Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ছবি
  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

 ৩৬ বছর পরে বিশ্বকাপ ফুটবলের জাদুসম্রাট দিয়েগো মারাদোনার দেশে ।। পাভেল আমান


 ৩৬ বছর পরে বিশ্বকাপ ফুটবলের জাদুসম্রাট দিয়েগো মারাদোনার দেশে

পাভেল আমান

আমার দেখা বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালের মধ্য সবথেকে রুদ্ধশ্বাস টানটান উত্তেজনায় ভরা  এ বছরের ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিটা মুহূর্ত যেন সব খেলার সেরা ফুটবলের জাদুতে মনন ছিল টগবগে উচ্ছ্বসিত। সেখানে সমকক্ষ আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স একেবারে লড়াই করে বিশ্ববাসীদের উপহার দিয়েছে এক মন মাতানো চির স্মরণীয় ফুটবল ম্যাচ যেখানে নেই কোন বিশৃঙ্খলা অঘটনের ঘনঘটা অস্থিরতা শুধুই বিরাজিত মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলা। প্রথম থেকেই আর্জেন্টিনার সমর্থক হওয়াতে প্রিয় দলের বিজয়ে আর পাঁচজন বাঙালির মত আমিও পুলকিত রোমাঞ্চিত উদ্বেলিত। অবশেষে স্বপ্নের আরব্য রজনী, বেদুইনের দেশে সোনার কাপ আর্জেন্তিনার। ৩৬ বছর পরে সোনার কাপ ফিরল ফুটবলের জাদু সম্রাট দিয়েগো মারাদোনার দেশে । এক নতুন মহাকাব্যিক ইতিহাস রচিত হয়েছে রবিবারের রাতে। ফাইনাল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ফাইনাল ছিল গতকাল।  প্রথম থেকেই বারবার খেলার রঙ বদল হয়েছে।  বিশ্বকাপ জেতার আকাঙ্ক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে এতোটুকু কার্পণ্য করেনি আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা। দীর্ঘ একমাসের লড়াইয়ের শেষে রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে মাঠে মুখোমুখি মেসি-এমবাপেরা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর, ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। সেই সঙ্গে ৩৬ বছরের শাপমুক্তি ঘটল সেই বৃদ্ধ রাজার জাদুতে ভর করেই।বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাব পর্যায়ে অর্জনের কোনো কমতি নেই রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির। ব্যক্তিগত ও দলীয়, উভয় ক্ষেত্রেই সম্ভাব্য সবকিছু জিতেছেন। অনেক বেদনার গল্পের পর গত বছর কোপা আমেরিকা দিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শিরোপার স্বাদ মেলে তার। কয়েক মাস আগে জেতেন লা ফিনালিসিমাও। আক্ষেপের খাতায় কেবল ছিল বিশ্বকাপ না পাওয়াটাই। অধরা শিরোপা  অর্জনে মেসি স্বপ্ন পূরণ হলো। শুধু লড়াইয়ের আর নাম লিওনেল মেসি নয়। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক দেখিয়ে দিলেন যে প্রতিশোধের আর এক নামও লিওনেল মেসি। চার বছর আগে এই ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ৩-৪ ব্যবধানে হেরে ছিটকে গিয়েছিল তাঁর দল। তবে জিতলেও এই জয় সহজে আসেনি। অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত স্কোরলাইন ৩-৩ থাকার পর, টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতল আর্জেন্টিনা। সৌজন্যে এমবাপের লড়াই। কাতার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের আগে তাঁর নাম নিয়েই মেতেছিল গোটা ফুটবল দুনিয়া। মাঠে নেমে পায়ের জাদুতে বিপক্ষকে বোকা বানাবেন, গোল করবেন- এই আশাতেই ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। সকলের মনোবাসনা পূরণ করলেন ফুটবলের রাজপুত্র। ফাইনাল খেলাটা হয়েছে মূলত তরুণ যুবরাজ বনাম বৃদ্ধ রাজার। একদিকে ভরপুর তারুণ্যে ভরা গতির মালিক একজন আর অপরদিকে, বৃদ্ধ হলেও, গতি কমলেও এখনও তার ধার কমেনি এতোটুকু, তিনি মেসি। তবে, নিজের শেষ বিশ্বকাপ চির স্মরণীয় করে রাখতে শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে খেলেছিলেন মেসি। আর তাঁকে প্রথম থেকে সাপোর্ট করে গেছেন দলের প্রত্যেকে। প্রথমার্ধে সেই ঝলক বেশি করে চোখে পড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে মেসির দল একটু শ্লথ হলেও, পরে ফের জেগে ওঠে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল খেলার ফয়সালা। সেখানে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিল আর্জেন্টিনা।২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের মহাতারকায় পরিণত ফুটবলার লিওনেল মেসি। প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমির স্মৃতিতে চির জাগরুক হয়ে থাকবে এ বছরের বিশ্বকাপ ফুটবল। রাত জেগে খেলা দেখার পর্ব শেষ হলো। ফুটবলকে ঘিরে বাঙালির উন্মাদনা উচ্ছ্বাস আজও অমলিন। তবে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে দেখতে প্রায়শই একটি কথা আমাদের মত ফুটবল প্রেমীদের ভাবিয়ে তোলে অবচেতন মননকে জিজ্ঞাসা করে ১২০ কোটির ভারতবর্ষ আর কবে বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল পর্বে খেলবে? কবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের মতো আমাদের ভারতবর্ষ বিশ্বকাপ ফুটবলের জয়ের দাবিদার হয়ে উঠবে? আমরা চাই আমাদের ভারতবর্ষ ক্রিকেটের মত ফুটবলেও বিশ্বকাপে খেলুক, মেসি এমবাপের মত ফুটবলার আমাদের দেশেও তৈরি হোক। 

====================


পাভেল আমান -হরিহরপাড়া- মুর্শিদাবাদ

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত