প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সংকটের
আবর্তে ধূসর গ্লানি জমা হচ্ছে স্তর বিভেদে,
ভাসমান বুদবুদের ম্লান হওয়া বাতাসের স্পর্শে।
ফিকে হচ্ছে সাত রঙ্গা রং, ঘুমিয়ে থাকা জারণ আর বিজারণের অসম পঙক্তিতে।
চড়া
রং গুলো ধূসর আরো ধূসর হয়ে
হারিয়ে যাচ্ছে সূখ্য যান্ত্রিকতায়,ধরা পড়ছে ক্যনভাসে,
আসল চিত্রে রং তুলির টানে শেষ করা ছবিটার সাথে।
কথা
গুলো বোবা হয়ে ঝরে পড়ে গোলা রঙের সহবাসে।
বিভেদের অসম তার ছিঁড়ে যাওয়া এক বিষন্ন বিকেলে আঁকা থাকে চৈতালী চিত্রে।
সময়ের সাথে যুক্ত হয় আরো কতো বিভাজন, সৃষ্টি হয় অবিরত গণ্ডির।
নির্বিকার গতি হীনতায় স্রোতের বিপরীতে অভিনয়,
মুক্তির আগেই ইতিহাস সাক্ষী থাকে আগামীর কাছে।
অনেক
শতাব্দীর পরেও সময় টা একই থেকে গেলো। অন্ধকার গলিপথে টর্চের আলোয় নয় মোবাইলের
ফ্ল্যাশে দেখেছিলেম আমার প্রথম রাতকে,
চেনা অথচ অপরিচিত হয়ে সামনে দাঁড়িয়ে চিনতে পেরে মাথা নিচু করে চলে গেলে
নিঃশব্দে আমিও ফিরলাম অন্য পথে।
বোবা কথারা আজও মুখ খুলতে পারেনি।
কিছু সময় পরে বুঝেছি পৃথিবীটা আমার জন্যে নয়।
হয়তো
তাই গুটিয়ে থাকা শামুকের প্রজন্ম নিয়ে
জন্মানো,শুধু ভয়ের আবরণে ঢাকা থাকা অবয়ব,কখনো কেউ মাড়িয়ে গেলে পথ খোঁজা শরীরের
প্রতিটি অণুতে।
প্রতিবাদে মুখর যখন চারিধার, বিবর্ণ ইতিহাসের কলঙ্ক নিয়ে মুক্ত কবির কলম,
খসে যাওয়া পাতার থেকে কুড়িয়ে নেয়া কিছু কথা লিখে রাখি কাগজে,জমিয়ে রাখি শূন্য
অবসরে।
মিথ্যে জিজ্ঞাসায় আমিও ঝাঁপ দিই মহাসাগরে।
কিছু সময় পরে বুঝেছি পৃথিবীটা আমার জন্য নয়।
অযোগ্য প্রমাণের পরও মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছি, অন্য কোথাও প্রকাশ না করতে পারায়
প্রতিটি কোনে মুখ লুকিয়ে পিঠ পেতে দিয়েছি। তার পর বোঝানো হয়েছে
পৃথিবীটা আমার জন্য নয়।
সূরা পানে অনাসক্ত থেকেও নেশা গ্রস্থ হয়েছে
অবসরের বয়সসীমা, বৃদ্ধির লক্ষ্যে পঙ্গু হয়েছে বুদ্ধি। জীর্ণ শীতলপাটি র ধার
গিয়েছে ছিঁড়ে,
অন্ধ সত্যতা স্বীকারে দৃঢ় মন আজও সময় গোনে।
এখন মনে হয় পৃথিবীটা সত্যি আমার জন্য নয়।
![]() |
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন