পোস্টগুলি

এপ্রিল ১৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৩৮তম সংখ্যা ।। বিষয়: 'রঙের খেলা' ।। বৈশাখ ১৪২৮ এপ্রিল 2021

ছবি
  শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ নবপ্রভাত সাহিত্যপত্রের সকল লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাই  শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ এর আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।  সকলে ভাল থাকুন, ভালতে থাকুন। বিভেদ নয়, সম্প্রীতিকে হৃদয়ে রাখুন। -- নবপ্রভাত পরিবার। ১লা বৈশাখ ১৪২৮ সূচিপত্র প্রবন্ধ ।। সাদা-কালোর দ্বন্দ্বে যে ওই ছন্দে নানান রঙ জাগে ।। অভিষেক ঘোষ গদ্য ।। রঙের খেলা ।। সুবীর ঘোষ নিবন্ধ ।। দোল উৎসব ও গৌর পূর্ণিমা ।। সুদর্শন মণ্ডল কবিতা ।। গনতন্ত্রের মহোৎসব ।। বদ্রীনাথ পাল মুক্তকথা ।। রঙের খেলা ।। শেফালি সর বসন্ত উৎসব ।। অঞ্জনা গোড়িয়া গদ্য ।। লড়াই লড়াই লড়াই চাই ।। সুদীপ দাশ গল্প ।। লাগলো যে দোল ।। অঙ্কিতা পাল মুক্তগদ্য ।। রঙিন কোলাজের ছেঁড়া টুকরো......।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী মুক্তকথা ।। আবেগ কথা ।। আবদুস সালাম ছোটগল্প ।। তুমি আসবে বলে ।। রণজিত হালদার আঞ্চলিক কবিতা ।। খ্যেলা দেইখ্যে যা ।। সবিতা বিশ্বাস কবিতা ।। চিবুক ।। সোমনাথ বেনিয়া কবিতা ।। বসন্তের রঙ ।। অমিত পাল কবিতা ।। ভোট কড়চা ।। অচিন্ত্য কুমার ধাড়া কবিতা ।। রঙের খেলা ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। রঙ ।। অসীম মালিক কবিতা।। রঙের খেলা ।। নীলমাধব...

সাদা-কালোর দ্বন্দ্বে যে ওই ছন্দে নানান রঙ জাগে ।। অভিষেক ঘোষ

ছবি
সাদা-কালোর দ্বন্দ্বে যে ওই ছন্দে নানান রঙ জাগে  অভিষেক ঘোষ "মেঘের উপর মেঘ করেছে--. রঙের উপর রঙ,. মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা বাজল ঠঙ ঠঙ।"  রঙ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীগুলি ঠিক কীরকম? চিরন্তন-মননের গভীরে কোন্ কোন্ রঙ ছাপ ফেলে, মস্তিস্কের ধূসরবস্তু কোন্ রঙ ধরে রাখে, কোন্ রঙ আমাদের উদ্দীপ্ত করে, কোন্ রঙ থাবা বসায় আমাদের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তের জগতে, এ বড় তাত্ত্বিক বিষয়, বিজ্ঞান গবেষণায় প্রতি স্তরে স্তরে খুলে যাচ্ছে নানা গবেষণালব্ধ তথ্য, মনোবিদরা গভীর থেকে গভীরতর স্তরে অনায়াস যাতায়াত করে তুলে আনছেন সুক্তি। আমরা বরং এসব সন্তর্পণে এড়িয়ে যাব। আমরা খানিক ঘুরব খোলা আকাশের নীচে, মাঠের ঘাসে।  এখন বিকালবেলা। একটু আগেই আকাশ ছিল নীল। এখন সেখানে নানা রঙ ধরেছে, বদলে বদলে যাচ্ছে রক্তিম গোধূলির দিকে। ক্রমশঃ নামবে আঁধার, তমিস্রা। মাঠের সবুজরঙ সবুজই থাকবে, আমি শুধু দেখব ঘোর আঁধার। আকাশ কি নীলই থাকবে তাহলে? বিজ্ঞান বলছে, আকাশ ঘোর কৃষ্ণ, আমাদের চোখে তা অন্য রঙে আসে, তাহলে রঙের ব্যাপারটা আপেক্ষিক কি? কিছু তো বটে। শিল্পী ক্যানভাসে রঙ চাপিয়ে যান, সেখানে তিনিই প্রজাপতি। অথ চ কিমাশ্চর্যম্, গিরগিটি ...

গদ্য ।। রঙের খেলা ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
রঙের খেলা সুবীর ঘোষ   ছোটোবেলায় একটা গান শুনেছিলাম ---আকাশে আজ রঙের খেলা / মনে মেঘের মেলা । আশা ভোঁশলের গাওয়া ।   এই গানটা শুনলেই সন্ধের আকাশে ঘটে যাওয়া কত বিচিত্র রঙের সমাহার যা দেখেছি তার কথাই মনে পড়ে যায় । কিন্তু যে বিষয়ের ওপর লিখতে দেওয়া হয়েছে তা সন্ধ্যাকাশের রঙের খেলা নয় । বরং আমাদের যে বার্ষিক রঙের খেলা অর্থাৎ দোল উৎসব তার কথাই বলা হয়েছে । অতএব সেই কথাতেই আসি ।   ছোটোবেলা যে গ্রামে কাটিয়েছিলাম সেখানে প্রধান আরাধ্য দেবতা ছিলেন বলরাম । কৃষ্ণসখা । কৃষ্ণের সঙ্গে দোল উৎসবের ব্যাপক অনুষঙ্গ ছড়িয়ে আছে আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে এবং পুরাণকথায় । সেই বলরাম মন্দির প্রাঙ্গণে দোল খেলা হত দোলের দিন বিকেলবেলা । আবির কম , গোলা রং বেশি । এ ব্যাপারে আমাদের উৎসাহ ছিল খুব । আমাদের এক একজনের নানা সাইজের পিচকারি থাকত । কাউকে কাছ থেকে রং দেবার একরকম পিচকারি তো দূর থেকে কাউকে দিতে আর এক রকম লম্বা পিচকারি । রঙ যখন ফুরিয়ে যেত তখন চলত স্রেফ জল ছোঁড়াছুড়ি । কুয়ো থেকে বালতি বালতি জল তুলে গায়ে মাথায় ঢালা । আমরা বড়দের বিশেষ ঘাঁটাতাম না । তাঁরা নিজেদের মধ্যে রং খেলতে...

নিবন্ধ ।। দোল উৎসব ও গৌর পূর্ণিমা ।। সুদর্শন মণ্ডল

ছবি
  দোল উৎসব ও গৌর পূর্ণিমা সুদর্শন মণ্ডল     দোলযাত্রার কথা কানে আসলেই বাঙালি মন বাউল হয়ে একতারার সুরে নাচতে থাকে। বাংলা তথা সনাতন হিন্দু বৈষ্ণবদের  উৎসব হল এই দোলযাত্রা। ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে কেবল মাত্র বাঙালিরাই যে রঙের উৎসবে মেতে ওঠে তাই নয়, সারা ভারতবাসি এই উৎসবে সামিল হয়। আমরা সকলেই জানি দোল -পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনের ঘরে ঘরে চলে রঙের উৎসব। নগরের সব বাড়ি গুলো আবিরের রঙে রাঙ্গা হয়ে ওঠে ।সেদিন আপামর মানুষের মনে আলাদা একটা আনুভুতির ঝড় বয়ে যায়। জীবনকে তাঁরা দেখতে চায় নতুন ভাবে।  রঙিন আবিরে বৃন্দাবনবাসি ভালোবাসার স্রোতে ভেসে যেতে চায়। আপন করে পেতে চায় সকল নগরবাসিকে। তাঁরা তো এমনটা করতে চাইবেই। এ যে শ্রী কৃষ্ণের স্মৃতি জরান স্থান। তাই শ্রীকৃষ্ণ আর রাধিকা সাজে অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে এমন দিনে রঙের খেলাই মেতে ওঠে নগরবাসি । দোল-পূর্ণিমাকে যে গৌর-পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয় তা আমাদের সকলেরই জানা । এই পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ মিশ্র ও শচী দেবীর ঘরে, নদের নিমাই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম হয় বলে, নবদ্বীপবাসি দোল পূর্ণিমার এমন নাম দিলেন। গৌর পূর্ণ...

কবিতা ।। গনতন্ত্রের মহোৎসব ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
             গনতন্ত্রের মহোৎসব                  বদ্রীনাথ পাল গনতন্ত্রের মহোৎসবে আমরা সামিল সব-- ভোটের বাজার গরম,শুনি তাইতো কলরব। মন্ত্রী নেতার হয় না তো আর খেয়ে শুয়ে ঘুম-- ভোট-ভিখারি সাজার দেখি তাই লেগেছে ধুম্। দিকে দিকে ছুটছে দেখি প্রতিশ্রুতির বান-- সেই ধাক্কায় বাধার প্রাচীর হচ্ছে যে খান্ খান্। বলছে সবাই " করবো ভালো, দাও আমাকে ভোট"-- ভাবছি আমি, তবে কেন পাকাও এতো ঘোঁট ! ইচ্ছে যদি জনসেবার, কেন রক্তপাত- কেন এতো আগুন জ্বলে, কার সেখানে হাত ? শান্তি প্রিয় মানুষ মরে,কেন পুড়ে ঘর- দিকে দিকে কেন তবে এতো আপন-পর ? বন্ধ করো এ রক্তপাত, শুদ্ধ মানব বোধ-- জাগ্ৰত হোক সবার মাঝে, হোক কণ্ঠ রোধ-- বিভেদকামী মানুষ গুলোর ! জেনে রেখো ভাই-- এ দেশটাকে গড়তে সবার এগিয়ে আসা চাই। -----------------------------------------------------------------       বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোষ্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া ৭২৩১২১, ফোন-হোয়াট্স আপ-৮১৫৯০৭৬৫৪৮ -----------------------------------------------------------------

মুক্তকথা ।। রঙের খেলা ।। শেফালি সর

ছবি
  "রঙের খেলা" শেফালি সর আকাশ  চিত্রপটে যে ছবি আঁকা হয় প্রতিনিয়ত সকাল বিকাল সন্ধ‍্যা তাতে তো রঙের  ই খেলা হয়।কোন্ চিত্রকর যে সে ছবি আঁকে অলক্ষে‍্য থেকে  কে জানে! তার  রঙের  তুলির টান সত্যিই  অপরূপ কত মোহময়। পূর্ব দিগন্তে  প্রভাতক্ষণে যে ছবি আঁকা হয়  তা তো চিত্রকর তার  অনুরাগ  মিশিয়ে নবারুণের উদয়ের ছবি আঁকে। সে যেন কোনো কবির মনোজগতের লালিমাময় বৈচিত্র‍্যতায় ভরা অপূর্ব  সুন্দর  ছবি। সে বড়ো নয়নপ্রীতিকর  আবেশ মাখানো ছবি। একটার পর একটা  তুলির টানে নানা  রঙে ভরিয়ে তোলে পূবের  আকাশ। একসময়  সে ছবি বিলীন  হয়। তারপর আবারও  একটার পর আর  একটা  সাদা রঙে  এঁকে  যায় বিচিত্র সব ছবি। সেছবির রঙ ছড়িয়ে  পড়ে  দিকে  দিগন্তরে,বনে বনান্তরে-জলের ধারায়, কম্পিত ঝাঁউ শাখে-রূপসীর খোঁপার  ফুলে,ছায়াচ্ছন্ন অরণ‍্য প্রান্তরে, প্রজাপতির পাখায়, বালুতটে সর্বত্র। কখনো বা ক্ষুব্ধ চিহ্ন এঁকে  দিয়ে যায়  সিন্ধু বুকে। আবার রঙের  তরী নিয়ে  ভেসে চলে  পশ্চিম  দিগন্তে...

বসন্ত উৎসব ।। অঞ্জনা গোড়িয়া

ছবি
  বসন্ত উৎসব  অঞ্জনা গোড়িয়া বসন্ত উৎসব!  এই নাম টা  আমাদের খুব পরিচিত। বসন্ত উৎসব মানেই  শান্তিনিকেতন আর শান্তিনিকেতন  মানেই  বসন্ত উৎসব।  এত দিন খবরে কাগজে  টিভি সংবাদে দেখে আসছি শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের কথা।  শুনে আসছি মানুষের  মুখে মুখে।  তখনও  কচিমনে   ইচ্ছে  করত একবার ঘুরে  আসতে। রবি ঠাকুরের  শান্তিনিকেতনে। বসন্ত উৎসবে। আবীরের উৎসবে।  ভালোবাসার উৎসবে।  কিন্তু ইচ্ছে   থাকলেও   কখনো যাওয়া  হয় নি।  ইচ্ছে  থাকলেও    সূচনা করতে    পারিনি। এমন ই এক উৎসবের আয়োজন করা হলো  এই বছর।  পেরেছি।  হ্যাঁ গো। ঠিক ই বলছি। এক বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে  মানুষের মনে সুখ সাধ আনন্দ বিষাদে পরিনত হয়েছে। যদিও এখনো  আমরা করোনার আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।  তবু কিছু টা সময়  চেয়ে নিলাম একটু অন্যভাবে  কাটাতে। নবযুগের সূচনা  করতে।  আমার এক ছোট্ট  বোন এই গাঁয়ের ই বউ প্রীতি  যখন বলল,এমন ই এক উৎসবের...

গদ্য ।। লড়াই লড়াই লড়াই চাই ।। সুদীপ দাশ

ছবি
লড়াই লড়াই লড়াই চাই সুদীপ দাশ      আমাদের তো সাতচল্লিশ সালে পাওয়া স্বাধীনতা।সেই স্বাধীনতা  এল দ্বিখন্ডিত দেশ নিয়ে। দেশের দুই প্রান্তে দুই প্রদেশে তখন দেশভাগের হাহাকার।সে সময়ের আগে পরে, কত যে হানাহানি,কত লড়াই, যা তখন কুখ্যাত ছিল 'রায়ট' নামে।বাঙালি জীবন তদবধি আজও  জাতি,ধর্ম দলে বিভাজিত।সেই ব্রিটিশ শাসনের সময় জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই শুরু হল কম্যুনিস্ট পার্টি।কালে কালে তারও কত বিভাজন।নেতাজীও কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে করলেন ফরওয়ার্ড ব্লক,বললেন, 'এই দল ব্রিটিশের, সাম্রাজ্যবাদী শাসকের প্রকৃত বিরোধিতা করবে।' তাছাড়া সেই শতাব্দীপ্রাচীন ঘটি বাঙালের দ্বন্দ্ব তো রয়েছেই ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানে।সেই সংঘাত ফুটবলের মাঠ থেকে পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়েছে।এমনকি মাঝে মাঝে রক্তক্ষয়ী রূপও নিয়েছে অতীতে।    পোকায় কাটা এক গণতান্ত্রিক দেশ উপহার পেলাম।সেখানে ডান,বাঁ উভয়েরই নিত্য নূতন দল উপদলের পত্তন।আবার একই দলে থেকে স্বার্থসংঘাতে তৈরী হতে থাকল বিভিন্ন গোষ্ঠী। বাঙালির অভিধানে এল নতুন শব্দ,-- 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা কোন্দল।'     ছোটবেলায় যখন মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে মামাবাড়িতে যেতাম,তখ...

গল্প ।। লাগলো যে দোল ।। অঙ্কিতা পাল

ছবি
  লাগলো যে দোল   অঙ্কিতা পাল    "নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগলো, বসন্তে সৌরভের শিখা জাগলো।"                             ---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর      আজ রঙের উৎসব দোল, আকাশে বাতাসে আনন্দে সুর। সবাই দল বেধে দোল উৎসবে মেতে উঠেছে। দোল মানেই বাঙালি মনের রঙের আবেশ। মেয়েদের পরনে বাসন্তী রঙের শাড়ি আর ছেলেদের পাঞ্জাবি। শ্যামবাজারের বসু পরিবার এর ব্যতিক্রম নয়, এই বসু পরিবারের মেয়ে নলিনী বসু নৃত্যে গীতে ভরিয়ে রেখেছে তাদের বসন্ত উৎসবকে। আজ সে সকলের মধ্যমণি, কতো দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে এসেছে তাকে দেখতে । সে তার পরিবারের লোকজন বন্ধু-বান্ধব ও পাড়াপড়শি দের নিয়ে দোল উৎসবে ব্যস্ত। এমন সময় এক লাল গাড়ি থেকে নেমে এলেন এক যুবক, দেখলে মনে হয় খুব উচ্চ শিক্ষিত ও প্রভাবশালী।  তিনি নলিনীদের সাথে রং খেলায় সুন্দর ভাবে মিশে গেছেন। সেই সকাল থেকে রং খেলা যে কখন সন্ধ্যায় শেষ হলো বোঝা গেলো না, কেমন করে সময় যে জলের মতো পার হয়ে গেল...

মুক্তগদ্য ।। রঙিন কোলাজের ছেঁড়া টুকরো......।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
রঙিন কোলাজের ছেঁড়া টুকরো...... পার্থ সারথি চক্রবর্তী     বসন্তোৎসব নাকি ভোট- কোনটা নিয়ে লিখব! ভাবতে গিয়ে যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যা এককথায়, ঠগ বাছতে গা উজাড়। বসন্ত কালে আকাশ নীল হয়ে থাকে, বাতাস ফুরফুরে হয়। গাছের পাতা ঝরে পড়ে। সেই সঙ্গে ঝরে কিছু পুরনো স্মৃতি। তবে এগিয়ে যাবার পথ প্রশস্ত হয় বিছিয়ে রাখা ঝরা পাতার শব্দে। পাতা ঝরে পড়ার শব্দে ধ্বনিত হয় হৃদয়ের ভেঙেচুড়ে যাবার, দুমড়ে মুচড়ে যাবার প্রক্রিয়া। জন্মজ যে পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা যাই, তা আসলে পুরোটাই একটা পথ। দীর্ঘ একটা পথ। আর বসন্ত বা শরৎ বা তৎসংক্রান্ত বিষয়াদি সেই পথের কয়েকটা বিরতি। সেই বিরতি আবার কখনো কখনো সেখান থেকে কয়েকটা উপপথ বা বাইলেনের জন্ম দেয়। যদিও কোন কোনটা আবার ঘুরে এসে সে পথেই মিলে যায়। কোনটা আবার হারিয়ে যায় নিরুদ্দেশের খোঁজে। রঙ বেরঙের ছবির কোলাজে এই মুহূর্তগুলো ধরা থাকে। বসন্ত রঙ নিয়ে আসে প্রকৃতির। প্রকৃতির মাধ্যমে। আর আমরা মানুষেরা বাড়তি চাকচিক্য আনি বিভিন্ন রঙ মেখে আর মাখিয়ে। অথবা রঙ ছিটিয়ে। রঙ উড়িয়ে। বাঙালীর জীবনে ভোট কিন্তু একটা রঙিন উৎসব ছিল একদা। পাশাপাশি দুই বা তিনদলের সহাবস্থান। য...

মুক্তকথা ।। আবেগ কথা ।। আবদুস সালাম

ছবি
 আবেগ কথা আবদুস সালাম           তাৎক্ষণিক আবেগ বাঙালির অন্যতম একটি স্বভাব ধর্ম। পরিব্যাপ্ত নেতা নেত্রীর রাজনীতি এ রাজ্যের প্রতিবাদ-বিরোধী রাজনীতি সমর্থক রূপে গৃহীত । উপরন্ত বাঙালি গণতন্ত্রকে দলতন্ত্র রূপে দেখতে অভ্যস্ত। জোর যার মুলুক তার , এই মাপ কাঠিতে     রাজ্যের রাজনীতির উত্তাপ পরিমাণ পরিমাপ করা হয়।  এলাকা   দখলের মতো মানসিকতা এই মানসিকতার ফসল ছাড়া আর কিছুই নয় । বর্তমানে দখল এবং পুনর্দখলের মতো ভাষা আমরা অভ্যাস করে ফেলেছি ।        বন্ ধ ডেকে , রাস্তা অবরোধ করে  জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়ে রাজনৈতিক শক্তির পরীক্ষা যাচাই করায় এখন ভারতীয় গনতন্ত্রের অলিখিত সংবিধান । দলে বেনো জল ঠেকাবার কোন উদ্যোগ নেই। পাইয়ে দেওয়া ,ডানা ছেঁটে দেওয়ার মতো সরল  রাজনীতি বাংলার একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।  বিগত বছরগুলোতে বস্তাপচা বুলী শুনে শুনে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। কেবল দিতে হবে দিতে হবে এই শ্লোগানে মুখরিত দেশ । কেমন করে দিতে হবে ,কি দিতে হবে ? কেই বা দিবে এসব আমরা কিছুই জানি না। কোথায় ...

ছোটগল্প ।। তুমি আসবে বলে ।। রণজিত হালদার

ছবি
  তুমি আসবে বলে   রণজিত হালদার  "রিতু ,আরে রিতু নীচে আয় মা "।  বার দুয়েক তিনি  ডাকলেন।  খানিক পরে ছাদ থেকে  উত্তর এল "যাই মা "। রাত দশটা বাজে। কল্যাণের বাবা আরাম করে বসে টিভি দেখছেন আর তার মা ,বসে বসে সজনে ডাঁটা কাটছেন। খানিক আগে বউমার সঙ্গে বসে   তিনি ডিসকভারি চ্যানেল দেখছিলেন। সিরিয়াল দেখতে রিতু বারণ করেছে ।ওতে নাকে সংসারে একে অন্যের মধ্যে বিশ্বাস আর ভালবাসায় চিড় ধরে । তাই তিনি ওসব দেখেন না । আবার তিনি ডাক দিলেন, " রিতু নীচে  নাম , তোর বাবার ক্ষিদে পেয়েছে , খেতে দিবি তো ।"  আরও  মিনিট কুড়ি পর রিতু নিজেকে একটু গুছিয়ে নিয়ে , ভাল করে চোখে মুখে জল দিয়ে একতলায় এল। কল্যাণের সঙ্গে কথা তার শেষ হতে চায় না , সে কেমন ভিতরে ভিতরে উত্তেজিত হয়ে যায়। শাশুড়ি বললেন, " কি রে খোকা কি বলল, কবে আসবে ? "  " জানিনা"  " তুই জানবি না,  কি আমি জানব! "  " ছুটি পাচ্ছে  না , বলছে দোলে ছুটি পেলে এক সপ্তাহের জন্য আসবে " । বাবা মার একমাত্র সন্তান কল্যাণ। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিএসএফ এ জয়েন  করে ।এখন  ত্...

আঞ্চলিক কবিতা ।। খ্যেলা দেইখ্যে যা ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
খ্যেলা দেইখ্যে যা                     সবিতা বিশ্বাস    এ—এ---এ---এ----ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্   খ্যেলা দেইখ্যে যা রে বাবু ----  খ্যেলা দেইখ্যে যা লাইচছ্যে দেখ্ হীরা বাবু লাইচছ্যে মতি বিবি বান্দর লাচ লাইচছ্যে সোব তুইলছ্যে ফটোক ছবি ভালুক লাচ লাইচত্যে লাইচত্যে আইসছ্যে ঝেঁপ্যে জ্বর জ্বরের ঘোরে শিব ছাঁইড়ে ষাঁড়ে কোইরছ্যে গড় সিনিমিনি চইলছ্যে লা গ' পক্যেট বেবাক ফাঁকা তাইত্যে সোব মন দিয়েছ্যে কোইরব্যাক জনসেবা এ---এ---এ---এ--- ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ ডুগ্ খ্যেলা দেইখ্যে যা রে বাবু খ্যেলা দেইখ্যে যা বুইলছ্যে গুরু ঘাস খাব্যক লাই, মোষ হব্যক লাই যাব্যক লাই আর বামে ঠাকুর সেবায় মন লাইগ্যেছ্যে ইবার ফুলট' দিব্য রামে খেইলছ্যে দাদা খেইলছ্যে দিদি স্যাঙ্গাত প্যাঙ্গাত সোব উইড়ছ্যে ট্যাঁকা ঘুইরছ্যে ট্যাঁকা চইলছ্যে মহোত্সোব   মোইরছ্যে মজুর ভুখা পেটে ঝুইলছ্যে তালা কারখানা গেটে লইড়ছ্যে কিষান দিল্লী পথে...