ঠিকানা বই
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
আমরা আজ বড্ড বেশি আন্তর্জালের বশবর্তী।
ভিডিয়ো, সিনেমা, নানা তথ্য সংগ্রহ করা যায়
এই ভুবনগ্রাম থেকে।
অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে
চাহিদামত জিনিস উপহার দেয় আন্তর্জাল।
মাঝে থাকে বিজ্ঞাপনের ভিড়
আর অশোভন ছবির মাখামাখি।
সুড়সুড়ি দেওয়া নানা কথার মালা।
সব মিলে এক অন্য জগৎ -
হরেক অতিথির আনাগোনা লেগে থাকে,
বিনোদনের বিভীষিকা বিভীষিকা জেগে থাকে
চোখের পাতায়।
অলস সময় কেটে যায়,
কেটে যায় নির্ঘুম রাত।
অন্তহীন আগ্রহের হয় না অবসান।
বই যদি হয় আমাদের ঠিকানা,
একটি বিষয়ে একাগ্রতা বাড়িয়ে অন্তর্জগতে
পৌঁছে দেয় - মুক্তার সন্ধানে।
বই ভালো বন্ধু বটে।
বই আমাদের হাসায়, কাঁদায়, ভাবায়
দেশ দেশান্তরে ভ্রমণ করায়,
পরিচয় করিয়ে দেয়
বিশিষ্ট জনেদের সাথে।
আমাদের মুখে বুলি ফোটায় নানা আঙ্গিকে।
একটি বইযের একটি পাতার একটি ছবি
অনেক অর্থ বহন করে, বইটির প্রচ্ছদও।
বই বহন করে একটি জাতির
সভ্যতা, সংস্কৃতি, কাল ও গরিমা।
আমরা মানুষ তার অংশীদার।
শৈশব থেকে শ্মশান পর্যন্ত
শক্তিপ্রবাহ অবিচ্ছিন্ন রাখে বই।
বই সর্বকালের সেরা সম্পদ।
________________
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
গ্রাম ও পো- আমতলা,
থানা-ক্যানিং,
জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ,
No comments:
Post a Comment