনায় দুলে ওঠে জীবন ।
আমরা ক্রমশ ডুবে যাই অন্য মোহে।
অথচ সময় পরিক্রমার পারদে জীবন ওঠানামা করে নিরন্তর
অথচ সময় পরিক্রমার পারদে জীবন ওঠানামা করে নিরন্তর
পরতে পরতে তার থাকে শুধু প্রেম সম্মোহন।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
কবিতার কানাগলিতে দাঁড়িয়ে আমি যখন
রাজপথের স্বপ্ন দেখছি -
ঠিক তখনই স্বর্ণ রথে নেমে এলেন এক রেনেসাঁ পুরুষ।
রত্ন খচিত রাজপোশাকে তিনি স্বপ্নের ফেরি ওয়ালা।
মৃদু হাসলেন, বললেন - চেনো আমাকে?
বললাম - অল্প অল্প চিনি।
আপনাকে চিনি আমি সময় সূচক সেই ঝর্না কলমে।
যা ফেলে চলে এসেছেন লেখার টেবিলে।
আপনার দীর্ঘ নীরবতায় যার মুখে জেগে আছে
অজস্র জিজ্ঞাসা ।
আপনাকে চিনি আমি আপনার সঙ্গীতের স্বরলিপিতে
যা আমাদের চিরন্তন আরোগ্য চেতনা।
আপনাকে চিনি আমি মনোরম চিত্রকলায় -
আমাদের একান্ত জীবনকথায়।
আপনাকে চিনি আমি আপনার নাট্য পরিক্রমায়
সেখানে কিংবদন্তি কুশীলব সব আগুনের পাখি।
ওড়ে আজও আলোর ডানায়।
আপনাকে দেখেছি আমি সমগ্র বিশ্ব দর্পণে
বিশ্ব ভ্রমণে মানব প্রহরীর ভূমিকায়।
আপনাকে চিনি আমি শতাব্দীর কবি -
জন্মান্তরে ও নেই যার মৃত্যু প্রতিচ্ছবি।
রাত্রি ক্রমে নিবিড় হয় শ্রাবণ পরিক্রমায়।
শুভ রাত্রি জানিয়ে স্বর্ণ রথে উঠে পড়েন
কাব্যপুরুষ।
কবি তখন আরও স্বপ্নময় ।
-----------------------------------------------------------
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জয়ন্তী, গাজীপু্র, হাওড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন