পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭১তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩০ জানুয়ারি ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ তিন নাথের মেলা ।। সৌভিক দে গোকর্ণী গ্রামে বিবিমার মাঙন ও হাজত ।। অরবিন্দ পুরকাইত ভাই খাঁ-র জাতের মেলা -- কাঁকড়া মেলা ।। অশোক দাশ জয়নগর মজিলপুরের বেশের মেলা ।। কেতকী বসু দক্ষিণ দিনাজপুরের খ্যাড়াপূজা ।। লালন চাঁদ   নদীয়া জেলার মদনপুরের ভাইফোঁটার মেলা ।। অসিত কুমার পাল বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ ।। কেয়া মাইতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বালাকী নাচ ।। শুভ জিত দত্ত কাটোয়ার সবলা মেলা ।। অনুপম বিশ্বাস দুর্গোৎসব সম্প্রীতির উৎসব ।। রতন বসাক বাঙালির পার্বণ ।। মিঠুন মুখার্জী মেলা শিক্ষা-সংস্কৃতিরও প্রসার ঘটায় ।। প্রদীপ কুমার দাস মকর সংক্রান্তি ।। বিজয় দাস মাঘী পূর্ণিমা পালন ।। শুভশ্রী দাস হুগলীর চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী ভিটের পঞ্চ দেবদেবী ।। অঞ্জলি নন্দী   কবিতা-ছড়া  উৎসবের রিনরিন আওয়াজ ।। অজিত দেবনাথ উৎসব আসছে ।। মানস চক্রবর্তী মিলন মেলার আঁকে বাঁকে ।। গোবিন্দ মোদক মেলায় ।। নিরঞ্জন মণ্ডল পিঠে পুলি ।। দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায় পৌষ পার্বণ ।। ফটিক ঘোষ নবান্ন উৎসব ।। ক্ষুদিরাম নস্কর রথের মেলা ।। নিতাই মৃধা নবান্ন ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল

প্রবন্ধ ।। তিন নাথের মেলা ।। সৌভিক দে

ছবি
তিন নাথের মেলা সৌভিক দে যখন কোনও সামাজিক, ধর্মীয়, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য কারণে একটা জায়গায় অনেক মানুষ একত্রিত হয়, তখন তাকে নাকি মেলা বলে। গুগল-এ অন্তত এমনটাই লেখা আছে। মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন। মেলায় একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় হয় বলে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা। মেলার সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগাযোগ অত্যন্ত নিবিড়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলার এই সংস্কৃতিতে থাকে সব ধর্মের মানুষের সমন্বয়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায় বা কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় মেলার। মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ জীবনে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। গ্রামের মেলায় যাত্রা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, জারি-সারি, রামায়ণ, গম্ভীরা কীর্তন, পালার আসর, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, লাঠি খেলা, হাডুডু খেলা মুগ্ধ করে আগত দর্শনার্থীদের। গ্রামীণ মৃৎশিল্প ও কারুপণ্যের বিকিকিনি মেলার আরেক আকর্ষণ। এসব মৃৎশিল্পের মধ্যে শখের হাঁড়ি, বিভিন্ন ধরনের মাটির পুতুল বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী। কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের

নিবন্ধ ।। গোকর্ণী গ্রামে বিবিমার মাঙন ও হাজত ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
মগরাহাট থানার গোকর্ণী গ্রামে  বিবিমার মাঙন ও হাজত   অরবিন্দ পুরকাইত   মাঘী পূর্ণিমায় মাঙন করে বিবিমার হাজত সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে একটি দীর্ঘদিনের আদত। জল-জঙ্গল অধ্যুষিত অফুরান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার সুন্দরবনের ভয়ঙ্করতার দিক বোঝাতে অনেকসময় এক কথায় বলা হয়ে থাকে— জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। অর্থাৎ মানুষের কথা যদি ধরা যায়, দেখা যাচ্ছে জীবন-জীবিকার টানে তাদের প্রধান দুই বিচরণের জায়গাতেই বিরাজমান দুই মূর্তিমান নরখাদক!  মানুষের সভ্যতায় নগরের ধারণা বলতে গেলে অনেক পরের। সে ধারণা যখন বাস্তবায়িত হতে থাকল, এটাও বাস্তব হয়ে দেখা দিল যে যুগের পর যুগ মানুষের উন্নতি-প্রগতি মূলত নগরকেন্দ্রিক। গ্রাম-বনস্থলীর যতটা দেওয়ার, পাওয়ার ততটা নয়। নগর ভূমিষ্ঠ হয় না, নগর গড়ে ওঠে। মানুষই গড়ে তোলে নিজেদেরই প্রয়োজনে। সেখানে প্রকৃতির সমস্ত পূর্ব উপাদান ক্রমশ কমে আসে। প্রাধান্য পায় মানুষ এবং মানুষের প্রয়োজনীয় এবং সুখদা নানান সাজসরঞ্জাম, সামগ্রী। গড়ে ওঠে বাজার। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে, সুখের টানে দূর দূরান্তর থেকে মানুষ এসে বসত করে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাকরি-বাকরি জীবিকার নানান দরজা

ভাই খাঁ-র জাতের মেলা -- কাঁকড়া মেলা ।। অশোক দাশ

ছবি
ঐতিহ্যের মিলন মেলা : ভাই খাঁ-র জাতের মেলা   (পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর থানার অন্তর্গত সিংটি গ্রামে কাঁকড়া মেলা ) অশোক দাশ 'নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান বিবিধের  মাঝে  দেখ মিলন মহান'। --- বৈচিত্রের মধ্যে একতা মহামিলনে প্রাণের বার্তা, আমরা খুঁজে পাই মেলার মাধ্যমে। নানা ভাষাভাষী মানুষ ধনী গরিবের মেলবন্ধন ঘটে মেলা প্রাঙ্গনে। 'ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া' --- চলুন ঘুরে আসি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর থানার অন্তর্গত সিংটি গ্রামে। কলকাতা থেকে হাওড়া, হাওড়া থেকে ডিহিভূরসুট গামী বাসে চেপে নেমে পড়ুন রাজাপুর মোড়ে। ওই স্থান থেকে  পশ্চিমমুখে এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছে যাবেন ভাই খাঁ-র জাতের মেলায়। গ্রামের মেঠো পথের দুপাশে দিগন্ত বিস্তৃত সরিষা ক্ষেত, ধনে মটর কড়াই আলু কপি পেঁয়াজ শীত সবজির বুক চিরে, পাখিদের গান শুনতে শুনতে কখন যে পৌঁছে যাবেন মেলা প্রাঙ্গণে বুঝতেই পারবেন না।     লোকায়ত সংস্কৃতির মেলবন্ধন, ঐতিহ্যের পরম্পরায় এই মেলা শুরু হয়েছিল ,জনশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে। মেলা কর্তৃপক্ষের বয়ান অনুসারে, আরব দেশ থেকে একটি পরিবারের সা

জয়নগর মজিলপুরের বেশের মেলা ।। কেতকী বসু

ছবি
দক্ষিণ চব্বিশপরগনা জেলার অন্তর্গত আলিপুর মহকুমার অধীন জয়নগর মজিলপুর একটি প্রসিদ্ধ স্থান।প্রাচীন কালে এর অস্তিত্ব ছিল না তখন এর ওপর দিয়ে গঙ্গা নদী প্রবাহিত হতো। এখানে নানা হিন্দু পূজা ও ছোটো ছোট মেলা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে বড়ো মেলা হোল বেশের মেলা বা ধন্বন্তরী মন্দিরের মেলা।      অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে আদি গঙ্গার ধারা বর্তমান মজিলপুর গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেই সময়ে ভৈরবানন্দ নামে এক তান্ত্রিক নদীর চরে বসে সাধনা করেন, এবং স্বপ্নাদেশ পান সামনের পুকুরে, 'আমি আছি, আমাকে উদ্ধার কর,' সেই মতো তিনি পুকুর সন্ধান করে একটি আট ইঞ্চি বাই ছয় ইঞ্চি কালো পাথরের  কালি মুর্তি পান। এবং খড়ের চালা বানিয়ে তিনি ওই মূর্তি পূজা করেন ।       পরে তিনি ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত ন্যাতরা গ্রামের রাজেন্দ্র চক্রবর্তী কে মজিলপুরে নিয়ে আসেন এবং তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে অন্যত্র চলে যান ।তার পর রাজেন্দ্র চক্রবর্তী সাধনা করেন এবং তার সাধনায় প্রীত হয়ে মা  স্বপনে একটি বাতের ওষুধ দেন যা পানের মধ্যে দিয়ে  খেলে চিরতরে বাত সেরে যায়।এবং ধন্বন্তরীর   মতো ওই ওষুধ কাজ করে বলে সেই থেকে 'মা

নিবন্ধ ।। দক্ষিণ দিনাজপুরের খ্যাড়াপূজা ।। লালন চাঁদ

ছবি
কুমারগঞ্জ থানার ভোঁওর গ্রামের খ্যাড়াপূজা লালন চাঁদ                 মেলা,পার্বণ বা উৎসব আসলে একটি মিলনস্থল। মহামিলনের প্রাণকেন্দ্র। মানুষ এসব স্থানে আসে আনন্দ উপভোগ করতে। এখানে অনেক চেনা অচেনা বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। হৃদ্যতা বিনিময় হয় পরস্পর। মন উজাড় করে মানুষ পরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে। হৃদয়ের  ভালোবাসা বিলিয়ে দেয় মানুষের মধ্যে। তাই মেলা, পার্বণ বা উৎসব হয়ে ওঠে মানুষের মিলনের প্রাণকেন্দ্র। হৃদয়ের আকরভূমি।            দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত কুমারগঞ্জ থানার ভোঁওর গ্রাম। ছোটো বড়ো দশটি পাড়া নিয়ে এই গ্রাম। এখানে প্রতিবছর ভাদ্র সংক্রান্তিতে ভোঁওর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খ্যাড়াপূজা অনুষ্ঠিত হয়।           খ্যাড়াপূজা বলতে পাতা খেলা। এটাও এক ধরনের খেলা। অনুষ্ঠানের আগের রাত ওই মাঠে ওঝা গুণিন বৈদ্যরা এসে উপস্থিত হন। নিশিরাতে দুটো জল ভর্তি মাটির হাঁড়ি মাঠের মাঝখানে রেখে তার সামনে নানারকম মন্ত্র উচ্চারণ করেন তারা। সঙ্গে কিছু জড়িবটিও ওই জলে ডুবিয়ে হাঁড়ি দুটোর মুখ কাপড় দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়।           ওঝা গুণিন বৈদ্যরা সে রাত্রে উপোস থাকেন। একটা দানাও দাঁতে কাট

নিবন্ধ ।। নদীয়া জেলার মদনপুরের ভাইফোঁটার মেলা ।। অসিত কুমার পাল

ছবি
ভাইফোঁটার মেলা  অসিত কুমার পাল   গ্রাম বাংলার নানা জায়গায় বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । দেবতাকে ভাইফোঁটা দেওয়া উপলক্ষ্যে মেলা বসে একথা শুনতে হয়তো আশ্চর্য লাগবে কিন্তু নদীয়া জেলার মদনপুরে সত্যিই এরকমই একটা মেলা বসে ।  নদীয়া জেলার কল্যাণীর কাছে মদনপুর নামের একটি জায়গা আছে । পলাশীর ঐতিহাসিক যুদ্ধের তিন বছর পরে নদীয়ার তৎকালীন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই মদনপুরেই যমুনা নদীর তীরে মদনগোপাল কৃষ্ণের কাঠের মূর্তি সহ একটি মন্দির স্থাপন করেছিলেন । শোনা যায় মন্দির স্থাপনের কিছুদিন পরে মদনগোপাল মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে জানান তিনি ওই মন্দিরে একাকী থাকতে পারছেন না, রাধার বিরহে তিনি কাতর হয়ে পড়েছেন, মহারাজা যেন মদনগোপালের পাশে রাধিকার মূর্তি স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এর পরে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে শ্রীরাধিকার একটি নিমকাঠের মূর্তি তৈরি করে মদনগোপালের পাশে স্থাপন করা হয় ।   মদনগোপালের বিরহ থেকে মন্দিরটি মদনগোপালের বিরহী মন্দির নামে পরিচিতি পায়। স্থানীয় এলাকার মেয়েরা মদনগোপালকে ভাই বিবেচনা করে ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন চন্দনের ফোঁটা দিয়ে থাকে । দুরদূরান্ত থেকে

প্রবন্ধ ।। বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ ।। কেয়া মাইতি

ছবি
বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ কেয়া মাইতি বিশেষ বিশেষ ঋতুর সঙ্গে সাজুজ্য রেখে বাঙালিরা মেতে ওঠে নানা ঋতু উৎসবে। বছরের শুরুতেই নববর্ষ উদযাপন হয় নানা রকম ভাবে  বাংলার মাটি বাংলার হাওয়া, বাংলার ভাষা বাংলার গান, বাংলার উৎসবে যেন মোতে ওঠে বাঙালীর প্রাণ --- মানব হৃদয় চির আনন্দ পিপাষু।  রবি ঠাকুর লিখেছেন—” আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে”। বৈশাখের প্রথম দিন থেকে চৈত্রের শেষ দিন পর্যন্ত্য ঊৎসবের ঘনঘটায় বাঙালীর ‘বারো মাসে তের  পার্বণ। উৎসবের মধ্যে দিয়ে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের সংকীর্ণ গন্ডী  থেকে মিলনের বৃহত্তর ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ  হয়। বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম সামাজিক উৎসব। পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য শুভ হালখাতার আয়োজন করে তারা। ভক্তা এবং গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করানো শুভ হালখাতার অন্যতম লোকাচার। নববর্ষের শোভাযাত্রা, মেলা, হালখাতা,পান্তা ভাত খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী বাক্য হল ‘শুভ নববর্ষ’। বাংলার ইতিহাসে নবান্ন ও পৌষ পার্বণ দুটি উল্লেখযোগ্য পার্বণ। “ জননী তোমার শুভ আহ্বান