ভেনাস ফ্লাইট্রাপ
সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ
ঝিরঝির ঝুরঝুর বৃষ্টিতে সারারাত স্নান করে ভোররাতে বেশ ঠান্ডা লাগছিলো ভেনাসের। দিন কয়েক ধরে আবহাওয়াটা খুব বাজে।আকাশটার হঠাৎ করে কোনো কারণে বুঝি খুব মনখারাপ হয়ে গিয়েছিলো।ব্যথার ধূসর কালো বিষণ্ণতা জুড়ে ছিলো সারা আকাশের শরীরটাকে। কাল বুঝি সে ভারের বোঝা আর বইতে না পেরে অশ্রুত কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো।কোনো শব্দ ছিলো না।শুধু মৃদু ঝিরঝিরে অনবরত বারিবর্ষণ।
সারারাত বোবাকান্নার পর আকাশের মন অনেক হালকা। কে বলে চোখের জলের কোনো রং নেই ,নেই কোনো ওজন ।তবে কেন কান্নার পর বুক হালকা হয়ে যায় আর কালিমা ঘুচে গিয়ে শুভ্রতা ফিরে আসে।আজ আকাশ নীল রঙের একটা পাতলা সাটিনের জামা পড়েছে। তাতে সাদা সাদা ফুলের মতো বড় বড় ছাপ। বেশ লাগছে আকাশটাকে ।আজ আকাশের মেজাজ ফুরফুরে। আশেপাশের লোকের হাসিমুখ দেখলে এমনিতেই নিজের মুখেও যেন অজান্তে একচিলতে খুশির হাসি ছাপ দিয়ে যায়। সূর্যটাও মনে হয় বন্ধুর মনের কথা ভেবে কয়দিন চুপচাপই ছিলো। আজ উষ্ণ নরম রোদ ছড়িয়ে হাসিমুখে জমিয়ে বন্ধু আকাশের সাথে গল্প শুরু করেছে সকাল থেকেই।
তবে সে সবই ঠিক আছে। কিন্তু ভেনাসের যে প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। এই কয়দিন জোলো হাওয়া আর বৃষ্টির তাড়নায় পতঙ্গগুলো কোথায় যে লুকিয়ে পড়েছিলো। আজ উষ্ণ বাতাসের স্পর্শ পেয়ে খোলা হাওয়ায় তারা নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছে। একটাও এসে বসছে না তার পাতায়।ভেনাস তার রঙচঙে পাতাগুলো আরও সুন্দর করে মেলে ধরার চেষ্টা করলো।আহা ! তার পাতাগুলো যেমন বর্ণময় তেমনই মসৃন ঠিক বর্ণালী ফুলের মতো। পতঙ্গগুলো সেই রূপের টানে ছুটে আসে আর মধু খোঁজে। পাতার খাঁজে মধু কোথায়। বরঞ্চ তাদের স্পর্শ ভেনাসের শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি করে -- খিদের নেশা বাড়ায়।পাতার উপরের সেন্সরি চুল তাকে শরীরের উপর বসা পতঙ্গের স্পর্শ বোঝায়। পতঙ্গটি মধুর আশে যত নড়াচড়া করে ভেনাসের উত্তেজনা তত বাড়ে ,ক্য�
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন