শরতের আকাশ
___এই সাতসকালে কোথায় বেরিয়েছিলে ?
গ্রামের সকালের সঙ্গে পরিচয় তো প্রায় অনেক দিনের স্মৃতি । বেশ লাগল কিন্তু । এক এক জায়গায় মাঠের চার পাশে কাশফুলে ভরে আছে , সকালের বাতাসে দোল খাচ্ছে । ওঃ কী যে সুন্দর মন খুশিতে ভরে যায় । তারপর পথের ধারে ধারে শিউলি গাছের নীচে শিশিরে ভেজা শিউলি ফুলের গন্ধে চারিদিক ভরে আছে । আর শরতের আকাশে তুলোর মত সাদা মেঘের খেলা চলছে । এ যেন এক স্বর্গীয় রুপ । মনে হয় স্বয়ং মা দুর্গা এখানে বিরাজ করছেন ।
-আহা অনেকদিন বাদে আমার কবি দাদা এলেন আর সকাল বেলায় প্রকৃতির রুপের বর্ণনা শুরু করে দিলেন । আচ্ছা অনেক হয়েছে ঘরে এসে চেয়ারে বসো । আমি অরুপ ও পাখিকে ডাকি । একসাথে বসে গরম কফি খাওয়া যাবে ।
আরে,, অরুপ ও পাখি এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি ? ঠিক আছে ওদের ডেকে দে একসাথে কফি খেতে খেতে গল্প করা যাবে । আচ্ছা শোন তোদের এদিকে কাছাকাছি কোন দোকান বাজার নেই ?
ওমা, থাকবে না কেন ? বড় রাস্তার কাছেই সব রকমের দোকান ও বাজার আছে । সেখানে সব কিছু পাওয়া যায় । আমাদের বাড়ির কাছে কিছু মুদি দোকান ও চায়ের দোকান আছে ।
বনি খাবার টেবিলের কাছে চেয়ার টেনে বসে পড়ল । অনু চলে গেল রান্না ঘরে কফি বানাতে । এক এক করে অরুপ ও পাখি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বনির পাশে এসে বসল । কিছুক্ষণের মধ্যে ধোঁয়া ওঠা কফি ও গরম গরম পকরা নিয়ে অনু এসে হাজির । অনুও বসে পড়ল সবার সাথে কফি খেতে । গরম কফি খেতে খেতে নানারকমের গল্পে মেতে উঠলো সবাই ।
শরতের ঝলমলে রোদ্দুর সমস্ত বাড়ি ও উঠোনে ছড়িয়ে পড়েছে । উঠোনের এক পাশে তুলসী মঞ্চ আর এক পাশে নানারকমের ফুলের গাছ । টিনের চালের উপর কুমড়ো গাছের বিস্তার । বাড়ির গেটে মাধবীলতা ফুলের গাছে ঘিরে আছে । চারিদিকে যেন জীবনের সজীব আবহ ।
সকালের জলখাবারে লুচি , ছোলার ডাল , বেগুনভাজা খেয়ে বনিদা খুব খুশি । দুপুরে মোচার ঘণ্ট কাতলা মাছের কালিয়া করব ভাবছি । অরুপ মোচার ঘণ্ট খেতে খুব ভালবাসে ।
বনিদা সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল আমারও খুব প্রিয় । সেই কবে যে মোচার ঘণ্ট খেয়েছিলাম ভুলে গেছি । কাল তোর হাতের ধোঁকার ডালনাটা চমৎকার খেলাম ।
অরুপ রোজ বাজারে যেতে পচ্ছন্দ করে না । তাই সপ্তাহে একদিন বাজারে গিয়ে মাছমাংস ও সবজি বেশি করে নিয়ে আসে । সেগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয় । আর কোনো কিছু দরকার হলে বাড়ির সামনে দিয়ে যখন ঠেলাগাড়িতে করে সবজি নিয়ে যায় চাষিরা তখন ওদের কাছ থেকে নিয়ে নি ।
হ্যাঁ সেতো বুঝলাম কিন্তু অরূপ চাকরি সূত্রে এতো ভাল ভাল জায়গায় থেকে এখন কিনা কলকাতা শহর থেকে এত ভেতরে বাড়ি কিনল । চারিদিকে গাছ দিয়ে ঘেরা ,অনেকটা গ্রামের মত।
অনু বলল এটা গ্রাম নয় , কলকাতার মধ্যেই পরে , গাছ দিয়ে ঘেরা বলে ওরকম মনে হচ্ছে । প্রচুর মানুষ আসছে এদিকে । কলকাতায় ঘারের উপর এত লোক আর থাকবার জায়গাইবা পাবে কোথায় ।
অরুপ বলল এই দেখো না রুবি থেকে মেট্রো রেল চলবে বলে কাজ ও শুরু হয়ে গেছে । আর এখানে প্রচুর ফাঁকা জায়গা থাকায় অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রোমোটারেরা কমপ্লেক্স তৈরি করছে । ফলে দিনরাত ট্রাক বোঝাই করে সিমেন্ট ,বালি, ইট আসছে। যারা আগে জমি কিনে বছরের পর বছর ফেলে রেখেছিল , তারা সব নড়েচড়ে বসেছে । এখন তারাই লাখপতি হচ্ছে । অনেক বড়লোকেরা জমি কিনে বাগানবাড়ি করে রেখেছে । ছুটিছাটা হলে সবাই আসে পিকনিক করে , হইচই করে আবার চলে যায় । অনেক সময় সিনেমা ও দূরদর্শনের সিরিয়ালের শুটিং ও হয় এখানে । এই সব কথা শুনতে শুনতে বনি অনুর দিকে তাকিয়ে তার চঞ্চল ভাবটা লক্ষ্য করে ভাবছে বয়েসটা বাড়লেও আগের মতোই হাসিখুশি আছে । অনুই একদিন তাঁর উপন্যাস লেখার প্রেরণা ছিল । অনুর কি সে সব কথা মনে আছে?
অনুদের বাড়ির উঠোন জুড়ে রোদ । সেই রোদের ছটা বাগানের গাছের মধ্যে দিয়ে যেন গলে পড়ছে । বনির মনের ভিতর সেই রোদের ছটা প্রবেশ করে জমে থাকা অন্ধকার সরে গিয়ে আলোকিত হয়ে ওঠে পুরনোদিনের সব কথা । অনেকদিন পর আবার উপন্যাস লিখতে ইচ্ছে করে বনির । মনের মধ্যে তৈরি হতে থাকে নানা চরিত্রের ছবি ।
কী ভাবছ বনিদা ? নাঃ তেমন কিছু না । আসলে কিছু পুরনো কথা মনে পড়ে গেল । কিন্তু হঠাৎ করে এদিকে তোরা চলে এলি কেন বল তো ? বেশ তো ছিলি বালিগঞ্জের কোয়াটারে ।
অনু বলল আসলে অরুপের খোলামেলা জায়গা পচ্ছন্দ । কোলকাতার কোলাহল, রাতদিন গাড়ির আওয়াজ , গায়ে গায়ে বাড়ি , আলো হাওয়া কম এসব কিছু অরুপের একদম পচ্ছন্দ নয় ।
জানো তো বনিদা অরুপ বরাবরই কথা কম বলে । এছাড়া মনের কথা প্রকাশ করার ভাষাই জানত না। তবে যা হয় অনেকদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে পরস্পরকে কিছুটা চেনা হয়ে যায় । তাই ওর মনের কথা কিছুটা হলেও বুঝতে পারতাম । মেয়ে যখন ছোট অরুপ তখন কোলকাতায় চাকরি করে । সেই সময় বাড়িটা তৈরি করা হয়েছিল । এখন অরুপ চাকরি থেকে অবসর হয়েছে তাই আমরা বালিগঞ্জ কোয়াটার ছেড়ে এই বাগান বাড়িতে চলে এসেছি । আর মেয়ে এখন ডাক্তারি পড়ছে । ও হোস্টেলে থাকে , ছুটিছাটা পড়লে বাড়িতে আসে । মেন শহরের কোলাহল থেকে আমরা খোলা হাওয়ায় গাছে ঘেরা বাগান বাড়িতে খুব ভাল আছি ।
আচ্ছা বনিদা এবার তোমার কথা বল । তোমার সাহিত্যচর্চা মানে গল্প, উপন্যাস লেখা কেমন চলছে ? তুমি তো জান তোমার লেখা উপন্যাস পড়তে আমার খুব ভাল লাগে ।
বনিদা বলল তোদের বাড়িতে যখন থাকতাম তখন খুব লেখা হত । চাকরিসূত্রে বাইরে থাকতে হয়েছে । আর ওখানকার অফিসের কাজের চাপ এত বেশি যে লেখালেখি করার সময় হতো না । কয়েকটা গল্প লিখেছিলাম। এই মুহূর্তে তোদের এই বাগান বাড়িতে এসে এত ভালো লাগলো আর তোকে দেখতে পেয়ে আবার উপন্যাস লেখার কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ভাবছি বাড়ি গিয়েই লেখা শুরু করব । অনু একটু লজ্জা পেয়ে রান্না ঘরে চলে গেল । রান্নাঘরে কাজ করতে করতে অনুর অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে গেল । বনি তখন অনুদের বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে । অনুর বাবার বন্ধুর ছেলে বনিদা। হালিশহরে ওদের বাড়ি । অনুর বাবা স্কুলটিচার ছিল । বনিদা অনুদের বাড়িতে থেকে অনুর বাবা যেই স্কুলে পড়াত সেই স্কুলে পড়ত । বনিদা লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল । বরাবর ক্লাসে প্রথম হত। বনিদা ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা, গল্প, ছড়া লিখত । স্কুল ম্যাগাজিনে বনিদার লেখা কবিতা ছাপা হত । পরে অবশ্য বনিদার লেখা গল্প,উপন্যাস দেশ পত্রিকা ,আনন্দবাজার দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে । বনিদার খুব নামডাক ও পরিচিতি হয়েছিল । বনিদার সাথে অনুর খুব মিলমিশ ছিল । অনুর বান্ধবীদের সাথেও বনিদার পরিচয় ছিল । বনিদা মেয়েদের সাথে মিশতে ও কথা বলতে বেশ পচ্ছন্দ করত । বনিদার লেখার মধ্যে প্রেম ও নারীদের শরীর নিয়ে কিছু না কিছু বর্ণনা থাকত । বনিদার লেখা গল্প ও উপন্যাস পড়ে অনু তির্যক ভঙ্গি করে বলত”তোমরা লেখকরা ভারী অসভ্য “, এসব ভাবতে ভাবতে রান্নাঘর থেকে বসার ঘরে এসে দেখে বনিদা গল্পের বই পড়ছে ।আর অরুপ খবরের কাগজ পড়ছে । অনু অরুপকে বলল বনিদাকে নিয়ে এই জায়গাটা ঘুরিয়ে নিয়ে এসো। সকালে বনিদা একা একা একটা দিক ঘুরেছে । আমার ততক্ষণে রান্না হয়ে যাবে ।
ঘণ্টাখানেক বাদে ঘুরে এসে বনিদা খুব খুশি । আশে পাশের দুচারজনের সঙ্গে আলাপও হয়েছে । বনিদা অনুকে বলল জানিস তোদের এই জায়গায় এসে শরতের আবোহাওয়ায় মনটা খুশিতে ভরে গেল । চারিদিকে কাশফুলের সৌন্দর্য মনকে আরো আনন্দে ভরিয়ে তুলল । তোদের এখানে এসে নতুন নতুন ভাষা ও নতুন ছন্দ মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে । ভাবছি আবার লেখালেখি শুরু করব। চাকরিসূত্রে সিঙ্গাপুরে থাকতে হত আর প্রচুর কাজের চাপে সাহিত্যচর্চা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ।
এখন কি তুমি পুরোপুরি কলকাতায় চলেএসেছ ?
হ্যাঁ আমি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে এসেছি । প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি করতে আর ভাল লাগলো না । আচ্ছা বনিদা তুমি বিয়ে করলে না কেন ? তুমি তো মেয়েদের সাথে মিশতে ও গল্প করতে খুব ভালবাসতে ।
বনি বলল জনিস তো অনু আমার মনের মত যাকে পেয়েছিলাম তাকে কখনো মনের ভালবাসার কথা বলা হয়ে ওঠেনি । পরিস্থিতি আমার জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে । তুই কি বুঝতে পারিসনি কখনো ?
অনু কিছু না বলে মাথা নিচু করে ঘরে চলে গেল । অনু জানত বনিদা মনে মনে অনুকে ভালবাসত। সেভাবে কখনো বলে উঠতে পারেনি কারণ অনুর বাবা খুব রাগী মানুষ ছিলেন । এবং নিজের পচ্ছন্দ করা সরকারি চাকরি ছেলের সাথেই অনুর বিয়ে দেবেন আর বনিদা তখন প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করত, ফলে অন্য কোন উপায় ছিল না । অনুও বনিদাকে মনে মনে খুব ভালবাসত । কিন্ত কিছু করার ছিল না বাবার কথামত অরুপকে বিয়ে করতে হয়েছিল যেহেতু অরুপ সরকারি চাকরি করত। তবে অরুপ খুব ভাল ছেলে । অনুর সবকিছু খেয়াল রাখে আর অনুকে খুব ভালবাসত ।অনুর কোন ইচ্ছাতে বাদ সাধে না । অনু ভাল গান করত বলে অরুপ ওকে ভাল গানের টিচার রেখে দিয়েছিল। কয়েকবছর পর ওদের ঘরে যখন মেয়ে আসলো তখন অরুপ ও অনুর সংসার আনন্দে ভরে উঠল ।
কড়াতে ফোড়ন ও মশলা দিয়ে চিকেনের টুকরোগুলো ঢেলে দেয় অনু । রান্নার সুগন্ধে চারিদিক ভরে গেছে । রান্না করতে করতে অনুর মনে প্রশ্ন জাগল যে হঠাৎ করে বনিদার ওদের বাড়িতে আশার কারণটা কি ? কোথা থেকে অনুর খবর পেয়েছে কে জানে । বনিদা অনুর স্মৃতিতে অনেকদিন ছিল । কিন্তু এখন সে স্মৃতি ঝাপসা হতে হতে অনুর মন থেকে মুছে গেছে । এখন অনুর মন ঘিরে রয়েছে অরুপ ও তার মেয়ে ।
অরুপ মানুষটা সৎ , শান্ত ও খুব ভালমানুষ। প্রতিভাবান নয় , কাউকে আঘাত করে না এবং কোন কাজে ফাঁকি দেয় না । এই কারণে অফিসে অরুপকে সবাই ভালবাসে । এবং অরুপের কাজের সবাই খুব সুনাম করে । এছাড়া অফিসে যেমন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে তেমনি পরিবারের প্রতি দায়িত্ব তাঁর অপরিসীম এককথায় পরিপূর্ণ মানুষ ।
আজকে বনিদার এখানে আসাটা অবাক লাগলেও ততটা খারাপ লাগছেনা অনুর । বহুকাল আগের চেনা মানুষকে হঠাৎ দেখতে পেলে তাকে আদর যত্ন করে খাওয়াতে ভালই লাগে । বনিদা খেতে যেমন ভালোবাসে তেমনি রান্নার প্রশংসা করে । অরুপ কোন প্রশংসার মধ্যে নেই যা রান্না হয় তাই খেয়ে নেয় । অরুপ কথাও কম বলে । বাড়িতে বনিদা এসেছে বলে কত কথা ভেসে বেড়াচ্ছে । বনিদার সাথে গল্প করতে করতে কত পুরনো মানুষের কথা ও কত পুরনো ঘটনার কথা মনে পড়ছে তবে বনিদার এখনকার জীবন যাপন সম্বন্ধে জানার আগ্রহ থাকলেও অনু জিজ্ঞাসা করার সাহস পায়নি । বনিদার সাথে গল্প করতে করতে করতে কখন যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়েছে বোঝা যায় নি । অনু চার জল চাপিয়ে সন্ধ্যে দিতে চলে যায় । আশে পাশের বাড়ি থেকে মাঙ্গলিক শঙ্খধ্বনির আওয়াজ ভেসে আসছে । কিছুক্ষণ বাদে অনু চা ও পাপর ভাজা নিয়ে আসল । চা খেতে খেতে বনিদা বললে ভাবছি কাল দুপুরে খেয়ে বিকেলের দিকে বেরিয়ে পড়ব । কয়েকটা দিন বেশ কাটল এখানে এসে ।
অনু অবাক হয়ে বললে – ওমা , সেকি কালই চলে যাবে ? বনি হাসে আর বলে ভবঘুরে বেশিদিন কোথাও থাকে না । তাও তো তোদের এখানে দুদিন থেকে গেলাম ।
ঠিক আছে সবাই ভেতর ঘরে বসে গল্প কর, চট জলদী একটু খিচুড়ি ডিম ভাজা বানিয়ে আনি । অরুপ ও বনিদা দুজনেই খিচুড়ি খেতে পচ্ছন্দ করে ।
অনু চলে গেল রান্না ঘরে । বনিদা অরুপকে বলল সকালে তোমাদের জায়গাটা আর একবার ঘুরে আসব । শরৎ কালের এত সুন্দর আবহাওয়া কলকাতা শহরে পাওয়া যাবে না । তাইএত সুন্দর কাশফুলের সৌন্দর্য চোখকে সমৃদ্ধ করে নিয়ে যাচ্ছি আর শিউলিফুলের সুগন্ধ্য ও প্রানভরে নিয়ে যাচ্ছি।
অরুপ বলল সত্যিই শরতের আকাশটা এখানে বড় সুন্দর। আর এখানকার দুর্গাপূজা দেখার মত । এখানকার মানুষের মধ্যে এত আন্তরিকতা মেন শহরে পাবে না । তুমি একবার দুর্গাপুজার সময়ে এখানে আসবে খুব ভাল লাগবে । অনুর ডাকে সবাই রান্না ঘরে খিচুড়ি খেতে চলে গেল ।
*************************
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন