অন্য তিন্নির গল্প
সোমা চক্রবর্তী
বেড়াল আমার একদম পছন্দ নয়। ছোটবেলা থেকে আমি অনেকবার কুকুর নিয়ে অনেক আদিখ্যেতা করেছি। প্রত্যেক বছর পাড়ার যেখানে যত নেড়ি কুকুরের বাচ্চা হতো, আমি তার থেকে একখানা বাচ্চা কোলে নিয়ে বাড়ি চলে আসতাম। তারপর আর কি? বাবা মায়ের খানিক বকাঝকা মুখ চুন করে সয়ে নিলেই তো নতুন সদস্যের বাড়িতে জায়গা পাকা। তবে দুঃখের বিষয় ছিল, একটু বড় হলেই, মানে যাকে ঠিক লায়েক হওয়া বলে, সেটা হলেই তারা আমাদের বাড়ি ছেড়ে হাওয়া হয়ে যেত। তখন আর কি? আবার একদিন নতুন করে আর একটা নাদুসনুদুস কুকুরের ছানা বুকে জড়িয়ে নিয়ে এক হাঁটু ধুলো মাখা, মাথা ভর্তি উস্কোখুস্কো চুল আর বেচারা মুখের মেয়েটা বাড়ি ফিরত। কিন্তু বেড়াল? নৈব নৈব চ।
আমি আর আমার পাড়ার দুই বন্ধু মিলে একবার আমাদের বাগানে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ইটগুলো কুড়িয়ে একটার ওপর একটা সাজিয়ে একটা খেলাঘর বানিয়েছিলাম। সেই ঘর একটাই ছোট ছিল যে, আমাদের মত ছোট ছোট মেয়েদেরও হামাগুড়ি দিয়ে তার ভেতরে যেতে হতো। স্কুলের গরমের ছুটি পড়লে সেখানে সারাদিন ধরে রান্নবাটি খেলা চলত। বড় বড় গাছের ছায়ায় ছোট্ট একটা অদ্ভুত সুন্দর ঘর। ঠিক যেন স্বপ্ন দিয়ে তৈরি। ঘরের ওপরটা কি দিয়ে যে ছাওয়া হয়েছিল, প্লাস্টিকের টেবিলক্লথ না পুরোনো রবারক্লথ না অন্য কিছু, সেসব আজ আর মনে পড়ছে না। আমরা সবাই ক্লাস ফাইভে উঠে হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর আমাদের রান্নবাটি খেলার পাট হঠাৎ করেই চুকে গেল। ওই ঘরটাও আর খেলার জন্য ব্যবহার করা হতো না। শুধু আমাদের রান্নাবাটির খেলনাগুলো ধুলোবালি মেখে অনাদরে ওই ঘরটার ভেতর পড়ে থাক।
আমার একান্ত চেষ্টায় একবার পাড়ার একটা নেড়ি কুকুর ওই ঘরটায় বাচ্চা দিয়েছিল। চারটে নাদুসনুদুস কুকুর ছানা। সাদা কালো ছোপ ছোপ রঙ। সেবার আমার কি আনন্দ। সবকটা কুকুর ছানা আমার। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে উঠোনে এসে দাঁড়ালেই চারজন অতি গম্ভীর মুখে গুটি গুটি পায়ে ওদের ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে হাজির হয়ে যেত। আমার স্কুলটা ছিল বেশ দূরে। তাই আমি স্কুলে যেতাম সাইকেল রিক্সায় চড়ে। বাগানের গেট থেকে আমাদের বাড়িটা অনেকটা ভেতরে। ছুটির সময় রিক্সা এসে গেটের সামনে দাঁড়ালেই সেই চারজন ছুটতে ছুটতে গেটের কাছে পৌঁছে যেত। আমার জুতোর ফিতে দাঁত দিয়ে টানাটানি করে প্রায় খুলেই ফেলত। আমিও ওদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই গেট থেকে বাড়ি ফিরতাম। তারপর সারা বিকেল তো বাকিই থাকত। আমাদের পাশের বাড়ির কাকু প্রায় রোজই আমাকে ঠাট্টা করে বলত, "মামুন, একটা কুকুর ছানা আমায় দিবি?" আমি গম্ভীর গলায় বলতাম, "না।"
দিনগুলো এইভাবেই কেটে যেতে পারত। কিন্তু একদিন সকালে উঠে দেখি, ওই ঘরটা থেকে কেউ বেরিয়ে এল না। না মা কুকুর, না বাচ্চারা। খোঁজ পড়ে গেল। কিন্তু কেউ নেই। আর ওদের কোত্থাও পাওয়া গেল না। কেউ ওদের নিয়ে গেছে না ওরা নিজেরাই কোথাও চলে গেছে, আর কখনও জানা হল না সেটা। তারপর তো কালের নিয়মে সেই খেলাঘর একদিন ভেঙে দেওয়া হল। বাড়িটা একটু একটু করে অনেক বড় হল। এখন সেখানে আমাদের সিঁড়ির ঘর। তাই বলছিলাম, কুকুর নিয়ে অনেকবার অনেক কিছু ঘটেছে। কিন্তু বেড়াল? নেভার!
আমার মেয়ে রূপসা আর ওর স্কুলের তিন বন্ধু সুহানা, সুরঞ্জনা আর কোয়েল- চারজন একেবারে অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। যাকে বলে চার মূর্তি। বেস্ট ফ্রেন্ড আর কি! সেই কোন ছোটবেলা থেকে এক স্কুল, এক সেকশন, এক বেঞ্চ। আমরা চার মায়েরাও তাই টিউশনি, স্কুলের পরীক্ষা এইসব সময়ে দেখা হতে হতে বেশ বন্ধু হয়ে গেছি। সর্বদা হাসিমুখ, মিষ্টি মেয়ে সুরঞ্জনার মা সব দিন আসত না। আমি, কোয়েলের মা দোলা আর সুহানার মা পারভিনারাই প্রত্যেকদিন থাকতাম। কতরকম কথা, কত গল্প যে হতো, তার ঠিক নেই। স্কুলের শেষ পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সেই দেখাসাক্ষাতও কমে গেছে। তবে, ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তা হয় মাঝে মধ্যে।
অনেক দিন ধরে দেখছি, ফেসবুকে পারভিনারা নেই। আমিও তেমন একটা নিয়মিত নই। তাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ওকে একটা মেসেজ করেছিলাম। বিকেলের দিকে ও ফোন করল। অনেক দিন পর কথা- স্বভাবতই অনেক কথা। দুই বাড়িতে কে কেমন আছে এইসব কথার মধ্যে ও বলল, বাড়িতে গত কয়েক মাসে অনেক বিপদ গেছে। তার মধ্যে আর একটা খবরও দিল, "তিন্নি আর নেই।" আমি তো হতবাক। তিন্নি তো শুধু ওর পোষা বেড়াল ছিল না। ছিল ওদের বাড়ির মেয়ে। মোবাইলে তিন্নির ছবি, ভিডিও কতবার দেখেছি। সাদার ওপর কালো আর হলুদ ছোপ ছোপ। কান দুটো খাড়া খাড়া। পুঁতির মত কালো চোখ। রোগা চেহারা। একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে ওর ছেলে শুভ টিটাগড় স্টেশনে বাচ্চা তিন্নিকে একা দেখে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। তারপরের যাত্রাটা ঠিক কেমন, যারা কখনও পশুপাখি পুষেছে, তাদের বলে দেবার দরকার নেই। সকলেই জানে। বিজাতীয় দুই প্রকার প্রাণীদের মধ্যে গভীর সখ্যতা নিয়ে এখন এখানে আর কিছু বলব না। শুধু এটুকু বলব যে, ধীরে ধীরে একদিন তিন্নি পারভিনারার ছোট মেয়ে সুহানার সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমাতে লাগল। ওর জন্য প্রত্যেকদিন আলাদা করে মাছ কেনা হতো। আর বাড়িতে হাজার অসুখবিসুখ, বিপদ আপদ সত্ত্বেও তিন্নির যত্নের একবিন্দুও ত্রুটি হতো না।
নভেম্বর মাসে তিন্নির তিনটে বাচ্চা হয়েছে। আর তার দু'সপ্তাহের মধ্যে একদিন সকালে তিন্নি হঠাৎ.....
আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। এ অভিজ্ঞতা আমারও আছে। ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা গোল্ডেন রিট্রিভার ছিল। আমি নাম রেখেছিলাম ঝিলিক। সেও তিন বছর ধরে একটু একটু করে আমাদের ভাইবোনদের একজন হয়ে উঠেছিল। তারপর একদিন ওইরকমই....
সেই কথাই মনে পড়ে গিয়েছিল। বুঝতে পারছিলাম, কি অসম্ভব শূন্যতা ওদের বাড়িকে গ্রাস করে ফেলেছে। তবু, হাজার সমস্যার মধ্যেই তিন্নির তিনটে কচি বাচ্চার মা এখন পারভিনারা। ওদের বোতলে করে দুধ খাওয়ানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা- সব দায়িত্ব ওর। এ যেন এক অন্য যাত্রা, নতুন করে শুরু।
পারভিনারার সঙ্গে ফোনে যেদিন এইসব কথা হল, সেইদিনই রাতে নীচে যেতে গিয়ে দেখি, বারান্দায় রাখা ঘর ঝাঁট দেওয়া ঝাঁটাটার ঝাড়নের ওপর গুঁড়ি মেরে শুয়ে আছে একটা বেড়াল। প্রচন্ড শীতে ওইভাবেই ঠান্ডা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। বেড়ালটাকে বেশ কয়েকদিন ধরে আসা যাওয়া করতে দেখেছি। সে আবার সন্তানসম্ভবা। ছাদের পেছনের পাঁচিল দিয়ে ওপরে উঠে আসে, আর তাড়া দিলেই সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে নেমে যায়। আমি নিজেই বারবার সবাইকে সাবধান করে দিয়েছি, খাওয়ার ঘরের দরজা যাতে বন্ধ রাখে। তবে রাতের দিকে এর আগে একে কখনও দেখিনি। কোন বাড়ির বেড়াল- কিছুই জানি না। তবে সারা গা ভর্তি ধুলোময়লা। যাই হোক, ওকে ওইভাবে আমার ঘরের বাইরে বসে থাকতে দেখে রাগে গা পিত্তি জ্বলে গেল। তবু ওপরে আসার সময় একটা মোটা তোয়ালে নিয়ে এসে সিঁড়ির চাতালটায় পেতে দিলাম। আবার যখন নীচে যাচ্ছি, দেখি দিব্যি তোয়ালের ওপর কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়েছে। আবারও মনে হল, ভাষার ব্যবধান কোন সমস্যাই নয়। মনে মনে অবশ্য প্রচন্ড রাগও হচ্ছে। এই প্রচন্ড ঠান্ডায় শুধু একটা তোয়ালে যথেষ্ট তো নয়।
আমাদের মধ্যে কোয়েলের মা দোলা সত্যিকারের পশুপ্রেমী। বিশেষ করে বেড়াল। ওর নিজের যে ক'খানা বেড়াল, তার ঠিক নেই। আবার ওর পাড়ার সব কুকুর বেড়ালের যত দায়িত্ব- সব ওর। তাদের খেতে দেওয়া, আঘাত লাগলে ওষুধ লাগিয়ে দেওয়া এই সবকিছু দোলা স্বেচ্ছায় নিজের হাতে করে। বাজার থেকে আলাদা মাছ আনিয়ে রান্না করে ওদের খেতে দেয়। কোথাও বেড়াতে গেলে ওর স্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে যায় ওর পোষ্যদের খেতে দেওয়ার। উনিও খুব আনন্দের সঙ্গেই সেটা করেন। ওরা স্বামী-স্ত্রী ওদের পোষ্যদের জন্য একসাথে বাইরে কোথাও রাতে থাকে না। আত্মীয় স্বজন কারোর বাড়ি গেলেও একজন ঠিক ফিরে আসে- রাতে ওদের খেতে দেবার জন্য। ওদের মতো এত সহৃদয় মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। আমি কিন্তু অত কিছু পারি না। তাছাড়া বেড়াল আমার দু চক্ষের বিষ। যদিও দোলা বা পারভিনারার সামনে সে কথা বলিনি কখনও (তবে এই লেখাটা পড়লেই ওরা জেনে যাবে। রাগ করবে কি?)। কিন্তু এখন এই উটকো আপদটাকে নিয়ে কি করি! এই ঠান্ডায় বাচ্চাদের নিয়ে বেঘোরে মরবে তো প্রাণীটা। আর ওই যে, আমি অতটা ভালো না হলেও মন্দ হতেও মনে মনে আপত্তি! তাই সারারাত উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার পক্ষে আর কি করা সম্ভব। অনেকদিন পর ছোটবেলার সেই খেলাঘরের কথাটা আবার আমার মনে পড়ে গেল। ইস্! এখন যদি সেই ঘরটা থাকত!
সকাল থেকে দিনের আলো যতক্ষণ থাকে, তেনার দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু সন্ধ্যা হতে না হতেই কোথা থেকে হাজির হয় কে জানে! সন্ধ্যা বেলায় নীচে পাড়ার একজন কাকু মেয়ের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে এসেছে। মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলছে। আমি রান্নাঘরে কফি তৈরি করছি। মা বলল, উনি বাড়ির ভেতরে ঢুকলেন। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে আড়চোখে তাকিয়ে দেখি, উনি তোয়ালের ওপর বসে থাবা চাটছেন। মানে নৈশভোজ সেরে এলেন। আর বিপদের মধ্যে বিপদ, আমার হঠাৎ করেই মনে হলো, ওর গায়ের রঙটা ঠিক তিন্নির মতো- সাদার ওপর হলুদ কালো ছোপ। কোনও মানে হয়! রাতে শুয়ে শুয়ে মেয়ে বলল, "মা, ওর তো ঠান্ডা লাগবে, বলো।" আমি কোনও উত্তর দিলাম না। মনে মনে তো বুঝতে পারছি, মেয়ে কি বলতে চাইছে। আমার মেয়ে আবার এ বিষয়ে আমার মতো একদমই নয়। বেড়াল ও খুবই পছন্দ করে। অনেক দিন ধরেই ওর খুব বেড়াল পোষার ইচ্ছে। মনে মনে ইচ্ছেটা পোষণ করলেও, নেহাত আমার প্রবল আপত্তি দেখে কিছু বলে না। তাই আমি চুপ করেই রইলাম। কি আর বলব? আমি বেড়াল মোটেও পছন্দ করি না। নেহাত দায়ে পড়ে-
আমাদের বাড়ির ভেতরটা বেশ খোলামেলা। বারান্দা, সিঁড়ির ঘর সব জায়গাতেই শুধু গ্রীল আর সিমেন্টের ঘুলঘুলি বসানো। তাই দিনের আলো আর বসন্তের বাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণে যেমন বাড়ির ভেতরে আসে, তেমনই শীতকালে আসে হু হু করে ঠান্ডা হাওয়া। এই ঠান্ডায় আমাদেরই ওপর নীচ করতে হাড় পর্যন্ত কেঁপে যায়, আর ওই প্রাণীটা কি করে সারারাত থাকবে? অথচ, অত বড় আর প্রচন্ড ময়লা বেড়ালটাকে ধরে স্নান করাতেও আমি পারব না, যে ঘরের ভেতর থাকতে দেব। তাছাড়া সারাদিন তো কোথায় না কোথায় ঘুরে বেড়ায়। শুধু রাতের আশ্রয়ের বেলায় এখানে। তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করে পরেরদিন বাড়ির সব কাজকর্ম সেরে, স্নানের যাবার আগে, সিঁড়ির চাতালটা ভালো করে পরিষ্কার করলাম। তারপর একটা পুরোনো বড় চাদর ভাঁজ করে মোটা করে পেতে দিয়ে তার ওপর তোয়ালেটা বিছিয়ে দিলাম। আমাদের বাড়ি সারানোর সময় পুরোনো কয়েকটা কাঠের জানলার পাল্লা অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে গিয়েছিল। সিঁড়ির চাতালে অনেক দিন ধরে পড়ে ছিল সেগুলো। ওগুলোকেই ঝেড়ে মুছে দেওয়ালে হেলান দিয়ে পেছনে দুটো আর একটু হেলিয়ে সামনে দুটো এমনভাবে রাখলাম যে ওর বিছানাটা সহ ভেতরে বেশ খানিকটা জায়গা হল। পাশের একদিকে দেয়াল আর একটা দিক যাতায়াতের জন্য খোলা। ঠিক যেন একটা কাঠের তাঁবু। তারপর বস্তা, কাপড়, স্পঞ্জ আর কাগজ যা পেলাম তাই দিয়ে আসেপাশের সব ফাঁক ফোকর আর ওপরের ঘুলঘুলি ঢেকে দিলাম। দেখে মনে হচ্ছে যে, এবার আর ঠান্ডা লাগার উপায় রইল না। এইসব করতে গিয়ে সেদিন অনেকটা দেরি হয়ে গেল। মনে মনে তবু খুব রাগ হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমাকেও কি না বেড়ালের পরিচর্যা করতে হচ্ছে! রাতে খেতে যাবার সময় সব দেখেশুনে মেয়ে তো খুব খুশি। আমাকে বলল, "মা, বেড়ালটা ওর ঘরের থেকে মুখ বাড়িয়ে আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো, যেন বলছে, কেমন আছো? খবর ভালো তো?" আমি গম্ভীর গলায় বললাম, "নেহাত প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে, তাই। তার ওপর গায়ের রঙটাও তিন্নির মতো। বাচ্চা হোক, সেগুলো একটু বড় হোক, দেব দূর করে তাড়িয়ে! মেয়ে মুচকি হেসে বলল, "ব্যবস্থাপনা রোজ রোজ যেরকম এগোচ্ছে, দেখে তো মনে হচ্ছে, শীত চলে যাবার আগেই ওর ঘরে তুমি একটা উইন্ড চাইমও ঝুলিয়ে দেবে!" বোঝো কান্ড! যার জন্য এত কিছু করলাম, সে এখন উল্টে আমাকেই ঠাট্টা করছে! বেড়াল তো ও ভালবাসে। আমি দু'চক্ষে বেড়াল দেখতে পারি না।
=============================
সোমা চক্রবর্তী, Kalikapur, Taki Toad
PO. Barasat, Dist: 24 Pgs (N), WB.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন