Featured Post
প্রবন্ধ ।। রেডিও ও গ্রামোফোন – নজরুলের নতুন যাত্রাপথ ।। সবিতা বিশ্বাস
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
প্র ব ন্ধ
রেডিও ও গ্রামোফোন – নজরুলের নতুন যাত্রাপথ
সবিতা বিশ্বাস
“আমি চির বিদ্রোহী বীর
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির”
কবিতার রচয়িতা বিদ্রোহী বীর নজরুল ইসলামের জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ খ্রীস্টাব্দের ২৪ শে মে (১১ ই জৈষ্ঠ্য ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)। কাজী ফকির আহমেদ ও জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। মাত্র নয় বছর বয়সে ১৯০৮ সালে পিতার মৃত্যু হলে পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজে নামতে হয়। এই সময় নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ওই মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। একই সাথে হাজী পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের আযানদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। এইসব কাজের মাধ্যমে তিনি অল্পবয়সেই ইসলামের মৌলিক আচার-অনুষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পান যা পরবতীকালে তাঁর সঙ্গীত ও সাহিত্যসাধনার ক্ষেত্রে বিপুলভাবে প্রভাব ফেলে।
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ”
— কালজয়ী এই গানের রচয়িতা ও সুরকার কাজী নজরুল ইসলাম ছোট থেকেই ধর্মীয় আচার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন বলেই এই গান লেখা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছিল। বাংলা সাহিত্যে ইসলামী চেতনার চর্চা তিনিই শুরু করেছিলেন বলা যায়। মক্তব, মসজিদ, মাজারের কাজে নজরুল বেশি দিন ছিলেন না। বালক বয়সেই লোকশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে লেটোর দলে যোগ দেন। প্রচন্ড মেধাবী নজরুল লেটোর দলেই সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। বাংলা, সংস্কৃত, পুরাণ বিষয়ে চর্চা করেন ও দলের জন্য লোকসঙ্গীত, কবিতা রচনা করেন। পরবর্তীকালে সেনাবাহিনীতে থাকার সময়ে রেজিমেন্টের পাঞ্জাবী মৌলবীর কাছে ফার্সি ভাষা শেখেন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। যদিও আর্থিক কারণে বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করতে পারেননি, কিন্তু যেখানে যার সংস্পর্শে এসেছেন তার কাছ থেকেই তিনি জ্ঞান আহরণ করেছেন। যা পরবর্তীকালে তাঁকে সাহিত্য ও সঙ্গীত জগতে উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল।
তাঁর সময়ে তিনি এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে, তিনি যা লিখে দিতেন তাতেই ব্যাপক কাটতি হত। বই ছেপে এবং পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করা ছাড়াও সে সময়ে লোকপ্রিয় আরো দুটো মাধ্যম ছিল। এক রেডিও বা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান, দুই- গ্রামোফোন রেকর্ড প্রকাশ।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে কাজী নজরুল সরাসরি বেতারে যোগদান করেন এবং ১৯৩০ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এরপরে কয়েক বছর বিক্ষিপ্তভাবে বেতারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপরে ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত নিয়মিত রেডিওতে অংশগ্রহণ করেন। এইসময় লুপ্তপ্রায় রাগের পুনরুদ্ধার ও বাংলা ভাষায় এইসব রাগের উপর গান রচনায় উদ্যোগ নেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। তিনি এইসকল রাগের ব্যাখ্যা দিতেন এবং বাংলা গানগুলি নজরুল নিজেই পরিবেশন করতেন। এই সময় তিনি আমির খসরু রচিত গ্রন্থাবলী এবং নবাব আলী রচিত ‘মা রিফুন্নাগমাত’ গ্রন্থের প্রচুর সাহায্য নিয়েছিলেন। এছাড়াও সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তীর কাছ থেকে সংস্কৃত ভাষায় রচিত রাগ বিষয়ক গ্রন্থাদি থেকে তথ্যগত সাহায্য নিয়েছিলেন।
‘হারামণি’ প্রতিমাসে একবার হতো। এই ধারার প্রথম গানটি ছিল ‘অরুণকান্তি কে গো যোগীভিখারী।’ হারামণির প্রথম অনুষ্ঠান হয়েছিল ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায়। ধারাবাহিকভাবে রেডিওতে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানটির কোনো রেকর্ড বেতারভবনের সংগ্রহে পাওয়া যায় না। কিছু গান ও রাগের বিবরণ নানা সূত্রে পাওয়া গেলেও অনেক গানই হারিয়ে গেছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য একটি খাতা ছিল যা নজরুলের জীবদ্দশাতেই হারিয়ে যায়।
নানা সূত্র থেকে ‘হারামণি’র ২৭টি অনুষ্ঠানের কথা জানা যায়। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় হারামণির প্রথম অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সেকালের লুপ্তপ্রায় রাগ ‘আহীর ভৈরব’ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা অক্টোবর বেতার জগতে এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছিল – “যাঁরা সঙ্গীত সম্বন্ধে গবেষণা করেছেন তাঁরা জানেন কত অপ্রচলিত রাগ-রাগিণী ওস্তাদজীদের ঘরোয়ানা পেটিকার অন্ধকার ভেদ করে দিনের আলোতে দেখা দিতে আরম্ভ করেছে। যাঁরা এই উদ্ধার সাধনে লিপ্ত আছেন তাঁরা আমাদের বরেণ্য। কবি নজরুল ইসলাম এই শ্রেণীর একজন লুপ্ত রত্নোদ্ধারের কর্মী। তিনি বহু অপ্রচলিত রাগ-রাগিণীকে বাংলা গানের ভিতর দিয়ে রূপায়িত করে তুলেছেন। কবি ও সুরকার, এই দুই জাতীয় প্রতিভার সৃজনী শক্তিকে সেই সঙ্গীতগুলি বাংলার সঙ্গীতকে সমৃদ্ধি দান করেছে। এবার ৮ই অক্টোবর তিনি ‘আহীর ভৈরব’ রাগের সঙ্গে আমাদের শ্রোতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচয় স্থাপন করবেন। সঙ্গীততত্ত্বে বিশেষজ্ঞ সুরেশ চক্রবর্তী মহাশয়ের সহযোগিতায় এই ‘হারামণি’ বহু শ্রোতার চিত্তে স্নিগ্ধ আলোক সম্পাত করবে এই আমাদের বিশ্বাস।”
১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে নজরুলের অসুস্থ হওয়ার পূর্বকাল পর্যন্ত তিনি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতের যাত্রাপথে রেডিও মাইলস্টোন হয়ে আছে।
রেডিও ছাড়াও গ্রামোফোন নজরুলের সাহিত্য ও সঙ্গীত সাধনার যাত্রাপথের সিংহভাগ জুড়ে আছে। হিজ মাস্টার্স ভয়েস ছিল তখন গ্রামোফোন রেকর্ড প্রকাশের ব্যবসায়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই কোম্পানি কাজী নজরুল ইসলামের নাটক-নাটিকা, গান মিলিয়ে প্রচুর রেকর্ড করেছিল। প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত নজরুল গ্রন্থের তালিকার মতোই এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত রেকর্ডের তালিকা অসম্পূর্ণ।
ছোট, বড় মিলিয়ে তিনি অনেক নাটক রচনা করেন। রেকর্ডের স্বল্প সময়োপযোগী করে রচিত ব্যঙ্গ-কৌতুক প্রধান নাট্যাকারে লিখিত রচনাসমূহ রেকর্ড নাটিকারূপে প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল – ঈদুল ফেতর রেকর্ড নাটিকা এন ৯৮২৩-৯৮২৪ ও বিলাতী ঘোড়ার বাচ্চা রেকর্ড নাটিকা এন ২৭২৯৪, জন্মাষ্টমী রেকর্ড নাটিকা (হিন্দি) এন ১৭১৬৯, প্ল্যানচেট রেকর্ড নাটিকা এন ৯৭৬০ ইত্যাদি (নজরুল রচনাবলী নজরুল কাদির সম্পাদিত, বাংলা একাডেমি)।
সেই সময়কার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম গ্রামোফোন রেকর্ড আর কলের গান। নজরুল বিনোদনের সেই সাধারণ উপাদানে যুক্ত করেছিলেন মেধা, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যঞ্জনা সমৃদ্ধ রসময় কৌতুক। অর্থদ্যূতিসমৃদ্ধ অন্তরময় সংলাপ নির্মাণ করে যে আবহ তিনি সৃজন করেন তা এককথায় অপূর্ব-অসাধারণ। ব্যক্তিজীবনে সৎ ও ধার্মিক হওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত সংক্ষেপে নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেমন ঈদুল ফেতর ও জন্মাষ্টমী। বিলাতী ঘোড়ার বাচ্চা নাটকে বর্ণনা করা হয়েছে বিলেতে অনুষ্ঠিত ঘোড়দৌড় কেন্দ্র করে বাংলার আনাচে কানাচে বিশৃঙ্খলা, নারী-পুরুষের ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার সনাতন সংঘাত।
দেবর ভাবীদের মিষ্টি কৌতুকময় পারিবারিক ঘরোয়া বিনোদন সম্পর্কের আদলে তিনি চিত্রিত করেছেন অপ্রয়োজনীয় মেকি জ্ঞানচর্চা। হায় হায় ঠাকুরপো – কলেজে পড়ে তোমাদের বিদ্যা শেষ পর্যন্ত ভূতেদের কাছে দাঁড়িয়েছে?- প্ল্যানচেট।
বাঙালি ঘরে হিন্দি গান নাটিকায় কাজী নজরুল ইসলাম উপযুক্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের পরিণতি অংকন করেছেন। “সাঁইয়া নাহী বোলুঙ্গী, হিন্দি সংলাপ অবলীলায় রূপান্তরিত হয়, ‘সাইয়া নাহিব লুঙ্গি” অর্থাত্ সাইয়া গোসল বা স্নান করার জন্য লুঙ্গি চায়। খুব সাধারণ এবং প্রাত্যহিক জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় মনোহারী ভঙ্গিতে মানুষের সামনে তুলে ধরেছিলেন গ্রামোফোনের মাধ্যমে।
তিনি বাংলা হিন্দি উভয় ভাষায় সমান দক্ষতা ও সার্থকতার সঙ্গে রেকর্ড নাটিকা লিখেছেন। সময়ের প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে যুগের দাবী পূরণ করেছেন এই সকল রচনা রেকর্ড করে। এইসব অসাধারণ রেকর্ড নাটিকা চিরকাল পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে। নজরুল প্রতিভার এ এক স্মরণীয় কীর্তি।
নজরুল দেবী কালীকে নিয়ে প্রচুর শ্যামাসঙ্গীত রচনা করেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “কেউ বলেন আমার বাণী যবন , কেউ বলেন কাফের। আমি বলি, ও দুটোর কোনোটাই না। আমি শুধু হিন্দু মুসলিমকে একজায়গায় ধরে নিয়ে গিয়ে হ্যান্ডশেক করানোর চেষ্টা করছি, গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি”।
কাজী নজরুল ইসলামের জীবন জুড়েই ছিল সঙ্গীত। আর তাঁর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল দুটি গ্রামোফোন। যেগুলি কবি নিজে ব্যবহার করতেন। সজ্ঞানে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত গ্রামোফোন ছিল তাঁর সঙ্গী। এই গ্রামোফোনে আছে কবির কন্ঠস্বরের রেকর্ড, আছে পুরনো গানের বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য রেকর্ড। এই গ্রামোফোন ১৯২১ সালে তৈরী করেছিল ইংল্যান্ডের The Duophone Syndicate Limited (RED no. 413301)।
১৯৩১ সাল নাগাদ কবির সাথে গ্রামোফোন কোম্পানির চুক্তি হয়, কবির প্রতিটি গান গ্রামোফোন কোম্পানি কিনবে ২০ টাকা দরে, এছাড়া গানের বিক্রির উপর থাকবে আড়াই শতাংশ রয়্যালটি। নজরুল কিন্তু গ্রামোফোন কোম্পানিতে মাইনে করা স্থায়ী কর্মচারী হলেন না। তার ফলে নজরুলের নির্দিষ্ট মাসিক আয় থাকলো না। ১৯৩৪ সালে একটি রেকর্ডের দোকান খোলেন নজরুল, কলের গান বিক্রি হবে বলে সে দোকানের নাম দেন ‘কলগীতি’। মাঝে কিছুদিন মেগাফোন কোম্পানিতে কাজ করে আবার এইচ এম ভি তে ফিরে যান। হিন্দুস্থান রেকর্ডেও কিছুদিন কাজ করেন কবি। তখন নজরুলের গানের জনপ্রিয়তা রবীন্দ্রসঙ্গীতের থেকেও ঢের বেশি ছিল। বস্তুত সেই সময় গ্রামোফোন কোম্পানি চলছিল নজরুলের গানে। এর ফলে কবির উপর চাপ বাড়তে থাকে। কোনো কোনদিন সাত-আটটা গান লিখে, তাতে সুর দিয়ে রেকর্ড করবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
জসীমউদ্দিন লিখেছেন, “আমি দেখিয়াছি গ্রামোফোন কোম্পানিতে নানা হট্টগোলের মধ্যে কবি বসিয়া আছেন, সামনে হারমোনিয়াম। পাশে অনেকগুলো পান আর গরম চা। ছয়-সাতজন নামকরা গায়ক বসিয়া আছেন কবির রচনার প্রতীক্ষায়—একজনের চাই শ্যামাসঙ্গীত, অন্যজনের কীর্তন, একজনের ইসলামী সঙ্গীত, অন্যজনের ভাটিয়ালী গান, আরেকজনের চাই আধুনিক প্রেমের গান।”
এই সময়ে কবি যেন একটি মেশিনে পরিণত হন। এটা যেমন ঠিক যে, রেডিও ও গ্রামোফোন কবির সঙ্গীতের যাত্রাপথকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। ঠিক তেমনই তিনি সেইসময় একটার পর একটা ফরমায়েসী গান লিখে গেছে নিজের মনের সায় ছাড়াই।
কিন্তু স্ত্রীর পক্ষাঘাত, নিজের বেহিসেবি খরচার হাত, এইসব কারণে প্রচুর রেকর্ড বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও অর্থের অভাব তাঁর পিছু ছাড়েনি। সুখের মুখ তিনি খুব কমই দেখেছিলেন। এক সময়ে কবির অভাবের সুযোগ নিয়ে রেডিও তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল ‘কচুরিপানা নির্মূল করার গান’।
১৯৪২ সালে বেতারের এক অনুষ্ঠানের মাঝে কবি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে তাঁর চেতনাও লুপ্ত হয়, তিনি স্থবির হয়ে যান।
হয়তো এই স্থবিরতার সংকেত তিনি আগেই পেয়েছিলেন। তাই তিনি লিখেছিলেন, “খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা
কাঁদিও না, কাঁদিও না – তব তরে রেখে গেনু প্রেম আনন্দ মেলা”।
কবির শেষ জীবনে কবিকে মায়ের মত সেবাযত্নে আগলে রেখেছিলেন কবির জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ উমা কাজী (উমা মুখোপাধ্যায়)। ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে কবি লোকান্তরিত হন। শেষ সজ্জায় কবিকে সাজিয়েও দিয়েছিলেন উমা নিরুচ্চার সাধনায়।
কবির নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হলেও তাঁর গান আজও বেজে চলে গ্রামোফোনে, বেতারে, মানুষের কন্ঠে ।
------
তথ্যসূত্র – ১) নানা গানের কান্ডারী নজরুল --- অভিনব বসু ২) নজরুল প্রতিভার আরেক দিক: গ্রামোফোন রেকর্ড – করীম রেজা ৩) ‘হারামণি’র গান -- মাসুদা আনম কল্পনা ৪) কাজী নজরুল ইসলাম – উইকিপিডিয়া ৫) বিদ্রোহী কবির ব্যবহৃত গ্রামোফোন এল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে, গবেষণায় খুলবে নতুন দিক – ETV BHARAT AUG 2, 2023 ৬) নজরুলের নিজস্ব গ্রামোফোন বেজে চলে আজও --- গৌরব চৌধুরী ৭) কবি নজরুলকে আগলে রেখেছিলেন উমা! এই ব্রাহ্মণ কন্যাই ছিলেন কবির পুত্রবধূ – শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ |
মুদ্রিত সংখ্যা সংগ্রহ বিষয়ক জরুরি কথা
নবপ্রভাত ব্লগজিনের ৬৮তম সংখ্যা (কার্তিক ১৪৩০ অক্টোবর ২০২৩) প্রকাশিত হল। কথামতো এই সংখ্যাটি বই (মুদ্রিত পত্রিকা) আকারে একটি প্রকাশনী থেকেও প্রকাশিত হল। ফন্ট একটু ছোট রেখে সাড়ে আট ফর্মার পত্রিকা হয়েছে। মুল্য ১৭৫ টাকা। তবে আমরা একটা কোড দিচ্ছি ( কোড: NABAPRAVAT30 )। এটা অর্ডার ফাইনাল করার সময় ব্যবহার করলে ১৪৯ টাকায় বইটি পাওয়া যাবে। অর্ডার করলে বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন। (একটি সংখ্যার জন্য ডেলিভারি চার্জ নেবে ৫০ টাকা। একাধিক নিলে ডেলিভারি চার্জ অনেকটাই কমবে। এটা প্রকাশনা সংস্থার নিজস্ব নিয়ম।) কোড ব্যবহার করলে ১৯৯ টাকায় (ডেলিভারি চার্জসহ) বইটি পেয়ে যাবেন। আগ্রহীরা সংগ্রহ করতে পারেন।
যাঁরা অনলাইন অর্ডারে স্বচ্ছন্দ নন, অথবা, অনলাইনকে বিশ্বাস না করে আমাদের থেকে পত্রিকা সংগ্রহ করতে চান তাঁরা শুধু মুদ্রিত মূল্য ১৭৫ টাকা আমাদের পাঠাতে পারেন। আমরা দায়িত্ব নিয়ে আপনার ঠিকানায় বইটি পাঠিয়ে দেব। হাতে হাতে নেওয়া সম্ভব হলে ১৫০ টাকা পাঠালেই হবে। আমরা আনিয়ে দেব।
আমাদের গুগুল পে / ফোন পে
নম্বর ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬। প্রয়োজনবোধে এই নম্বরে স্বচ্ছন্দে call বা whatsapp করতে পারেন।
মুদ্রিত সংখ্যা অর্ডার করার লিঙ্ক:
https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023
==================
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন