গুচ্ছ কবিতা / তীর্থঙ্কর সুমিত
অবাধ্য ময়ূরাক্ষী
কত
রঙিন স্বপ্নের পেঁচারা
উড়ে গেছে এগাছ থেকে ওগাছ
নিশীথ সময়ের ঘুমেরা আজ ক্লান্ত
অবসরের পথে চিন্তার কোলাহল
নিপুনতায় ঢাকে...
গম পাতায় মাঠ ভরেছে
অবাধ্য
ময়ূরাক্ষী একাকী বয়ে চলে পানাফুল বুকে নিয়ে।
মরুভূমির ঝড়
কিছু
শব্দ বসানোর পর
একটা বৃত্ত
মাথা হেঁট করে বসে আছে
অপরাজেয় সৈনিক
ঝোড়ো বাতাস ছিঁড়ে ফেলেছে
ছোলা ফুলের পাপড়ি
আমার
দৈনন্দিন যাপনে এখন মরুভূমির ঝড়।
দেবালয় জুড়ে
আমার
ভাবনার ইতি টানলেই নেমে আসে এক বিপুল জনশূন্যতা
অলিন্দের প্রতি কোণায় জীর্ণ মতামতের
সুক্ষ চেতনার অনুপ্রাস একদিন ইতিহাস হবে।
বাদাম ফুলের শৈশবে হৃদনৌকা ভাসতে ভাসতে মিলিয়ে যাবে কোনো আপ্রাচীন সভ্যতার বুকে
প্রবল
ঝড় নৈমিত্তের প্রসাদ দেবালয় জুড়ে।
স্মৃতি কথার ভিড়ে
স্মৃতি
কথার ভিড়ে
হেঁটে চলা সংলাপ একদিন
মিশে যাবে লৌকিককতার দর্শনে
মননের উপসংহারে নদী বয়ে যাবে
একাকী কথনের প্রাচুর্যলিপি একদিন...
না কথার দূরন্ত উচ্ছ্বাসে
সব স্নিগ্ধ হবে
আর মুঠো ভরা বিশ্বাস হেঁটে যাবে
কলেজ
স্কোয়ার কিম্বা বেথুনের গেটে।
মনিকোঠার দালান
শব্দের
ওপর শব্দ সাজানো
ইতিহাসে অক্ষরবৃত্ত খুঁটে খায়
নতজানু মুহূর্তে নেমে আসে ব্যঞ্জনপ্রীতি
সময় সময় উৎসব পাল্টে গিয়ে হয় মহানুভবতা
তবুও আঁকড়ে আঁকড়ে আঁকা হয়...
মনিকোঠার
দালান।
তীর্থঙ্কর সুমিত
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন