পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
  সূচিপত্র  ======== কবিতা/ছড়া: সুমন নস্কর রবিউল ইসলাম মন্ডল পল্লব দাস শুভাশিস দাশ   তপন কুমার মাজি সবিতা বিশ্বাস জয়ীতা চ্যাটার্জী স্বপন কুমার বিজলী রণবীর বন্দ্যোপাধ্যায় দীপঙ্কর নস্কর প্রণব কুমার চক্রবর্তী অমিত পাল পবিত্র রায় চৌধুরী সোমনাথ বেনিয়া তরুণ কুমার মাঝি চিরকুট অমৃতা বিশ্বাস সরকার তাপসী লাহা কান্তিলাল দাস মোনালিসা পাহাড়ী সম্পা পাল মুক্তগদ্য / স্মৃতিকথা / অণুগল্প : রণেশ রায় অ-নিরুদ্ধ সুব্রত রাণা চ্যাটার্জী বিদিশা দাস মৌমিতা ঘোষাল  অনুবাদ স্মৃতিকথা: চন্দন মিত্র সাধারণ বিভাগ কবিতাঃ টুম্পামিত্র সরকার শ্যা মাপদ মালাকার   সায়ন মোহন্ত সুনন্দ মন্ডল সন্দীপ পাল   দুলাল সুর রমেশ দাস অণুগল্প : তন্ময় সিংহ রায় গ্রন্থ আলোচনাঃ শর্মিষ্ঠা দেবনাথ    মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন

অনুবাদ স্মৃতিকথা: চন্দন মিত্র

                    জনৈকা মহিলার প্রতিকৃতি                                               খুশবন্ত সিং                               বাংলা তরজমাঃ চন্দন মিত্র  অন্যদের ঠাকুমার মতোই আমার ঠাকুমাও, ছিলেন বৃদ্ধা । কুড়ি বছর ধরেই তাঁকে লোলচর্ম বৃদ্ধা হিসাবেই দেখে আসছিলাম। লোকজন বলাবলি করতেন --- একদা তিনি ছিলেন তরুণী ও রূপবতী । তাঁর স্বামীও ছিল। কিন্তু তাঁদের কথা অবিশ্বাস্য মনে হত। আমাদের বসার ঘরের দেয়ালে বাতিদানের উপরে আমার ঠাকুরদার একটি প্রতিকৃতি ঝোলানো থাকত। তাঁর মাথায় বড় একটি পাগড়ি, পরনের পোশাক বেশ ঢিলেঢালা।  সাদা-দাড়ি তাঁর বুকের বেশিরভাগ অংশটাই ঢেকে রেখেছিল। তাঁকে কোনোভাবেই একশো বছরের কমবয়সী বলে মনে হত না। তাকে দেখে মনে হত না যে, তাঁর স্ত্রী বা পুত্র থাকতে পারে। মনে হত তিনি কেবল অগণিত নাতিপুতির ঠাকুরদাই হতে পারেন। আর ঠাকুমার রূপবতী হওয়ার বিষয়টা অবাস্তব হওয়াই সংগত। ঠাকুমা তাঁর শৈশবের খেলাধূলার যে বর্ণনা দিতেন, তা আমাদের কাছে অমূলক মনে হত, সেই সব খেলাধূলায় তাঁর ভূমিকাও ছিল বেশ অসম্মানজনক। আমরা তাঁর মুখে শোনা অবতারকেন্দ্রিক ধর্মীয়-আখ্যানের মতোই এগুলোকেও নিছক গালগল্প বলেই ধরে নি

অভিজ্ঞতাঃ রণেশ রায়

নতুন বছর, নতুন সূর্য রাত বারোটা। একবিংশ শতাব্দীর ১৮ পার হয়ে ১৯শে পদার্পন। পার্কস্ট্রিট থেকে পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে নববর্ষ বরণ উৎসব। মদের ফোয়ারা। তার সঙ্গে বাজি। নব্য বাঙালির অভিনব সাজ। পার্কস্ট্রিটসহ শহরের সব হোটেলগুলোতে আলোর ঝলকানি। খাদ্যতালিকায় দেশবিদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবারের উঁকি। রাস্তায় গাড়ি রাখার জায়গা নেই। শিশুদের কোলে নিয়ে বাবা মা যেমন উপস্থিত তেমনি যুবক যুবতীদের যুগল উপস্থিতি। আর শহরে পাড়াগুলো তাদের দখলে যাদের আর্থিক তেমন জোর নেই কিন্তু আছে বাড়ির সামনে পাঁচিলে বসে মজলিস গড়ে তোলার অদম্য উৎসাহ। আছে নববর্ষের হাতছানি। সেখানে চুল্লুর সমাহার। কোন এক পল্লীর এক বাড়ির দোতলায় নিজের ঘরে শুয়ে ঘুমোবার চেষ্টা শুভর। বয়স হয়েছে। এমনিতেই ঘুম আসে না। আসব আসব করেও চলে যায়। তার সঙ্গে বিছানায় শুয়ে লুকোচুরি। এর মধ্যে আজ বাজির শব্দ, রাতের নিশুতি ভেঙে কাদের বা কোলাহল। ঘরের বাইরে পাঁচিল ধরে কিছু কিশোর যুব। মুখে কথার ফোয়ারা। বাংলা ক খ গ শ ব ল  বর্ণের কথামালায় আকাশ বাতাস মুখরিত। ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে শুভর কানে মধুবর্ষন করছে । নীচে ওদের মজলিসে একে অপরের প্রতি হুমকি। কিছুক্ষন আলাপচারিতার পর

মুক্ত গদ্য : অ-নিরুদ্ধ সুব্রত

রথ টানাটানি  ------------------ একটা বড়ো হাই তুলে শর্মিমালা ড্রইংরুমের দেয়াল থেকে আঠারোর ক্যালেন্ডারটা নামিয়ে দিলো। অফিস থেকে ফেরার সময় অনির্বান উনিশের একটা নতুন ক্যালেন্ডার এনেছে । কিন্তু হাতে নিয়ে দেয়ালে টানানোর মুহূর্তে শর্মিমালা গার্ডারটা খুলেই ঝাঁঝিয়ে উঠলো, 'ধ্যাৎ এ আবার কী ? শ্রীকৃষ্ণের রথযাত্রা ? এই সব ছবি এখন কেউ দেয়ালে টানায় নাকি অ্যাঁ ? ' মুখে বিরক্তি থাকলেও ছবিটা কিন্তু ড্রইংরুমের দেয়ালে রাখলো শর্মিমালা শেষ পর্যন্ত ।                   বাথরুম থেকে ফিরে অনির্বান দিনের ক্লান্তি নরম তোয়ালেতে মুছতে মুছতে শর্মিমালার বিরক্তির উত্তর না দিয়ে পারলো না, ' দ্যাখো মেলা ককিয়ো না, ফার্নিচারের দোকানের ছেলেটা ডেকে দিলে, তাই...। তাছাড়া রথযাত্রা যেন এযুগে এক্কেবারে অচল ! কেন এই যে সব এতো তক্কো বিতক্ক চলেছে, তুমি আছো কোন কালে ?' শর্মিমালা দিন দিন ধ্যাতরা হয়ে যাওয়া এই পঁয়তাল্লিশের লোকটার ক্লিশে কথায় তেমন গুরুত্ব দেয় না।বরং 'ভ্রমর কইয়ো শ্রীকৃষ্ণ-বিচ্ছেদের অনলে' গানের লাইনে হালকা সুর চড়িয়ে এক কাপ গরম কফি এনে সামনের টি টেবিলে রাখে। পাশে থাকা বোতলের জল খান

বিদিশা দাসের মুক্তগদ্য

আমি, তুমি ও প্রতিশ্রুতি  *** যাই বলেই চলে গেল যে বছরটা,তার নাম দিতেই পারি প্রতিশ্রুতি...  হাজার একটা বিষাদ বয়ে এনেছিল অথচ অবিশ্রান্ত স্বপ্ন বুনে একটা কুসুম রঙা আকাশ সাজিয়ে ছিল... এটা, সেটা অনেক অনেক আকাশ কুসুম স্বপ্ন আঁকা ক্যানভাস ফিকে হয়...সম্পর্ক বাজতে থাকে,সাজতে থাকে নতুন দোলাচলে, আমি, তুমি ও আমাদের নতুন অসুখ... দূরে কোথাও গীর্জায় ঘন্টা বাজে,দীর্ঘতর হতে থাকে মনবাসার বাহানারা, যা কিছু সম্বল যা কিছুই আছে তার সব,সবটুকুই দিয়ে যাব চরণের নখে...কিছু নিঃস্বতা বড় মধুর বড় কাম্য গোটা জীবন ভোর। কিছু তো দিতেই হয় ! এই যে নদীর মতো প্রবহমান মুহূর্তরা আলো আনে,ভালো আনে, অনেকটা অভিমানও আনে আর উজাড় করে দিয়ে যায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়াজড়ি নিঃসঙ্গতার বন্দিশ... একা আমি,একা তুমিও আর সেইসব প্রতিশ্রুতিরাও... মেপেল পাতার নকশা আঁকা পশমিনা চাই নে,চাই নে জড়োয়ার কৃষ্ণকান্তা ঝুমকো, কৃষ্ণচূড়ায় রাঙিয়ে দেওয়া একপলা তীব্র বিকেল চাই... দিও নাহয় আগামী বছরের দিনে একটুখানি নিজস্ব সময়, আমার জন্য, শুধুই আমার জন্যে...  ================================ বিদিশা দাস বারাসাত

মৌমিতা ঘোষালের অণুগল্প

ছবি
            স্বপ্নেরা ম্যাগাজিন কভারে মেয়ের উজ্জ্বল মুখখানি দেখিয়ে হলে জমা সান্ধ্যআড্ডায় গর্বের বিচ্ছুরন ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন প্রকাশবাবু। মেয়ে তার নামকরা মডেল।আনন্দে আটখানা বাবার উচ্ছাসিত  বাণী রান্নাঘর থেকে শুনতে পাচ্ছিলেন প্রতিমাদেবী এবং তার সনামধন্যা কন্যা রনিতা। _দেখেছিস, বলেছিলাম না তোর বাবা একদিন ঠিক মেনেই নেবে। গর্ব হয় তোর বাবার, বুঝলি? _তুমি না থাকলে তা কি সম্ভব ছিল মা?  _ধুস। তোর এটা পাওনা ছিল। পরিশ্রম কম করেছিস! স্বপ্ন ছিল তোর।  _স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম, কিন্তু সেই স্বপ্নের জীবন। বাবা তো আগেই না বলে দিয়েছিল।  _তোকে সেদিন তোর বাবার সাথে ঝামেলা করতে দেখে মনে হয়েছিল নিজের কথা। আমিও স্বপ্নের জন্য লড়াই করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। তাই তোকে হারতে দিতে চাইনি।  _তোমার ভয় হয়নি মা?  _হ্যাঁ, হয়েছিল। ভেবেছিলাম তুই ভুল করছিস না তো! তোর জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব কোনোদিন! কিন্তু তোর উপর বিশ্বাস ছিল। আসলে কি জানিস তো স্বপ্নেরা শুধু রূপ বদলায়, আমার স্বপ্ন কবে তোর চোখে রং দিয়েছে আমিও জানিনা।  _বাবাকে নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে কি জানো মা

স্মৃতি কথা: রাণা চ্যাটার্জী

"টুকরো স্মৃতি-শৈশব" স্মৃতি কথা বললে পরে , কতো যে কথা মনে পড়ে ! সুখ,দুঃখ আনন্দ ভারে , কোনটা বলি ,কোনটা পরে ! ভাবছি সেটাই দুদিন ধরে । তবুও জীবনের প্রারম্ভ "শৈশব"এর কিছু আবছা টুকরো প্রতিবিম্ব আজ উপস্থাপন এর প্রয়াস করছি - আমার শৈশব কেটেছে মামার বাড়িতে ।সেটা ছিল বন্যার এক বিধস্ত বছর ।হটাত করে ভালো জব পেয়ে আমার বড়ো মামা ,দক্ষিণ দামোদরের অনামী গ্রাম থেকে দুর্গাপুরে জয়েন করার কিছুদিনের মধ্যে ,না জানি কোন আক্রোশে "নিরুদ্দেশ "হয়ে গেলেন।তিনি ছিলেন ভীষণ নরম মনের ,প্রচুর গুণের অধিকারী এক সুন্দর শিল্পী মানুষ । পরে রেল লাইনে মার্ডার হওয়া ডেড বডি সনাক্ত করার পর থেকেই আমার মা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভীষণই ভেঙ্গে পড়লে ,মাসি আমাকে, মামারবাড়িতে নিয়ে চলে যান । এছাড়া আর অন্য উপায় ছিলো না আমাকে বাঁচানোর, অপুষ্টি আর রিকেট ততদিনে আমার শরীরে দাপট দেখাতে শুরু করেছে । প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত মাসি দের আদর যত্ন ,ছত্র ছায়ায় সেই আমার সোনালী শৈশব শুরু । সেই থেকেই গ্রাম বাংলার সবুজ শ্যামলী প্রকৃতি রূপের প্রতি আজো আমার অমোঘ আকর্ষণ । প্রতি

জয়ীতা চ্যাটার্জীর কবিতা

ছবি
প্রাপ্তি জেগে ওঠা রোজ দরজা খোলার শব্দে,  হাতের মুঠো যখনই হবে শূন্য।  আমাদের মাঝে সে এক বিস্তর ফারাক,  তুমি আগুন, তার নীচে আমার পৃথিবী নগন্য।  নিরালা দুপুর বা মধ্যরাতের নিঃস্বতা,  দেখলে পড়ে মনে হয়, জুড়ে জুড়ে আছে।  ইচ্ছেরা দাঁড়াক এক পাশে, জানা যাবে কতটা দাবী রাখে আগুনরা ধোঁয়ার কাছে।  এখানে বদলে যায় কত সহজেই,  মুখ আর মুখোশের সাধারণ খেলা।  কি হবে রেখে শব্দের আড়াল, চিরদিন তো থাকবে না কিছু, সময় শিখিয়ে দেবে হারিয়ে ফেলা।  অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকে মরীচিকা, অজান্তে ছুঁয়ে দিয়ে যায় ছলনায়।  মানুষ ও তো রাজনীতিক ভাষায় কথা বলে ওঠে, কিছুই আমার নয় তা জেনে ও সময়ের আয়নায়।। =================================== Jayeeta Chatterjee C/o= Shyama Prasad Chatterjee Add: 22/4 R.N.T.P Bye Lane Shyamnagar north 24 parganas West bengal-743127 Mobile=9062842804

কবিতা: তাপসী লাহা

ছবি
বিদায় (কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি)             প্রত্যেকটা চলে যাওয়াই একেকটা মৃত্যু, জীবনের দ্বারে হাত পেতে বসে থাকি  একাধিক প্রত্যয়ে। পাওনা গন্ডায় মজে  ভুলে যাই সঙ্গ দিলে যে। দু ছটাক পরিযায়ী  সুখে আজন্ম বিষণ্ণতা, তবু বেঁচে থাকি হেরে যাওয়া দগ্ধ বিগতে, ভোরের শিশির  ফোঁটাবো বলে। চাবুকে নত  শিষ্টত্বে মেনে নিই  প্রিয়জনের বিদায়।     --------------- তাপসী  লাহা রায়গঞ্জ 

সবিতা বিশ্বাসের কবিতা

ছবি
(কবি নীরেন্দ্রনাথ স্মরণে) তিনি আছেন গেলেন চলে মহান কবি নতুন কোনো দেশে সেই যেখানে সবাই যায় কাজ ফুরোলে শেষে তবুও তিনি আছেন জানি হৃদয়খানি জুড়ে দিবস রাতে সকাল সাঁঝে ব্যথা বেদন খুঁড়ে পুব আকাশে আছেন কবি প্রভাত রবি হয়ে ছন্দ তুলে নদীর জলে চলেন তিনি বয়ে ঘুচিয়ে অমা নবীন প্রাণে আলোর দিশা এনে অমর হয়ে যাবেন রয়ে আঁধারটাকে ছেনে তিনি ছিলেন তিনি আছেন রবেন চিরকাল তাঁর লেখাতে পথ চিনবে আজ আগামীকাল নীরেন্দ্রনাথ থেকে যাবেন সব বাঙালি বুকে ভরসা দিয়ে সাহস দিয়ে সবার সুখে দুখে। ---------------------------------------------------------- সবিতা বিশ্বাস প্রযত্নে- লঙ্কেশ্বর বিশ্বাস গ্রাম+ পোস্ট- মাজদিয়া (বিশ্বাস পাড়া) জেলা - নদীয়া। পিন- 741507

তপন কুমার মাজির কবিতা

ছবি
             আত্মিক কবি নীরেন্দ্রনাথ     বৃন্তচ্যুত হয়ে পড়লেও  যে ফুল বাতাসের গায়ে গায়ে                     রেখে যায় মিঠেল সুবাস, হাজারো ফুলের ভিড়ে  সেই 'নিরক্ত করবী'র ছোঁয়ায়                      আমার কাব্যিক উদ্ভাস। যে নক্ষত্র চোখের আড়াল হলেও  রেখে যায় আকাশের গায়ে                       অমল আলোর ঝলক, নির্জনের নীলে লীন হয়ে গেলেও  পড়ে না কখনো সেই নক্ষত্রের                               চোখের পলক। আনন্দ দেওয়ার আগেই নিষ্ঠুর মৃত্যু  চুপিসারে করুক যতই                                 প্রাণেদের চুরি, চির ঘুমে শায়িত হওয়ার আগে  মৃত্যুঞ্জয় তবু রেখে যায়                            অগণ্য উত্তরসূরি। যে প্রাণ রোদ্দুরের দেশে চলে গেলেও  'অন্ধকার বারান্দা' হতে রেখে যায়                       স্নেহাশিসের দুটি হাত, আমার বঙ্গময় জীবনের  সেই মহৎ প্রাণের প্রিয়                আত্মিক কবি নীরেন্দ্রনাথ। -------------------------------------------------------------------- Court more, Hindusthanpark, Asansol- 71

পবিত্র রায় চৌধুরীর কবিতা

সে একটা দিন  ------------------------      সে একটা দিন ছিল, বুঝলে হে সুধাময়,  অসামান্য সাইক্লোনের দিন - তখন অবাক চোখে উদ্দাম ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে কোনো ক্লান্তি ছিল না । জনান্তিকে বলে রাখি, তখনো আমার চোখ  চুলখোলা রুপসীর ডায়েরির পাতায়  লুকোনো রহস্য নিয়ে ব্যাকুল হত না । বিশ্বাস করো সুধাময়,  তখন জীবন জুড়ে এবং পৃথিবী জুড়ে  অজস্র কবিতা ছিল ।                                 # সে একটা দিন ছিল হে, বুঝলে সুধাময়,  অফুরন্ত স্বপ্নের দিন - তখন চলার পথে চেনা মানুষের চোখে                      চোখ পড়ে গেলে  খুব স্বাভাবিক ছিল অনাবিল হাসি বিনিময়  হাসি নয়, যেন এক আলোর উদ্ভাস হিরণ্য পাহাড় থেকে ঠিকরে পড়া সকালের মত। এসব কথা আজকাল কাউকে বলি না সুধাময়  কাকেই বা বলা যায় বলো - ইদানীং কী ভীষণ বন্ধুহীণ অবিশ্বাসী একা মানুষেরা জীবনযাপন করে চারপাশে  জীবনযাপন নাকি অভ্যাসের নিগুঢ় নিয়মে  স্বপ্নহীন ভালবাসাহীন বিপর্যস্ত দিনের মিছিলে  কোনমতে টিঁকে থাকে                  ব্যক্তিগত খোপের আড়ালে, চুপিসাড়ে দ্রুত পাল্টে নেয় নিজেদের চতুর ম

চিরকুটের কবিতা ও মুক্তগদ্য

ফেলে আসা দিন কিছু কি রইলো বাকি আমার চিলেকোঠার ফাঁকে !  ফেলে আসা রংপেন্সিল কার্যত শেষ বিকেলের আলোয়  জমে থাকা কথার গোপনে খোঁজে শেষ আস্তানা তারা হয়ে জ্বলে উঠলো কত লেখা !  হারালাম কিছু পেলাম তারও কম অক্ষুণ্ন শীতল মন তবুও হাঁটা রয়েছে বাকি অজানা ঢেউ প্রতীক্ষায় রত শেষবারের মতো দাগফেলা পথ ছুঁয়ে দেখি বৃষ্টি কয়েক ফোঁটা  ------------------------------------------- (মুক্তগদ্য) ফিরে দেখি একটা গাছের মতোই বেঁচে আছি , জীর্ণতার গমন কিশলয়ের আগমন । দুর্গমসুগম পথ বরাবর যাত্রী , মাঝে পান্থশালায় পরিচিত কতরঙের জীব ! কারো হাতে গ্লানি কারো বৈভবের হাতছানি । হতাশার আক্ষেপের মাঝে জয়ের উল্লাস । শুন্য ভাঁড়ার ভিক্ষুকেরও নয় – হয়তো 'প্রাপ্তি' নিছকই বিশেষণ তা সত্ত্বেও অবহেলিত নয় । ঝরে গেছে বহু প্রবীণ ; ছিদ্র সাহিত্যছাদে । বিনাশ হয় দেহের আত্মা অবিনশ্বর । আকাশটা তাই উজ্জ্বলতর । ফিরে দেখি হেঁটে আসা পথে দাঁড়িপাল্লায় হাত – হিসেব চলছে চাওয়া-পাওয়ার ।  আবারও জমবে ধুলো । একদিন কিশলয়ও হবে জরাগ্রস্ত । কালের নিয়মে পুরাতনের ভিড়ে যোগদান সবারই । আমরা ক্রমবর্ধমান

সোমনাথ বেনিয়ার কবিতা

প্রাপ্তিমঙ্গল  শেষ কবে চিঠি লিখেছি মনে নেই মনে নেই শেষ কবে কাগজের নৌকা ভাসিয়েছি জলে গোড়ালির সাথে চৌকাঠের একসুতো ব‍্যবধান থাকে সেই অবকাশের পথ ধরে যায় -                                প্রাপ্তি, প্রত‍্যয় ও হারানোর গল্প বর্তমানের বঁড়শিতে আটকে আছে জীবন ঠোকা মারে সুখ, মারে ঠোকা দুঃখ প্রাপ্তি বলতে হাসি, ভেসে আসে মন্দির থেকে মঙ্গল হোক! এখন শব্দ শুনে -          এক-একটি অক্ষর ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখবো খুদ হলে ভাত, কাঁকর হলে প্রণামি ...  ============================== সোমনাথ বেনিয়া ১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলকাতা - ৭০০ ০৪৯.

স্বপন কুমার বিজলীর ছড়া

হারানো - প্রাপ্তি বছর শেষে নতুন বছর  আবার এল ঘুরে  নতুন বন্ধু জুটল কিছু  কেউ বা গেল দূরে । স্বর্গে যারা গেল চলে  শিল্পী এবং কবি  আমার বুকে চিরটা কাল থাকবে তাদের ছবি । নতুন বছর এবার আসুক  বার্তা বাহক হয়ে  খুশির খবর সব মানুষের  জীবনে যাক বয়ে । স্বপ্ন ভাঙা মন নিয়ে আজ হাঁটছে যারা পথে  এই বছরে হেসে খেলে  চড়ুক বিজয় রথে । ------------------------------ স্বপনকুমার বিজলী  জোকা, কলকাতা , 

প্রণব কুমার চক্রবর্তীর কবিতা

জলে ভেজা জলছবি              জল সপসপে চোখের পাতায়                                 সারাক্ষন ভেসে বেড়াচ্ছে  কিছু বিমূর্ত স্মৃতি , কিছু উপলব্ধি কথা , শব্দের জঙ্গল থেকে উঠে আসা কিছু উদ্ভট স্বপ্নের দংশন সারাক্ষন বুকের ভেতরটায় জ্বালা ধরায় মনটাকে করে তোলে                          একদম আনমনা ..... ঊষর বাদামি বনভূমি দাপিয়ে বেড়ানো উদীপ্ত  আরবী মার্কা ঘোড়াগুলো নিশ্চিত আমাদের এই দেশেরই তাদের খুরের আঘাতে  ক্ষতবিক্ষত সাদামাটা মেঠো পথের           ঘূর্ণায়মান ধুলোয় চারপাশ অনধকার...... প্রতিকূল জ্যোৎস্নায় ইদানিং সারাক্ষণই লেখা হচ্ছে                                 যেসব গল্প আর কবিতা সবটাই যেন জলে ভেজা জলছবি ৷ ================================== প্রণব কুমার চক্রবর্তী  , ৩৭/১ , স্বামী শিবানন্দ রোড , চৌধুরীপাড়া , বারাসাত , কোলকাতা - ৭০০ ১২৪

সুমন নস্করের ছড়া

হর্ষ ও বিষাদ হাইরে গেছে যেদিন গুলো   দুঃখ দিয়ে পিছে, মনখানা ভার করিসনেকো   কাঁদিসনে আর মিছে৷ হর্ষ বিষাদ এই নিযে তো   জীবন বযে চলে, সুখের হাসি মনের মাঝে   দুঃখ চোখের জলে৷ দুখের পরে আসবে রে সুখ   বিষাদ যাবে ঘুঁচে, নতুন আশার আলোয় সেদিন   দুঃখ যাবে মুছে৷ ঝরলে পাতা তবেই গজায়   নতুন কিশলয়, না হারালে চেপেই থাকে   হাইরে ফেলার ভয়৷ হাইরে যাওয়া কিচ্ছুটি আর   যায় না পাওয়া ফিরে, নতুন করে ভাব না আবার   স্বপ্ন আছে ঘিরে৷ হাইরে গেছে যেদিন গুলো   দুঃখ দিয়ে পিছে, নতুন রূপে আসবে ফিরে   কাঁদিসনে আর মিছে৷  ==================== সুমন নস্কর গ্রাম+পোষ্ট- বনসুন্দরিয়া থানা- মগরাহাট জেলা- দক্ষিণ ২৪ পরগনা পশ্চিমবঙ্গ

মোনালিসা পাহাড়ীর কবিতা

সুখে দুঃখে কালের নিয়মে নতুন বছর প্রতি বছরই আসে, পুরোনো হয়ে বিদায় ও নেয় মাত্র বারোমাসে। ২০১৮ও মোদের জীবনে তেমনি এল গেল, নতুন করে২০১৯ আপন হয়ে এল। বিগত বছরে মুঠোভর্তি অনেক সুখের ছবি, দুঃখ ব‍্যথাও বেশ দিয়েছেন গত বছরের রবি। বছর শেষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে চলছে হিসেব নিকেশ চাওয়া পাওয়া, হারানো প্রাপ্তি, জমা খরচের রেশ। আকাশ কালো করে তখনই পরপারের পথে, নীরেন্দ্রনাথ, মৃণাল সেন চলে গেলেন একে একে। বাংলা মায়ের সাহিত‍্যাঞ্চল খালি করে এক পলে, না ফেরার দেশে, পাড়ি জমাতে, নির্মোহে গেলেন চলে। দুহাত বাড়িয়ে আপন করেছি নতুন সূর্যোদয়, এছবর যেন এই জগতের সবারই ভালো হয়। ================================== মোনালিসা পাহাড়ী প্রযত্নে- চন্দন দাস মনোহরপুর, গড় মনোহরপুর দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭২১৪৫১

কান্তিলাল দাসের কবিতা

ঝড় প্রতিটি বছরই ঝড় নিয়ে আসে ভেঙে যায় পুরানো ও নতুন গাছের কাণ্ডগুলি বাগানের দৃশ্য দেখে চোখে আর মনে জল এলে দোষ দিই কাকে ! একেক বছর ঝড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় মূল্যবান গাছের মতন আমাদের শিল্প-জ্ঞান-কলা আর সংস্কৃতির স্তম্ভ মানুষেরা। হে প্রিয় মুখ,- চলে যাওয়া বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ মুখদল মুখর হবেনা কোনোদিন আর সৃষ্টির সৌরভে থাকবে যদিও অমর। তবু, হারানোর ব্যথা ঝড় হয়ে দেখা দিল দু হাজার আঠারোয় স্তব্ধশোক বিস্ময়ে বাস্তুচ্যূত যেন ! হে প্রণম্য গুণীজন এই নভোতলে তৃষিত চাতক হয়ে থাকি যা পেয়েছি ঢের, তবু পেতে চাই আরো সকরুন চোখ খোঁজে আজও দেখি তোমাদের দীপ্র উপস্থিতি রেখে গেলে বৈদূর্য মণির মতো অরূপ রতন সে এক সম্পদ থাক এ মনের মণিকোঠা জুড়ে! যেন টের পাই দ্বিজেন- নীরেন- মৃণাল- পিনাকী এঁরা বলছেন স্মিত হেসে চলে তো এসেছি এক অদৃশ্য শিল্প আর কলার তালুকে যা রেখে এলাম মন দিয়ে দেখো সব, বুঝো আমরা এখন স্টিফেন হকিঙের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি শেখার তো শেষ  নেই কৃষ্ণগহ্বরটা কেমন, জানার চেষ্টায় আছি সব। ভালো থেকো। ........ কান্তিলাল দাস বেলতলা লেন সিঙ্গুর হুগলি

পল্লব দাসের কবিতা

ছবি
বিস্মৃত   সম্পর্কের ঊর্ধ্বে সম্পর্ক মন জুড়ে তুই চাহিদা মেটে অন্যতে বিচ্ছিন্ন হয়েও কোথায় বিচুত্য মরে নি ভালোবাসা হারিয়েছি অধিকার ঢেলেছি জল রোজ মৃতপ্রায় চারা গাছ জলে আর বাঁচে না আমি এখন স্মরণাতীত।      =====

রণবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

ছবি
গুড মর্নিং !! সকাল হলেই ঘুমটা ভাঙাতি তুই টিং টিং করতো মেসেজ এল্যার্ট - সবার আগে দেখতাম মেসেজটা তোর , থাকতো ছবিতে লেখা গুড মর্নিং ! আজও করেছি মোবাইলটা অন শুধু একগাদা অফিস গ্রুপ মেসেজ ; তোর নামটা ! চেক করি ইনবক্স ! নেই আর ছবিতে আঁকা গুড মর্নিং !! এখনো ভাঙেনি ঘুমটা তোর অপলক দেখছি ঘুমন্ত তোর মুখ ! জানলা দিয়ে আসা হলুদ রোদ -  যেন   বলছে তোকে গুড মর্নিং ! ! মুখটা তোর আজ যেন একটু বেশীই লাল তৃপ্তি ভরা রাতের শেষে , তোর মুখে     নতুন সিঁদুরের গুঁড়ো এঁকেছে ছবি ! হলুদ রোদ্দুর লিখেছে গুড মর্নিং !! ==========================                       Ranabir Banerjee Haridevpur, Kolkata