ক্রিকেটের ডন
আনন্দ বক্সী
কোন কোচের কাছেই যিনি নেননি খেলার পাঠ
ব্যাটিং করে সে ছেলেটাই কাঁপান ক্রিকেট মাঠ।
ব্যাট ধরার কৌশল যে নিজেই করেন রপ্ত
ক্রিকেটপ্রেমী আজও যাঁর খুব অন্ধভক্ত।
জগতজুড়ে যাঁর খেলাতে পড়ে যায় শোরগোল
ব্রাডম্যান নামটা যে তাঁর রত্ন সে আনমোল।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম যে তাঁর কোটামুন্দ্রা নিবাস
ছোট থেকেই খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল খাশ।
চোখধাঁধানো খেলা দেখিয়ে চিত্ত নিতেন জিতে
ক্রিকেটপ্রেমী মুগ্ধ হতো সে ব্যাটিং-সঙ্গীতে।
সৃষ্টি হতো তাঁর খেলাতে অন্য রকম আবেশ
দর্শকরা ভরাতো মাঠ দেশ হোক বা বিদেশ।
বোলাররা করতো যতই কঠিন প্রশ্ন পেশ
যোগ্যজবাব দিয়ে দিতেন ছিলনা ভয়ের লেশ।
ক্রিকেট খেলা পেল যে এক অসাধারণ প্রতিভা
ছড়িয়ে গেল বিশ্বজুড়ে ডনের ব্যাটিং-প্রভা।
ব্যাটসম্যান হিসাবে যেমন ছিল খুব নামডাক
লেগব্রেক বোলিং করেও লাগিয়ে দিতেন তাক।
আউট হননি কখনোই নব্বুইয়ের ঘরে
মগডালে আছেন আজও ক্রিকেট-বৃক্ষে চড়ে।
অল্প টেস্ট খেলেই তিনি গড়েন বহু নজির
রান-বন্যা বইয়ে দিতে মাঠে হতেন হাজির।
ঊনত্রিশ শতরানে তাঁর টেস্ট আঙিনা সাজান
ঘরেবাইরে তুখোড় খেলে জয়ডঙ্কা বাজান।
নেতা হিসাবে দলকে তিনি দিশা দিলেন অন্য
অপারাজেয় হিসাবে তাঁরা হলেন প্রতিপন্ন।
অতুলনীয় হলেও ভাই নয় সে পুরো নিখুঁত
স্পিনে ব্যাটিং ছিলনা তাঁর সে রকম মজবুত।
সাবলীলতা ক্ষুন্ন হতো বাঁ-হাতির স্পিন বলে
লেগব্রেকের বিরুদ্ধেও ছিলেন যে টলমলে।
শেষ টেস্টে পেতেন যদি মাত্র চারটি রান
একশো গড়ে পৌঁছে গিয়ে ছুঁতেন সে আশমান।
হৃদয় দিয়ে খেলে যেতেন বিশ্ববাসীর মন
সর্বকালের সেরা প্লেয়ার ক্রিকেটের তিনি 'ডন'।
=========================
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন