হুগলীর চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী ভিটের পঞ্চ দেবদেবী
অঞ্জলি নন্দী
বঙ্গের হুগলীর চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী ভিটেতে প্রায় তিন শত বৎসর পূর্বে পঞ্চ দেব আর দেবীর প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজও নিত্য পুজো চলে আসছে। রোজ পূজারী এসে পুজো করেন।
ভিটেতে ঢুকতেই মা শ্রী শীতলা দেবীর মন্দির। আমরা সকল মন্দিরকেই ঘর বলি। যেমন, মা শেতলার ঘর। এর পর একটু এসে পাশের দিকে রামেশ্বর ও বানেশ্বর। আরও ঢুকে দো তলায় রঘুনাথের ঘর। এর ঠিক কাছেই নিচে মনসা ও তুলসী তলা। সকল ঠাকুরের জন্য আলাদা আলাদা আলাদা পুকুর আছে। শিবের ঘরের পিছনে খিড়কি পুকুর। এরকম। পুজোয় ঐ পুকুরের জল লাগত। আবার চানও করা হত। বারো মাসে বহু পুজো, পার্বণ চলতেই থাকে..........
আমাদের মায়ের সামনে পাঁঠা বলি হয়। মা শেতলার প্রসাদ। আবার রঘুনাথের ঘরে রাম নবমী, জন্মাষ্টমী, দোল, চাঁচর, রাশ পুজো হয়। শিবের ঘরে শিব রাত্রি হয়। মনসার সামনে অরন্ধন অর্থাৎ রান্না পুজো হয়। তুলসী তলায় আমরা পুণ্যিপুকুর, কুলকুলবতী ব্রত করতাম। আবার গোকুল ব্রতও করতুম। ওই পুণ্যিপুকুরের সঙ্গেই, একসঙ্গে। চার বছর করে, দুটি ব্রত। আর তিনটি ব্রত আট বছরে করেছি। বালিকা বেলায়। আর রঘুনাথের ঘরে হরির চরণ ব্রত ও শিব পুজোর ব্রত করেছিলাম। চার বছর করে। একসঙ্গে দুটিই করেছি। অগ্রহায়ণ মাসে ইতু ও ফাল্গুন মাসে শিব রাত্রি ব্রত শিবের ঘরে করতাম। কুলকুলবতী কার্তিক মাসে সন্ধ্যায়। আর অন্য সকল ব্রত বৈশাখ মাসের ভোরে উঠে করে তারপর আবার মর্নিং স্কুলে যেতাম। গার্লস স্কুল। সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়। অঞ্জলি নন্দী আমি ছিলাম তখন ঐ ভিটের বাসিন্দা। আর এখন নতুন দিল্লীতে প্রবাসী বাঙালি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন