পোস্টগুলি

এপ্রিল ১৪, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬২তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩০ এপ্রিল ২০২৩

ছবি
  সূচিপত্র ।। স্মৃতিকথা ।। নষ্ট্রালজিক বর্ষা ।। সৌম্য ঘোষ দাইমা, দাইমা গো... ।। অরবিন্দ পুরকাইত ইনল্যান্ডলেটার থেকে ইন্টারনেট ।। সোমা চক্রবর্তী   আমার জন্মদিনযাপন ।। সুবীর ঘোষ ফেলে আসা স্কুলজীবন ।। দেবযানী পাল শৈশবের স্মৃতি ।। সান্ত্বনা ব্যানার্জী ফিরে দেখা ।। সাইফুল ইসলাম অতসী গোধূলির স্বপ্ন ।। শাশ্বত বোস ।। গল্প ।। রূপকথার মত ।। সমরনাথ চট্টোপাধ্যায়  বিবাগী ।। কুহেলী ব্যানার্জী ধর্ম অধর্ম ।। উত্তম চক্রবর্তী  বিস্মৃত-প্রেম ।। শংকর ব্রহ্ম ।। ভ্রমণকথা ।। বীরপাড়ার স্মৃতি ।। চন্দন দাশগুপ্ত ।। কবিতা / ছড়া ।। প্রবাহ ।। অঞ্জন বল কোথায় পাব তারে ।। নিরঞ্জন মণ্ডল আর কি পাবো ।। জগদীশ মন্ডল আমি কোথায় পাবো তারে ।। জয়শ্রী সরকার ফিরে দেখি অবসরে ।। দীনেশ সরকার ফিরে দেখা ।। মহাজিস মণ্ডল আমার ছোটবেলা ।। দীপঙ্কর বেরা তাকাই যখন ।। বদ্রীনাথ পাল ফেরে নাকো আর ।। সুমন নস্কর ভালোবাসি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত মনে পড়ে ।। গোবিন্দ মোদক দুরবীনে ।। প্রতীক মিত্র দেখা হলে ফিরে ।। আনন্দ বক্সী কবিতার ভূবন ।। হামিদুল ইসলাম স্মৃতির সরণিতে ।। দীপক পাল  বেভুল বাতাস ।। রোহিত কুমার সরদার  ফিরে দেখা ইতিহাস ।। সুনন্

স্মৃতিকথা ।। দাইমা, দাইমা গো... ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
দাইমা, দাইমা গো... অরবিন্দ পুরকাইত  'সুস্থ নারী সুস্থ সমাজ' জানিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সকল নারীকে আন্তর্জাতিক নারীদিবসে অভিনন্দন জানিয়েছে। তার পরে আছে আসল ব্যাপারটা। সেটি আদতে সে হাসপাতালে শিশুজন্মের বিজ্ঞাপন। লেখা হয়েছে, সেখানে কোনও শিশুর জন্মের খরচ ঊনসত্তর হাজার ন'শো নিরানব্বই টাকা থেকে শুরু। মহানগরের চৌমাথায় কয়েক দিন ধরে বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়ছিল। ইতোমধ্যে মেয়ে একদিন পড়তে পড়তে জিজ্ঞেস করলে, বাবা, 'দাই' মানে কী? তার দু-একদিনের মধ্যে 'নবপ্রভাত' ঘোষণা করল নববর্ষে স্মৃতিচারণমূলক লেখার কথা। তো এগুলো কোথায় একটা মিলে গেল। মনে হল দু-চার কথা লেখা তো যায়। ধাত্রী বা ধাই, চলতি উচ্চারণে দাই-কে নিয়ে। অর্থাৎ ধাত্রীমাতা, ধাইমা বা দাইমাকে নিয়ে। আরও সোজা করে বললে, ধরুনীদের নিয়ে।      ধরুনী পুরোপুরি স্ত্রীলিঙ্গ, পুংলিঙ্গে ধরুনে-র চল ছিল, এখনও আছে। ধরুনী অর্থাৎ যে মহিলারা ধরেন। কী ধরেন? বাচ্চা হওয়ার সময় ধরেন। মানুষের বাচ্চা। গরুর বাচ্চা বা ছাগল-ভেড়ার বাচ্চা ধরায় বেশির ভাগ ছিলেন ধরুনেরা। অর্থাৎ, উভয় ক্ষেত্রেই, নির্বিঘ্নে যাঁরা প্রসব করাতেন। হ্যাঁ, করাতেন। এখ

নষ্ট্রালজিক বর্ষা ।। সৌম্য ঘোষ

ছবি
নষ্ট্রালজিক বর্ষা ============== সৌম্য ঘোষ       "বাবু, বড় টর্চ আর একটা থলে নিয়ে আমার সঙ্গে আয়।"       সেজো কাকু বলল। 'বাবু' অর্থাৎ আমি।        সেদিন ছিল বর্ষামুখর। কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছিল। আজও বর্ষা মুখর দিন। 'ইয়াশ'-এর সৌজন্যে কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টি হয়ে চলেছে। জানালার ধারে চেয়ারে বসে বাইরের বর্ষাস্নাত প্রকৃতিকে দেখতে দেখতে এক নস্টালজিক প্রভাব মনে সংক্রামন হল।            তখন আমি ক্লাস সেভেন কি, এইটে পড়ি। বাবা মা দিদির সঙ্গে মালদহ জেলায় থাকতাম। গরমের ছুটি পড়লেই যথারীতি গ্রামের বাড়িতে আসা।তখন মালদহ থেকে ভায়া খেঁজুরিয়া ঘাট বিশাল গঙ্গা পেরিয়ে রাজমহল-তিনপাহাড় হয়ে শিয়ালদা। একদিন লিন্টন স্ট্রিটে বড়মাসির বাড়িতে থেকে আমরা চলে আসতাম বসিরহাটের গ্রামের বাড়িতে। আমার দেশের বাড়ি, ঠাকমা-দাদাই'র গ্রামের বাড়ি। এক সপ্তা থাকার পর, বাবা-মা-দিদি মালদহে ফিরে যেত। আমি থাকতাম ঠাকমার কাছে। আমার ঠাকমা ঘরের কাজ, রান্নাঘরে রান্না করতে করতে আপন মনে কতো ছড়া রচনা করতেন। এতোখানি দক্ষ পারদর্শী ছিলেন। তখন ছন্দ তো বুঝতাম না। কিন্তু সেই ছড়ার সুর এখনো

স্মৃতিকথা ।। ইনল্যান্ডলেটার থেকে ইন্টারনেট ।। সোমা চক্রবর্তী

ছবি
স্মৃতিকথা: ইনল্যান্ডলেটার থেকে ইন্টারনেট সোমা চক্রবর্তী আমি তখন খুব বেশি হলে ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ি। ভাই আরও ছোট। আমাদের বাড়িতে বাসন মাজার কাজ করত লক্ষ্মীদি। ছোটখাটো রোগা লক্ষ্মীদি নিজের ছোট ছোট দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে সকালে বিকেলে কাজ করতে আসত। লক্ষ্মীদির মেয়ে ছিল আমার সমবয়সী আর ছেলে ভাইয়ের বয়সী। মেয়েটির সঙ্গে আমি খেলাধুলা করতাম। ওর নাম মিঠু বা মিষ্টি এরকম কিছু ছিল। একদম সঠিক মনে পড়ছে না। লক্ষ্মীদি রোজই মায়ের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে তার বরের নামে নালিশ করত। চোখের জল ফেলত। ওর বর নাকি ভয়ঙ্কর কুঁড়ে লোক। কাজকর্ম কিছু করতে চায় না। সারাদিন ঘরে বসে শুয়ে কাটায় আর মাসের শেষে লক্ষ্মীদি মাইনে পেলেই সেইসব টাকাপয়সা নিয়ে নেয়। রোজই এইসব কথা বলত লক্ষ্মীদি। তারপর আবার মায়ের দেওয়া খাবার দাবার যত্ন করে গুছিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেত। শুধু ছেলেমেয়ে নয়, ওর অলস অকর্মণ্য বরকে খাবারের ভাগ দিয়ে খাবে বলে। আমার মনে আছে, একদিন মা লক্ষ্মীদিকে বলেছিল, "আচ্ছা তোমার বরকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসো একদিন।" এর কয়েকদিন পর লক্ষ্মীদি বরকে সঙ্গে নিয়ে এল আমাদের বাড়ি। রোগা মত টাকমাথা ছোটখাটো চেহারার একজন লোক। চেককাটা লুঙ্গি আর শার্ট

ফিরেদেখা ।। আমার জন্মদিনযাপন ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
আমার জন্মদিনযাপন                 সুবীর ঘোষ                         আমি একজন অকিঞ্চিৎকর মানুষ । কবে আমি জন্মেছি তা জেনে কার কী এসে যায় ! আমার জন্মদিনে উৎসব করবে এমন অফুরন্ত সময় হাতে থাকা মানুষই বা কোথায় ? রবীন্দ্রনাথ যে রবীন্দ্রনাথ তাঁরও জন্মদিন উৎসবের চেহারা নিতে নিতে কবির ২৬ বছর বয়স এসে গেছিল ।     তা-ও অত বড় পরিবারে কবির গুণমুগ্ধ মানুষের কিছু কমতি ছিল না । সরলা দেবীর উদ্যোগে সেই প্রথম কবির জন্মদিনের উৎসব পালিত হয় । জানি না তার আগে বিশ্বকবির মা তাঁকে তাঁর নিজের হাতে বানানো পায়স খাওয়াতেন কী-না । আর কারো কাছে না থাক্ , প্রতিটি মায়ের কাছে তাঁর সন্তানের কদর সবার আগে । আমার মা-ও   আমার জন্মদিন মনে রেখে নীরবে তৈরি করে ফেলতেন জন্মদিনের পায়েস । সবাই খেত সেটা । তবে এক চামচ হলেও সবার আগে সেটার স্বাদ নিতে হত আমাকেই ।   খুব ছোটবেলায় মা-বাবার কাছ থেকে আমি একটা তিন চাকার সাইকেল উপহার পেয়েছিলাম । সেটা পাওয়ার সময়কার স্মৃতি আমার নেই , তবে একটু বড় হয়ে   সাইকেলটা আমি দেখেছি এবং এত বেশি সেটা চালিয়েছি , যতদিন না সেটা ভেঙে পড়ে । আমি যে সময় ছোটবেলা কাটিয়েছি ত

ফিরে দেখা ।। ফেলে আসা স্কুলজীবন ।। দেবযানী পাল

ছবি
ফেলে আসা স্কুলজীবন দেবযানী পাল   আজ জীবনের গোধূলিতে এসে আবার একবার স্কুল জীবনে ফিরে গেলাম।     ক্লাস ফোরের বৃত্তির রেজাল্ট বেরিয়েছে, পাড়ার স্কুলে ওয়ান থেকে পড়ছি, আমি বরাবরই ফার্স্ট হতাম তাই স্কুলের অনেক এক্সপেক্টেশন ছিল আমার ওপর। একজন টিচার ছিলেন, সবাই বুড়ো মাস্টারমশাই বলতেন, উনি খুব ভালোবাসতেন আমায়, বলেছিলেন, distinction পেতে হবে কিন্তু ফার্স্ট ডিভিশন পেলেও ওটা পাওয়া হয়নি। আর একজনও বলেছিলেন, তিনি আমার মামা, নিজে ব্যাচেলার ছিলেন বলে বোনের তিন ছেলে মেয়েকে নিজের ছেলে মেয়ের মতন আদরে বড় করেছেন আর সবথেকে বেশি আদর পেতাম আমি অবশ্য বড় মেয়ে হওয়ার কারণে বাড়ির সবারই আদরের ছিলাম। মামা বলেছিলেন ডিসটিংশন পেলে বুক অফ নলেজ গিফট করবেন কিন্তু আমার আর মুখ ফুটে বলার মত অবস্থা ছিল না তাই মামা যখন রাতে বাড়ি এলেন, আমি মাথা নিচু করে বসে, উনি সোজা আমার সামনে এসে হাতে মোটা বইয়ের প্যাকিংটা দিয়ে বলেন,এই নে, তোর বুক অফ নলেজ। তখন ৯ বছরের আমি আনন্দে কি করব ভেবে পাইনি, সাথে সাথে বইটা খুলে বসে গেছিলাম পরেরদিন স্কুলে গেলাম মায়ের সাথে কিন্তু আমি টিচার্স রুমের বাইরেই দাঁড়িয়ে, সব টিচাররা মাকে দেখে খুশ

গল্প ।। রূপকথার মত ।। সমরনাথ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
রূপকথার মত সমরনাথ চট্টোপাধ্যায় মহালয়া এলেই মন উসখুস শুরু হয়ে যায় । দু - একটা ছোটখাটো ঘটনাও যে এত স্পষ্ট হয়ে গেঁথে থাকে তা এই ' মন উসখুস'-মনে ঠাহর হয় মাঝে মধ্যে। সেসব মনে এলে দুঃখ বা হতাশা নয়, বেশ উপভোগ্য মনে হয় আমার। আয়েস করে এই সব চর্বিতচর্বন আস্বাদনে বিভোর হয়ে পড়ি।           সে সময়টা আমাদের মত ছেলেছোকরেদের কাছে মহালয়া মানেই আলোআঁধারি ভোর । বছরে একটা দিন । আমরা দল বেঁধে মহালয়া শোনার নামে পাড়া বেড়াতে বেরতাম । এরমই একটা দিনের জাবর কাটা নির্যাসঃ      তখন সবার বাড়িতে রেডিও ছিল না । যাদের বাড়িতে রেডিও ছিল তারা উচ্চ ভল্যুমে রেডিও চালিয়ে দিত । এরমই দু - একটা বাড়ি থেকে " আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে …" শুনতে শুনতে আমারা পাড়া বেড়াতাম । মহালয়া শোনার চেয়েও অন্যের বাড়ির ফুল ফলের গাছের দিকে মনোযোগ বেশি । সামনেই শুক্লাদের বাংলো । শুক্লা আমার ক্লাশমেট । ওর বাবা রেলের ডাক্তার। সরকারী বাংলো । বেশ বড় ঘেরা বাগান । চাদ্দিকে অনেক গাছ । তারই মধ্যে একটা বেল গাছে কয়েকটা বেল ঝুলে আছে । আ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪